২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 5

ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের ১৯ সদস্য বিশিষ্ট পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দৈনিক আজকের নীরবাংলা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার এম.রফিকুল্লাহ রিপনকে সভাপতি ও জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের সহ-সম্পাদক এএস মনিকাকে সাধারন সম্পাদক করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) সকাল ১১টায় ফতুল্লা থানা যুবলীগের কার্যালয়ে মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির এক সাধারন সভায় এ পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো.রিপন খন্দকারের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করার জন্য ভোটের আয়োজন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি পদে এম.রফিকুল্লাহ রিপনও সাধারন সম্পাদক পদে এ এস মনিকাকে নির্বাচিত করা হয়।

এছাড়াও সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদেরও নির্বাচিত করা হয়। তারা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি টাইমস নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম জনি, সহ-সভাপতি ডেইলী নারায়ণগঞ্জের এম.মনির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার মো.সুলতান, সাংগঠনিক সম্পাদক চ্যানেল এস এর ফতুল্লা প্রতিনিধি মো.কাইয়ুম আলী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এনএএন টিভির ক্যামেরা পারসন মো.সাগর খান, কোষাধ্যক্ষ পদে টাইমস নারায়ণগঞ্জের প্রকাশক মো.সাজু হোসেন, প্রচার সম্পাদক দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি তামান্না দেওয়ান দোলা, ক্রীড়া ও সমাজকল্যান সম্পাদক দৈনিক বর্তমান দেশবাংলা পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মো.জামিল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এনএএন টিভির ইমাম হোসেন সুমন।

কার্যকরী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেল, দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার ফতুল্লার ব্যুরো প্রধান মশিউর রহমান তরুন, নিউজ প্রতিদিন.নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফোকাস নিউজ বিডি’র রিপন খন্দকার, খবর নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক মো.মশিউর রহমান, নিউজ জি২৪.কমের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি এমআর জয়, জাগো নারায়ণগঞ্জের বিশেষ প্রতিনিধি গাফ্ফার হোসেন লিটন ও দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার মো.হাবিব খন্দকার।

আগামী দুই বছরের (২০২৪-২০২৬ইং ) জন্য এ নবগঠিত কমিটির নাম প্রকাশ করেন ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের সম্মানিত উপদেষ্টা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী। তিনি নবগঠিত এ কমিটির সকল সদস্য ও সংগঠনের সফলতা কামনা করে বলেন, একটি আধুনিক সমাজ বিনির্মানে ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব কাজ করে যাবে। সমাজের অসঙ্গতিপুর্ন কাজগুলো সাধারন মানুষের মাঝে তুলে ধরাই সাংবাদিকের কাজ। আমি আশা করবো মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিটি সদস্য সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করে সংগঠনটি আরো শক্তিশালী করে তুলবে।

ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি এম.রফিকুল্লাহ রিপন এবং সাধারন সম্পাদক এএস মনিকা সংগঠনটি শক্তিশালী করে তুলতে সকল সদস্য’র সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমরা একা নয় আপনারা প্রতিটি সদস্যই এ সংগঠনের কর্নধার। সাংগঠনের কার্যক্রম বেগবান করে তুলতে আমরা সকলেই একসঙ্গে কাজ করে যাবো এবং ফতুল্লা মডেল রিপোর্টার্স ক্লাবটি শুধু ফতুল্লাতে নয় পুরো জেলাতেই অন্যতম একটি সংগঠন হিসেবে জাগ্রত করে তুলবো।

 

ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর মাহফিল বন্ধ করে দিল প্রশাসন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: ব্যাপক প্রচার প্রসার ও আলোচনায় ছিলো ডেমরা, শারুলিয়ার গতকালকের মাহফিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেবের।

মাসব্যাপী প্রচার, মাইকিং, পোস্টার, হ্যান্ডবিল, প্যান্ডেল করার পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসে বাধা দিয়ে বলা হয় মাহফিল এখানে করা যাবে না। প্রশ্ন হলো কেন?
যেখানে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় গান বাজনা হচ্ছে, ডিজে পার্টি হচ্ছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে বাধা দেয়া হয় না; সেখানে একটি মাহফিলে কেনো এরকম সারাশী অভিযানের মাধ্যমে বাধা দেয়া হবে? তাহলে তো বুঝা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে আলেম উলামা ও ইসলামপন্থীরাই পরাধীন। তা আর কতদিন? আর কতদিন এদেশের মুসলমান তা সহ্য করবে?

যদি প্রশাসনের কাছ থেকে শর্ত অনুযায়ী অনুমতি না নিয়ে থাকে কমিটি মাসব্যাপী প্রচারণার শুরুতেই তো বাধা দেয়া যেত, তাতে তো লক্ষ লক্ষ টাকা কমিটির খরচ হয় না। যেখানে এলাকার যুবকরা এতো পরিশ্রম করে, শরীরের ঘাম ঝড়িয়ে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে মাহফিলের এরেঞ্জমেন্ট করেছে। এরপর মাহফিলের মাত্র ১ দিন পূর্বে বন্ধ করে দেয়াটা কতটা যৌক্তিক এবং মানবিক?

এবং এটা কোন পর্যায়ের অপরাধ, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের, স্থানীয় প্রশাসনের ও এলাকাবাসী মুসলমানদের। কারন এখানে উদ্দেশ্য এটা হতে পারে যে, যুবসমাজ যেন ওয়াজ মাহফিল থেকে নিরুৎসাহিত হয় এবং প্রকারান্তরে ডিজে পার্টি, অপ-সাংস্কৃতি, জুয়ার আসর সহ অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, গড্ডালিকাপ্রবাহে গা ভাসায়। এই বিষয়গুলো এখনই আলেম উলামা ও পীর মাসায়েখদের নজরে আনা জরুরি।

গভীর নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনার মাধ্যমে মাহফিল বন্ধের কারন হিসেবে (দায়ী) তিনটি অভিমত পাওয়া যায়:
১/ স্থানীয় সংসদ সদস্য, সজল মোল্লা। যিনি প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে। তাকে প্রধান অতিথি হিসেবে না রাখাতেই প্রশাসনকে বাধ্য করে মাহফিলটি বন্ধ করিয়েছেন। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে এম.পি সজল মোল্লা চরম হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং এই এলাকার জনমানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সব যোগ্যতাই হারিয়েছে। তারা বাবা হাবিবুর রহমান মোল্লার ব্যাপারেও বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ইসলামিক বক্তা, স্কলারদের বসিয়ে সে ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তব্য রাখতো, যাতে মানুষ ত্যক্ত বিরক্ত ছিলো। তার ছেলে সজল মোল্লা এরকম না করলেও যখন তখন সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটিয়ে মাহফিলে কর্তৃত্ব এবং হস্তক্ষেপ করবে, এটা কখনোই হতে পারে না। একজন সংসদ সদস্যের কাজ কি মাহফিল বন্ধ করা? প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ করা? তাহলে বাক স্বাধীনতার যে দোহাই দেয়া হয়, মানবাধিকারের কথা সকল রাজনৈতিক দলগুলো বলে থাকে, সবই কি মুখরোচক স্লোগাম? ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়? নতুবা যেখানে স্থানীয় কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলো, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলো, সেখানে ১ মাস প্রচারণার পর ১ দিন আগে মাহফিল বন্ধ করে দেয়া ইসলাম বিরোধী, ইসলামী আইনের চোখে চরম অপরাধী এবং বর্তমান রাষ্ট্রীয় আইনেও সমান অপরাধী। একজন সংসদ সদস্য কখনোই এধরণের হীন চক্রান্ত করতে পারে না, শুধুমাত্র তার নাম না থাকার কারনে। আসলেই সজল মোল্লা মাহফিল বন্ধ করলেন কিনা, সে বিষয়টি তাকে স্পষ্ট করতে হবে।

২/ ২য় যে অভিমত পাওয়া যায়, তা হলো: ডেমরা জোনের যিনি ডি.সি, তিনি ওসির মাধ্যমে মাহফিলটি বন্ধ করিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, কেনো? আর এই ডি.সি কোন পন্থী? সে কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েছিলো মাহফিল বন্ধের আগে? হতে তো পারতো, মাহফিল বন্ধের কারনে এলাকায় যুবকরা রোড-ঘাট বন্ধ করে, হরতাল অবরোধ করে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করতে। ডি.সি কি তখন এর দায়ভার নিতো? দায়ভার তো পুরোটাই আসতো সরকারের উপর। এমনিতেই তো এলাকায় সাধারণ জনগন ছি ছি করছে, সেটা পুলিশ কিংবা ডি.সি কে নয় বরং আওয়ামী সরকারের প্রতি। কান্ডজ্ঞানহীন এধরণের পুলিশ কিংবা ডি.সি অফিসারের কারনে আওয়ামী সরকার জনগণের আস্থার জায়গা হারিয়ে ফেলছে।

অতএব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে আমাদের আবেদন এটাই, ডি.সি স্ব প্রনোদিত হয়েই কাজটি করলো? নাকি এম.পির কথায় করলো; তা যেন যাচাই করা হয়। প্রশানের লোক তো প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। তারা যদি জনগণের সেবা বাদ দিয়ে এম.পি মন্ত্রীদের কথায় ওঠবস করে, তাহলে তো প্রশাসনিক পোশাক খুলে ফেলে আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক দলে নাম লেখানো উচিত।

৩/ ৩য় যে মত পাওয়া যায়, তা হলো: এলাকার লেবাসধারী কিছু মুনাফিক, ভন্ড মৌলভী; যারা মাহফিলটিতে বাধা প্রদান করেছে।
যদি এটাই হয়ে থাকে, তাহলে এক্ষেত্রে দায়টা আসে দারুন নাজাতের প্রিন্সিপাল আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দিক সাহেবের উপর। কারন তিনি সে এলাকার মুরুব্বি হিসেবে সেই দুনিয়াদার, দুষ্ট আলেমদেরকে এই হীন কাজ থেকে বিরত রাখতে পারতেন। আবু বকর সিদ্দিক সাহেব যদিও আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, তথাপিও এলাকার প্রায় সকল প্রোগ্রামেই তাকে দাওয়াত করা হয়ে থাকে। তিনি নিজেও উক্ত প্রোগ্রামে দাওয়াতী মেহমান ছিলেন। কেউ কেউ এটাও বলছেন যে, দারুন নাজাতের প্রিন্সিপাল’ই মাহফিলটি এম.পির মাধ্যমে বন্ধ করিয়েছে। কারণ, এ মাহফিল যদি হতো, আর সে যদি উপস্থিত হতো তবে ছারছিনা পন্থী এ প্রিন্সিপাল তার পীরের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আর যদি পীরের মন রক্ষা করতে যেয়ে মাহফিলে না আসতো, তবে এলাকাবাসীর কাছে সে ধিক্কারের পাত্র হতো। এ উভয় সংকট থেকে বাচার জন্যই, অনেকের মতে দারুন নাজাতের ধুরন্ধর, চালবাজ ব্যবসায়ী প্রিন্সিপাল এ কাজটি করতে পারেন। বাকি সময়’ই বলে দিবে, এর পিছনে কারা দায়ী।

এ হীন চক্রান্ত যারাই করলো, তারা একটি অপসংস্কৃতি চালু করলো। পরবর্তীতে কেউ মাহফিল করতে গেলে এ যুবকরাই মাহফিলে বাধা দিবে। কারন তারা এতো পরিশ্রম করে, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মাহফিলের আয়োজন করা সত্ত্বেও মাহফিলটিতে যারা বাধা দিয়েছে, তারা ইসলামিক দৃষ্টিতেও একটি জঘন্য অপরাধ করেছে, প্রচলিত আইনেও অনেক বড় অপরাধ করেছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

ফতুল্লায় যুবলীগের পানি,স্যালাইন বিতরণ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : তীব্র তাপদাহে অতিষ্ট মানুষের মাঝে পানি,স্যালাইন, সরবত বিতরণ করেছে ফতুল্লা থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা পোস্ট অফিস মোড়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য আবু মোঃ শরীফুল হক, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, সাংবাদিক রনজিৎ মোদক, রুহুল আমীন প্রধান,কাজল সরদার, মোঃ আলামিন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল চৌধুরী, সরকার কনক, মোঃ রাসেল। যুবলীগ নেতা সৈয়দ মুন্না ও সৈয়দ শাওনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি শেষে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

মামলাবাজ আকবর গ্রেফতার 

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : এ এস কে ফ্যাশনে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের মালিক  আমির হোসেনকে  মারধরের  ঘটনায় মামলাবাজ আকবর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে গাবতলী তাগাড়পাড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মোঃ আমির হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত  আকবর আমার বিরুদ্ধে এরআগে একটি মামলা দায়ের করে। ঐ মামলা আপোষ করার জন্য আলোচনার নামে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার কারখানায় প্রবেশ করে আমাকে মারধর এবং কারখানা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি।

অভিযোগের তদন্ত অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন কাজী মাসুদ রানা জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রমান পাই এবং  থানায় মামলা দায়ের করে আকবর হোসেন,  তার ম্যানেজারসহ তিনজন আসামীকে  গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।

আকরের বিরুদ্ধে নিজ পরিবারসহ আশপাশের একাধিক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

সোর্স মামুনে অতিষ্ট ফতুল্লাবাসী

নিউজ প্রতিদিন ডটনে ফতুল্লা স্টেশন, তক্কারমাঠ, ব্যাংককলোনী, পিলকুনি এলাকায় সোর্স মামুন আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিজেকে র‍্যাব, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা এবং নিরিহ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,  মামুন নিজেকে কখনো র‍্যাবের সোর্স, কখনো থানা পুলিশ এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত সুবিধা নিয়ে আসছে। এছাড়া নিরিহ মানুষকে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ফতুল্লা মডেল থানার দারোগা সাইফুল, গিয়াস, শাহাদাত হোসেনের সোর্স পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দেয়া মামুনের বিতর্কীত কর্মকান্ডে খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে এমন দাবী সচেতন মহলের।  এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতন মহল।

বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও ৩১ তম জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর পদক বাছাই পর্ব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ২৭ এপ্রিল সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান শাহীন প্রমুখ।

বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়নগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এইচ এ আক্তারুজ্জামান,সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মোল্লা,নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মাকসুদ হোসেন রকি, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সফল প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, ছড়া গান, দেশাত্ত্ববোধক গান, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, সাধারণ নৃত্য, লোক নৃত্য, আবৃত্তি ও একক অভিনয় বাছাই করা হয়।

প্রধান অতিথি শাহাদাত হোসেন সাজনু সহ অতিথি বৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে সাটিফিকেট প্রদান করেন।

ফতুল্লায় “ মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব ” এর আহবায়ক কমিটি ঘোষনা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : মাঠে কর্মরত এক ঝাঁক নবীন-প্রবীন সাংবাদিকের সমন্বয়ে ফতুল্লায় “ মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব ” নামে একটি সাংবাদিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করেছে। বুধবার ২৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টায় ফতুল্লার শাহ ফতেউল্লাহ কনভেনশন হলের পাশে এ সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সর্বসম্মতিক্রমে দৈনিক আজকের নীরবাংলা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার ও জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪.কমের প্রধান নির্বাহী মো.রফিকুল্লাহ রিপনকে আহবায়ক এবং খবর নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের সিনিয়র সাংবাদিক মো.মশিউর রহমানকে সদস্য সচিব করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট এ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ফোকাস নিউজ বিডি’র ষ্টাফ রিপোর্টার মো.রিপন খন্দকারের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকগন তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং নবগঠিত “ মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব ” এর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন।
১৯ সদস্য বিশিষ্ট “ মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব ” এর অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দৈনিক অগ্রবানী পত্রিকার ফতুল্লা ব্যুরো চিফ খন্দকার মশিউর রহমান তরুন,যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দৈনিক যুগের চিন্তা পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার মো.সুলতান আহমেদ, জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের যুগ্ম সম্পাদক অনুপমা সরদার মনিকা।

সদস্য হিসেবে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের প্রকাশক ও সম্পাদক এম.শহীদুল্লাহ রাসেল, নিউজ প্রতিদিন. নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক আজকের নীরবাংলা পত্রিকার সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মো.জাহাঙ্গীর আলম জনি, দৈনিক বর্তমান দেশবাংলা পত্রিকার ফতুল্লা প্রতিনিধি মো.জামিল হোসেন, টাইমস নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী সম্পাদক মো.আশিকুর রহমান সাজু, চ্যানেল এস, ও ফতুল্লা প্রতিনিধি মো.কাইয়ুম আলী, এনএএন টিভির ক্যামেরা পারসন মো.সাগর খান, ফোকাস নিউজ বিডি’র ষ্টাফ রিপোর্টার মো.রিপন খন্দকার, দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মো.হাবিব খন্দকার,ডেইলী নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক মো.মনির হোসেন মুন্না, নিউজ জি ২৪,কমের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এম আর জয়,এনএএন টিভির মো.ইমাম হোসেন সুমন, জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কমের বিশেষ প্রতিনিধি গাফ্ফার হোসেন লিটন।

আগামী এক মাসের মধ্যে আহবায়ক ও সদস্য সচিব সকল সদস্য’র সাথে সমন্বয় করে পুনাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে মর্মে উল্লেখ করা হয়।

নবগঠিত “ মডেল রিপোর্টার্স ক্লাব ” এর আহবায়ক মো.রফিকুল্লাহ রিপন সকল সদস্যদের উদ্যোশে বলেন, একসাথে হাতে হাত রেখে কাজ করে নিজেদেরকে সুসংগঠিত করতে হলে সাংবাদিক সংগঠনের বিকল্প নেই। আমি চাই এখানে প্রতিটি সদস্যই ভাল কাজের মাধ্যমে নিজেদেরকে ফুটিয়ে তুলবে। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের ভুমিকা অপরিসীম। তাই অত্র সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে বলবো দেশ ও জাতির কল্যানে আমরা সকলেই কাজ করে যাবো।

আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা আব্দুর রহিম ভেন্ডার- আলমগীর হোসেন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আমি আমার মাকে মারধর করে জমি লিখে নিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের মূলহোতা আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার।তার কুটকৌশলে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মাকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে সিআর মামলা নং-৪১৪/২৪ দায়ের করিয়েছেন বলে দাবী করেছেন দলিল লিখক আলমগীর হোসেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে  গনমাধ্যম কর্মীদের উপরোক্ত কথা বলেন।

আলমগীর হোসেন বলেন,আমার মার মামলায় যাদের মিথ্যা স্বাক্ষী বানিয়েছেন তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য আমার ভাবী শিউলি বেগম,তার বাবা টঙ্গিবাড়ী উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামের আবুল কালাম শেখ,সাবেক মেম্বার জলিল গাজী।

ইতিমধ্যে  কয়েকটি পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।আমি নাকি জামিনে বের হয়ে এসে আমার মা,ভাবী,মামাকে হুমকি দিয়েছি।যা আদৌ সত্য নয়।প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার মা স্বেচ্ছায় আমাকে সহ আরো ৩ ভাইবোন নাজির হোসেন,হেলেনা বেগম,শাহিনুর আক্তার কে জমি লিখে দেন।কিন্তু বড় ভাই মনির হোসেন  বিদেশ থাকায় তাকে লিখে দেননি।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাবী,বড় ভাই ও মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার সহ একটি কুচক্রী মহল আমার সুনামহানি করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করে।

প্রকৃত ঘটনা হলো আমি আমার ভাই-বোনদের সবসময় আর্থিক,শারিরীক ও মানসিকভাবে সহযোগিতা করেছি।নিজের কষ্টাজিত অর্থ পরিবারের প্রতি ব্যয় করেছি।আমার মার সমস্ত চিকিৎসা ও ভরনপোষণ আমিই বহন করে আসছি।আমার মাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার ও কুচক্রী মহল। আমি তাদের আসল চরিত্র গনমাধ্যমে প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ।

আমি জামিনে এসে আমার মা,মামা ও ভাবীর সাথে কোন কথা বলিনি।তাদের হুমকি দেয়ার প্রশ্ন আসেনা।

আমি আমার মা সহ ভাইবোনদের সবসময় আর্থিক সহযোগিতা করে আসছি।যা আমার চাচা সুরুজ মিয়া,কামালউদ্দিন,মফিজউদ্দিন,রমিজউদ্দিন, ফুফু রেজিয়া খাতুন সহ এলাকাবাসী অবগত।

আলমগীরের চাচা রমিজউদ্দিন বলেন,আলমগীরের বিরুদ্ধে মাদক সেবনে যে অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে তা ঠিক নয়।ও অত্যন্ত ভদ্র ও কর্মঠ ছেলে।ওকে ছোটবেলা থেকে আমরা দেখে আসছি।মাদক সেবন তো দুরের কথা ও এর নাগালে নেই।ডাহা মিথ্যা অপপ্রচার।

আলমগীর হোসেন আরো বলেন, আমার মামা আব্দুর রহিম ভেন্ডার, ভাবী শিউলি বেগম, তার বাবা আবুল কালাম শেখ আমাদের সম্পত্তি দখল করার অপচেষ্টা করতে আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে । আমাকে মাকে তারা যে কোন সময় হত্যা করতে পারে।আমি আমার মাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে আব্দুর রহিম ভেন্ডার মুঠোফোনে জানান, আমার অপরাধ হলো আমি ওকে ( আলমগীরকে) ছোট বেলা থেকে লালন পালন করেছি। যদি তাই না হতো তাহলে আমাকে কেন অপরাধী বানাচ্ছে। আলমগীরের মানসিক প্রতিবন্ধি মায়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে বলেছে ওর মা মানসিক প্রতিবন্ধি। আপনারা ওর এলাকায় যান গিয়ে সকলের কাছে জানুন। সবাইতো আর একজনের পক্ষে কথা বলবেনা। যেটা সত্য সেটাই বলবে এবং জানতে পারবেন।

ক্যাসিনোকান্ডের সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান এবার ভোটপ্রার্থী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ক্যাসিনো–কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সেলিম প্রধান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজাও খেটেছেন। আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন। অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান এবার উপজেলা নির্বাচন করছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।

এরই মধ্যে আলোচিত এই ব্যক্তির গণসংযোগের কিছু ভিডিও চিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে উৎসুক্য তৈরি হয়েছে।
তবে উপজেলা পরিষদ আইন বলছে, কোনো নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার এবং থাকবার যোগ্য হবেন না।

এ বিষয়ে সেলিম প্রধান বলেন, দুদকের মামলায় আপিল ও সাজা স্থগিত করতে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তাই নির্বাচন করতে তাঁর আইনগত কোনো বাধা নেই।

ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাইল্যান্ডগামী বিমান থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে দেশি–বিদেশি মুদ্রা ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছিল, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো বা অনলাইন জুয়ার মূল হোতা। তিনি প্রচুর টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেলিম প্রধান বাংলাদেশে প্রথম অনলাইন ক্যাসিনো চালু করেন। তিনি গুলশান ও বনানীতে পি ২৪ এবং টি ২১ অনলাইন নামে অনলাইনে ভিডিও গেম খেলার প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পরে ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সেগুলোকে অনলাইন ক্যাসিনোয় রূপান্তর করেন। ওই অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান কেন্দ্র ছিল ফিলিপাইনে।

সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা ছাড়াও ঢাকার গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা হয়। বিচারাধীন এসব মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি।

২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল দুদকের করা মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। তাতে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দুই ধারায় সেলিম প্রধানকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। ইতিমধ্যে তাঁর সাজাভোগ শেষ হওয়ায় এবং বাকি মামলায় জামিন পাওয়ায় গত বছরের অক্টোবরে মুক্তি পান তিনি। সাজার বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে যে আপিল করেছেন, সেটা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এদিকে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে বলেছেন, কোনো ব্যক্তির দুই বছরের বেশি দণ্ড ও সাজা হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সাজা স্থগিত থাকলেও নির্বাচনে অংশ নেওয়া যাবে না; যদি সাজা উপযুক্ত আদালতে বাতিল না হয়।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতে সাজাপ্রাপ্ত হলেও আপিল করে নির্বাচন করতে পারতেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এখন মনে হয় না সেলিম প্রধান নির্বাচন করতে পারবেন। খালেদা জিয়াও এ কারণে নির্বাচন করতে পারেননি। সূত্র : প্রথম আলো

আলোকিত বক্তাবলী ও পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজিরের ঈদ শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী ও পূর্বচর গড়কূল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং ফতুল্লা থানা আওয়ামী ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজির হোসেন মুসলিম উম্মাহসহ সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে পবিত্র ঈদুল আযহায় আমাদের মাঝে উঠুক পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অনুশীলন। এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হোক পবিত্র ঈদুল ফিতর।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক বিশ্বসমাজ। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানবহৃদয়। আসুন, সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশি ভাগাভাগি করি।

পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি- মানুষের জীবন থেকে দূরীভূত হোক সকল প্রকার দুঃখ-কস্ট।  সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারায় প্রবাহিত হোক বিশ্বলোক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সব সংকট উত্তরণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে ঠিক একইভাবে সকল প্রকার সংকট জয় করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় নব-উদ্যমে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। এই প্রত্যাশায় নারায়ণগঞ্জ ও বক্তাবলীসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের  অগ্রীম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।