১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 72

স্বামী মেয়র স্ত্রী উপমন্ত্রী তবুও থাকেন ভাড়া বাড়িতে!

নিউজ প্রতিদিন: খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।  সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

নিঃসন্তান এই দম্পতি বাস করেন খুলনা মহানগরীর মুন্সীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তালুকদার আবদুল খালেক ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত তৎকালীন খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার ছিলেন।

এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ ও ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তারপর ২০০৮ খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩ সালে পরাজিত হলেও সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বাগেরহাট-৩  আসন থেকে পদত্যাগ করেন তালুকদার আবদুল খালেক। পরে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার সহধর্মিনী বেগম হাবিবুন নাহার।

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বেগম হাবিবুন নাহার বাগেরহাট-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সোমবার বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।

সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে-খোরশেদ

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন,খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রক্ত দিতে হবে। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরের ভিতর বসে আলোচনা সভা করলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবেনা। একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য বন্দী রাখা হয়েছে বেগম জিয়াকে। সরকার দেশকে ক্যাসিনো রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তারা অপকর্ম করতে পারবেনা। তাই তাকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কৃষক দল মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা কৃষক দলের সভাপতি শরীফুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক,মো.লিয়াকত হোসেন লেকু,জেলা কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মো.শাহীন,সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হামিদুল্লাহ মোল্লা,মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব হাসান জুলহাস,গন বিষয়ক সম্পাদক মো.সাঈদ খান,যুবদল নেতা মো.কামাল,পরিবহন শ্রমিকদল নেতা মো.মানিক মিয়া,যুবদল নেতা মো.ইউসুফ,কুষকদল নেতা মো.শামীম,হাজি জাভেদ হোসেন,মো.আবদুল্লাহ ইউসুফ প্রমুখ।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার চেষ্টার মূল হোতা ছুরিসহ গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে হত্যার চেস্টার ঘটনার মূল হোতা সাইফুলকে(২৮) গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে রেললাই বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয। পুলিশ এসময় মুন্না হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মুন্নার ভাই শাওন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার রাতে ফতুল্লার রেল লাইন বটতলা এলাকার সাইফুলের নেতৃত্বে থানা ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় মারাত্মক আহত মুন্নাকে স্থানীয় পথচারীরা উদ্বার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মুন্না ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী ও পোস্ট অফিস রোড এলাকার মিরাজের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টায় কয়েকজন যুবক মুন্নার উপর হামলা চালায়। এসময় মুন্না তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করলে ওই যুবকরা মুন্নার পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপায় ও এসিড নিক্ষেপ করে। এতে মুন্না নিথর হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুন্নার ছোট ভাই শাওনের দাবী, মুন্না গার্মেন্টের পরিত্যক্ত মালামালের ব্যবসা করেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছে। মুন্নার সাথে সাইফুল,সাগর জাহান, রেহান,রাজিবসহ আরো কয়েকজনের মধ্যে বিরোধ ছিল। তাদের সঙ্গে রাতে বাকবিতন্ডার পরেই মুন্নার উপর হামলা ঘটে।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে কুপিয়ে ও এসিডে নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্ঠা

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লায় সৈয়দ মো: মুন্না (৩৫) নামে থানা ছাত্রলীগের এক নেতাকে এলাপাতারীভাবে কুপিয়ে যখম ও এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার থানার বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে।

মুন্না ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মেরাজ হোসেনের ছেলে। দাপা এলাকায় তারা বসবাস করছেন। মুন্না ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং এলাকায় গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ ব্যবসায়ী।

আহত মুন্নার ভাই শাওন এ ব্যাপারে জানান, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসী সাইফুল ও রকিবের সাথে মুন্নার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার সন্ধার পর পোস্ট অফিস রোডের বটতলা এলাকায় তার উপর অতর্কিত হামলা করে সাইফুল ও রকিসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ সময় সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরে ও মুখে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়। এ অবস্থায় মুন্নার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাময়িক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে পরে পরিবারের স্বজনরা মুন্নাকে হাসপাতলের এম্বুলেন্সে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাপাতির আঘাতে মুনার ডান কাধের একটি রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা এবং মুখে এসডি নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা জানায় যেভাবে কুপিয়েছে বাচার কথা নয়।
সুত্রে জানাযায় মুন্নার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তার বলছে বাঁচার আশংখা কম। এ ঘটনার পর পরিবারের সবাই ঢাকা মেডিকেলে অবস্থান করছেন । এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি। তবে আজ মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে আসলে ততক্ষনে মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিস্তিতে পিয়াজের হালি ২০ টাকা

তানভীর আহমেদ: শুরুর দিকে পিয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন আমাদের মহল্লার কলিম ভাই। কলিম ভাই ফেসবুকে পিয়াজের দাম বাড়ার খবর প্রথম শুনতে পারেন। ফেসবুকে আজকাল ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি দেখে তিনি সেসব মাথায় মাখলেন না।

আমরা গিয়ে তাকে বললাম, ভাই, পিয়াজের দাম তো বাড়তেই আছে। এভাবে দাম বাড়লে কয়েকদিন পর আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হবে। তিনি আমাদের কথা পাত্তা দিলেন না।

বললেন, কেন? আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবি কেন? বললাম, ভাই, বামন হয়ে যেমন চাঁদে হাত দেওয়া যায় না। তেমনি মধ্যবিত্তের এই আয়ে পিয়াজের দিকেও হাত বাড়ানো যাবে না। তাই আকাশমুখী হা করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা আর বাজারে গিয়ে পিয়াজের দিকে তাকিয়ে থাকাও তাই। তিনি আমাদের কথা উড়িয়ে দিয়ে বললেন, তোরা, ফেসবুকের খবরে এত কান দিস— ওসব স্রেফ গুজব। আমরা  কলিম ভাইকে জোর করে ধরে বাজারে নিয়ে গেলাম। দূর থেকে লক্ষ্য করলাম, তিনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই আছেন। হাতে দুয়েকটি পিয়াজও দেখা গেল। অবাক না হয়ে আর পারা গেল না। কাছে গিয়ে বললাম, ভাই, ঘটনা কী? বললেন, ঘটনা তেমন কিছুই নয়। পিয়াজের হালি বিক্রি হচ্ছে, সঙ্গে নাকি কিস্তির সুবিধাও আছে। তাই আর দেরি করিনি। এক হালি কিনেই ফেললাম !

 

এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন:  নারায়ণগঞ্জের ৭২টি পূজা মন্ডপে ৫শ কেজি করে বরাদ্দকৃত চালের ডিউ লেটার তুলে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা মিলনায়তনে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের হাতে সাংসদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই বরাদ্দ তুলে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বাঙ্গালী এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়, আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই সমান। কেউ আল্লাহ, কেউ ভগবান বলি আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজনই। আমরা বাঙ্গালীরা যে অসাম্প্রদায়িক তা আমাদের ঈদ পূজাতেই প্রমানিত হয়।

এ সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্ততের বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারী এডুকেশ সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর আওতায় ১১৭ সেট বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি বিতরণ ও আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সদর উপজেলাধীন প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে সরকার প্রদত্ত চালের ডিউ লেটার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন প্রমুখ।

ক্যাসিনো সম্রাট আটক

নিউজ প্রতিদিন: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আটক করেছে গোয়েন্দারা। রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে গতকাল  শুক্রবার তাঁকে আটক করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন। আর পাহারায় বসান শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রবিবার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুবলীগ নেতা সম্রাট ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এবং আমাদের নজরদারির মধ্যেই আছেন। তাঁকে আটকের বিষয়টি এখনই প্রকাশযোগ্য নয়। সবুজ সংকেত পেলেই তাঁর বিষয়টি প্রকাশ করা হবে। ’

সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী এই নেতা আটক বা গ্রেপ্তার এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে আসছিলেন। হাইকমান্ডের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় কথাও বলেছেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নেওয়া প্রভাবশালীচক্র এক্ষেত্রে মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই সম্রাটকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরই ভড়কে যান সম্রাট। যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার এড়াতে শুরু করেন নানা মহলে লবিং। তিনি দলীয় হাইকমান্ডকে দফায় দফায় বুঝাতে চেয়েছেন দলের প্রতি তাঁর অবদানের কথা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, যুবলীগ নেতা সম্রাট গোয়েন্দা হেফাজতেই আছেন। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও গোলাম কিবরিয়া শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

আর ওই দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সম্রাট দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্রাটের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা। আর তাঁকে জড়িয়ে ক্যাসিনো বিষয়ক তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে সম্রাট আটক হওয়ার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের নেতা আরমানুল হক আরমান, মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ, সম্রাটের ভাই বাদল, জুয়াড়ি খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ

নিউজ প্রতিদিন:দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আগামীকাল।

তিনি বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁর জন্মদিন পালন করবে।

শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেত্রী ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহনের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।

তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাজহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মধুমতি নদীর তীরবর্তী গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ তাঁরা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে চলে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তাঁরা ।

বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩, নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তাঁর শহর বাসের পালা।

তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬-দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচন্ড দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তাঁর জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ দুঃখ-যন্ত্রনা।

এই ঝড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তাঁর প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কান্ডারি হয়েছেন তার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস।

১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ঐ বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং পাঁচশ’ নেতা-কর্মী আহত হন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এর আগে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্মানসূচক ডিগ্রী, পদক ও স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানকে সম্মানিত করা হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টিকা দান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরুস্কারে ভ’ষিত করা হয়েছে।

সুইজারল্যন্ড ভিত্তিক বিশ্বব্যাপি টিকা দান সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জি এভি আই) ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে এ মাসেই শেখ হাসিনাকে ড.কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড পদক প্রদান করা হয়। কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজরি কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাম্বাসেডর টিপি শ্রী নিবাসন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ পদক হস্তান্তর করেন।

এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত উল্লেখ যোগ্য পদক গুলোর মধ্যে রয়েছে,ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি অব জাপান-এর সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ল ডিগ্রি, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আলবারটে ডান্ডি’র সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ফিলোসফি ইন লিবারেল আর্ট, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান সূচক দেশীকোত্তমা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট অফ লস, মার্কিন যুক্তরাষ্টের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটির, ডক্টর অফ হিউম্যান লেটারস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি ডক্টরেট অব ল’স প্রদান, পল হারিস ফেলোশিপ দ্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনেস্কোর হাউফুয়ট-বোনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা পুরস্কার-১৯৯৮ এবং ২০০৬, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র‌্যান্ডলফ ম্যাকন মহিলা কলেজের পার্ল এস বাক পুরস্কার-১৯৯৯, সিইআরইএস পদক- ১৯৯৯, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার (শিশু মৃত্যু২১০, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০০৯, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পদক-২০১৩, পুরস্কার, রোটারি শান্তি পুরস্কার- ২০১৩, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪ আইসিটি স্থায়ী উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৪, পৃথিবীর চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ-২০১৫, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬, এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক-২০১৬।

সম্পত্তি নিয়ে আটরশি পীরের দুই সন্তান মূখোমূখি,১৪৪ ধারা জারি!

নিউজ প্রতিদিন:ফরিদপুরের আটরশিতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নিয়ন্ত্রণাধীন ফরিদপুর স্পিনিং মিল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সদরপুরের উপজেলা প্রশাসন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় সেখানে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর স্পিনিং মিল অভ্যন্তরে হেলিপ্যাড তৈরির ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বড় ভাইজান হিসেবে পরিচিত আটরশী হুজুরের বড় সন্তান মাহফুজুল হকের আম মোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) বলে জনৈক শহিদুল ইসলাম শাহিন বাদি হয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আসলাম হকের আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা জাকের পার্টির সভাপতি মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে ফরিদপুর স্পিনিং মিল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফরিদপুর স্পিনিং মিলে আটরশীর পীরের মেঝো সন্তান ও জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সলের অনুসারীরা গত সোমবার একটি হেলিপ্যাড তৈরি করতে যায়। এসময় সেখানে আটরশী হুজুরের স্থলাভিষিক্ত মাহফুজুল হক মোজাদ্দেদীর অনুসারীরা এতে বাধা দেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

হুজুরের দুই সন্তানের মধ্যে মিয়া ভাইজানের অনুসারীরা বর্তমানে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কর্মী গ্রুপ আর মেঝো সন্তান যিনি মেঝো ভাইজান হিসেবে পরিচিত এবং জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তার অনুসারীরা জাকের পার্টির ব্যানারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। কর্মী গ্রুপ ও জাকের পার্টি এখন একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন আটরশীতে। এ প্রেক্ষিতেই উত্তেজনা।

গত কয়েকদিন যাবত এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এরই মাঝে আজ শুক্রবার মোস্তফা আমীর ফয়সলের আটরশীতে আসার কর্মসূচি জানানো হয়। আর মেঝো ভাইজানের এই সফরকে স্বাগত জানিয়ে কর্মী গ্রুপের পক্ষ হতে অভিনন্দন সূচক ব্যানার টাঙানো হয়। তবে তিনি যেনো তার দলবল তথা বহর নিয়ে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে প্রবেশ না করেন সেজন্য তাকে অনুরোধ জানানো হয়।

ফরিদপুর স্পিনিং মিল গেটে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মোস্তফা আমীর ফয়সলের স্ত্রী শাহিনা ফয়সল প্রায় ২০টি মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর স্পিনিং মিলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন। জাকের পার্টির যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান, সিপিএইচডি নামে একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানি পরিদর্শন করতে মেঝো ভাইজানের আসার কথা। তবে তিনি এখনো আসেননি। তার পরিবর্তে মেঝো ভাবিজান আসবেন। তবে মেঝো ভাইজানের এখনো আসার কথা রয়েছে বলে মাহবুবুর রহমান জানান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) মোস্তফা আমীর ফয়সল ঢাকার বনানীর বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিয়া ভাইজান হিসেবে পরিচিত মাহফুজুল হক ঢাকা থেকে সড়ক পথে ঢাকা থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে এসে পৌঁছান। প্রায় ৩০টি গাড়ির বহর ছিলো তার সাথে। তার অনুগামী কর্মী গ্রুপের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভক্ত তার স্বপক্ষে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পশ্চিম দিকের মূল সড়কের আশপাশে কর্মী গ্রুপের লোকেরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সাথে সেখানে প্রচুর সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। জাকের মঞ্জিলে প্রবেশকালে সন্দেহজনক কোনো গাড়ি কিংবা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কর্মী গ্রুপের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, মেঝো ভাইজান দরবার শরীফে আসবেন তাকে কর্মী গ্রুপ অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু তার এই আগমনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে মিল গেটে অবস্থান করছে। তারা এর আগে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল এলাকায় লাঠি মিছিলও করেছে। আমরা আমাদের এই আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানটিতে এমন কোনো অনভিপ্রেত ঘটনার হোক তা চাই না।

তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবারই অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও জাকেরগণ এখানে আসেন। আজও এসেছেন।

সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এটি আসলে আম জনতার জন্য প্রয়োগকৃত কোনো ১৪৪ ধারা নয়। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে সেখানে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে বিবাদমান পক্ষদের জন্য। উভয় পক্ষকে বলেছি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী হালদার ১৪৪ ধারা জারির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেখানে উভয় পক্ষকেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ক্যাসিনোতে ৪ নায়িকা:যা বললেন জি কে শামীম

নিউজ প্রতিদিন: ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে একে একে নাম জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু মডেল ও অভিনেত্রী।

টেন্ডার মুঘল জি কে শামীমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি  মডেল ও নায়িকাদের সংশ্লিষ্ঠতার তথ্য দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

এর পর থেকে চলচ্চিত্র পাড়ায় চলছে গুঞ্জন। শামীমের সঙ্গে ৫০জন মডেল-নায়িকার ওঠা-বসা ছিল বলেও খবর বেরিয়েছে। এর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চার নায়িকার।

অভিযুক্ত চার নায়িকা হলেন, রত্না, মিষ্টি জান্নাত, রাহা তানহা খান, শিরিন শিলা। তবে তারা প্রত্যেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অভিযোগ চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন এ নায়িকারা।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বলেন, দেখুন একজন শিল্পী হওয়া সাধনার ব্যাপার। একটি গণমাধ্যমে আমি সংবাদ পড়েছি। সেখানে কোনও শিল্পীর নাম সরাসরি বলা হয়নি।

তিনি বলেন, আমার কথা হলো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া আমাদের কোনও শিল্পীকে হেয় করবেন না। আর কেউ যদি সত্যি অপরাধী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র:সময় নিউজ