১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 111

শামীম ওসমানের জনসভায় ফারুক সাহেদের মিছিল নিয়ে যোগদান।

জে‌গে‌ছে নারায়ণগঞ্জ, জা‌গো সমগ্র বাংলা‌দেশ শ্লোগা‌নে ‌শ্লোগা‌নে মুখ‌রিত হ‌য়ে‌ছে আজ সারা নারায়ণগঞ্জ। শ‌নিবার (২৭ই অক্টোবর) নগরীর ইসদাই‌রে এ কে এম শামসু‌জ্জোহা ক্রীড়া কম‌প্লে‌ক্সের মা‌ঠে ‌জে‌গে‌ছে নারায়ণগঞ্জ, জে‌গে উঠো শেখ হা‌সিনার বাংলা‌দেশ। স্বাধীনতা বিরুধী, আগু‌ন সন্ত্রাস ও অশুভ শ‌ক্তির বিরু‌দ্ধে জনসভায় ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের সভাপ‌তি এম সাইফ উল্লাহ বাদ‌লের সভাপ‌তি‌ত্বে প্রধান অতি‌থি হি‌সে‌বে উপ‌স্থিত ছি‌লেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আস‌নের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। উক্ত জন‌সভায় নারায়ণগঞ্জ মহা নগর তাঁতীলী‌গের স‌ম্মেলন প্রস্তু‌তি ক‌মি‌টির আহ্বায়ক চৌধুরী এইচ এম ফারুক সা‌হে‌দের নেতৃ‌ত্বে শত শত নেতা কর্মী নি‌য়ে মি‌ছিল সহকা‌রে নতুন কোর্ট হ‌তে চাষাঢ়া হ‌য়ে উক্ত জনসভায় যোগদান ক‌রেন। মহানগর তাঁতীলী‌গের নেতৃবৃ‌ন্দের ম‌ধ্যে মি‌ছি‌লে আরও ছি‌লেন জাহাঙ্গীর আলম, হারুন অর রশীদ,মো.ওয়া‌সিম,‌মো.আলা উদ্দীন,বাবু সওদাগর,মো.আজম, ‌আব্দুল রব চৌধুরী, শুরভী আকতার,আ‌য়েশা ঈসলাম, রুপক ও আনোয়ারসহ প্রমুখ।

শামীম ওসমানের জনসভায় আতাউরের মিছিল নিয়ে যোগদান।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের জনসভায় বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজ্বী আতাউর রহমান প্রধাণ।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লা যমুনা গেইট থেকে হাজ্বী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়ে ওসমানী স্টেডিয়ামে গিয়ে শামীম ওসমনের মুল জনসভায় গিয়ে যোগদান করেন।

শামীম ওসমানের সমাবেশ জন সমুদ্রে পরিনত ।

নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানের সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে। জন সমুদ্রের সমাবেশে শামীম ওসমান বলেন, কোনো রক্তচক্ষু আমাদের পথচলা ব্যহত করতে পারবে না। আমরা‘সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো’ অকপটে বলতে চাই এবং বলবো। আমরা পাঠকের অদম্য সংবাদ পাঠের তৃষ্ণা নিবারণে এসেছি,কারো মুখাপেক্ষী নই। বিশ্বাস করি, ‘যা কিছু সত্য,তাই সুন্দর’। আমরা সুন্দরের পক্ষে আছি,থাকবো।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ইসদাইরে সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

“জেগেছে নারায়ণগঞ্জ,জেগে ওঠো শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই শ্লোগান নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী,আগুন সন্ত্রাস ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসীকে জাগ্রত করতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এ জনসভার আহবান করেন।

এ সময় শামীম ওসমান বলেন,আগামী নির্বাচন করার জন্য এই জনসভা ডাকা হয়নি, নির্বাচন বাঞ্চাল করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তাদের মোকাবেলা করার জন্য এই জনসভার আহবান করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের ফতুল্লায় কর্মসূচী ছিল, সেটা হয় নাই। তবে অইদিন ফতুল্লায় চেকপোস্টে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে গুলি করে পালিয়ে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে সাভার ও গাজীপুরে মন্ত্রীর প্রোগ্রামের আগের রাতে।

শামীম ওসমান বলেন, আজকে এই সমাবেশ আহ্বান করেছি কারণ কি? কিসের উদ্দেশ্যে সমাবেত হয়েছি? নির্বাচন করার জন্য এই সমাবেশ ডাকি নাই। আজ সমাবেশ ডাকা হয়েছে প্রস্তুতির জন্য। আজকে আপনাদের জানার দরকার কিসেস প্রস্তুতি। আজকে শকুনরা মানচিত্রে থাবা মারতে চায়, স্বাধীনতার ইতিহাসে থাবা মারতে চায়। এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। কাজেই কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।

ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, সহ-সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল,শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া,বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদ,মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিরিন বেগম ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ।

শামীম ওসমানের সমাবেশে হামিদের যোগদান।

বিশাল মিছিল নিয়ে ইসদাইরে সামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সাংসদ শামীম ওসমানের জনসভায় যোগদান করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ নেতা মো.হামিদ।

সাংসদ শামীম ওসমানের আহবানে ডাকা সমাবেশে শনিবার দুপুরে চাঁদনী হাউজিং থেকে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে যোগদান করেন।

শামীম ওসমানের জনসভায় শওকতের নজরকাড়া শোডাউন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের জনসভায় বিশাল মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লা যমুনা গেইট থেকে আলহাজ্ব মো.শওকতের নেতৃত্বে মিছিলটি বের হয়ে ওসমানী স্টেডিয়ামে গিয়ে শামীম ওসমনের মুল জনসভায় গিয়ে যোগদান করেন।

মিছিলটির অগ্রভাগে ছিল পায়ে হেঁটে প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী। যার নেতৃত্বে ছিলেন শওকত আলী। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে মিছিলে অংশ নেয়া নেতা নেতাকর্মীরা।

মিছিটিতে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন ভূইয়া,সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাবুল মিয়া,শফিক মাহমুদ,বক্তাবলী ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,আতাউর রহমান প্রধাণ,ভিপি আলমগীর,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজ্বী আবুল হোসেন,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.নাজির হোসেন,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাশফীকুর রহমান শিশির,
ফতুল্লা থানা যুবলীগের সহ সভাপতি বরকত উল্লাহ, বক্তাবলী ইউপি সদস্য আখিল উদ্দিন,মো.ফারুক,আ:মতিন,মো.রাসেল চৌধুরী মো.জলিল গাজী,মো.মনির হোসেন,আমজাদ হোসেন,কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.দেলোয়ারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ অাফ্রিকা ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে র্র্যাংকিংয়ে চতুর্থ বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের শেষের দিক। মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পান মাশরাফি বিন মুর্তজা। টানা হারতে থাকা বাংলাদেশ দলকে কোচ হাতুরেসিংহের হাত ধরে নতুন জীবন এনে দেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হয় নতুন বাংলাদেশের জন্ম। পরের বছর ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ দল।

গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দল কে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। মূলত সেই থেকেই শুরু। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশ দলকে। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করে।

পাকিস্তানকে হারিয়ে পরের মাসেই ভারতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। শুধু ভারত-পাকিস্তানি নয় একই বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করে বাংলাদেশ। এরপর থেকেই বিভিন্ন সাফল্য ধরা দিতে থাকে মাশরাফিদের।

২০১৬ সালের টি -২০ এশিয়া কাপ এর ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনাল, এবং এ বছর এশিয়া কাপের ফাইনাল। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে এ বছরে দারুণ ফর্মে রয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজা অধীনে থাকা সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ১৭ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে। এরমধ্যে জয় তুলে নিয়েছে ১১ টি ম্যাচে। হারতে হয়েছে ৬ টি ম্যাচে। ভগ্নাংশের দিক দিয়ে তাকালে ইংল্যান্ড ভারত এবং নিউজিল্যান্ড এর পরেই অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল।

বাংলাদেশের পিছনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সহ বাকি সব দল। ২০১৮ সালে জয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ স্থানে। ২০১৮ সালে জয়ের ভগ্নাংশের দিক থেকে সবার উপরে রয়েছে ভারত, এর পরেই রয়েছে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড। এই তিন দলের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ।

‘গোপন বৈঠক’ থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ নেতাকর্মী আটক

কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে র‌্যাব।
র‌্যাবের দাবি, নাশকতা পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে আটককৃত নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। 
শুক্রবার রাতে কক্সবাজার শহরে কলাতলীর ‘বে টাচ’ নামে একটি হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে রাত ৮টা ১৪ মিনিটের দিকে কক্সবাজার র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান ক্ষুদে বার্তায় বিষয়টি গণমাধ্যমে জানান।
আটককৃতরা হলেন- কক্সবাজার জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি দরবেশ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. শাহজাহানের ছোট ভাই জামায়াত নেতা মফিজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের নেতা শাহনেওয়াজ, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, মো. হাশেম, রফিক উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক, সাবেক শিবির নেতা মো. ইউনুচ, জামায়াত নেতা আবুল আলা মোহাম্মদ রুমেল, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান, মাওলানা মো. ইউসুফ, নিয়ামত উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল ও মোহাম্মদ ফারুক।
র‌্যাব সূত্র জানায়, শহরের কলাতলীর ‘বে টাচ’ হোটেলের একটি কক্ষে উখিয়ার অরিজিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার নাম দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াত-শিবিরের নেতারা।  খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। 
কক্সবাজার র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতা পরিকল্পনার জন্য হোটেলে গোপন বৈঠকে বসেছিলেন। ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের পরিকল্পনা ভণ্ডুল করা হয়।  পরে তাদেরকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, র‌্যাব ১৭ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীর আগাম জামিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ, ফতুল্লা ও সোনারগাঁ থানা বিএনপির ২শ নেতাকর্মী ১১টি নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি রেজাউল হক ও জাফর আহমেদের বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।

এতে জামিন পেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন শিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক সালাহউদ্দিন দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব, রুপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রফিকুল ইসলাম, কাঞ্চন পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ, ভূলতা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলামসহ রুপগঞ্জ সোনারগাঁ ও ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২ শতাধিক নেতাকর্মী।

বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান খান।

মাছ চুরির মামলা ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়ায় মাছ চুরির মামলা করা হয়েছে।
এর আগে তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে। এ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে সাভারেই পৃথক পাঁচটি মামলা করা হল।
বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকার বাসিন্দা কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি ডা. জাফরুল্লাহকে প্রধান আসামি করে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ জায়গার ক্রয়সূত্রে নিজেকে মালিক দাবি করেন কাজী মহিবুর রব নামে এক ব্যক্তি।
‘তার দাবি, দীর্ঘদিন থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ অবৈধভাবে সেই জমি দখল করতে তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ জমিতে অনধিকার প্রবেশ ও চাঁদা দাবি করে আসছেন। এমনকি জাফরুল্লাহ চৌধুরী লোকজন দিয়ে জমিতে থাকা মাছ চুরি করিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার।’   এর আগে ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি, প্রাণনাশের হুমকি, মারপিট, লুট, চুরিসহ নানা অভিযোগে গত ১৫ অক্টোবর মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি একটি, ১৯ অক্টোবর হাসান ইমাম একটি, ২১ অক্টোবর সেলিম আহমেদ একটি এবং ২৩ অক্টোবর নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি একটি মামলা করেন।
এর মধ্যে দুটি মামলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।

কাদেরের নমিনেশন দেয়ার ক্ষমতা নাই!

জয়নাল হাজারী:
নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নাই। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আলাপ-আলোচনা দৌঁড়ঝাপও পরিকল্পনা চলছে। সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আ.লীগ থেকে কে কোথায় নমিনেশন পাচ্ছে এবং মনোনয়ন প্রত্যাশিরা নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত নেতারা আ.লীগের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম সকলের উপরে রয়েছে। সচিবালয়ে, কাদেরের বাসভবনে এবং আ.লীগ অফিসে কাদেরের সাক্ষাৎ প্রার্থী শত শত লোক এ সব সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অর্ধেকও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে না। আমু ভাই তোফায়েল ভাইয়ের ঘরেও সাক্ষাৎ প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। যদিও ইনারা অনবরত বলে যাচ্ছেন আমাদের হাতে কিছু নাই। এ বারের ব্যাপারটি একেবারেই নেত্রীর হাতে। বাজারে গুঞ্জব আছে একশো কোটি টাকা দিয়েও আ.লীগের নমিনেশন কেনার লোক আছে। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ভাই বলেছে সকল নমিনেশনই এবার এককভাবে নেত্রী নিজেই ঠিক করবেন। এ কথার কারণে পরিষ্কার ধারণা করা যায় ওবায়দুল কাদেরও নমিনেশন এ দিক ও দিক করতে পারবে না।

অবশ্য ওবায়দুল কাদের নিজেও কারো নমিনেশন নিশ্চিত করতে পারবে এমন কথা বলেনি মনে হয় বলবেও না। শোনা যায় গতবারের নমিনেশনে ও কাদের কিছু কিছু প্রভাবখাটিয়ে কাজ করেছিল। দুয়েকজনের নিশ্চিত নমিনেশন আপত্তি দিয়ে বাতিল করেছিল। ওবায়দুল কাদেরকে নিজের আসনেই জয়ী হয়ে আসতে ঘাম ঝরাতে হবে। বিএনপি যেভাবেই হোক যদি ভোটে আসে তবে কাদেরকে ভোট করতে হবে ব্যারিষ্ট্রার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে। সেখানে মওদুদ আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তবে মন্ত্রী থেকেই যখন ওবায়দুল কাদের ভোট করবে তখন বাড়তি কিছু সুবিধা তো পাবেই। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আ.লীগও ক্ষমতায় আসবে কাদেরেরাও এমপি মন্ত্রী হবে। আ.লীগের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কারো কারো ধারণা ইচ্ছা করলে ওবায়দুল কাদেরও কিছু কিছু মনোনয়ন নির্ধারণ করবে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এতে কোন সন্দেহ নাই। এখন শুধু সব চাইতে ভারি প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপিকে ভোট করতে দেয়া হবে কি হবে না। সূত্র(হাজারিকা প্রতিদিন)