২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 83

প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা

ডেস্ক রিপোর্ট:  বরগুনায় প্রকাশ্যে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে। এরপর গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিওতে যে দুই যুবককে দেখা যায় তাদের একজনের নাম নয়ন বন্ড এবং আরেকজন রিফাত ফরাজী। তারা ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব ঘটনায় তারা একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

এদিকে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ধারালো দা দিয়ে রিফাতকে একের পর এক কোপ দিতে থাকে দুই যুবক। ওই সময় রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি দুই যুবককে বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। ঘটনাটি পুলিশের সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল।

বরগুনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবীর হোসেন মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে থানা পুলিশের সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান চলছে, শিগগিরই খুনিদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।

মান্নান ভূঁইয়াকে শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার দিলেন জেলা প্রশাসন

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ আর্তমানবতার সেবায় সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রত্যয়ে মাদক বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়াকে আবারো শ্রেষ্ঠ সংগঠকের পুরস্কার তুলে দিলেন জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ। মাদক বিরোধী সামাজিক সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে সফলতা অর্জন সহ সাহসী ভূমিকা নেয়ায় মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁইয়া কে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যূথিকা সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সামছুল আলম।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মোঃ হাবিব, জেল সুপার সুভাস চন্দ্র, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপপরিচালক একেএম শাহরিয়ার রেজা, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ আয়োজিত মাদক বিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন।

উল্লেখ যে, মাদক বিরোধী কার্যক্রম করতে গিয়ে মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা মান্নান ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাহত হয়েছিলেন। মাদক বিরোধী কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ সমাজকর্মী এম এ মান্নান ভূঁইয়া ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও এবার ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে সম্মাননা স্মারক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন।এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে এপর্যন্ত ৮ বার সফলতার সহিত পুরস্কার পেয়েছেন।

প্রাণের এমডি আহসান চৌধুরীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রাণের এমডি আহসান খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী পাভেল সুইট। রোববার দুপুরে এ পরোয়ানা জারি করা হয়।

এর আগে প্রাণের ঘি, লাচ্ছা সেমাই, হলুদগুড়াসহ নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের অভিযোগে মামলা করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই ধার্য করা হয়।

এদিকে মামলার আজকের শুনানির সময় এমডি আহসান খান উপস্থিত ছিলেন না। তার আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ, তাই আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আদালত এ বক্তব্য আমলে নেননি।

বিস্তারিত আসছে…

আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমান ভারতীয় গণমাধ্যমে

আলোচিত সংসদ সদস্য ও  আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমান।  দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরে দেশগুলোতেও রয়েছে তার পরিচিতি। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের আজমীর শরীফ সফরকালে  ‘শিব সমাচার’ নামে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে শামীম ওসমানকে নিয়ে সংবাদ। আর সংবাদটি গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছেন সাংবাদ মাধ্যমটি।

গত ১৫ জুন এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের আজমীর শরীফ খাজা মাঈনুদ্দিন চিস্তি(রহঃ) এর মাজার জিয়ারত করতে যান। আর সেই মাজার জিয়ারতের নিউজে শামীম ওসমানের নাম উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ এমপির নেতৃত্বে দরগাহ জিয়ারতে ৫ সদস্য প্রতিনিধি দল। সংবাদটির সঙ্গে শামীম ওসমান সহ প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্যের ছবিও প্রকাশ করা হয়।

সংবাদটিতে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের এমপি শামীম ওসমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজমীর শরীফ এসেছিলেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা গরিবে নেওয়াজ খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির কবর ও ফুল দিয়ে দরগাহের মখমল চাদর ডেকে দেন।

এ সময় সাথে ছিলেন শামীম ওসমানের সহধর্মিনী বাংলাদেশ মহিলা সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি, মজনু চৌধুরী, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু প্রমুখ।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের গরিবে নেওয়াজ খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতির মাজারের ফুল ও চাদর সবাইকে একটি করে উপহার দেওয়া হয়। পরে উভয় দেশের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, শান্তি ও অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশর আওয়ামীলীগের জন্য সুখ, শান্তি কামনা করা হয়।

এর আগেও বঙ্গবন্ধু‘র জীবনী নিয়ে সিনেমা বানানোর পরিচালক ভারতীয় প্রখ্যাত সিনেমা ব্যাক্তিত্ব শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশে এলে এমপি শামীম ওসমানের সাথে সাক্ষাত করেন ভারতীয় দূতাবাসে।

ফতুল্লায় মাদক সন্ত্রাসী নিপু বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ফতুল্লায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপু (৩০) ওরফে বোমা লিপু নামে এক সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়ও ডিবি পুলিশের তিন সদস্য এছাড়া ইন্সপেক্টর  এনামুল হক, এসআই কামরুল ইসলাম, কনস্টেবল নাদিম আহত হয়েছেন।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। বুধবার মধ্যরাতে ফতুল্লার দাপা বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিপু ফতুল্লার পিলকুনি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে।

পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন, হত্যার চেষ্টা, ডাকাতিসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ইন্সপেক্টর এনামুল হক লিপুকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ডিবির একটি দল রাতে ফতুল্লায় মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়।

দাপা বালুর মাঠ এলাকায় পৌঁছালে লিপুর সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টাগুলি ছুড়লে তারা পালিয়ে যায়।

পরে  ঘটনাস্থল থেকে লিপুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ফতুল্লায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা

মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদের কঠোরতার পরও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফতুল্লার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা। থেমে নেই তাদের মাদক ব্যবসা। ফতুল্লার বিশাল একটি অঞ্চলের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে আলোচিত ডাকাত এবং পুলিশের কথিত সোর্সরা। দীর্ঘদিন ধরে বিশাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এসব ডাকাত এবং সোর্সরা। জেল হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে অনেকে এই সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। যারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ডাকাতি, হত্যা,পুলিশের উপরে হামলা ও মাদকের মামলা। আর এই সিন্ডিকেটকে নানা ভাবে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে বিশেষ পেশার বেশ কিছু ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসার সাথে যে জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

সচেতন মহলের মতে, পুলিশ সুপার মাদক,সন্ত্রাস ও ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে যখন জিহাদ ঘোষণা করেছে, ঠিক তখনই এসব ডাকাত ও সোর্সরা পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তাদের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এরফলে পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এসব মাদক ব্যবসায়ী ডাকাত ও সোর্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন ফতুল্লার সচেতন মহল। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ডাকাতি,পুলিশের উপর হামলা, হত্যা, মাদকসহ প্রায় ১৪টি মামলার আসামী ফতুল্লা ষ্টেশন, ব্যাককলোনী এলাকার ওহাব মিয়ার ছেলে ডাকাত রনি। যিনি নিজেকে পুলিশে সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের কিছু কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা রেখে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ডাকাত রনি ডিবি পুলিশের হাতে বিপুল পরিমান মাদকসহ গ্রেফতারের পর গত এক মাস আগে জামিনে এসে আবারো মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ডাকাত রনি, টুটুলের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটে রয়েছে ডাকাত লিপু ওরুফে বোমা লিপু, আমীর হোসেন পিচ্ছু, ডাকাত শাহিন, সোর্স পান্না, সোর্স সোহাগ, টিকিমারা লিটন,দিপু, ডাকাত কবির হোসেন ফেলা।

আর এই সিন্ডিকেটের আওতায় রয়েছে লালখার শামীম,স¤্রাট, বোন স্বপ্না, রাসেল, পাইলটস্কুল বেপারী পাড়ার রবিন, সুকানী সুমন,বাংলা খোকনের পুত্র সোহান, ষ্টেশনের মাইছ্যা সোলমানের পুত্র রুবেল,ওলুর ছেলে শুভ ওরুফে বাবা শুভ, জনি ওরুফে চোরা জনি,পারভেজ ওরুফে হাক্কানী পারভেজ, বিথী, শুভ ওরুফে লম্বু শুভ,মাইছ্যা শাহজাহানের পুত্র শাহজুল, ছোট রাজু, রেইবোর মোড় এলাকার জনু, কানা রফিকের ছেলে মোল্লা রাসেল, ইকবাল, সানু, ডাকাত রেহান, রাজিবসহ প্রায় অর্ধশত সেলস্ম্যান। আর এই মাদক ব্যবসায়ীদের মাল বহন এবং সরবারহ করে থাকে ডাকাত রনির বউ সালমা। এদের কাউকে আবার পুলিশের সাথে বিভিন্ন অভিযানে দেখা যায়। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাগেছে, সোর্স ডাকাত রনি, সোর্স পান্না এবং সোর্স সোহাগ নিজেদের স্বার্থ হাসিলে থানা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বেশ কিছু সদস্যদের সাথে সখ্যতা রেখে প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের আড়াল করতে বেশ কিছু সেলস্ম্যান ও মাদক সেবীদের মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এছাড়া এই তিন সোর্সকে টিকি মারা লিটনসহ ফতুল্লার বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সখ্যতা রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়। এছাড়াও ফতুল্লার সরদার বাড়ি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ইলিয়াস ডাইং ব্যবসার আড়ালে সরদার বাড়ি এলাকার ডাকাত ইয়াসিনের সাথে যৌথ ভাবে কয়েক বছর ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

অপরদিকে, ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় সল্টু রাসেল,কাইল্যা মাসুম,মোস্তাকিন, সাঈদ, রুবেল, শান্ত, ভাগ্নে মামুন, আক্তার শাহিন, আরমান সোর্স আইনুল, জালাল,খোকা,মোক্তার সালাউদ্দিন,বরকি শাহিন,জুয়েল,উজ্জ্বল, পাগলা এলাকার শাহ আলম,জাহাঙ্গীর, শরীফ,ঘাট রুবেল,মোক্তার,শিল্পী,মিথুন,সানজিদ,উত্তম, কামাল,ইকবাল,শিলা। দাপা এলাকায় ডাকাত জাকির,আনোয়ার কাজী,আলী দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলামা হোসেন জানান, আমরা মাদক ব্যবসায়ী কিংবা কোন অপরাধীকে ছাড়া দিচ্ছি না। আমরা সমাজকে মাদক মুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু অস্ত্রবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বক্তাবলী ইউপি মেম্বার ফারুকের মাতার জানাযার নামাজ সমপন্ন

নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার হাজ্বী মোঃ ওমর ফারুকের মাতা হনুফা বেগম (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে  ২ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতী নাতনী সহ বহু আত্নীয় স্বজন রেখে গেছেন।
বাদ জোহর রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে রাজাপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রধান, মনির হোসেন মেম্বার,জলিল গাজী মেম্বার, ইয়াদ আলী মাষ্টার, আকিল উদ্দিন মেম্বার,লোকমান হোসেন,মো.ইব্রাহীম,আবু সাঈদ রিংকু ও

আক্তার হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

জানাযার নামাজ পড়ান বক্তাবলী ইসলামিয়া আলিম মডেল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মুফতি মুখতার হোসাইন।

ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ : জরিমানা, আটক ১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা প্রায় বিশটি অবৈধ কাঁচা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার বক্তাবলী এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ ডকইয়ার্ড, ইটভাটা, তেলের পাম্প ও বালু দিয়ে নদী ভরাটের সময় একটি অবৈধ ড্রেজার ভেংগে গুঁড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে নদী দখলের অভিযোগে একটি ডকইয়ার্ড প্রতিষ্ঠানকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা সহ এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক গুলজার আলী, উপ-পরিচালক মো: শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ।

বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর তীরে ইটভাটা ও ডকইয়ার্ড নির্মানের অনুমোদন দেয়া হলেও তারা শর্ত ভঙ্গ করে নদীর বেশ কিছু পরিমান জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নদীকে সংকুচিত করে ফেলেছে। তাই উচ্চ আদালতের নির্দেশে নদীকে অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

তবে উচ্ছেদের আগে কোন ধরনের সময় দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন গুঁড়িয়ে দেয়া তেলের পাম্পের কর্মকর্তা মো: সাকিব। তার অভিযোগ, আগে থেকে সময় দেয়া হলে তারা তাদের মেশিনপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিতে পারতেন। সময় না দেয়ায় বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো: শহিদুল্লাহ দাবী করেন, অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে না নেয়ায় তাদের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেংগে ফেলা হয়েছে।

টানা আরো আটদিন নাগাদ এই উচ্ছেদ অভিযান চলবে বলে জানিয়ে শহিদুল্লাহ বলেন, পর্যায়ক্রমে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ^রী এবং মেঘনা নদীতেও পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে নদীগুলো দখলমুক্ত করা হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমি লজ্জিত আমি দু:খিত আমি ক্ষমাপ্রার্থী-আতাউর রহমান তালুকদার

সম্প্রতি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বরন করে নেন প্রধানমন্ত্রীকে। দুর দুরান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন এবং একনজর দেখার জন্য ছুটে আসেন আওয়ামলীগের নেতা কর্মীরা। সেন্ট্রাল লন্ডনের তাজ হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আসলেই সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল চেয়েছিলাম। গত নির্বাচনে বিএনপির পরিণতির জন্য তারাই দায়ী। তারা তিনশ’ আসনে ছয়শ’র বেশি দলীয় প্রার্থী বানিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখার জন্য একটু বক্তব্য শোনার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লন্ডনের তাজ হোটেলের সামনে আসেন আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রাণ, আওয়ামীলীগের জন্য বহু ত্যাগস্বীকারকারী লন্ডন প্রবাসী আতাউর রহমান তালুকদার। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য তখন ব্যাকুল হয়ে পড়েন আতাউর রহমান। আওয়ামলীগের একনিষ্ট ভক্ত, সমর্থক আর নিরলসকর্মী আতাউর রহমান অতি আবেগ আপ্লুত হয়ে একটি বক্তব্য রাখেন। ঐ বক্তব্যে একটি কুচক্রী মহল বিকৃত করে প্রচার করে। কুচক্রী মহলের উদ্দেশ্য হলো আতাউর রহমানকে আওয়ামীলীগ নেত্রীর কাছে হেয় করা। অনেকটা আবেগবশত হয়ে অনিচ্ছকৃতভাবে মুখ ফসকে আতাউর রহমানের একটি বক্তব্য বেরিয়ে আসে। ঐ বক্তব্যে জন্য আতাউর রহমান বলেন, আমি অতি আবেগী হয়ে কথা বলেছি। মুখ ফসকে ভুলবশন একটা কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দু:খ প্রকাশ করিছি। প্রধানমন্ত্রী উদার। তিনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি সত্যি সত্যি লজ্জিত। কিন্তু আমার আবেগ আর ভুলকে পুঁিজ করে একটি মহল আমাকে নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্যেশ্যে আমি বলতে চাই আমাকে কখনো আওয়ামীলীগ থেকে সরাতে পারবে না। আমার রক্ত মাংসের সাথে আওয়ামীলীগ মিশে আছে। আমি বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিক। শেখ হাসিনা আমার নেত্রী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণ । যতই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক যতই অপপ্রচার করুক আমি আওয়ামীলীগের জন্য জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাবে। কেউ আমাকে দমাতে পারবে না।

জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডনে ছিলেন তখন ৮ দিন প্রতিদিনই আতাউর রহমান তালুকদার প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে লন্ডনে আসেন। তখন পবিত্র রমজান মাস ছিল। সুদুর বেডপোর্ড থেকে রোযা রেখে তিনি লন্ডনে আসতে শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করা এবং তার বক্তব্য শোনার জন্য । নবম দিন যখন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার সিডিউল পান তখন আতাউর রহমান জানতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের তালিকায় তার নাম নেই। স্বাভাবিক ভাবে তার মন খারাপ হয়ে যায়। আতাউর রহমান তখন বুঝতে বাকি নেই তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছে। কারন এর আগে প্রধানমন্ত্রী যতবারই লন্ডন এসেছেন আতাউর রহমান তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে। এবার এতো কষ্ট করার পরও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত না পেয়ে আরো আবেগী হয়ে উঠেন এবং লাইভে এসে কথা বলেন।
লন্ডনের একাধিক প্রবাসী জানান, আতাউর রহমান তালুকদার মনেপ্রাণে আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন । আওয়ামীলীগের জন্য তার অবদান কোন ভাবে অস্বীকার করা যায় না। বছরের পর বছর তিনি আওয়ামীলীগের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আতাউর রহমান একজন ভালোমানুষ । তিনি অতি আবেগী। আবেগ ধরে না রাখতে পেরে একটি ভুল কথা তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এটার জন্য তিনি অনুতপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে এটা নিয়ে একটা মহল ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায় । যেটা কখনো সফল হবে বা। কারন সূদুর যুক্তরাজ্যে বসে আওয়ামীলীগের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার। ইতোমধ্যে তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কাছে একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এবং সুনাম অর্জন করেছেন। আওয়ামীলীগের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ প্রবাসীআমীর আতাউর রহমান তালুকদার। কোন লোভ লালসা কিংবা চাওয়া পাওয়ার জন্য নয় ,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালোবাসা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ থেকেই তিনি আওয়ামীলীগ করেন। যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন।
জন্ম থেকেই প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে আওয়ামীলীগে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। একমূর্হুতের জন্যও তিনি আর্দশ বিচ্যুত হননি। কারন তিনি ভালোবাসেন বঙ্গবন্ধুকে। ভালোবাসেন আওয়ামীলীগকে। ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যে যান প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকে আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকেন প্রবাসীআমীর আতাউর রহমান তালুকদার সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন যুক্তরাজ্যের লন্ডনস্থ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নেন তিনি। এসব কর্মাকান্ডে অংশ নেন কারন তিনি আওয়ামীলীগকে ভালোবাসেন।
এর আগের গতবছর সেপ্টেম্বর মাসে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য সফরে এলে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার তার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পান। এসময় তিনি জননেত্রীর সামনে বক্তব্য দেয়া কালে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার আওয়ামীলীগের জন্য তার ত্যাগ শ্রম আর আবেগ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোযোগ দিয়ে প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদারের আবেদন শুনেন এবং তিনি তাৎক্ষনিক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে নির্দেশ দেন প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদারকে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য করে নিতে। এজন্য প্রবাসী আমীর আতাউর রহমান তালুকদার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে মাদক ব্যাবসায়ী গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী মোঃ ওয়াসিম শিকদার (২৭) ও। মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুইয়া (৩২) কে ১৯০ পিছ ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১১।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নীমতলা বাজার বাসস্ট্যান্ড ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে মেসার্স মোহাম্মদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে হাইওয়ে রাস্তার পাশে থেকে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে তাদের আটক করে।

এ সময় তাদের কাছে থাকা ১৯০ পিছ ইয়াবা ও মাদক বিক্রির নগদ ২৫৯০টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক কৃত মোঃ ওয়াসিম শিকদার কেয়াইন ইউনিয়নের ছোট কেয়াইন গ্রামের মোঃ আব্দুল কুদ্দুস শিকদারের ছেলে ও মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুইয়া একই গ্রামের মোঃ হাসান ভূইয়ার ছেলে।

র‌্যাব কমান্ডার জানান, পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, র‌্যাবের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গী সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ডাকাত, জলদস্যু, কালোবাজারী ও মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজদিখান কেয়াইন থেকে মোঃ ওয়াসিম শিকদার (২৭) ও। মোঃ আনোয়ার হোসেন ভুইয়া (৩২) কে ১৯০ পিছ ইয়াবাসহ আটক করে শনিবার ৭টা সিরাজদিখান থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বর্ণিত মাদক ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসার সক্রিয় সদস্য বলে স্থানীয়দের নিকট হতে জানা যায়। এ ব্যাপারে সিরাজদিকান থানার ওসি মোঃ ফরিদউদ্দিন জানান, র‌্যাব-১১ দুই মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করে থানায় দিয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হয়েছে।