১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 69

আড়াইহাজারে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহের বই হস্তান্তর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র  কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক সফল চেয়ারম্যান আজারুল ইসলাম মান্নানের হাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য সংগ্রহের বই হস্তান্তর করেন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের তিন তিন বারের সাবেক সফল সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আতাউর রহমান আঙ্গুর।

৯ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১২টায় আড়াইহাজার আতাইর রহমান আঙ্গরের অফিসে এই সদস্য সংগ্রহের বই হন্তান্তর করা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আড়াইহাজার থানা বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান, আড়াইহাজার থানা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসাস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব হোসেন মোল্লা ও আড়াইহাজার থানা যুবদল নেতা আল আমিন মোল্লা প্রমূখ।

‘মিলাদুন্নবী(সা:) উছিলায় আল্লাহ তা’আলা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়েছেন’

নিউজ প্রতিদিন: জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেছন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে যতটুকু ক্ষয়-ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। মিলাদুন্নবীর(সা:) উছিলায় আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর থেকে এর ক্ষয়ক্ষতি কম করে দিয়েছেন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের উদ্যোগে পালিত ঈদে মিলাদুন্নবী(সা:) উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্মের যারা আছে তাদেরকে নবীজীর সম্পর্কে জানাতে হবে। তার আদর্শের সম্পর্কে জানাতে হবে। যাতে আমরা নবীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের জন্য কিছু করতে পারি। নবীজীর আদর্শে চলতে পারলে আমাদের এই বাংলাদেশে কোন হানাহানি কোন কিছুই থাকবে না। নবীর আদর্শে চলতে পারলে সঠিক পথে থাকতে পারলে আমরা নাজাত পাবো।

৬৭৮টি পত্রিকা, ৭০টিরও বেশি রেডিও-টিভি চ্যানেল আর অগণিত অনলাইন পোর্টাল

নিউজ প্রতিদিন: নব্বইয়ের দশকের পর থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের যে বিস্ফোরণ শুরু হয়েছে তার পরিধি বাড়ছে৷ ৬৭৮টি সরকারি নথিভুক্ত পত্রিকা, ৭০টিরও বেশি রেডিও-টিভি চ্যানেল আর অগণিত অনলাইন পোর্টাল৷

সংখ্যার দিক থেকে বিস্ফোরণকে সমর্থন করে৷ কিন্তু বিপুল সংখ্যক গণমাধ্যমের সমাহার বাংলাদেশে দুই ‘ইজম’র (জার্নালিজম ও প্রফেশনালিজম) বিতর্ককে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে৷ সম্প্রতি তরুণ সাংবাদিকদের পেশা ত্যাগ, সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিয়মিত বেতন-ভাতা, প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া, স্বাধীন সাংবাদিকতায় নানামুখী চাপ ইত্যাদি কারণে পেশাসংশ্লিষ্টরা মনে করেন পেশার অবনমন ঘটেছে এবং ঘটছে৷ অনেককে হা-হুতাশ করে বলতে শোনা যায়, হিকি কিংবা কাঙাল হরিনাথের সময়, এমনকি খোদ স্বৈরশাসকের আমলেও সাংবাদিকতার এমন দুর্দিন ছিল না৷ অর্থাৎ বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় পেশাদারিত্বের সঙ্কট উত্তরোত্তর বাড়ছে৷ এ আশঙ্কার বাণীটি সত্য বলে ধরে নিলে এককথায় এর উত্তর দেয়া কঠিন৷ বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থা, এর পরিচালন ব্যবস্থা, রাষ্ট্র-সরকারের সাথে পেশাজীবীদের সম্পর্ক, সাংবাদিকতার মান৷ এমন অনেক বিষয়ের সাথে পেশাদারিত্বের সঙ্কটের বিষয়টি জড়িত৷

ডেনিয়েল সি. হালিন এবং পাওলো মানচিনি ২০০৪ সালে পশ্চিমের ১৮টি দেশের তুলনামূলক চিত্রের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম ব্যবস্থার তিনটি মডেলের কথা বলেছেন৷ সেগুলো হলো- ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোর সমবর্তিত বহুত্ববাদী মডেল, উত্তর/মধ্য ইউরোপের দেশগুলোর গণতান্ত্রিক কর্পেরেট মডেল এবং উত্তর আটলান্টিক দেশগুলোর উদারবাদী মডেল৷ আমাদের দেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলোর সাথে প্রথম মডেলের মিল খুঁজে পাওয়া যায়৷ আটটি দেশের (স্পেন, ইটালি, ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগাল, তুরস্ক, মাল্টা ও সাইপ্রাস) গণমাধ্যম ব্যবস্থা এই সমবর্তিত বহুত্ববাদী মডেলের অন্তর্ভুক্ত৷ এসব রাষ্ট্র ও তাদের গণমাধ্যম ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো৷ এসব দেশে গণতন্ত্র এসেছে দেরিতে এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংঘাত বিদ্যমান ছিল, সংবাদপত্রের প্রচারসংখ্যা বা সার্কুলেশন কম, এডভোকেসি রিপোর্টিং ও মন্তব্যধর্মী সাংবাদিকতার সংস্কৃতি প্রবল, ব্যক্তি ও বেসরকারি মালিকাধীন গণমাধ্যমের সংখ্যা বেশি, রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার ও সম্প্রচার নীতিমালার রাজনীতিকরণ এবং একটি স্বাধীন পেশা হিসেবে সাংবাদিকতার বিকাশের গতি খুবই মন্থর৷

দক্ষিণ ইউরোপ এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মত আমাদের দেশের সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হলো রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমতি/লাইসন্সে প্রাপ্তি এবং কর্পোরেট স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে পরিচালনা নীতি৷ গুটিকয়েক ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে থাকা মালিকানা শুধু গণমাধ্যমের কাঠামো নির্ধারণ করে না, বরং আধেয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে৷ আমাদের গণমাধ্যমের সংবাদ কিংবা অনুষ্ঠান- উভয় ক্ষেত্রই দুটি বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ৷ একটি বলয়ে আছে রাজনীতি, আরেকটি বলয়ে তিন ‘সি’- ক্রিকেট, ক্রাইম আর সিনেমা৷ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভরতার কারণে সম্পাদকরা এখন ‘কর্পোরেট সম্পাদকীয় ব্যবস্থাপক’ আর সাংবাদিকেরা ‘কর্পোরেট সম্পাদকীয় কর্মকর্তা’৷ কর্পোরেট পলিসি আর সম্পাদকীয় নীতিতে ফারাক থাকছে না৷ সাংবাদিকরা কখনও সরকারি পাপেট, কখনও বহুজাতিক কোম্পানির পাপেট হিসেবে কাজ করে৷ পাঠক/দর্শকের কি জানা উচিত তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিজ্ঞাপনদাতা ও মালিকপক্ষ কি জানাতে চায়৷ সাথে যোগ হয়েছে অদৃশ্য নির্দেশনা বা টেলিফোনের ভয়৷ স্বৈরাচারী এরশাদের সময় মধ্যরাতের প্রেস এডভাইসে সংবাদপত্রের পৃষ্ঠাসজ্জা পাল্টে যেত৷ ২৪ ঘন্টার সংবাদের আমলে এই এডভাইস দিব্যলোকেই ঘটছে৷ ওয়ান ইলেভেনের পর থেকে দিন-দুপুরে এডভাইস দানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে সেলফ-সেন্সরশিপের জন্ম হয়৷ ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের কারণে সাংবাদিকদের মধ্যে যে ভয়ের সংস্কৃতি জন্ম নেয় তাতে সাংবাদিকরা অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে চান না৷

সাংবাদিকতার পেশাদারিত্বের সঙ্কটের এই প্রেক্ষাপটকে ধাক্কা দেয়ার জন্য দরকার শক্তিশালী আইনি কাঠামো ও সাংবাদিকদের ঐক্য৷ দু’টিই আমাদের দেশে বিরল৷ আমাদের সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন না থাকলেও তাদের শেকল পরানোর মতো আইন ও নীতিমালার সংখ্যা অর্ধশতের কাছাকাছি৷ সবশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাইবার অপরাধী ও সাংবাদিকদের একই কাতারে সামিল করার চেষ্টা পেশাদারিত্বে শৃংখল বাড়িয়েছে৷ সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সংবাদপত্রগুলো দেখিয়েছে চাপকে ঠেকাতে নিজেদের মধ্যকার ঐক্য কতখানি জরুরি৷ কিন্তু বাংলাদেশে পেশাদারি সাংবাদিকতার জন্য ‘বিষফোঁড়া’র মত প্রতিবন্ধকতা হলো সাংবাদিকদের দলীয় লেজুড়বৃত্তি ও দলাদলি৷ জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে সাংবাদিক ইউনিয়ন দু’ভাগে বিভক্ত৷ দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণে এডভোকেসি সাংবাদিকতার প্রবণতা ব্যাপক হারে বাড়ছে৷

এসব কারণে সাংবাদিকদের মধ্যে চাকরির সন্তুষ্টির হার প্রায় শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে; অনেকেই অন্তর্বর্তীকালীন পেশা খুঁজছেন৷ সঙ্কট রাজধানীর চেয়ে মফস্বলেই বেশি৷ ফলশ্রুতিতে পেশায় দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ উপরন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গুজব বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন, তথ্যের বিকৃতি, সূত্র উল্লেখের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি, তথ্য ও মতামতের মিশ্রণ, ভাষাগত ত্রুটি, সংবাদমূল্য নির্ধারণে পক্ষপাত, সংবাদের আদলে বিজ্ঞাপন৷ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে নৈতিকতার এসব মৌলিক জায়গাগুলোতে স্খলন বেড়েছে৷ এখনকার সাংবাদিকেরা সৃজনশীলতা এবং নৈতিকতার চাইতে ব্রেকিং নিউজ আর প্রেসের পাস-সুবিধা নেয়া কিংবা বিদেশ ভ্রমণের পিছনে দৌঁড়াতে বেশি আগ্রহী৷

বিষয়টি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সাংবাদিকতা এখনও আমাদের কাছে ‘অকুপেশন’; এটি ‘প্রফেশন’ হয়ে উঠতে পারছে না৷ এই দু’য়ের মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য ক্ষীণ হতে পারে, কিন্তু খুব শক্তিশালী৷ যেমন চলছে তাতে জীবিকার জন্য সাংবাদিকতা একটি চাকরি হতে পারে৷ কিন্তু পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে সত্যিকারের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করতেই হবে৷

বিদায় লগ্নে কাঁদলেন এসপি হারুন

নিউজ প্রতিদিন: সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নারায়ণগঞ্জ জেলার বিদায়ী পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছেন বলে কাঁদলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হারুন বলেন, ‘সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে সমালোচিত হয়েছি। তবে তদন্তে এটি বের হবে।’

উল্লেখ্য,  নারায়ণগঞ্জের এই বিদায়ী পুলিশ সুপারকে (এসপি) বদলি করে পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (টিআর) করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় এসপি হারুনকে। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো সহকর্মীর দিকে কেউ পিস্তল তাক করবে, সেটা তো হতে পারে না। তাই ওই ব্যক্তি কত বড় সম্পদশালী বা শক্তিশালী সেটা আমি দেখিনি। কিন্তু বলা হয়েছে চাঁদা দাবি করেছি। মূল বিষয় হলো মামলা হয়েছে, পুলিশ রেইড দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার (শওকত আজিজের) ছেলেকে আনা হয়েছিল, মা স্বেচ্ছায় এসেছে। এগুলো আপনারা জানেন। তবুও বিদায়বেলায় আমি বললাম।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। কথায় নয়, মন থেকে যেটা চেয়েছি সেটাই করেছি। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের ইমেজ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন জানিয়ে এসপি হারুন বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে দুই হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। কিছু ভুল থাকতেই পারে আমাদের। এরপরও যারা ভুল করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন নিয়েছি। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের পক্ষে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এমপি-মন্ত্রী কেউ তদবির করেননি। এটা আমাদের ভালো লেগেছে।’ এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন হারুন। তার কান্না দেখে পুলিশের অন্য কর্মকর্তারাও আপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রসঙ্গত, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজের স্ত্রী ও পুত্রকে রাজধানীর গুলশান থেকে নারায়ণগঞ্জে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুদিনের মাথায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বদলি করা হয়।

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ব়্যাব-১১ এর সিইও কর্নেল কাজী শামসের উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নূরে আলম ও সুবাস সাহা।

শওকত চেয়ারম্যানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই- আমজাদ হোসেন বাঁধন

নিউজ প্রতিদিন: পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক আমজাদ হোসেন বাধন।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত বক্তাবলীর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সফল মেম্বার আমজাদ হোসেন বাঁধন।

২০০১ সালে ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর ছায়াতলে এসে আশ্রয় নেন। সেই থেকে আছেন শওকত আলীর সাথে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

আমজাদ হোসেন বাঁধন শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় নারী- পুরুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু মাটিও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

১৯৯৯ সালে ছাত্রলীগের সদস্য হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন। সেই থেকে আজো পর্যন্ত আছেন এই দলে। একবার ও দল পাল্টাননি।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে পূর্ব ও পশ্চিম চর গড়কূল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি এবং বক্তাবলী ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে জনগনের সেবা করে আসছেন।

তার পিতা মো.সিদ্দিকুর রহমান ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত।

আমজাদ হোসেন বাঁধন বলেন,এখন পযর্ন্ত আমার নামে কোন মামলা,জিডি ও অভিযোগ নাই। বক্তাবলীর পলিটিক্যাল বিউটি আলহাজ্ব মো. শওকত চেয়াম্যানের ভালবাসা পেয়েছি এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া। তিনি যদি মনে করেন আমি বক্তাবলী ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে যোগ্য, আমাকে দায়িত্ব দেন আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি। শওকত চেয়াম্যানের নির্দেশের বাইরে কখনো যাইনি,যাবোনা। কেননা শওকত চেয়ারম্যান আমার আর্দশ ও নেতা।

ফতুল্লার বক্তাবলীতে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-১

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লার বক্তাবলীতে ৩শ’ পিস ইয়াবাসহ মোক্তার হোসেন ওরফে মরা মোক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে বক্তাবলীর নবীনগর পূর্বপাড়ার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মোক্তার হোসেন নবীনগর পূর্বপাড়ার মৃত নুরু মিয়া ফকিরের ছেলে।

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজেদ মিয়া জানান, মোক্তার হোসেন ওরফে মরা মোক্তার এলাকার চিহিৃত মাদক বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সে মাদক ব্যবসা করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

টাকার উপর ঘুমিয়ে ডিবির এস আই আরিফ

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জে দেখা যায় ডিবির এসআই মো. আরিফ বিপুল পরিমাণ টাকার উপর ঘুমিয়ে ছিলেন। আর এর পরেই কর্মকর্তার এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এত টাকা ডিবির এসআই হয়ে কোথায় পাচ্ছে প্রশ্ন জনমনে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল থেকে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও এর আশে পাশে এলাকায় ডিউটি করেন এসআই আরিফ সহ এক দল। বুধবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জে তাদের ব্যবহারের একটি গাড়ি রাস্তার পাশে পার্কিং করা ছিল। ওইসময় একাধিক ব্যক্তি গাড়ির ভেতরের কয়েকটি ছবি তোলেন। এতে দেখা যায় এসআই আরিফ বিপুল পরিমাণ টাকার উপর ঘুমিয়ে ছিলেন। এ টাকাগুলোর প্রতিটি বান্ডিল আকারে দেখা যায়। ১০০, ৫০০ সহ ১ হাজার টাকার নোটের বেশ কয়েকটি বান্ডিল ছিল সেখানে। তবে টাকার মোট অংক জানা যায়নি। পাশে ছিল তার ব্যবহৃত সরকারি ওয়ালেস।বুধবার সকাল থেকে ওই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রায় তিন মাস পূর্বে সাদা রংয়ের গাড়ির ভিতর সিটে টাকা রাখা অবস্থায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরি। আর এমন অবস্থায় কেউ আমার এই ছবিটি তুলেছিল। যা আমার জানার বাইরে ছিল। এই ছবিটি নিয়ে কেউ কেউ অনলাইনে এখন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যা খুবই দুঃজনক বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়ান্দা শাখার (ডিবি) এস আই আরিফ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার আহবায়ক আবুল কালাম সদস্য সচিব বদিউজ্জামান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ, সাংবাদিক পেশার মানোন্নয়ন ও সাংবাদিক কল্যাণের অঙ্গীকার নিয়ে ৪ঠা অক্টোবর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থ্যা (নাজেসাকস)।

এই সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থানে মোঃ আবুল কালাম আজাদকে আহবায়ক ও বদিউজ্জামানকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য কমিটি গঠন করা হয়। এই আহবায়ক কমিটি সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষনা দেওয়া হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, এম.এম হাসান, আবুল কাসেম তারা, আব্দুর রশিদ, মোঃ শহীদুল ইসলাম ও মোঃ মোস্তফা কামাল। তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী।

সংস্থার আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুদূর প্রসারী। সাংবাদ কর্মীদের ঐক্য, সমৃদ্ধি, কল্যাণকর কাজে আত্মনিবেদিত রেখে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাওয়াই এই সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এসপি হারুন প্রত্যাহার

নিউজ প্রতিদিন: পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজের স্ত্রী ও পুত্রকে রাজধানীর গুলশান থেকে নারায়ণগঞ্জে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বদলি করা হলো।

এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, শওকত আজিজের গাড়ি থেকে ২৮টি গুলি, ১ হাজার ২০০টি ইয়াবা বড়ি, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শওকত আজিজ ও তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়েছে। গাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও পুত্র ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়েছিল।

শওকত আজিজ আজ রোববার বিকেলে বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হারুন অর রশীদ তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সে কারণে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও ছেলে আনাব আজিজকে তাঁদের গুলশানের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। আর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ক্লাব থেকে তাঁর গাড়িটি হারুন অর রশীদের লোকজন নিয়ে গিয়ে নাটক সাজান।

গুলশানের বাসায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অভিযানের একটি ভিডিও শওকত আজিজ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেটি দিয়েছেন বিভিন্ন মিডিয়াকে। সেখানে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সদস্যরা শওকত আজিজের স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জানতে হারুন অর রশীদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

হারুনকে বদলি করে পুলিশ সদর দপ্তরের (ট্রেনিং রিজার্ভ) হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ–সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এমপিওভুক্ত হলো চা বিক্রেতা খালেকের স্কুলটি

নিউজ প্রতিদিন: ষাটের দশকে চা বিক্রি করে ৭ হাজার টাকা জমিয়ে ৫২ শতক জমি কেনেন আবদুল খালেক। এরপর ওই জমি বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। গত সপ্তাহে তাঁর স্বপ্নের বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। এ খবর পেয়ে খালেক (৯১) আনন্দে আত্মহারা। শনিবার (২ নভেম্বর) প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার নলুয়া চাঁদপুর গ্রামে ওই বিদ্যালয়ের অবস্থান। বিদ্যালয়ের নাম নলুয়া চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি নলুয়া চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছয়জন শিক্ষক ও কর্মচারী দুজন রয়েছেন। এর বাইরে খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন চারজন। শিক্ষার্থী আছে ৪৩৭ জন। বিদ্যালয়ে বর্তমানে জায়গার পরিমাণ ৯৩ দশমিক ৫০ শতক। বিদ্যালয়ের টিনশেডের ঘরটি জরাজীর্ণ। তবে নতুন করে একটি চারতলা ও একটি একতলা ভবন হবে বলে শিক্ষকেরা জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, আবদুল খালেক লাঠিতে ভর করে শিক্ষক মিলনায়তনে আসছেন। তাঁর পেছনে একদল খুদে শিক্ষার্থী। শিক্ষকেরা তাঁকে এগিয়ে আনেন।

এমপিওভুক্তির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আবদুল খালেক বলেন, ‘এই এলাকা শিক্ষাদীক্ষায় মেঘাচ্ছন্ন ছিল। আমি শিক্ষার আলো ছড়াতে জমি দিয়েছি। কেবল আমি নই, পুরো এলাকাবাসী এমপিওভুক্তিতে খুশি। আমি এই এলাকার ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে পেরেছি। এটাই আমার সার্থকতা।’

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার গল্প শোনান আবদুল খালেক। তিনি বলেন, ‘এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষায় নিমজ্জিত। মানুষের মধ্যে কিছুটা কুসংস্কারও রয়েছে। এর মধ্যেও এলাকার হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষিত তরুণ বিএ পাস করেছে। গ্রামের মানুষজন ওদের নাম বিকৃত করে উচ্চারণ করত। বিষয়টি আমার মতো একজন নগণ্য চা–দোকানদারের মনে দাগ কাটে। চা বানাতে গিয়ে একদিন প্রতিজ্ঞা করলাম, গ্রামের মানুষদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। তাদের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। এই ভাবনা থেকেই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিই। তাই তো, নিজের কেনা ৫২ শতক জমি বিলিয়ে দিই প্রতিষ্ঠানের জন্য। এখন আমার ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থী। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের সামনে বসে চা বানাই, আর শিক্ষার্থীদের হই–হুল্লোড় দেখি। এসব দেখে পরান জুড়িয়ে যায়। মনে শান্তি পাই। মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে দুষ্টুমি করে। আমার স্ত্রী, সন্তান না থাকায় ওদেরই আমার সন্তান এবং নাতি-নাতনির মতো মনে হয়।’

আবদুল খালেক আরও বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল বিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল দেখে যাওয়া। সেটি দেখেছি। এখন চাই একদিন এখানে কলেজ হবে।’

নলুয়া চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফখরুদ্দিন বলেন, ‘তিনি (আবদুল খালেক) আমার বাবার সহপাঠী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি তিনি শুদ্ধ বাংলায় কথা বলেন। তাঁর অবদান এলাকাবাসী সারা জীবন মনে রাখবে।’

নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আবদুল খালেক সরলমনা ও উদার মানসিকতার লোক।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বলেন, আবদুল খালেকের ত্যাগ এলাকাবাসী মনে রাখবে। তাঁর মতো শিক্ষাবান্ধব লোক প্রতি এলাকায় থাকা দরকার।