নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীর এলাকার আকবরনগরে সামেদ আলী হাজ্বী ও আব্দুর রহিম হাজ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে। রহিম হাজ্বীর ভাইয়ের বাড়ীর পাশের পরিত্যক্ত জায়গা হতে ৩০ টি টেটা উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও ১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
সামেদ আলী হাজ্বী ও রহিম হাজ্বীর গ্রুপের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার ( ক -অঞ্চল) ইমরান মেহেদী সিদ্দিকী, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিম হাজ্বী ও সামেদ আলী বাহিনীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টার ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
রহিম হাজ্বীর লোকজনের দাবী রহিম হাজ্বীর ভাতিজা জিহাদ ও আল আমিন তার দোকান থেকে মাল সরিয়ে আনতে গেলে সামেদ আলীর লোকজন মারধর করে। খবর পেয়ে রহিম হাজ্বী ঘটনাস্থল গেলে তাকে মারধর করে সামেদ আলীর লোকজন।রহিম হাজ্বীর ইটভাটার শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ইটভাটা হতে তাড়িয়ে দেয়া হয়। আকবর নগর পুলিশ বক্স সামেদ আলীর পক্ষে কাজ করে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সামেদ আলীর স্ত্রী জানান,জসিম নামে আমার এক আত্বীয় গাছ কাটতে গেলে রহিমের লোকজন জসিমকে মারধর করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সামেদ আলীর পুত্র গনি,রাজিবের নেতৃত্বে আলমগীর, হৃদয়,গফুর,জালাল,আলাউদ্দিন, জসিম সহ আরো ৩০/৪০ জন সংঘবদ্ধ হয়। পরে রহিম হাজ্বীর রাজু,কবির ও নবীর নেতৃত্বে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। সংঘর্ষে তেমন রক্তক্ষয় না হলে ও উভয় পক্ষের ২ জন আহত হয়। এরা হলেন রাজু ও ইউসুব আলী।
রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,আজ সামেদ আলী ৫ লাখ টাকা রহিম হাজ্বীকে দেয়ার কথা ছিল। টাকা না দেয়ার জন্য মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।
পুলিশ রহিম হাজ্বীর পুত্র মিলন,বোনের ছেলে এরশাদ, আনোয়ার হোসেন ও সিয়ামকে আটক করে। তবে আকবরনগর এলাকার অনেকেই জানান,জয়নাল হত্যা মামলার আসামীরা সবাই জামিনে বের হয়ে এগেন আবারো পুরো এলাকাতে তান্ডব চালাচ্ছে যা স্থানীয়রাসহ পুলিশও দেখছেন। কিন্তু পুলিশ সামেদ হাজীর লোকদেরকে আটকের পরিবতে নিরাপত্তা দিচ্ছেন আর রহিম হাজীর লোকদেরকে দেখলেও আটক করছেন। পুলিশের এমন ভুমিকা স্থানীয়দের মাঝে বিরুপ ধারনা দেখা দিচ্ছে।
সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি সাংবাদিকদের জানান,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়াধীন আছে।