২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 82

অশিক্ষিত মানুষের চেয়ে অল্প শিক্ষিত মানুষই বেশি ক্ষতিকর

নজরুল ইসলাম তোফা : সব জিনিস এবং বিষয়ের মর্যাদা সব মানুষের বোঝার ক্ষমতা বা দক্ষতা থাকে না। যথাযথ স্থানে যথাযোগ্য ব্যক্তি অধিষ্ঠিত না হলে সত্য, সুন্দর, মঙ্গল একেবারে ধুলিষ্মাৎ হয়। সেখানে স্হান করে নেয় যেন অত্যাচার, জুলুম আর দুর্নীতি।সুুতরাং জীবনকে সুুুন্দর ও শোভন রূপে গড়ে তোলা না হলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হওয়া যায় না। এজন্য মানব জীবনে যেন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জ্ঞানের। জ্ঞানই শক্তি আর জ্ঞানেই মুক্তি। কারণ, জীবন যাপনে সকল মানুষকে হাজারো সমস্যা মোকাবিলা করেই ‘সম্মুখে অগ্রসর’ হতে হয়। আপন জন্মের ব্যাপারেই মানুষের নিজের কোনো ভূমিকা থাকে না। উঁচু বা নিচু, ধনী বা দরিদ্র পরিবারে তার জন্ম হওয়াই যেন তার ইচ্ছা ও কর্মের ওপর নির্ভর করে না। কিন্তু কর্ম জীবনে তার ভূমিকা এবং অবদানের দায় তার নিজের উপর বর্তায়। এই পৃথিবীতে মানুষের প্রকৃত বিচারে তার জন্ম-পরিচয় তেমন গুরুত্ব বহন করে না বলেই মনে করি।

বরং মানুষ কর্ম-অবদানের মাধ্যমেই পেয়ে থাকে বহু মর্যাদার স্হান বা আসন এবং হয়ে যান একে বারেই বরণীয়-স্মরণীয়। পক্ষান্তরে আবার বলা যায়, এমন সমাজে এক দল লোক রয়েছে, যারা কি না তাদেরই বংশ আভিজাত্যে নিজেদের জ্ঞানী এবং সম্ভ্রান্ত মনে করে। তারা বংশ মর্যাদার অজু হাতে সমাজে বিশেষ মর্যাদা দাবিও করে। সুতরাং- এমন আলোচনার মুল উদ্দেশ্যটা হলো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্কর বা ভয়ঙ্করী। অতি জ্ঞানী ভাবধরা গোবরে পোকার পাণ্ডিত্যেরই কিঞ্চিৎ বিশ্লেষণ মাত্র। অল্পবিদ্যা অর্থ সামান্য লেখা পড়া বা জ্ঞান। আর “অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী” হচ্ছে সামান্য বিদ্যা ক্ষতিকর, কারণ এতে অহঙ্কার জন্মে, কিন্তু জ্ঞান হয় না। ছোট বেলায় সবাই পড়াশোনায় ব্যবহার করতো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী (অল্প বিদ্যার গর্ব)। আবার তাকে বাক্য তৈরিতেও নিয়ে যেতো। -“অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী বলেই অর্বাচীন- জব্বার মিয়া এ বাংলাদেশের সেরা বৈজ্ঞানিক “ড. কুদরাত-এ-খুদা’র” বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সমালোচনায় অগ্রসর হয়েছিল।

সুতরাং সে সব মানুষের প্রয়াস বাস্তবতা বিবর্জিত ও হাস্যকর। আসলে এখনো সমাজের নিচুতলায় জন্ম নিয়েও তারা কর্ম বা অবদানে বড় কিংবা জ্ঞানী হতে পারছে। মানব সমাজের ইতিহাসে এ রকম উদাহরণ অজস্র। কিন্তু “অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী” এই প্রবাদটা কম বেশি সকলের জানা থাকলেও প্রয়োগটা কম। ”অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর বা ভয়ঙ্করী” কথাটি অতি মাত্রায় সত্য।বলতে চাই যে অশিক্ষিত মানুষের চেয়ে অল্পশিক্ষিত মানুষরা সমাজের জন্যে বেশি ক্ষতি কর। অশিক্ষিত মানুষরা কেউ কোন বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করে না বা তর্ক করে না। নিজেকে নিয়েও তারা জাহির করে না। পক্ষান্তরেই অল্প অশিক্ষিত মানুষরা যা জানে না তা নিয়ে তর্ক করতে দ্বিধা করেনা। তারা তাদের স্বল্প বিদ্যাকে পুঁজি করে পৃথিবীর সব কিছুকেই পরিমাপ করতে চায় আবার যেন ঠকবাজী করে তা পরিমাপ করেও ফেলে।

সকল অল্প শিক্ষিত মানুষকে কটাক্ষ করে এমন এই আলোচনার মুল বিষয় নয়। ‘অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী’ এই প্রবাদ বাক্যটিকে এতদিন কথার কথাতেই যেন দাঁড় করানো হতো৷ কিন্তু মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উক্তি দ্বারা বুঝা যায় যে, তাঁরও ইতিহাস ও ভিক্তি রয়েছে।তিনি বলেন, আমরা সবাই কম বেশি জানি তা হলো অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। কিন্তু কেন ভয়ঙ্করী তা জানি না। মানুষদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকেই বাড়িয়ে চলার সাধনার ক্ষেত্রে যেন চির দিনই আমিত্বের অহংকার বড় বাধা হয়ে থেকেছে। মানুষ যেটুকু জানেন, তারচেয়ে সেটা বলা এবং জানানোর জন্য ‘চেষ্টা কিংবা গর্ব’ করেন।মনে করে থাকেন যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন হয়েছে,- এটাই মানুষের অহংকার কিংবা তার- “নিজস্ব অল্প বিদ্যার অহংকার”।

নারায়ণগঞ্জে কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস

নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ১৫০ মিটার কারেন্টজাল সহ ১ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মো: রেজাউল করিম (৪৮) নামে একজনকে আটক করে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক এর নেতৃত্বে রোববার (৭ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ গোগনগরের চর সৈয়দপুর (কাঠপট্টি গুদারাঘাট সংলগ্ন) এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। একই সাথে জব্দকৃত কারেন্টজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ঊনষাট হাজার (৫৯,০০০) টাকা বলে জানা গেছে।

অপসাংবাদিকদের কোন ছাড় নয়-ওসি আসলাম হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোন অপরাধীর সাথে আপোষ নয় মন্তব্য করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেছেন, আমি কোন অপরাধীকে অপরাধ করতে দিবোনা। কেউ অপরাধ করেও পার পাবে না। আমি মানুষের সেবা করতে আসছি, কোন অপরাধীর সাথে সখ্যতা গড়তে আসিনি। আমি মানুষের সেবা করতে চাই। মানুষের মঙ্গলের জন্য যা যা করতে হয় আমি তা করবো। এ জন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাই।

শনিবার সন্ধ্যায় ফতুল্লা প্রেস ক্লাবে অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রেসবিডি ডটনেট এর বর্সপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসলাম হোসেন বলেন, সমাজ থেকে অপরাধ দূর করতে হলে পুলিশ সাংবাদিক মিলেমিশে কাজ করলে এই সমাজ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা দূর হবে। আমি ৯৫ ভাগ ভাল মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, ৫ ভাগ মন্দ মানুষের জন্য নয়। সন্ত্রাস,মাদক,ভূমিদ্যুতা কিংবা চাঁদাবাজকে আমরা ছাড় দিবোনা। তিনি বলেন, সমাজে অপরাধগুলো সংবাদের মাধ্যমে উঠে আসলে এসব অপরাধ নির্মূল করা সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

অপ সাংবাদিকদের কোন ছাড় নয় মন্তব্য করে আসলাম হোসেন বলেন, যারা অপ সাংবাদিকতার সাথে জড়িত রয়েছে, কিংবা সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে অপরাধ করে আমরা তাদের কঠোর ভাবে দমনে কাজ করে যাচ্ছি। কেউ অপরাধ করে পার পাবে না। অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমরা তৎপর।

প্রেস বিডি ডটনেটের সম্পাদক বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম সামাদ মতিন, সধারন সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, নিউজ প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক অপরাধ রিপোর্টের সম্পাদক মাসুদুর রহমান দিপু,দৈনিক ভোরের কথার সহ সম্পাদক সবুজ, প্রেস বিডির বার্তা সম্পাদক আবুল কাশেম, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, প্রচার সম্পাদক জি এ রাজু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, সদস্য মাসুদ আলী, মোঃ সেলিম হোসেন, রকিব চৌধুরী শিশির প্রমখ।

ফতুল্লায় ১২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ:শিক্ষক গ্রেফতার

১২জন শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে ফতুল্লা থেকে এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদরাসার শিক্ষককে আটক করেছে র‌্যাব।

ওই শিক্ষককের নাম মাওলানা মো. আল আমিন। তিনি মামুদপুর এলাকায় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একইসঙ্গে সে ফতুল্লা এলাকায় বায়তুল ফালাহ মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্বে আছেন। এর সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, কিছুদিন পূর্বে সিরিয়াল রেপিস্ট আশরাফুল আরিফকে গ্রেফতারের ঘটনায় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তার ফেসবুক ওয়ালে আপলোড করেছিল।

গত দুইদিন পূর্বে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী এবং তার মা ফেসবুক দেখছিল। এ সময় হঠাৎ আলেপ উদ্দিনের ওয়ালে থাকা ভিডিওটি দেখে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী তার মাকে বলেছিল যে, মা আমাদের হুজুর কে কেন গ্রেফতার করে না র‌্যাব, আমাদের হুজুর আমাদের সাথে এরকম এরকম করে। আমার ওই মাদ্রাসায় যেতে ভালো লাগে না। আমি মাদ্রাসায় আর যাবো না। পরে বিষয়টি ওই মেয়ের মা র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের সাথে শেয়ার করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ওই মেয়ের জবানবন্দি নেন এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে জানতে পারেন ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। পরে ওই মেয়েকে কৌশলে মাদ্রাসায় পাঠিয়ে তারা শিক্ষককে আটক করেন। পরে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে ওই মেয়ের জবানবন্দি নেন। এর ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার মাদরাসায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তাঁর স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ ১২জন শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন।

মাদক ব্যবসায়ীর সাথে খোকন প্রধানের অডিও ফাস

স্টাফ রিপোর্টার: ফতুল্লায় নামধারী ৯ সাংবাদিক গ্রেফতার হলেও তবুও দৌরাত্ম্য কমেনি কথিত সাংবাদিকদের। ফতুল্লার বেশ কিছু নামধারী সাংবাদিক রয়েছে। এরা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং নিজেকে সংবাদ কর্মী পরিচয় দিয়ে সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এদের মধ্যে অন্যতম খোকন প্রধান। যিনি একাধারে একটি রাজনৈতিক দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়েও ঘুরে বেড়ান। সম্প্রতি এই কথিত সাংবাদিকের সাথে এক মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথন ফাস হয়েছে। মোবাইলে কথোপকথনে খোকনের দাবি, তার দরবারের মুরিদ না হয়ে কেউ ফতুল্লা স্টেশন এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারে না। কথিত এই নামধারী সাংবাদিকের অডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খোকন প্রধান ঢাকা টুডে টাইমস নামে একটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। ১৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের অডিওতে বেশ কয়েকবার তিনি মাদক ব্যবসায়ী চিকনা শাহিনের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেছে। এছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার ওসির সাথে তার কথা হয় এবং ওসি তার কথা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন আমার দরবারের মুরিদ না হলে কেউ ফতুল্লা স্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসা করতে পারেন না। ডাকাত শাহিনসহ(ডিবি পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত বোমা লিপুর ভাই) সবাই আমার মাজারের মুরিদ হয়ে ব্যবসা করছে। অডিও ফাসের পাশাপাশি নারী দিয়ে ফাসিয়ে বø্যাকমেইলিংয়ের একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সাংবাদিক নামধারী খোকনের। ভিডিওতে তিনি একজনকে বø্যাক মেইলিং করতেও দেখা গেছে। এখানে তিনি এক ভদ্রলোকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেছে। স্থানীয় কিছু বখাটে যুকদের মাধ্যমে কৌশলে নারী দিয়ে আটক করে বিচারকের ভূমিকায় অবর্তীণ হয় খোকন প্রধান। তিনিই বø্যাক মেইলিংয়ের শিকার ভদ্রলোককে সন্ধ্যার মধ্যে ২০ হাজার টাকা দিয়ে যেতে বলেন। এর আগে মুন্সিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীকে বø্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে তার মটর সাইকেল ও নগদ টাকা রেখে দিয়েছিল খোকন প্রধান ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার তৎকালিন ওসি(অপারেশন) মজিবুর রহমান স্টেশন রোডের পাকিস্তানি বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে খোকন প্রধানের ২ সহযোগীকে গ্রেফতার ও মটর সাইকেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। তবে রহস্যজনক কারণে এ মামলা থেকে খোকন প্রধানের নাম বাদ দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, খোকন প্রধান প্রাইমারী স্কুলের গন্ডি না পেরোলেও নিজেকে বড় সাংবাদিক হিসেবে জাহির করে আসছে। স্থানীয় মহলে খোকন প্রধান ফেন্সী খোকন নামেও পরিচিত।

এদিকে, নামধারী সাংবাদিক খোকন প্রধানের সাথে মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে কথোপকথনের অডিও ও বø্যাক মেইলিংয়ের ভিডিও ফাঁস হওয়ার খবরে স্থানীয় প্রশাসন ও সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এব্যাপারে ডিআই-২ সাজ্জাদ রোমন জানান, এসপি মহোদয়ের নির্দেশ সাংবাদিক হোক কিংবা অপসাংবাদিক হোক অথবা কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি যেই হোক কোন অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না।
এব্যাপারে খোকন প্রধানের ০১৭২১৬৩৯১২ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা, একটি মহল আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।

আলোচিত রিফাত হত্যার প্রধান আসামী:নয়ন বন্ড বন্ধুকযুদ্ধে নিহত

দেশব্যাপী আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাতে বরগুনার পুরাকাটা এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নয়ন বন্ডের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।

southeast

নিহত নয়ন বন্ড বরগুনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কলেজ রোড এলাকার মৃত মো. আবুবক্কর সিদ্দিকের ছেলে এবং রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করতে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের পুরাকাটা নামক এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ওপর গুলি চালায় নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।

southeast

গোলাগুলির এক পর্যায়ে নয়ন বন্ড বাহিনী পিছু হাঁটলে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নয়ন বন্ডের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগানের গুলির খোসা এবং তিনটি দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় নয়ন বন্ডকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সময় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এসব মামলার মধ্যে দুটি মাদক মামলা, একটি অস্ত্র মামলা এবং হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মারামারির মামলা রয়েছে।

southeast

উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন।

কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন রিফাতকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক খোকনকে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাণ নাশের হুমকি

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক :ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ খোকন প্রধানকে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা, এঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের হয়েছে যার নং ১৫০৪( ৩০/৬/২০১৯ ইং)

সাধারন ডায়েরী ও সাংবাদিক মোঃ খোকন প্রধানের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সে দীর্ঘ দিন ধরে স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা, অন লাইন নিউজ পোর্টালসহ নিজের ফেসবুক আইডিতে মাদক ব্যবসায়ী শেল্টার দাতা এবং গডফাদার দের বিরুদ্ধে লেখালেখি করে যাওয়ায় ফতুল্লা থানাধীন দাপা ইদ্রাকপুরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, শেল্টার দাতা গডফাদারেরা তার উপর ক্ষুদ্ব হয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে উঠেছে । তিনি আরো জানায় এ সবের অংশ হিসাবে মাদক ব্যবসায়ীদের শেল্টার দাতা গডফাদারের নির্দেশে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ীরা গত কয়েক দিন যাবৎ তার নিজ বাড়ীতে রাতের অন্ধকারে ঢুকে বয়স্ক মা’কে উদ্দেশ্য করে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করার কথা উলেখ্য করিয়া গালাগালি ও দূর্ব্যবহার করে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে তিনি জানায়। সুত্রের দাবী গত শনিবার দিবাগত (৩০/৬/২০১৯ ইং) আনুমানিক রাত ১ টা ২০ মিঃ কতিপয় ৪/৫ জন মাদক ব্যবসায়ী বাসার গেটে গিয়ে খোকনের নাম উচ্চারন করে গালাগালি সহ নানা ভয়-ভীতি দেখায় এবং সময় সুযোগ বুঝে খোকন প্রধানকে জীবনে শেষ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রধান করে । এঘটনায় সাংবাদিক মোঃ খোকন প্রধান ও তার পরিবার চরম নিরাপওাহীনতায় ভূগছে, নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে রোববার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করা হয়েছে যার নং ১৫০৪ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে এসআই আরিফুর রহমান । উলেখ্য যে মোঃ খোকন প্রধান বর্তমানে অন লাইন নিউজ পোর্টাল ‘টুডে টাইমস ‘এ ষ্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কর্মরত রয়েছে।

চুরির অভিযোগে মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডেস্ক: মারামারি, স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে তাকে মুন্সিগঞ্জ শহরের বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় চরকেওয়ার টরকী গ্রামের রেহানা বেগম মামলাটি দায়ের করেন।

রেহানা বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে মারধর করেন ফয়সাল মৃধা।

এছাড়া টাকা, স্বর্ণালংকার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মামলাটি করেন রেহানা।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন বলেন, স্থানীয় একটি সমস্যার কারণে ফয়সাল মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলাটিতে ছয়জন আসামির মধ্যে প্রধান ফয়সাল মৃধা।

বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জালাল গ্রেফতার

ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর চিহ্নিত ডাকাত জলিল ওরফে জালালকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা   মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) বিকালে বক্তাবলীর চরবয়রাগাদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জলিল ওরফে জালাল ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ডাকাতি করে আসছিল। সে চরবয়রাগাদীর মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে।

দিনে সাংবাদিক, রাতে ডাকাত‌‌!

নিউজ প্রতিদিন: সংবাদপত্রের আইডি কার্ড গলায় ঝুলানো। সাথে ডিএসএলআর ক্যামেরা। দেখলে মনে হবে সে একজন সংবাদ কর্মী। আসলে সে একজন ডাকাত সর্দার। তার নাম মো. হোসেন আলী। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বরপা আটিপাড়া। সে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দেশ’ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক পরিচয় দেন।

যে বাড়িতে ডাকাতি করবে সে বাড়িতে সাংবাদিক পরিচয়ে দিনের বেলায় র‌্যাকি করে আসতো। কারো যাতে সন্দেহ না হয় তাই এমন পেশাকে বেঁছে নিয়েছেন। এমন একজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য কার্ডও দেখান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বারদি এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় মো. হোসেন আলী। হোসেন একজন পেশাদার ডাকাত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউসার আহম্মেদের আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে অভিনব কৌশলে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন।