৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 240

‘জঙ্গীবাদ সৃষ্টির মূল কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা’- ইউএনও মৌসুমী হাবিব

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেগম মৌসুমী হাবিব বলেন,অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে সন্তানরা বিপথগামী হয়। জঙ্গীবাদের সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ অভিভাবকদের অসচেতনতা। কাজেই এসকল জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে আমাদের সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সন্তানরা ঠিকমতো পড়াশোণা করে কি না সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বন্দর শাহী মসজিদস্থ বন্দর ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি আয়োজিত‘‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস দমনে গভণিং বডি,শিক্ষক,কর্মচারী,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের করণীয়’’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। মৌসুমী হাবিব আরো বলেন দেশের উন্নয়ন করতে হলে সবার মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু চলমান নাশকতার কারণে প্রধাণমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতদিন মাদ্রাসা ছঅত্রদের সংগঠিত করেছে এখন কলেজ-ভার্সিটির ছাত্রদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডি’র সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফের সভাপতিত্ব হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধাণ আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ আবুল জাহের। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম,বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ.ক.ম নূরুল আমিন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব হান্নান সরকার। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার অধক্ষ্য মাওলানা মোঃ নূরুল হক.দাতা সদস্য ২১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান,সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম,বন্দর ৯নং কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধাণ শিক্ষক এম এ হালিম,২৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদ সুজন,থানা ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত কবির ফাহিম,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা আর গুলশানে হামলা একই সূত্রে গাঁথা’-এম এ রশীদ

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশীদ বলেছেন,৭৫’রে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা এবং চলতি বছর গুলশানের আর্টিসানে হামলা একই সূত্র গাঁথা। তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেই পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীকে ফিরিয়ে আনতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় মদনগঞ্জ লক্ষ্যারচরস্থ কেরামতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত ১৯নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রধাণ অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এম এ রশীদ আরো বলেন,সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা বেহেস্তের সার্টিফিকেট নিয়েছে মরলে নাকি বেহেস্তে যাবে। এটা কোন কোরআন এরা কোন মুসলমান। আমরা নামাজ পড়ি আল্লাহ-খোদার নাম এটাই ধর্মের রীতিনীতি। আমরা সন্ত্রাস চাইনা,সন্ত্রাসকে প্রশ্রয়ও দিবোনা। আপনাদেরকে সেভাবেই গড়ে উঠতে হবে। নারী নেতৃত্ব এখন ঘরে ঘরে। আগে নারীদেরকে গৃহবন্ধী করে রাখা হতো। বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার কারণে ঘরে ঘরে নারী নেতৃত্বের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দেশের অগ্রভাগ সেক্টরেই এখন নারীরা দায়িত্ব পালণ করছে। দেশের পুলিশের ডিআইজি নারী,সচিবালয়ে নারী,বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এসিল্যান্ড ও ম্যাজিষ্ট্রেট অধিকাংশই নারী। অথচ নারী হয়েও বেগম খালেদা জিয়ার নারীর প্রতি নারীর প্রতি মমত্ববোধ নেই।  খালেদা জিয়া ফেরোসাস। যে কারণে নারীদের প্রতি তার কোন আন্তরিকতা নেই। নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২,২৩ ও ২৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতির সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জি এম আরমান,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আইয়ূব আলী,বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন,সাহিত্য-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক তথা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর,আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর হোসেন,সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মোল্লা,নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তথা ৭,৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেহেনা পারভিন,সাংগঠনিক সম্পাদক হোসনে আরা বেগম,প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আবদুল হক মাতবর,হাজী মোঃ আমজাদ হোসেন,বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ,সোনাকান্দা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী আলমগীর হোসেন (এমএসসি) মোঃ শাহজাহান,২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা এম এ কাইয়ূম,ডাঃ শফিউল্লাহ,নাসিক’র ১৯,২০ ২১ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সম্ভাব্য নারী কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন নাহার কনকা,২১নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মায়ানূর আহমেদ,২৩নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সীমা সুলতানা সিমলা,ডলি বেগম,কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মদিল,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম,মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ সুমন,আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। পরিশেষে কামরুন নাহার রনকাকে সভাপতি কেের ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট ১৯নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামীলীগের একটি কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়।

সদর থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি জিয়া গ্রেফতার

অন্যের গৃহে অনধিকার প্রবেশের দায়ে সদর থানা মৎসজীবি দলের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে শহরের দেওভোগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, দেওভোগ এলাকায় মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়ার ঘরে অনধিকার প্রবেশের দায়ে জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়ারও জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

নাঃগঞ্জে ভুয়া ডাক্তার সুবির গ্রেফতার, ২ বছরের জেল ১ লাখ টাকা জরিমানা

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে সেখানে থাকা গৌরি চাঁদ পন্ডিত ওরফে সুবির (৪০) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে ২ বছরের কারাদ- সঙ্গে আরো এক লাখ টাকা অর্থদ- করা হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের পাশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টারে ওই অভিযান চালায় র‌্যাব-১১ সদস্যরা। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নারায়ণগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুম আলী বেগের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই সাজা দেওয়া হয়। দ-প্রাপ্ত গৌরি চাঁদ পন্ডিত ওরফে সুবির (৪০) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী এলাকার সতেন্দ্র পন্ডিতের ছেলে।
এদিকে ভূয়া ডাক্তার গ্রেফতার, জেল জরিমানা হলেও এলাকাবাসীর ধারনা সেই ৮ জুলাই তারিখে গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডাক্তার মোবারকের মত কয়েকদিনের মধ্যে ফিরে এসে এই পেশাতেই নিয়োজিত থাকবে সুবির।

র‌্যাব ১১ এএসপির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া ডাক্তার জিসি পন্ডিত (সুচিত) দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ডিগ্রী ব্যবহার করে শহরের কয়েকটি ফার্মেসি ও মেডিকেল সেন্টারের রোগী দেখতেন। র‌্যাব ১১ গোয়েন্দা টিম দীর্ঘদিন তার উপর নজর রাখে এবং সে একজন ভুয়া ডাক্তার নিশ্চিত হলে ন্যাশনাল মেডিকেল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভুয়া ডাক্তার কোনো সনদ দেখাতে পারেননি। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মাসুম আলী বেগ তাকে ডেন্টাল মেডিকেল আইনে ২বছরের কারাদন্ড ও ১লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়াও হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার রাখার অপরাধে হাসপাতালের মালিক ও ম্যানেজারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রমজান মাসে (৮ জুলাই) সিদ্ধিরগঞ্জ গোদনাইল চৌধুরীবাড়ি এআর কমúেøক্সে জনসাস্থ্য জেনারেল নামে একটি হাসপাতালে জনপ্রশাসনের নির্বার্হী ম্যাজিষ্ট্রট শিলু রায় অভিযান চালিয়ে মোবারক নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে অপারেশন কক্ষে এক রোগীকে অপারেশন করার সময় আটক করে। পরে ভুয়া ডাক্তার মোবারক ম্যাজিষ্ট্রট শিলু রায় এর সামনে নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দেয়। তার সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে সে দেখাতে পারেনাই। এসময় হাসপাতালটিতে পুলিশ তল্লাশী করে ২শতাধীক এমবিবিএস এর জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেট তৈরি খালি স্টাম্প, ভারত ও চায়নার বিভিন্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি সিল, চায়নার নকল ভিসা, ২ টি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। পরে ভুয়া ডাক্তার মোবারক হোসেনকে ২ বছরের কারাদন্ড ও হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।

এদিকে ভূয়া ডাক্তার মোবারকের একাধিক অপরাধের আলামত জব্দ হলেও রহস্যজনক ভাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গ্রেফতারের ২১দিন না পেরোতেই তার জামিন মঞ্জুর করে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিচার বিভাগের কর্মকান্ড নিয়ে বেশ সমালোচনা করা হয়। এমনকি ২শতাধিক এমবিবিএস এর জাল সার্টিফিকেট, সার্টিফিকেট তৈরি খালি স্টাম্প, ভারত ও চায়নার বিভিন্ন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬টি সিল, চায়নার নকল ভিসা, ২ টি পাসপোর্ট উদ্ধার হলেও এ ঘটনায় কোন মামলা রুজু হয়নি।

অন্যদিকে, ভুয়া ডাক্তার মোবারক জামিনে বেরিয়ে এসে পূনরায় জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সিলগারা করা হাসপাতালটি খোলার জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে জোর তদ্বির করছেন।

এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন ভুয়া ডাক্তার ধরবে আর আইনের ফাঁক দিয়ে তারা রেড়িয়ে এসে পূর্বের পেশায় ফিরে যাবে এমন আইন বাতিল করতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের টোকিও প্লাজায় আগুন

নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক সংলগ্ন নয়া মাটি এলাকার টোকিও প্লাজা-২-এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মন্ডলপাড়া, হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট যৌথ ভাবে চেষ্টা চালায়। প্রায় ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারন এখনো জানা যায়নি।

এব্যাপারে, ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ জোনের উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা জানান, টোকিও প্লাজা-২ ভবনের ৫ম তলায় নির্মানাধীন একটি থিম পার্কের মধ্যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রচুর পরিমানে কাঠ থাকায় আগুন দ্রুত ছরিয়ে পড়ে। আমরা সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ১০টি ইউনিট প্রায় ৪০ মিনিট যাবত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। তবে এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার কারন সর্ম্পকে জানা যায়নি।

না:গঞ্জে শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনা ফের তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনায় ঘটনার পুলিশের দেয়া প্রতিবেদন গ্রহণ না করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

নারায়ণগঞ্জের স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনায় মন্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এ কে এম সেলিম ওসমানের শাস্তি দাবি করলেও ওই ঘটনায় এই সংসদ সদস্যের কোনো দোষ পায়নি পুলিশ।

এই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করাতে নির্দেশ দিতে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্যকে দেখা গেলেও তিনি ‘পরিস্থিতির শিকার’ বলে হাইকোর্টে দেওয়া পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই ঘটনায় কাউকে জড়িয়ে কারও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, এজন্য কারও বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়।

ওই ঘটনার ভিডিওতে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ বসের নির্দেশ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে দেখা গেলে তার শাস্তির দাবিও উঠে। তবে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের এই সদস্য শুরু থেকেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন।

ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ দেয়।

আদালতের নির্দেশনায় ২৯ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসির প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা দায়সারা বলে অসন্তোষ জানিয়েছিল আদালত।

এরপর ৮ জুন জেলা প্রশাসক নতুন করে প্রতিবেদন দেন হাইকোর্টে। ওই ঘটনায় জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তে অগ্রগতি আছে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসি ৬০ দিন সময় চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত তখন স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় করা জিডির তদন্তে আসা ফল হলফনামা আকারে ৪ অগাস্ট আদালতে দাখিল করতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়।

ওই প্রতিবেদন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাই কোর্ট বেঞ্চে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ওই প্রতিবেদনটি দাখিল ও পড়ে শোনান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। অন্যপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান।

পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার বিষদ বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, “স্থানীয় সাংসদ এ কে এম সেলিম ওসমান ওই দিন ১৫.৪৫ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।

“তখন পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার সময় প্রধান শিক্ষককে জনগণের রোষানল থেকে রক্ষার জন্য উত্তেজিত জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কান ধরে ওঠ-বস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে।”

“ওই ঘটনার জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতির শিকার। ওই ঘটনা সংক্রান্তে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট (পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়) কারোই কারও বিরুদ্ধে কোনোরূপ অভিযোগ না থাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আকস্মিকভাবে ওই ঘটনাটি হয়েছে বলে জানা যায়।”

আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু হত্যা হয়েছিল : শেখ হাসিনা

যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো। তাদের ষড়যন্ত্রেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সচিবালয়ে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের আগে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে বাঙালির কোনো অধিকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধু সবসময় বাঙালির অধিকার আদায়ের কথা বলেছেন। সে কারণে তাকে নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।

২৪ জনেরও বেশি নেতা বিএনপির রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন

বিএনপির বহুল প্রত্যাশিত কমিটি গঠনের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশের পরিবর্তে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেই চলেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ সব পর্যায়ে চলছে কমিটি সম্পর্কে নেতিবাচক পর্যালোচনা। কমিটি ঘোষণার পর এরই মধ্যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নতুন কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদ পাওয়া মোসাদ্দেক আলী ও সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম। তবে বিএনপির জন্য আরো দু:সংবাদ হয়ে আসছে যা, তা হলো ক্ষুদ্ধ হয়ে ২৪ জনেরও বেশি নেতা বিএনপির রাজনীতিকে বিদায় জানাচ্ছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই ইঙ্গিত দিয়েছে। কমিটির সমালোচনা করে বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তাদের শঙ্কা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার হাতে একক ক্ষমতা দেওয়া হলেও তাকে প্রভাবিত করে কমিটি গঠনের কাজ হয়েছে। কমিটি গঠনের আগ পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছেও এ বিষয়ে তেমন তথ্য ছিলো না। তারা সবচেয়ে যে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেটি হচ্ছে, কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। অনেক জুনিয়র নেতা সিনিয়রের চেয়ে উপরের পদ পেয়েছেন। অনেকে আগের কমিটিতে যে পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নতুন কমিটিতে তার চেয়ে নিচের পদ পেয়েছেন। এতে অনেকেই অপমান বোধ করছেন। তারা বলছেন, বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কমিটি ঘোষণা করেও কাউকে খুশি করা যায়নি। এটি একটি বড় কমিটি ঘোষণার পাশাপাশি বড় ধরণের ব্যর্থতাও। বড় কমিটি দিয়ে সবাইকে খুশি রাখার চেষ্টা করা হলেও বেশির ভাগ নেতারই ক্ষুব্ধ। আর ত্যাগীদের যথাযথ
মূল্যায়ন না হওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও হতাশ।
বিতর্কিত এই কমিটি দিয়ে ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালানো কঠিন হবে বলেও মনে করছেন তারা। এমনকি খালেদা জিয়ার ঘোষিত রূপকল্প ২০৩০-এর বাস্তবায়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এই কমিটির জন্য।
বিএনপির সবচেয়ে প্রবীন নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। যিনি আগের কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কমিটিতেও তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তবে তার প্রত্যাশা ছিলো বিএনপির সবচেয়ে সিনিয়র রাজনীতিবিদ হিসেবে তাকে দলের নীতি নির্ধারনী স্থায়ী কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। কিন্তু প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে খুবই আশাহত হন তিনি। তার ঘনিষ্ঠজন ও ৯০ এর দশকের একজন ছাত্রনেতা জানিয়েছেন, ‘তিনি চরম অপমানিত বোধ করছেন। এ নিয়ে মনোকষ্টে গত দুইদিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন। তার রক্তচাপ খুবই বেড়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ইউনাইটডে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার তাকে বাসায় আনা হয়েছে।’
ওই ছাত্র নেতা বলেন, ‘শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন রাজনীতিবিদ। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ তার অধীনে রাজনীতিতে এসেছেন। অথচ তিনি বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামে জায়গা পেলেন না। এ নিয়ে তিনি খুবই অপমান বোধ করেছেন। পদের লোভ করলে উনি কমিটি ঘোষণার পরই পদত্যাগ করতেন।’
দলের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, কমিটি গঠনের পর এতে নিজেদের পদ দেখে ক্ষুদ্ধ হওয়া নেতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান (আগে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন), ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের আরেক নেতা ডাকসুর প্রাক্তন এজিএস ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম (আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া (আগের কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক), উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নির্বাহী সদস্য নাদিম মোস্তফা, উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক (আগের কমিটির প্রচার সম্পাদক), উপদেষ্টা আবদুস সালাম (আগের কমিটির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক), বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন (আগের কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক), নির্বাহী সদস্য ডা. মাজহারুল ইসলাম (আগের কমিটির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক), কোনো পদেই নেই আবদুল লতিফ জনি (আগের কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক) প্রমুখ।
এছাড়া প্রত্যাশিত পদ পেয়ে ক্ষোভের তালিকায় রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান), ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা (আগের কমিটিতেও ভাইস চেয়ারম্যান), ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান), আবদুল আউয়াল মিন্টু (আগের কমিটিতে উপদেষ্টা), অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন (আগের কমিটিতে উপদেষ্টা), ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ (আগের কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান)। এদের মধ্যে কেউ রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ও কেউ পদত্যাগের চিন্তাভাবনা করছেন এবং অনেকে নিস্ক্রিয় থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘কমিটি নিয়ে আর কি বলবো ? ভাবছি, কি করা যায়। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। নেতাকর্মীরা আসছেন। আলোচনা করছেন। পরামর্শ দিচ্ছেন। কি করবো এখনও ঠিক করিনি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানকে আগের অবস্থান থেকে দুই ধাপ অবনমিত করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং তরিকুল ইসলাম আগের কমিটিতে ক্রমানুযায়ী তার নিচে অবস্থান করলেও নতুন কমিটিতে তাদেরকে ওপরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আশাহত মাহবুবুর রহমান।
কমিটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে গিয়ে দলের ক্রান্তিকালে দায়িত্ব পালন করা এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে সর্বস্তরে ক্ষোভ অভিযোগ আসছে। কারণ, এটা ঠিক যে, কমিটিতে অনেক ভুল এবং দুরদর্শিতার অভাব রয়েছে। জেষ্ঠ্যতা মানা হয়নি, সিনিয়রদের ওপরে জুনিয়রদের রাখা হয়েছে, যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হয়নি। সর্বোপরি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের কাউন্সিলে ২০৩০ সালের যে রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, এই কমিটি দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
স্থায়ী কমিটিতে তার দুই ধাপ অবনমনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আট বছর বিএনপির ক্রান্তিকালে দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে গেছি। যখন কেউ ছিলো না সেই বিপদের দিনে আমি নিজে ছিলাম। নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যখন আমার আরো ওপরে যাওয়ার কথা তখন আরো নিচে আসলাম।’
সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় নিজের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘আমি স্থায়ী কমিটিতে আরো ওপরে যাওয়ার অধিকার রাখি। আমি দেশের সংবিধান রক্ষা করেছি, দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করেছি, সেনাবাহিনীর মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছি।’

ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

সময়ের শ্রোতধারায় বাড়ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের অপরাধ বিরোধী তৎপরতা। তবে থেমে নেই অপরাধ চক্রও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা অবলম্বন করছেন নিত্য নতুন পদ্ধতি। অপরাধ জগতের সাথে জড়িত অপরাধিরা ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সচল রাখতে বর্তমানে তারা ব্যাক্তিগত গাড়িতে সম্মানিত পেশা সাংবাদিকতার স্টিকার ব্যবহারসহ বিভিন্ন সময়ে পুলিশ, ডিবি পুলিশ আবার কখনও কখনও রূপ ধারণ করছেন আইনজীবীদেরও।

তবে এসকল কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে বেশ শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গত ৪ মে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকায় ব্যক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

এদিকে তৎকালিন সময়ে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জেও ব্যাক্তিগত গাড়িতে হাতে লেখা স্টিকার নিষিদ্ধ করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। তবে সেই প্রত্যয় ব্যাক্তয়ের তিন মাস অতিবাহীত হলেও এখনও পর্যন্ত পরিপূর্ণ ভাবে তা বাস্তবে রূপান্তর হয়নি নারায়ণগঞ্জে।

ফলে অপরাধীরা তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতে সাংবাদিকতাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের স্টিকার ব্যবহার করে ছদ্দবেশে চলা ফেরা করছেন বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।

কেননা বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বহু ছদ্দবেশী অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছিলো। যারা গ্রেফতার হবার পূর্বে নিজেদের সংবাদকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবী সহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা বলে দাবী করেছিলেন এবং ব্যক্তিগত গাড়িতে এসকল স্টিকার ব্যবহার করেছিলেন।

এদিকে দেশের বর্তমান অপরাধ প্রবণতা হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে প্রশাসনের তৎপরতাও। ফলে অপরাধীরা নিজের কর্মকান্ড সচল রাখতে আরো বেশি ছদ্দবেশের আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে উপরোক্ত প্রত্যয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

এবিষয়ে জেলা অরিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. জাকারিয়া সময় নারায়ণগঞ্জকে জানান, ‘প্রতিটি চেকপোষ্টে দায়ীত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের আমরা নিদের্শ দিয়েছি। তাই বর্তমানে চেক পোষ্টে ব্যক্তিগত স্টিকার লেখা কোন গাড়ি দেখা গেলো সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তা ছিরে ফেলছে। বিষয়টির চুড়ান্ত রূপ নিতে আমরা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে বৈঠক করব। কারণ, এতে করে অপরাধিদের অপরাধ কার্য্য পরিচালনার সুযোগ অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্যে সাধারণ মানুষেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে আব্দুর রশিদ (৫০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজ বাড়ির ৩ তলার ছাদ থেকে পয়ঃনিস্কাশনের পাইপ বেয়ে নিচে নামতে গিয়ে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু ঘটে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জসিমউদ্দিন জানান, আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় আমরা তার বাসায় গিয়েছিলাম। ওই সময়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে নিহত আব্দুর রশিদের মেয়ে আফসানা পারভীন অভিযোগ করেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় হঠাৎ করে পুলিশ এসে বাড়ির গেইটে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকে। এ সময় বাড়ির গেইট খুলতে দেরি হওয়ায় পুলিশ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। তখন পুলিশ আমাদের জানায়, তারা আবদুর রশিদকে আটক করতে এসেছে। তখন আমার বাবা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির ৩ তলার ছাদ থেকে পয়ঃনিষ্কাশনের পাইপ দিয়ে নামতে গিয়ে স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান। এর আগে তিনি একবার স্ট্রোক করেছিলেন। তাছাড়া তার ডায়াবেটিক রোগ ছিল। রবিবার দুপুরে (বাদ জোহর) সাইলোগেইট ঈদগাঁহ কবরস্থান মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।