১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 71

জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক পদ পেলো বক্তাবলীর মতিউর ফঁকির

নিউজ প্রতিদিন: জেলা সেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক পদে ঠাঁই পেলো বক্তাবলীর মো.মতিউর রহমান ফঁকির। ৫ই অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭১সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক পদে ঠাঁই পেয়েছেন তিনি।

মো.মতিউর রহমান ফঁকির স্থানীয় বক্তাবলী এলাকার লক্ষীনগর গ্রামের মো.শহিদুল্যাহ ফঁকিরের ছেলে। এর আগে তিনি ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাছাড়াও তিনি অত্যন্ত দক্ষদতার সাথে সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলীর সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

মতিউর রহমান ফকির বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মো.শাহ আলমের আস্থাভাজন একজন কর্মী, পাশাপাশি জেলা বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক রিয়াদ মো.চৌধুরীর পাশে থেকে রাজনীতি চর্চা করেন।

জেলা সেচ্ছাসেবক দলের বিপ্লবী সভাপতি আবু সাদাত সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভাইসহ কমিটির সকল নেতা কর্মিদের কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,পদ পদবি কোন বিষয় নয়, ১৯৯৩ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতেছি। যখন যেই দ্বায়িত্ব পেয়েছি ঠিক নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি।
এখন দল আমাকে যেখানে রেখেছে আমি চেষ্টা করব দলের প্রতিটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে। বর্তমানে আমাদের একটাই লক্ষ্য দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তাহলেই দেশের জনগন গনতন্ত্র ফিরে পাবে।

আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলেন তাপস

নিউজ প্রতিদিন: ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।

যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ফজলে নূর তাপস বর্তমানে ঢাকা-১০ আসনে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এর আগে রোববার বিকেল ৫টায় গণভবনে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ এবং শেখ আতিউর রহমানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম হারুনুর রশিদ।

বৈঠকে যুবলীগের আসন্ন কংগ্রেসসহ সংগঠনটির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়েও আলোচনা করা হয় বলে জানা গেছে। সম্প্রতি ‘অসামাজিক’ কার্যকলাপে সংশ্লিষ্ট থাকায় সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।

ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে নিহত-২ আহত শতাধিক

নিউজ প্রতিদিন:

ভোলার বোরহানউদ্দিনে হিন্দু ধর্মালম্বী এক ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসুল (স:) কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সাধারণ মুসুল্লিদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে সাধারণ জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাৎক্ষনিক নিহতদের নাম পারিচয় যানা যায়নি।

এই ঘটনায় পুলিশসহ আহত শতাধিক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত পুলিশকে হাসপাতালে নিলেও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘরে আটকা পড়েছেন। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামগঞ্জেও। গুরুতর গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র ফেসবুক আইডি থেকে তার বন্ধু তালিকার বেশ কয়েকজনের কাছে আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালির ম্যাসেজ আসে।

বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলের আইডি থেকে এই ম্যাসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসুল্লিরা শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন। পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পর পরেই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে পুলিশের গুলিতে পথচারিসহ বিক্ষোভকারী আহত হন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলা শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলমান। ভোলা সদর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মৎস্যজীবী দলের বিক্ষোভ-সমাবেশ

নিউজ প্রতিদিন: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল।

গতকাল শুক্রবার ১৮ অক্টোবর শুক্রবার সকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়া পল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারো বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মিছিলে অংশ নেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন খান, ফরিদ আহমেদ মানিক, কবির উদ্দিন মাষ্টার, তারিকুল ইসলাম মধু, জহিরুল ইসলাম বাশার, এ কে এম ওয়াজেদ, সাইদুল ইসলাম টুলু, সাইফুল ইসলাম রাশেদ, এম এ হান্নান, সদস্য হেমায়েত উদ্দিন হিমু, শরীফুল ইসলাম রিপন, শাহীন উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক এড. আনোয়ার প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন,যুগ্ম আহবায়ক মো.লিংকন খাঁন, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব রাসেল প্রধান, কতুবপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক নাঈম খান, সদস্য সচিব সৈয়দ লিটন, যুগ্ন আহবায়ক শাকিল আহমেদ, মনোয়ার হোসেন মনা, মোঃ মাসুদ। বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ হৃদয়, সদস্য মোঃ দেলোয়ার হেসেন প্রমুখ।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একদিকে মধ্যরাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল ও ভয়াবহ দুঃশাসনে দেশের জনগণ যেমন ফুঁসছে, তেমনি অন্যদিকে দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী সম্পূর্ণ নির্দোষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাবন্দী এবং চিকিৎসা না দিয়ে তাকে নিঃশেষ করে দেয়ার জন্য সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রে জনগণ প্রচণ্ড বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, সরকারপ্রধান এখন সেরা ডিক্টেটর হিসেবে সারা দুনিয়ায় পরিচিতি লাভ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে তিনি এক ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার শাসন বলবৎ করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের জনগণ যাতে বর্তমান অবৈধ সরকারের এই জুলুমের শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে না পারে সেজন্য গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী বেগম জিয়াকে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ১০ মাস আগেই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীণ করা হয়েছে।

রিজভী আরো বলেন, মধ্যরাতের ভোটের সরকার বলেই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে মাটিচাপা দিয়ে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু জনগণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর এই স্বপ্ন কোনোদিনই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। দেশের আপামর জনগণের আস্থাভাজন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয়তাবাদী শক্তি দৃঢ় অঙ্গীকারাবদ্ধ।

বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের ১নং ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট ১ নং ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর)  সন্ধ্যা ৭ টায় বক্তাবলী বাজারস্থ কিং বার্গার চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে কমিটি অনুমোদন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক মিলন মেহেদী।
বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক সলিমুল্লাহ হৃদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব মোঃ রাসেল প্রধান, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মোঃ মোজাম্মেল প্রধান।
মোঃ সেলিম কে আহবায়ক ও মোঃ হোসেনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট ১ নং ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়।
নির্বাচিত অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা হলেন,যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ সজল হোসেন,আবু বকর,আফছার,সদস্য রহমান,মোঃ রাসেল শেখ,শাহ আলম,রিয়াজুল জামাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মিলন মেহেদী বলেন,জাতীয়তাবাদের আর্দশে অনুপ্রানিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বেগম জিয়াকে অন্যায় ভাবে বন্দী করে রেখেছে।আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে অনেক আন্দোলন করেছে।অথচ তাদের সরকারের আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়।সরকার জানে বেগম জিয়া বাইরে থাকলে তাদের পতন নিশ্চিত।
আদালত স্বাধীন হলে বেগম জিয়ার মুক্তি ওয়ান টু ব্যাপার।সরকারের কাছে নয় বেগম জিয়াকে মানবিক কারনে মুক্তি দিতে আদালতের প্রতি জোর দাবী জানান।

আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদ’র ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ফতুল্লার বক্তাবলীতে  ‘আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদে’র’ ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে । তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই মুক্তি এই শ্লোগান নিয়ে সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী ও সেবামূলক সংগঠন আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদে’র প্রতিষ্ঠাকালীন ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আনুষ্ঠানিক ভাবে গঠন করা হয়েছে।

 সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে মো.নাজির হোসেনকে প্রধান উপদেষ্ঠা এবং মো.সোহরাব ভূইয়াকে সভাপতি ও মো.হালিম মাদবরকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

বক্তাবলী ৯নং ওয়ার্ড আনন্দ বাজারস্থ জলিল সুপার মার্কেটে অবস্থিত অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনার মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। এই সামাজিক সংগঠন আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদের অন্যতম অঙ্গিকার হচ্ছে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ সহ সামাজিক সচেতনতা, সামাজিক কুসংস্কার ও দূর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন করা।

 প্রতিষ্ঠাকালীন নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া বলেন, সমাজ থেকে মাদক, নিরক্ষরতা, কুসংস্কার দূর করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাই তিনি আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদের সকল কার্যক্রম সফল ভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব চরগড়কূল উচ বিদ্যালয় ও আলোকিত বক্তাবলী’র সভাপতি মো.নাজির হোসেন, মাশফিকুর রহমান শিশির, মো.মনির হোসেন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অবশেষে যুবলীগ নেতা সম্রাট কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন: ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকেও গ্রেফতার করে র‌্যাব।র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। র‌্যাব সূত্র জানায়, আজ রোববার তাকে আদালতে তোলা হবে।

র‌্যাব বলছে, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনার পর থেকেই সম্রাট কোথায় অবস্থান করছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।

এর আগে, শনিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সম্রাটের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বলেছিলেন, আপনারা শিগগিরই দেখতে পাবেন। সম্রাট হোক আর যেই হোক, অপরাধ করলে তাকে আমরা আইনের আওতায় আনবো। আপনারা সময় হলেই দেখবেন।

২ অক্টোবর চলমান অভিযানের মধ্যে সম্রাটকে নিয়ে একটা ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি কী গ্রেফতার হয়েছেন নাকি বিদেশে চলে গেছেন? এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন,আমি তো বলেছি ধৈর্য ধরুন, অপেক্ষা করুন; দেখতে পাবেন।

সম্প্রতি মতিঝিলের ইয়ংমেনস, ওয়ান্ডারার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে সেগুলো সিলগালা করে দেয়। এ অভিযানের ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লাব ও জুয়ার আসরে অভিযান চালায় পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় মোহামেডান, আরামবাগ, দিলকুশা, ওয়ান্ডারার্স, ভিক্টোরিয়া ও ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো ছিলো। এর মধ্যে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। বাকি পাঁচটি ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন সম্রাটের লোকজন। সম্রাট নিজে ক্যাসিনো দেখাশোনা না করলেও তার ক্যাসিনো চালাতেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদ।

প্রসঙ্গত,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র‌্যাব। ওইদিনই রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালানোর পাশাপাশি গুলশান থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্যাসিনো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দেড় শ’র মতো মানুষকে।

এর দুই দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেপ্তার হন যুবলীগ নেতা জিকে শামীম। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

অভিযানের পর থেকেই অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনায় যুবলীগ নেতা সম্রাটের নামও উঠে আসে। এরপর থেকে তাকে নজরদারির মধ্যেই রাখা হয়। অভিযানের শুরুর দিন থেকেই সম্রাট কয়েক শ’ নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে তার নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরে তার অবস্থান ও গ্রেপ্তার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।

এরই মধ্যে গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও তলব করা হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর তার বিদেশগমনে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।

এড. সাখাওয়াত হোসেনকে রাসেল প্রধানের অভিনন্দন

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নব গঠিত কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো.রাসেল প্রধান।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় মো.রাসেল প্রধান বলেন, সারাদেশের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় আইনজীবিদের নিয়ে নব গঠিত এ আহবায়ক কমিটি আগামীদিনে তাদের আইনী কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিষ্পত্তিসহ অতিদ্রুত কারামুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও গতানুগতিক আইনে লড়াইয়ের মাধ্যমে এ কমিটি দেশে আইনের শাসন পুন:প্রতিষ্ঠিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট মো: ফজলুর রহমানকে সদস্যসচিব করে সংগঠনের ১৭৯ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনজন আইনজীবী সদস্য পদ পেয়েছেন, এরা হলেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং এড. মাহবুবুর রহমান খান।

এই আহবায়ক কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলে বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

১৭৯ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জে মোহাম্মদ আলি, যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন- মোহাম্মদ, নাসির, জয়নাল আবেদিন, নিতাই রায়, আহমেদ আযম খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আবেদ রাজা, সদস্য সচিব- মো: ফজলুর রহমান।

সদস্যবৃন্দ হলেন- আব্দুর রেজ্জাক খান, তৈমূর আলম খন্দকার, আফজাল এইচ খান, গিয়াস উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, বদরুদ্দোজা বাদল, শাহজাদা, আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদিন তুহিন, শকতুল হক, মুশফিকুর রহমান তুহিন, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদি, জামিল আক্তার এলাহি, গোলাম মোস্তফা, এস এম মোক্তার কবির খান, আমিনুল ইসলাম শানু, অহেদুজ্জামান দিপু, আমিনুল ইসলাম আমিন, হুমায়ুন কবির মনজু, মহসিন মিয়া, মকবুল হোসেন ফকির, গোলাম মোস্তফা খান, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ মিয়া আলম, আরফান উদ্দিন খান, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ফারুক ফারুকি, আজিজুল হক খান বাচ্চু, নশাদ জমির, আনোয়ারুল ইসলাম শাহিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আসাদুজ্জামান আসাদ, কামরুল ইসলাম সজল, শফিউল মাহমুদ আলম, রাগিব রউফ চৌধুরী, আকতার হামিদ ডাবলু, মোহাম্মদ আলি, ইমাম হোসেন সিডনি, আক্তারুজ্জামান, গাজি গিয়াস, গোলাম রসুল বকুল, জাকির হোসেন ভুঁইয়া, রাজিব প্রধান, জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, নাসরিন আক্তার, আসলাম মিয়া, মির মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, শহিদুজ্জামান শহিদ, গাজি তোহিদুল ইসলাম, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মনিরুজ্জামান আসাদ, আব্দুলল্লহ আল মাহবুব, কামরুজ্জামান মামুন, রফিকুল হক তালুকদার রাজা, জসিম সরকার, শহিদুজ্জামান, শামিমা সুলতানা দিপ্তি, শরিফ আহম্মেদ, সালমা সুলতানা সোমা, সেলিম চৌধুরী, হোসেন আলি খান হাসান, হযরত আলি, নূরুল ইমাম বাবুল, শাম্মি আক্তার, ফারুক হোসেন, আরেফিন স্বপন, আশিকুর রহমান আশিক, আইয়ুব আলি আশরাফি, মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল, শাকিলা ফারজানা, কাজি জয়নাল, মাহবুবুর রহমান খান,রাকিবুল ইসলাম মন্টু, মতিলাল বেপারি, আব্দুস সালাম খান, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, জাকির হোসেন, মাহমুদ হোসেন, সগির হোসেন লিয়ন, শহিদুল ইসলাম শপু, মির্জা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান, আব্দুল অহাব সজিব, ফাইয়াজ জিবরান মইন, জহিরুল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান মিলন, আয়েশা আক্তার, রাসিদা বেগম ঐশি, রুকুনুজ্জামান সুজা, আব্দুল্লাহ আল বাকি, গোলাম আক্তার জাকির, ইউনুস আল রবি, আনিছুর রহমান খান, নাসির উদ্দিন সম্রাট, কে আর খান পাঠান, সালাহউদ্দিন শিকদার, ফজলুল করিম জুয়েল, সারোয়ার হোসেন, আমান ফেরদাউস, আশেক-এ রাসুল, শাহজাদি কহিনুর পাপড়ি, মিনা বেগম, সাইফ উদ্দিন রতন ও আব্দুল খালেক মিলন অন্যতম।

আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব

নিউজ প্রতিদিন: যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে থাকা সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন, বিবরণীর তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আলোচিত ক্যাসিনোর ঘটনায় আরও কয়েকজন যুবলীগ নেতা ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। এছাড়া, অনেকের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিতও করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

নিউজ প্রতিদিন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নামফলক পুনঃস্থাপন ও ক্যাম্পাসে সহবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, স্লোগান দেয়। মিছিলের শেষদিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল সাদিক হৃদয়, তাওহীদ হাসান পিয়াস ও সৌরভ দাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা পিছন থেকে ধাওয়া করলে দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ঘটে। এসময় ছাত্রদলের ৪ কর্মী বেধড়ক মারধরের শিকার হন।

এতে গুরুতর আহত হন আব্দুর রশিদ, জিতু, পলাশ ও রুবেল নামে ৪ ছাত্রদল কর্মী। এদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী অর্থনীতি বিভাগের আব্দুর রশিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এবং পরবর্তীতে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।ঘটনার পর জবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করি। হঠাৎ পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক (সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি) আশরাফুল আলম টিটন বলেন, ক্যাম্পাসে বুড়ো ও অছাত্রদের কোন স্থান হবে না। দলীয় কার্যক্রমের নাম দিয়ে কেউ অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করলে আমরা বসে থাকবো না। তবে যাদের ছাত্রত্ব আছে তারা ক্যাম্পাসে আসুক, এতে আমাদের কোন বাধা থাকবে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সকালে ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল করলে ছাত্রলীগের হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়। তার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা প্রথমে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।