নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আমি আমার মাকে মারধর করে জমি লিখে নিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মূলহোতা আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার।তার কুটকৌশলে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে সিআর মামলা নং-৪১৪/২৪ দায়ের করিয়েছেন বলে দাবী করেছেন দলিল লিখক আলমগীর হোসেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে গনমাধ্যম কর্মীদের উপরোক্ত কথা বলেন।
আলমগীর হোসেন বলেন,আমার মার মামলায় যাদের মিথ্যা স্বাক্ষী বানিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য আমার ভাবী শিউলি বেগম,তার বাবা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামের আবুল কালাম শেখ,সাবেক মেম্বার জলিল গাজী।
ইতিমধ্যে কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।আমি নাকি জামিনে বের হয়ে এসে আমার মা,ভাবী,মামাকে হুমকি দিয়েছি।যা আদৌ সত্য নয়।প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার মা স্বেচ্ছায় আমাকে সহ আরো ৩ ভাইবোন নাজির হোসেন,হেলেনা বেগম,শাহিনুর আক্তার কে জমি লিখে দেন।কিন্তু বড় ভাই মনির হোসেন বিদেশ থাকায় তাকে লিখে দেননি।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাবী,বড় ভাই ও মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার সহ একটি কুচক্রী মহল আমার সুনামহানি করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে।
প্রকৃত ঘটনা হলো আমি আমার ভাই-বোনদের সবসময় আর্থিক,শারিরীক ও মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছি।নিজের কষ্টাজিত অর্থ পরিবারের প্রতি ব্যয় করেছি।আমার মার সমস্ত চিকিৎসা ও ভরনপোষণ আমিই বহন করে আসছি।আমার মাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার ও কুচক্রী মহল। আমি তাদের আসল চরিত্র গনমাধ্যমে প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।
আমি জামিনে এসে আমার মা,মামা ও ভাবীর সাথে কোন কথা বলিনি।তাদের হুমকি দেয়ার প্রশ্ন আসেনা।
আমি আমার মা সহ ভাইবোনদের সবসময় আর্থিক সহযোগিতা করে আসছি।যা আমার চাচা সুরুজ মিয়া,কামালউদ্দিন,মফিজউদ্দিন,রমিজউদ্দিন, ফুফু রেজিয়া খাতুন সহ এলাকাবাসী অবগত।
আলমগীরের চাচা রমিজউদ্দিন বলেন,আলমগীরের বিরুদ্ধে মাদক সেবনে যে অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তা ঠিক নয়।ও অত্যন্ত ভদ্র ও কর্মঠ ছেলে।ওকে ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি।মাদক সেবন তো দুরের কথা ও এর নাগালে নেই।ডাহা মিথ্যা অপপ্রচার।
আলমগীর হোসেন আরো বলেন, আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার, ভাবী শিউলি বেগম, তার বাবা আবুল কালাম শেখ আমাদের সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা করতে আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে । আমাকে মাকে তারা যে কোন সময় হত্যা করতে পারে।আমি আমার মাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে আব্দুর রহিম ভেন্ডার মুঠোফোনে জানান, আমার অপরাধ হলো আমি ওকে ( আলমগীরকে) ছোট বেলা থেকে লালন পালন করেছি। যদি তাই না হতো তাহলে আমাকে কেন অপরাধী বানাচ্ছে। আলমগীরের মানসিক প্রতিবন্ধি মায়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বলেছে ওর মা মানসিক প্রতিবন্ধি। আপনারা ওর এলাকায় যান গিয়ে সকলের কাছে জানুন। সবাইতো আর একজনের পক্ষে কথা বলবেনা। যেটা সত্য সেটাই বলবে এবং জানতে পারবেন।