৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 214

সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ড-প্রাপ্ত আসামি মাগুরায় গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সার্জেন্ট এনামুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।রবিবার সকালে তাকে মাগুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।এনামুল কবির মাগুরার শালিখা উপজেলার কাতলি গ্রামের ইমারত হোসেন মোল্লার ছেলে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, ৭ খুনের ঘটনার পর থেকে এনামুল কবির পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা শালিখা থানায় আসার পর থেকে গ্রেফতারে সোর্স নিয়োগ করা হয়।

অবশেষে রোববার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে শহরের ভায়নামোড় এলাকা থেকে এনামুল কবিরকে গ্রেফতার করা হয়।তাকে মাগুরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর বিষয়টি নারায়ণগঞ্জের সংশ্লিষ্ট আদালত ও পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর ছয়জনের এবং পরদিন অপর জনের লাশ শীতলক্ষ্যায় ভেসে ওঠে। ওই ঘটনায় নিহত হন নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম।

আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মার্চ

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াহহিয়া খান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

সানি বর্তমানে এ মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে সানির জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে। এদিকে সানির বিরুদ্ধে মামলার বাদী নাসরিন সুলতানা আরো দুটি মামলা করেন।

গত ২২ জানুয়ারি সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় একদিনের রিমান্ড ভোগ করেছেন সানি।

সুরঞ্জিতের মৃত্যুতে খালেদা জিয়ার শোক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান, সংবিধান রচয়িতাদের অন্যতম ও দেশের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

রবিবার এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে অবদান রেখেছেন তা জাতি কোনদিন ভুলবেনা। তিনি একজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের পক্ষে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন জাতীয় রাজনীতির একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তিনি তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে গণমানুষের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির পক্ষে ছিলেন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। দেশের স্বাধীকারের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা ও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের সংগ্রামে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধান প্রণয়নে একজন অন্যতম রচয়িতা হিসেবে তাঁর ভূমিকা এদেশের মানুষ চিরদিন মনে রাখবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুনগ্রাহী ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।

অপর এক শোকবাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক ও প্রথিতযশা রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে একজন খাঁটি রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদে একজন সুদক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের রাষ্ট্র গঠনে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনন্য ভূমিকা এদেশবাসীর মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই দু:সময়ে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো একজন বর্ষিয়ান নেতা পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক বড় ধরণের শুন্যতার সৃষ্টি হলো।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান, সংবিধান রচয়িতাদের অন্যতম ও দেশের বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রবিবার ভোরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

মেয়র মীরু ও নাসিরকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পৌরমেয়র ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরু এবং কে. এম নাসির উদ্দিনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাপুর) আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।

হাসিবুর রহমান স্বপন বলেন, সকালে ১০টার দিকে এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠকে শুরু করি। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

হাসিবুর রহমান জানান, এখন এ সিদ্ধান্ত জেলা কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটি অনুমোদন দিলে তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ডা. ইউনুস আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আজাদ রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শাহজাদপুর পৌরমেয়রের শটগানের গুলিতে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার মৃত্যু সংবাদ শুনে নানি রোকেয়া বেগম (৭০) ওই দিন সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা উন্মুক্ত করে দিচ্ছে সরকার : রিজভী আহমেদ

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে ও পরনির্ভরশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তাকে উম্মুক্ত করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ভারতের হাইকমিশনারের সম্প্রতি সফরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশর বিভিন্ন বাহিনীসমূহের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করছেন বর্তমান সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট একটি দেশের কূটনীতিকরা। এটি কিসের আলামত? সরকার নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্য দেশের সমর্থন নিতে গিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পরিণতি এখন হুমকির মুখে।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য পরনির্ভরশীলতার কারণেই প্রভুদের কাছে রাষ্ট্রীয় গােপনীয়তাকে উম্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিদেশি কূটনীতিকের পরিদর্শন কি অজানা চুক্তির বহিঃপ্রকাশ? সামগ্রিকভাবে মনে হচ্ছে আমাদর সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পার্শ্ববর্তী দেশের এক্সটেনশনে পরিণত করার উদ্যোগ চলছে। প্রতিবেশী দেশকে খুশি করার জন্য নানা উপহারে ভূষিত করা হচ্ছে। আর এর বিনিময়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হচ্ছে লবডঙ্কা।

রিজভী আরও বলেন, ভোটারবিহীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পুরাে দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছে। কোথাও ট্রানজিটের নামে করিডার দিয়ে, কোথাও মালামাল পরিবহনের নামে ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযােগ দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের স্থল পথ, নৌপথ এমনকি আকাশ পথকে তারা অবাধ ব্যবহার করলেও বিনিময়ে আমরা কিছুই পাচ্ছি না।

সরকার জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য টার্গেট করেছে মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধংস করার জন্য এ সরকার শুরু থেকে জিয়া পরিবারকে টার্গেট করেছে। সরকার আদালতের ঘাড় বন্ধ রেখে বিচারিক প্রক্রিয়ার নামে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অমানবিক আক্রমণ চালাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াক প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার আদালত উপস্থিত থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।

ভারতের হাইকমিশনারের সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিন্তু এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা ৬৩টি জেলার সফর নিয়ে কেন প্রশ্ন তোলেননি? -সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, দেখুন ব্যক্তিগত সফর, সেটা অন্যান্য দেশ হলে একটা কথা ছিল। কিন্তু একটি বিশেষ দেশের কূটনীতিকরা বার বার যেতে থাকেন তখন তো একটা প্রশ্ন দেখা দিতেই পারে। সেই প্রশ্নের কথাই এখানে বলেছি।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা রাজশাহীর সরদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি পরিদর্শন করেন। এছাড়া রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স, নগর ভবন ও জয়কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১,আহত-১০

কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইদ্রিস আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কমপক্ষে আরো ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকাল ৮টায় সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ইদ্রিস আলী একই গ্রামের মৃত গফুর মেম্বারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়ারখী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আফজাল হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

এরই জের ধরে সকালে জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদের পক্ষের সমর্থক শাহজাহান ইসলাম ও আফজাল হোসেন পক্ষের সমর্থক ইসমাইল এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

দু’পক্ষের সংঘর্ষে আফজাল হোসেন পক্ষের সমর্থক ইদ্রিস আলী ফালার আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রবিউল ইসলাম জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জামায়াতের ২৮ নারী ২ দিনের রিমান্ডে

জামায়াতের ২৮ নারী সদস্যের ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শুক্রবার বিকেলে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এর আগে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৮ নারী সদস্যের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃত ২৮ জন হলেন: মহিলা জামায়াতের সেক্রেটারি শাহনাজ বেগম (৫৬), রোকন পর্যায়ের নেত্রী নাঈমা আক্তার (৫৫), উম্মে খালেদা (৪০), জোহরা বেগম (৩৫), সৈয়দা শাহীন আক্তার (৪০), উম্মে কুলসুম (৪২), জেসমিন খান (৪৩), খোদেজা আক্তার (৩২), সালমা হক (৪৫), সাকিয়া তাসনিম (৪৭), সেলিমা সুলতানা সুইটি (৪৮), হাফসা (৫৫), আকলিমা ফেরদৌস (৩৭), রোকসানা বেগম (৫১), আফসানা মীম (২৫), শরীফা আক্তার (৫৩), রুবিনা আক্তার (৩৮), তাসলিমা (৫২), আসমা খাতুন (৩৫), সুফিয়া (৪১), আনোয়ারা বেগম (৪৬), ইয়াসমিন আক্তার (৪১), সাদিয়া (৪৫), ফাতেমা বেগম (৫১), উম্মে আতিয়া (৪৬), রুমা আক্তার (৩২), রাজিয়া আক্তার (৪২) এবং রাহিমা খাতুনন (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে তাজমহল রোডের একটি বাসার (১১/৭) দ্বিতীয় তলা থেকে এই ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে গেলে তারা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে পুলিশ দরজা ভাঙতে গেলে তারা খুলে দেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের উদ্দেশে ছাপানো ৫০টি ও অন্য আরো ৭০টি লিফলেট, সংগঠনের মাসিক রিপোর্ট ফরম ২২৫টি, গোলাম আযমের লেখা তিনটি এবং মতিউর রহমান নিজামীর লেখা একটি বই উদ্ধার করা হয়।

সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে শাহজাদপুরে হরতাল

দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুল হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আগামীকাল শনিবার আধা বেলা হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।

শাহজাদপুরের মেয়রের ব্যক্তিগত শটগানের গুলিতে বৃহস্পতিবার আহত হন সাংবাদিক আবদুল হাকিম। শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার শাহজাদপুরে হরতাল আহ্বান করেছে স্থানীয় আওয়ামী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সাংবাদিক সমাজ। শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব ওয়াহিদ কাজল হরতাল আহ্বানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করেন। পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এদিকে বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মেয়রের বাসার সামনে পৌঁছালে কতিপয় লোক মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল মারে। একপর্যায়ে মেয়র তার ব্যক্তিগত শটগান থেকে গুলিবর্ষণ করেন।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তী সময়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায় সাংবাদিক শিমুল মারা যান।

এ ঘটনায় পুলিশ মেয়রের দুই ভাই ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হক পিন্টু এবং পাবনা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে।

শাহজাদপুরে বিক্ষোভ

সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। শুক্রবার দুপুরে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি শাহজাদপুর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শাহজাদপুর থানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

এ সময় সাংবাদিকরা শিমুলের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এদিকে সাংবাদিক শিমুল হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সাধারণ সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন, সাবেক সম্পাদক সমকাল ও এনটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক এ বি এম ফজলুর রহমান, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আবদুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, পাবনা টেলিভিশন এবং অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মাহবুব মোর্শেদ বাবলা, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ। পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তাঁরা অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিরোধে ঘি ঢালছে কারা?

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে জেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে ঐক্যের সুবাতাস বইতে শুরু করলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসে। তবে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে বিরোধ মিটেছে এমন চাউর হলেও তাদের ঐক্য দৃশ্যমান হচ্ছে না। তবে তাদের মধ্যে কোন বিরোধ আছে এমনটাও এখন প্রতিয়মান হচ্ছে না। নেতাকর্মীরা শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ঐক্য দেখে অনেকটা আশাবাদী হলেও এই ঐক্যের মাঝে আবারো বিরোধের সুর বেজে উঠেছে। শামীম-আইভীর মধ্যে বিরোধ মিটলেও নতুন করে বিরোধ দেখা দিয়েছে জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও জেলা পরিষদের চেয়াম্যান আনোয়ার হোসেনের মধ্যে। যিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিও। এই দুই নেতার মধ্যে জেলা পরিষদ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। আর এই বিরোধ এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পরেছে। গড়ে উঠতে শুরু করেছে পৃথক পৃথক বলয়। তবে এই ঐক্যের মাঝে নতুন করে দেয়াল তৈরী হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের বিরোধে ঘি ঢালছে কারা? এমন প্রশ্ন আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টদের মতে, দলের ভেতরে কিছু সুবিধাভোগী নেতা রয়েছে। যারা চাননা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ঐক্য থাকুক। এসব নেতারা উভয় গ্রæপের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে বলেও তাদের অভিযোগ। তবে আওয়ামী লীগের ঐক্য বিনষ্টকারীদের এখনি চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা সময়ের দাবি বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র আইভী ও নতুন করে জেলা পরিষদের চেয়াম্যান আনোয়ার হোসেনের পাশেও বেশ কিছু সুবিধাভোগী নেতার আর্ভিভাব ঘটেছে। যারা বরাবরই কোন না কোন পক্ষে কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিজেরা লাভবান হচ্ছে। অনেক সময় এসব বিতর্কীতরা মেয়র, সাংসদ কিংবা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নাম ব্যবহার করে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। এখন নতুন করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের পাশে অবস্থান নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টিকারীদের একটি গ্রæপ এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। এসব নেতারা ঘুরেফিরে কখনো আইভী,কখনো শামীম ওসমান আবার কখনো আনোয়ার হোসেনের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে রাজনীতির মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেরি নর্বাচনকে ঘিওে সাংসদ শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর মধ্যে বিরোধ কমে আসলেও নতুন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ: হাই ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের মধ্যে বিরোধের সুর বেজে উঠেছে। জেলা পরিষদ নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে চাউর হলেও দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এটা মানতে নারাজ। তাদের মতে, এই দুই নেতার বিরোধ সৃষ্টির পেছনে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু সুবিধাভোগী নেতার হাত রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরোধ ধরে রাখতে মূলত এই চক্রটিই বরাবর সক্রিয় থেকে কাজ করে যাচ্ছে। তবে যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিরোধ সৃষ্টি করে সব সময় সুবিধা নিচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পরেছে বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।

আদর্শ নগর আহসান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদেও বিদায়ী সংবর্ধনা

গতকাল শনিবার দুপুরে কুতুবপুরের আদর্শনগর এহসান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদেও সভাপতি আব্দুল খালেকের সভাপতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ুম সরকার শাহিন, ফতুল্লা থানা যুবলেিগর সহ-সভাপতি জাকির হোসেনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেলাল বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই একদিন দেশের রাষ্টনায়ক হবে, একদিন এই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করবে। এই প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তলতে হবে। বিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে হেলাল বলেন, বিদ্যালয়কে উন্নয়নের ব্যাপারে স্থানীয় এমপির সহযোগী নেয়া হবে। আগামী এই বিদ্যালয়কে কলেজে রুপান্তিরিত করা হবে বলেও তিনি আশ^াস দেন। হেলাল বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক পরিচালনা পরিষদ ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভালো ফলাললের পাশাপাশি সবচেয়ে জরুরী হলো ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা। তাই শুধু ভালো পড়াশোনা না বরং শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে কিনা সেই দিকে শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ ও অভিভাবকদের নজর রাখতে হবে