১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 68

নারায়ণগঞ্জে মহানবীর(সা:) পবিত্র দাড়ি মোবারক প্রদর্শন

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ চত্বরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর পবিত্র দাড়ি মোবারক প্রদর্শন করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জুমআর পর থেকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ চত্বরে এ প্রদর্শনী শুরু হয়। আসর নামাজের পূর্ব পর্যন্ত এ প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয় সর্বসাধারণের জন্য। এ সময় মহানবী (সা.) এর দাড়ি মোবারক দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। এসময় অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, ‘মহানবী (সা.) এ দাড়ি মোবারক সুদূর মিসর থেকে মাদানি চ্যানেলের আয়োজনে বাংলাদেশে আনা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর আমন্ত্রণে নারায়ণগঞ্জে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

শওকত চেয়ারম্যানের ছায়াতলে থেকে রাজনীতি করতে চাই- খোরশেদ আলম মাস্টার

পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক খোরশেদ আলম মাস্টার।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত খোরশেদ আলম মাস্টার।

খোরশেদ আলম মাস্টার ১৬ বছর যাবৎ ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর ছায়াতলে এসে আশ্রয় নেন। সেই থেকে আছেন শওকত আলীর সাথে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

খোরশেদ আলম মাস্টার শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় মানুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক আদর্শ মাটি ও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

খোরশেদ আলম মাস্টার ১৯৮৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। ২০০৩ সালে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল থেকে আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের ছায়াতলে থেকে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু। সেই থেকে আজো পর্যন্ত আছেন এই দলে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বক্তাবলী ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির সভাপতি,৫৫ নং কানাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, কানাইনগর দক্ষিন জামে মসজিদের মোতোয়াল্লী ও সাধারণ সম্পাদক, কানাইনগর পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য, বক্তাবলী ফরায়েজি জামায়াত কার্যকরী কমিটির সদস্য, কানাইনগর কবরস্থান কমিটির সহ সভাপতি ও রাজনগর দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

এ ছাড়াও কানাইনগর ছোবহানিয়া স্কুল এন্ড কলেজের গর্ভাণিং বডির সদস্য  হিসেবে ইতিপূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন।

খোরশেদ আলম মাস্টার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারন করে তার কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী  সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর রাজনৈতিক দিক নির্দেশনায় আগামীর পথ চলতে চাই। আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলরা  আমাকে যদি বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন তাহলে সততার সাথে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করে তুলবো।

বক্তাবলীতে রোগী রেখে পালিয়ে গেল রাজিয়া নাসিং হোমের মালিক

নিউজ প্রতিদিন: অভিযানের খবর পেয়ে রোগী রেখে পালিয়ে গেল ফতুল্লার বক্তাবলী বাজারস্থ চাঁন প্লাজায় রাজিয়া নাসিং হোমের মালিক রাজিয়া আক্তার। বক্তাবলী বাজার এলাকায় ওই ক্লিনিকটির বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে ক্লিনিকটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালায়। কিন্তু দলটির বক্তাবলী এলাকায় আসার খবর পেয়েই পালিয়ে যায় রাজিয়া আক্তার।

তবে দুইদিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজপত্র দাখিল করতে না পারলে ক্লিনিকটি সীলগালা করা সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছে মেডিক্যাল টিম। ক্লিনিকটি ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর জিম্মায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

অভিযান টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন-টেকনোলজিস্ট আবুল হাশেম, পরিসংখ্যানবিদ আনোয়ার হোসেন।

ইতোপূর্বেও কয়েক দফা এই ক্লিনিকটি সীলগালা করা সহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু রহস্যজন কারণে এসব অভিযানের পরেও ক্লিনিটকি সচল ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদ বলেন, মালিকপক্ষের লোকজন পালিয়ে গেছে। তাদের না পাওয়া যাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে ভবন মালিককে বলা হয়েছে, যদি এ প্রতিষ্ঠানের কোন বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা দাখিল করতে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, বক্তাবলী বাজারের পপুলার সেন্টারটিও পরিদর্শন করা হয়। তাদের কাগজপত্র ঠিক আছে।

তারেক জিয়ার জন্মদিনে বক্তাবলীতে ছাত্রদলের মিলাদ ও দোয়া

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) বাদ এশা বক্তাবলীর কিং বার্গার চাইনিজে এই আয়োজন করা হয়।

মিলাদ ও দোয়ায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.মিলন মেহেদী,ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো.রাসেল প্রধাণ,বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক মো.হৃদয় ও বক্তাবলী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মো.রাহাত প্রধানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তাবলীতে দুই হাজ্বী গ্রুপের সংঘর্ষে গ্রেফতার ৩

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীর এলাকার আকবরনগরে  সামেদ আলী হাজ্বী ও আব্দুর রহিম হাজ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে। রহিম হাজ্বীর ভাইয়ের বাড়ীর পাশের পরিত্যক্ত জায়গা হতে ৩০ টি টেটা উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।

সামেদ আলী হাজ্বী ও রহিম হাজ্বীর  গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার ( ক -অঞ্চল) ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার  অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী বাহিনীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টার ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

রহিম হাজ্বীর লোকজনের দাবী রহিম হাজ্বীর ভাতিজা জিহাদ ও  আল আমিন তার দোকান থেকে মাল সরিয়ে আনতে গেলে সামেদ আলীর লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে রহিম হাজ্বী ঘটনাস্থল গেলে তাকে মারধর করে সামেদ আলীর লোকজন।রহিম হাজ্বীর ইটভাটার শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ইটভাটা হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আকবর নগর পুলিশ বক্স সামেদ আলীর পক্ষে কাজ করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

সামেদ আলীর স্ত্রী জানান,জসিম নামে আমার এক আত্বীয় গাছ কাটতে গেলে রহিমের লোকজন জসিমকে মারধর করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সামেদ আলীর পুত্র গনি,রাজিবের নেতৃত্বে আলমগীর, হৃদয়,গফুর,জালাল,আলাউদ্দিন, জসিম সহ আরো ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়। পরে রহিম হাজ্বীর রাজু,কবির ও নবীর নেতৃত্বে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে তেমন রক্তক্ষয় না হলে ও উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়। এরা হলেন রাজু ও ইউসুব আলী।

রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,আজ সামেদ আলী ৫ লাখ টাকা রহিম হাজ্বীকে দেয়ার কথা ছিল। টাকা না দেয়ার জন্য মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।

পুলিশ রহিম হাজ্বীর পুত্র মিলন,বোনের ছেলে এরশাদ, আনোয়ার হোসেন ও সিয়ামকে আটক করে। তবে আকবরনগর এলাকার অনেকেই জানান,জয়নাল হত্যা মামলার আসামীরা সবাই জামিনে বের হয়ে এগেন আবারো পুরো এলাকাতে তান্ডব চালাচ্ছে যা স্থানীয়রাসহ পুলিশও দেখছেন। কিন্তু পুলিশ সামেদ হাজীর লোকদেরকে আটকের পরিবতে নিরাপত্তা দিচ্ছেন আর রহিম হাজীর লোকদেরকে দেখলেও আটক করছেন। পুলিশের এমন ভুমিকা স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ ধারনা দেখা দিচ্ছে।

সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি সাংবাদিকদের জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে।

বক্তাবলীতে নবান্ন উৎসব পালিত

নিউজ প্রতিদিন: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বক্তাবলীর কানাইনগরে নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিমউদ্দীন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় নবান্ন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দীন আহম্মেদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম শওকত আলী, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গফফার, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন,মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম,ফতুল্লা থানা ছাত্র লীগের সভাপতি আবু মোঃ শরিফুল হক,সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান,এহছানুল হক নিপু, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনিরুল আলম সেন্টু,এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন,জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বাবুল মিয়া, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন,খোরশেদ আলম মাষ্টার,  মোঃ আক্তারজ্জামান,আনোয়ার আলী,হাজ্বী সামেদ আলী,সদর – ফতুল্লা- সিদ্ধিরগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি), আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন,সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,সহ-সভাপতি মো.দেলোয়ার,  যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ও ডিসির সহধর্মিণীসহ জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ।

জেলা প্রশাসক মোঃ জসিমউদ্দীন বলেন,কৃষকরা হচ্ছে আমাদের প্রান। তারা না থাকলে দেশ ও আমরা অচল।তারা শুধু আমাদের আহার যোগান দেয় না তারা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ বক্তাবলীতে নবান্ন উৎসব হওয়ায় এখানে এসেছি আপনাদের সাথে আনন্দে শরীক হতে। বর্তমান সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত করতে ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সফলতার পথে।

বক্তাবলীর রাধানগর স:প্রা:বিদ্যালয়ে সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া

নিউজ প্রতিদিন: বক্তাবলীর রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরিক্ষার্থীদের বিদায়,আলোচনা সভা ও সাফল্য কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।১৪  নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর এলাকার ৫৪নং রাধানগর সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয়ের হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজ সেবক ও আলোকিত বক্তাবলীর সহ-সভাপতি মো.দেলোয়ারের আয়োজনে ও আলোকিত বক্তাবলীর সাংগঠনিক  সম্পাদক বাদল হোসেন ববির সঞ্চালনায় দিল মোহাম্মদ মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন,হানিফ মাস্টার  জাকির হোসেন, আলী মিয়া, শাহাবুদ্দিন গাজী, মোতালিব গাজী, মোসলে উদ্দিন গাজী, মিয়াজুদ্দিন মাদবর, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মোল্লা,জাকির হোসেন, ও প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তাবলীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় বক্তাবলী ও আলীরটেকে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ৭০ জন কৃষক-কৃষানীর মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

১৩ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে  বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।

কৃষি উপকরন বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার  জনাব মোঃ আব্দুল গফ্ফার।

উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, সরকার দেশের সার্বিক কৃষি উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রদর্শনীর মাধ্যেমে কৃষকদের বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা করছেন।

সরিষা ফসল : সরকার তৈল আমদানী নির্ভরতা কমানো ও মানসম্মত তৈল উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী উপজেলা ভিত্তিক নির্দিষ্ট সংখ্যক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। অত্র উপজেলায় ২০ জন কৃষকের মাঝে সরিষাসলের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

পেঁয়াজ : মসলা ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি তথা আমদানী নির্ভরতা কমানোর জন্য পেঁয়াজ ফসল আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকার কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ করছেন।

এই উপজেলার বক্তাবলী ও আলীরটেক ইউনিয়নে ১০ জন কৃষকের মাঝে পেয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

ভূট্টা ফসল : কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থান উন্নয়নের জন্য সরকার বিনামূল্যে ভূট্টার

বীজ ও সার বিতরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এ উপজেলায় ২০ জন কৃষকের মাঝে ভূট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

বোরো ধান : ধানের উন্নতজাত ও আধুনিক লাগসই প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে উচ্চফলনশীল বোরো ধানের বীজ বিতরণের কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। এ উপজেলায়

২০ জন কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আরও বলেন, উপরোক্ত ফসলের প্রদর্শনীগুলো স্থাপন থেকে আরম্ভ করে ফসল কর্তন ও বীজ সংরক্ষণ পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও উর্ধŸতন কর্তৃপক্ষ সরজমিনে পরিদর্শন পূর্বক কৃষকদের হাতেকলমে ফসল ভিত্তিক প্রযুক্তি সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করবেন।

আদর্শ মানুষ হতে হলে লেখাপড়ার বিকল্প নাই-খোরশেদ মাস্টার

নিউজ প্রতিদিন: বক্তাবলীর কানাইনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমাপনী পরিক্ষার্থীদের বিদায়,আলোচনা সভা ও সাফল্য কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৩  নভেম্বর বুধবার বাদ যোহর ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর এলাকার ৫৫নং কানাইনগর সরকারি প্রাথমিক  বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি  মো.খোরশেদ আলম মাস্টারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.মনির হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে খোরশেদ আলম মাস্টার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,সৎ-শিক্ষিত আদর্শ মানুষ হতে হলে লেখাপড়ার বিকল্প নাই। পাশাপাশি শিষ্টাচার অপরিহার্য্য। মনে রাখবে তোমরাই আগামী দিনের জাতির গড়ার ভবিষ্যৎ। তোমাদের মাঝেই হয়ত কেউ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,উকিল ও মেয়র হবে। এর জন্য তোমার অধ্যাবসায় করতে হবে। জীবনে বড় হতে হলে অধ্যাসায়ের বিকল্প নাই।

প্রধাণ অতিথি মো. মনির হোসেন, বলেন,আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে তোমাদের সমাপনী পরীক্ষা শুরু। আমি তোমাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করছি। তোমরা মন দিয়ে পড়াশুনা করবে। আর অধ্যবসায় ঠিক রাখবে এবং মা-বাবাকে ভক্তি করবে। তবেই তোমরা আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,বক্তব্য রাখেন,প্রধান শিক্ষাকা নিলুফার ইয়াসমিন,দাতা সদস্য রাসেল চৌধুরী,মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান,জহির উদ্দিন বারী রতন,মাহবুব হাসান রতন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,আবুল খায়ের, মো.সুলতান,নুর মোহাম্মদ,সাইদুর রহমান,মুল্লুক চাঁন মাদবর ও রাশেদুল ইসলাম সুমন প্রমূখ।

মিলাদুন্নাবী (সা:) নিয়ে কটুক্তি করলে ঈমান থাকবে না-ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা:) উপলে আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের (নারায়ণগঞ্জ) উদ্যোগে গত রবিবার বার্ষিক ইসলামী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আমির, তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যত বাংলাদেশ, আল্লামা মুফতি ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৈনপুরী। সভাপতির বক্তব্যে পীর সাহেব জৈনপুরী বলেন, যে ঘটনা ঘটে একবার, মনে পড়ে বারবার, মনে পড়ে যতবার, অনন্দ লাগে ততবার, তাকেই বলে ঈদ। আর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) হলো আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) ১২ ই রবিউল আউয়াল এ ধরায় তাশরিফ আনেন। আমাদেরকে স্মরণ রাখতে হবে মিলাদুন্নাবী ছাড়া সিরাতুন্নাবীর অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না। নবীজীর আগমন না হলে আল­াহ তায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না। আর পৃথিবী সৃষ্টি না হলে কোরআন আসতো না। তাই কোরআনের মাস রমজানের চেয়ে রাসুলে মিলাদের মাস রবিউল আউয়াল সর্বশ্রেষ্ঠ। অথচ আজকের সমাজে একদল ফেৎনাবাজ মিলাদুন্নবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি করতে চায় তাদেরকে আমরা বলতে চাই মিলাদ যার সিরাত তাঁর, সিরাত যার মিলাদ তাঁর, বাড়াবাড়ি করার কোন সুযোগ নাই। যদি কোন একটি নিয়ে কটুক্তি করা হয় তাহলে ঈমান থাকবে না।

পীর সাহেব জৈনপুরী আরো বলেন, বিগত কয়েকদিন যাবৎ ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারণে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল এতে সাড় দেশে অসংখ্য মাহফিল স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আব্বাসী মঞ্জিল জৈনপুরী দরবার শরীফের এই আজিমুশ্বান নুরানী মহা সম্মেলনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে নাই। সারাদেশ থেকে ছুটো আসা রাসুল প্রেমিকেরা প্রমাণ করেছে তারা কতটুকু রাসুল প্রেমিক। তাই তিনি সকলকে মোবারকবাদ জানিয়ে আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। ইসলামী মহা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা এমদাদুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী, আল্লামা এহসান উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী, আল্লামা নেয়ামাতুল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী, তেলাওয়াত করেন ক্বারী সাইয়েদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরী, পীরজাদা শফিকুল ইসলাম, পীরজাদা নাঈমুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আজিজ আল হাবিবী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ মাজহারী, মাওঃ সিদ্দিকুর রহমান, মাওঃ তামিম বিল্লাহ আল কাদরী, মাওলানা আ: কাইয়ুম বিন আশরাফ প্রমূখ। সম্মেলন শেষে পীর সাহেব হুজুর বিদায়ী মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যানে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।