১৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 118

গণতা‌ন্ত্রিক প্র‌ক্রিয়ায় নির্বা‌চিত হোক আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নতুন নেতৃত্ব: এড. আল আমীন সি‌দ্দিকী

“আ‌লো‌কিত বক্তাবলী” ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় এক‌টি সামা‌জিক সংগঠন। সামা‌জিক কল্যাণমূলক কা‌জে সম্পৃক্ত থে‌কে সংগঠন‌টি আজ স্বম‌হিমায় উদ্ভা‌সিত; গোটা নারায়ণগ‌ঞ্জে সুপ‌রি‌চিত। আ‌লো‌কিত নেতৃ‌ত্বের কার‌ণেই আ‌লো‌কিত বক্তাবলী এই পর্যা‌য়ে পৌছ‌তে পে‌রে‌ছে। প্র‌তিষ্ঠালগ্ন থে‌কে সংগঠন‌টির সভাপ‌তির দা‌য়ি‌ত্বে ছি‌লেন এলাকার কৃ‌তি সন্তান, আ‌লো‌কিত মুখ, বাংলা‌দেশ সু‌প্রিম কো‌র্টের আইনজীবী এড‌ভো‌কেট আল আমীন সি‌দ্দিকী। সম্প্র‌তি আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর ১০১ সদ‌স্যের এক‌টি ক‌মি‌টি গঠ‌নের সংবাদ গণমাধ্য‌মে প্রকা‌শিত হ‌লে সংগঠ‌নের আহবায়ক মাশফীকুর রহমান শি‌শির উক্ত ক‌মি‌টি‌কে অস্বীকার ক‌রে সেটা‌কে নিয়ম ব‌হির্ভূত ও অ‌বৈধ হি‌সে‌বে আখ্যা‌য়িত ক‌রে‌ছেন। আহবায়ক হি‌সে‌বে তি‌নি কোন ক‌মি‌টি অনু‌মোদন দেন‌নি ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন। সংবাদ মাধ্য‌মে ক‌মি‌টি গঠন সংক্রান্ত কোন প্রকার প্রেস বিজ্ঞ‌প্তি তি‌নি পাঠান‌নি ব‌লেও দা‌বি ক‌রে‌ছেন। সংগঠ‌নের সা‌বেক সভাপ‌তি হি‌সে‌বে এ বিষ‌য়ে এড‌ভো‌কেট আল আমীন সি‌দ্দিকীর নিকট জান‌তে চাই‌লে তি‌নি ব‌লেন, “প্র‌তিষ্ঠালগ্ন থে‌কে আ‌মি আ‌লো‌কিত বক্তাবলী সংগঠ‌নে সভাপ‌তির দা‌য়ি‌ত্বে ছিলাম। নতুন নেতৃত্ব সৃ‌ষ্টির ল‌ক্ষে এক‌টি আহবায়ক ক‌মি‌টি অনু‌মোদন দি‌য়ে আহবায়ক ক‌মি‌টির নিকট সংগঠ‌নের দা‌য়িত্বভার হস্তান্তর ক‌রে‌ছি। অনু‌মো‌দিত আহবায়ক ক‌মি‌টি সংগঠ‌নের কার্যক্রম প‌রিচালনার পাশাপা‌শি গণতা‌ন্ত্রিকভা‌বে এক‌টি পুর্ণাঙ্গ কার্য‌নির্বাহী ক‌মি‌টি গঠ‌নের ক্ষেত্র প্রস্তুত কর‌বে। গণতা‌ন্ত্রিকভা‌বে নতুন পুর্ণাঙ্গ কার্য‌নির্বাহী কমি‌টি গঠন ক‌রে সেই ক‌মি‌টি‌কে সংগঠ‌নের প্যা‌ডে সংগঠ‌নের আহবায়ক ও পদা‌ধিকার ব‌লে সংগঠ‌নের উপ‌দেষ্টা বক্তাবলী ইউ‌নিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান অনু‌মোদন কর‌বে। এখ‌তিয়ার ও নিয়ম ব‌হির্ভূতভা‌বে কেউ কোন ক‌মি‌টি ঘোষণা কর‌লে তা বৈধ হ‌বে না বরং তা‌তে বিশৃংখলা সৃ‌ষ্টি হ‌বে। সংগঠ‌নের সা‌বেক সভাপ‌তি হি‌সে‌বে আ‌মি তা প্রত্যাশা ক‌রি না।” উদ্ভূত সংকট নিরস‌নে আপনি কী ধর‌নের ভূ‌মিকা রাখ‌তে পা‌রেন এমন প্র‌শ্নের জবাবে তি‌নি আ‌রো ব‌লেন, “অ‌ধিকার ছা‌ড়িয়া দিয়া অ‌ধিকার রা‌খি‌তে চাওয়া এক প্রকার বিড়ম্বনা। আ‌মি বিড়ম্বনা পছন্দ ক‌রি না। যারা বর্তমা‌নে দা‌য়ি‌ত্বে আ‌ছেন তারাই তা‌দের নেতৃ‌ত্বের দক্ষতা ও বিচক্ষণতা দি‌য়ে সকল সংক‌টের সমাধান কর‌বেন। আ‌মি বিশ্বাস ক‌রি তারা তা পার‌বেন। আ‌মি যতটুকু জা‌নি অনু‌মো‌দিত আহবায়ক ক‌মি‌টি গণতা‌ন্ত্রিকভা‌বে নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য প্র‌য়োজনীয় প্রস্তু‌তি গ্রহণ কর‌ছে। আশা কর‌ছি- অ‌চি‌রেই আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচ‌নের জন্য সংগঠ‌নের একজন সাধারণ সদস্য হি‌সে‌বে নি‌জের ভোটা‌ধিকার প্র‌য়োগ করব।” “গণতা‌ন্ত্রিক প্র‌ক্রিয়ায় নির্বা‌চিত হোক আ‌লো‌কিত বক্তাবলীর নতুন নেতৃত্ব” যোগ ক‌রেন তি‌নি।

জেলা ছাত্রদল নেতা রনি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির  পরিবারের অভিযোগ ছিল ধানমন্ডি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ নিয়ে রোববার নারায়নগঞ্জ প্রেসক্লাবে নিখোঁজ রনির স্বজনেরা সংবাদ সম্শেরন করে রনিকে আদালতে সোপর্দের দাবী জানায়। অথচ সোমবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের দাবী সোমবার সকালে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর থেকে পিস্তল ও গুলিসহ রনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ অবস্থায় আলোচিত ছাত্রদর নেতা মশউর রহমান রনির নিখোজ নাটকের অবসান ঘটে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, সোমবার সকাল ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রনিকে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময়ে রনির কাছ থেকে একটি বিদেশী তৈরি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-ক সার্কেল মেহেদী ইমরান সিদ্দিকীও এর সত্যতা স্বীকার করে জানান,সোমবার ভোরের দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিদেশী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে ফিরে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছে তার স্বজনেরা। তারা বলেন, অপরাধী হলে আদালতে সোপর্দ করুন না হয় আমাদের সন্তান আমাদেরকে ফিরিয়ে দিন।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করে রনির ছোট ভাই মহিবুর রহমান রানা জানান, তাঁর ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রনি (৩০) গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় পারিবারিক কাজে ঢাকা যায়। আর রাত পর্যন্ত ফিরে আসেনি। তবে রাত সাড়ে ১০টায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে টেলিফোনে জানায় যে এমাত্র একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন সাদা পোষাকধারী নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমার ভাই মশিউর রহমান রনিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এর পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রনি।

শামীম ওসমানকে চ্যালেঞ্জ করা ছাত্রদল নেতা রনিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ

স্যোসালমিডিয়ায় শামীম ওসমানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া একটি বক্তব্যের বিপরিতে স্ট্যাটাস দেয়া সেই আলোচিত সমালোচিত ছাত্রদল নেতা মশিউর রহমান রনিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ঢাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে তার ৈপরিবারের সদস্যরা।

শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তার ভাই মজনু রহমান রানা।

মজনু রহমান রানা জানান, রাত সাড়ে ১১টায় তার মোবাইলে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। তাকে বলা হয় রনিকে ১টি কালো রংয়ের হায়েস মাইক্রোবাসে ৮/১০ জন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়।

এসময় রনিকে ঢাকার কোথা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে অপরদিক থেকে জানায় এত কথা বলার সময় নাই। ফতুল্লা থানায় খবর নাও বলে লাইনটি কেটে দেয়।

এরপর থেকে রনির ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

জানা গেছে, রনি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টিরও বেশী মামলা রয়েছে। তবে সে কোন মামলাতে জামিন নেয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের সামনেই মিছিল মিটিং করে আসলেও রনিকে ধরেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের জানান, এখনো পর্যন্ত ফতুল্লা থানায় রনি নামে কেউ গ্রেফতার নেই।

প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর  (সোমবার) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া একটি বক্তব্যের বিপরিতে ফেসবুকে রনি নিজের টাইম লাইনে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হন। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের কাছে সাহসী, বীর খ্যাতাবসহ প্রশংসিত হলেও ছাত্রলীগসহ অন্যদের কাছে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন।

স্ট্যাটাসটিতে রনি উল্লেখ করেন, শামিম ওসমান সাহেব চ্যালেঞ্জ করেন বিএনপির জন্য নাকি তারা দুই একজন যথেষ্ট একটু হাসি পাচ্ছে ইদানিং ওনার কথা শোনলে আমার মাঝে মাঝে এমন মনে হয় যে তার মনের ভিতর সব সময় ভয় কাজ করে।
শামিম ওসমান নির্বাচন আসলে নিজে নিজে বিলাই এর মত মিউ মিউ করে বরকা পরে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোজে আগে নিজেকে শেভ করেন পরে বিএনপিকে নিয়ে ভাববেন।

আমি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে বলতে চাই প্রশাসনকে ব্যবহার না করে রাজপথে আসেন দেখি কার কত হেডাম আছে। বিগত ১২ বছর আন্দোলন করে আসছি আমার মনে হয় এমন ১২ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকলে আপনে আওয়ামীলীগ ছেরে বিএনপিতে যোগ দিতেন। আমরা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর আদর্শে গড়া তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠিত সৈনিক।

আমি আপনাকে চ্যালেন্জ করছি না তবে এটা বলছি তারেক জিয়া যখন আমাদের নির্দেশ দিবে তখন সকল জাতীয়তাবাদী শক্তি মাঠে নামবে পৃথিবীর কোনো শক্তি নাই তখন প্রতিহত করার।ইনশাআল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি শামিম ওসমান এর জবাব রাজপথে দেয়া হবে।

বক্তাবলীর মধ্যনগরে অনৈতিক কার্যকলাপের সময় মসজিদের ইমাম আটক!!

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর মধ্যনগর গ্রামে মসজিদের ইমামকে অনৈতিক কাজ করা কালীন সময়ে হাতে নাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ কতিপয় সদস্য আইনের হাতে না দিয়ে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১ টায় মধ্যনগর গ্রামে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,মধ্যনগর শুকর আলী বাড়ী জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ইউসুফের সাথে মধ্যনগর গ্রামের আকবরের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (ছদ্মনাম) অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। ঘটনার দিন রাতে মসজিদের পাশের বাড়িতে একটি রুমে অনৈতিক কার্যকলাপ করাকালীন সময়ে এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে ফেলে।

এলাকার সাবেক মেম্বার ফজল হক শিকদার,নিজামউদ্দিন মাদবর, শরীফ, মোক্তার,গোলজার,হালিমসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শালিশ ডাকে, মসজিদ কমিটির সভাপতি আকরাম,সদস্য আসাদ মিজি,মাসুদ পাগলা,মাসেদ মোটা অংকের টাকা খেয়ে ইমাম ইউসুফকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।

এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি আকিলউদ্দিন মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ঘটনা রাতে ঘটেছে আমি সকালে বাজারে গিয়ে শুনেছি।

ফতুল্লায় ৭০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক।

ফতুল্লায় ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা সহ আজিজুল হক নামে এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ফতুল্লার মুন্সীখোলা  চেক পোষ্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়,ধৃত আজিজুল সিএনজি করে ঢাকা যাওয়ার পথে মুন্সীখোলা চেক পোষ্টের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সন্দেহ হলে সিএনজি থামিয়ে আজিজুলের  ব্যাগ চেক করলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি উপরোস্ত কর্মকর্তাদের জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো:মনির হোসেন ও ফতুল্লা থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্ত ইয়াবা গুনে সাংবাদিকদের জানান আটককৃতর কাছ থেকে ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা পাওয়া গেছে। পরে আটককৃত আজিজুল সহ ৭০ হাজার পিছ ইয়াবা ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করা হয়। আজিজুল টেকনাফের লেংগুর বিল এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।

অবশেষে জানা গেল বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার স্থাপনের গোপন রহস্য!

অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক’সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার বলে আখ্যায়িত করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এর মাধ্যমে বৃটিশরা আসলে এদেশের সব গোপন তথ্য চুরি করে নিয়ে যায়।তবে আসল ঘটনা হচ্ছে- এদেশে বৃটিশদের শাষনের সময়কালে সীমানা পিলারগুলো ফ্রিকুয়েন্সি অনুযায়ী একটি থেকে আরেকটির দুরত্ব মেপে মাটির নীচে পুতে রাখা হয়েছিলো। যেগুলোর মধ্যে পিতল, তামা, লোহা, টাইটেনিয়ামসহ ধাতব চুম্বকসমন্বয়ে গঠিত হওয়ার কারনে বজ্রপাত হবার সময়ে ইলেকট্রিক চার্য তৈরী হয় সেটি সরাসরি এই পিলারগুলো শোষন করে আর্থিং এর কাজ করতো। এতে করে বজ্রপাত হতো কিন্তু মানুষ মারা যেতোনা। অসাধু কিছু লোক এই পিলারগুলো অনেক দামে বিক্রি করা যায় এরকম গুজব ছড়ায়। এ কারনে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পিলারগুলো নিষ্চিন্ন হয়ে গেছে। কিছু লোক এগুলোকে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচার করে খুজে বের করে চুরি করে নিয়ে গেছে।সীমান্ত পিলারগুলোর মধ্যে থাকা তামা পিতল, টাইটেনিয়াম জাতীয় ধাতবের সমন্বয়ে তৈরী বলে এগুলো বিদ্যুৎ সুপরিবাহি হয়ওয়াতে একে মহামুল্যবান বলে অপপ্রচারের ফলে এসব পিলার চুরি হতে থাকে।বৃটিশ শাষন আমলে বজ্রপাত থেকে বাঁচার জন্য এই প্রযুক্তির পিলার গুলো সারা দেশ জুড়ে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট দুরত্ব পর পর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে মেপে। এখন যেমন মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর সময় একটা থেকে আরেকটার দুরত্ব আর ফ্রিকুয়েন্সি মেপে ম্যাপ করে বসানো হয় । আগেকার আমলে বজ্রপাতে নিহত হবার সংখ্যা ছিল অনেক কম যেটি এখন এতটা বেড়ে গেছে যে, মানুষ রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গেছে । এখন সবাই বুঝতে পারছে কেন বৃটিশ আমলে এগুলো মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো।বজ্রপাতে মৃত্যু রোধকল্পে সরকারকে বৃটিশদের মতো করে পিলার স্থাপনের উদ্দোগ আবার গ্রহণ করা উচিৎ বলেও মতামত দিচ্ছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ফতুল্লায় টায়ার ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে এশিয়ান কক্স প্রাইভেট লিমিটেড টায়ার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ইস্ট এশিয়ান কক্স নামে ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় সোয়া দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের মন্ডলপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিট ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।ঢাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মামুন মাহমুদ জানান, আমাদের সাতটি ইউনিট চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।  যেহেতু এটি টায়ারের রবার ফ্যাক্টরি এখানে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল আছে, তারপরও আমরা চারদিক থেকে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি এখন ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছে।

তিনি আরো জানান, আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা যাচ্ছে না। তবে কোন হতাহতের কোন বিষয় পাওয়া যায়নি।

কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদুর রহমান জানান, এখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে আমরা ধারণা করছি। এটি বাংলাদেশের প্রথম টায়ার কারখানা, এখানে অগ্নিকাণ্ডে আমাদের অনেক মেশিনারিজ ও কেমিক্যালসহ বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করতে পারিনি।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ মো. মঞ্জুর কাদের আগুনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বক্তাবলীর আকবরনগরের দুর্ধর্ষ রহিম হাজীর অজানা কাহিনী!

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আকবর নগর গ্রামের সামেদ আলী হাজ্বীর প্রধান প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী ও চাদাঁবাজ রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও একাধিক মামলা থাকা সত্বেও সব সময় রয়ে গেছে পুলিশী ধরা ছোয়াঁর বাইরে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত রহিম হাজ্বীর উত্থান নিয়ে আজকের প্রতিবেদন।

কে এই রহিম হাজ্বী :
বক্তাবলীর আকবরনগর গ্রামের মৃত লতু খাঁর ৫ পুত্রের মধ্যে ৪র্থ রহিম খাঁ ওরফে হাজ্বী রহিম,লতু খাঁর অপর পুত্ররা হলেন লালু খাঁ,মৃত নুরুল ইসলাম,ফুলু মাদবর ও সুরুজ খা।

রহিম হাজ্বীর উত্থান যে ভাবে :
এক সময়ের কাচাঁ সবজী বিক্রেতা ও ইটভাটার লেবার হতে অন্যের জমি জমা দখল করে রাতারাতি কয়েকটি ইটভাটা, একাধিক বাড়ি ও জমিজমার মালিক বনে যান। ফতুল্লার কোতালেরবাগে বহুতল ভবন, গ্রামের বাড়িতে ভবন ও ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান মাত্র ১৮/২০ বছরের ব্যবধানে।

রহিম হাজ্বীর সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য যারা :
সুচতুর রহিম হাজ্বী তার ৩ ছেলে মামুন, মিলন ও রিপনকে শহরে রাখলেও তার আপন ভাতিজা নবী হোসেন ও তার মেয়ে কাকলীর স্বামী কবির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছে। এ বাহিনীর সদস্যরা হলেন, কাদির, নজরুল, সানি, মান্না, সুরজা, সেরাজল, রিয়াজল, মজিবর, গফুঁর, রশিদ, হাসান উল্লেখযোগ্য। এ বাহিনীর মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজি, জমিজমা দখল সহ নানান অপকর্ম করিয়ে থাকে রহিম হাজ্বী।

রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে যত মামলা :
রহিম হাজ্বীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজি, লুটপাট, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানান অভিযোগে সিরাজ দিখান ও ফতুল্লা মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে যার কিছু তুলে ধরা হলো। জালাল মিয়া বাদী হয়ে গত ২০১৮ সালের ৮ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩১ ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৫৪/৩৮৫/১১৪/৫০৬ দঃবিঃ। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই রাজিব বাদী হয়ে আরো একটি মামলা করেন মামলা নং-৪০ ধারাঃ ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ দঃবিঃ। ২০১৮ সালের ৯ আগষ্টের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাসিমা বেগম বাদী হয়ে মামলা নং-৫০ তারিখ ১২/৮/১৮ইং ধারাঃ ১৪৭/৪৪৮/২২৩/২২৪/২২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪৪৬/৪২৭/৫০৬/১১৪ দঃবিঃ
এছাড়াও সেলিনা বেগম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

রহিম হাজ্বীর রাজনৈতিক পরিচয় :
রহিম হাজ্বী ও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী ও সামেদ আলীর অনুসারীরা। গত বিএনপির সময়ে রহিম হাজ্বী বাহিনী বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সামেদ আলী পরিবার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, হামলাসহ নানান ভাবে হয়রানি করেছিল।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য :
বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সুমন আকবরের কাছে মুঠোঁফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, রহিম হাজ্বী বিএনপি করে কিনা লিষ্টে নাম আছে কিনা? বলতে পারবোনা।
সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলী মন্জু বলেন, রহিম হাজ্বীর বিএনপির কোন পদ পদবী নাই। তারা কোন দলের সমর্থক হতে পারে সেটা তাদের মনের ব্যাপার।

রহিম হাজ্বী যা বললেন :
এ ব্যাপারে রহিম হাজ্বীর মুঠোঁফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কারোর কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই নাই এবং কেউ আমার কাছে কোন টাকা-পয়সা পাবে না।

 

বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগরের লম্পট নবী হোসেন গ্রেফতার

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে স্ত্রী-সন্তান রেখে আপন বড় ভায়রার মেয়েকে (১৪) নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ভায়রা নবী হোসেন (৩২) কে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার ভোরে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ পাকাপুল এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার নবী হোসেন ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে।

গ্রেফতারের পর আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে কেন পালিয়েছেন জানতে চাইলে নবী হোসেন পুলিশকে বলেন, পালিয়েছি তো কী হয়েছে। ভায়রার মেয়েকে বিয়ে করা জায়েজ আছে।

একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান ও এক ছেলেসন্তান এবং স্ত্রী রেখে ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকাসহ বিভিন্ন মহল থেকে নবীকে ধিক্কার জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, ফতুল্লার বক্তাবলীর পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাদল মুদির ছেলে নবী হোসেন একই এলাকায় বিয়ে করে। তার এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। নবী হোসেনের আপন ভায়রার মেয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসলে নবী হোসেনের নজরে পড়ে।

একপর্যায়ে ভায়রার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেয় নবী। এতে সে রাজি হয়নি। এরপর স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত নবী। গত বছরের ২ অক্টোবর রাতে ভায়রার মেয়ে বান্ধবীর বাড়িতে যাওয়ার পথে নবী হোসেন ও তার লোকজন অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নবী হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবী হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়।

এছাড়া নবী হোসেনের স্ত্রী আদালতে মামলা করেন। দুই মামলায় নবীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সোমবার ভোরে নবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাফিউল আলম বলেন, স্ত্রী-সন্তান ফেলে আপন ভায়রার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। ভায়রার মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে নবী হোসেন।

জয়ের হস্তক্ষেপে কমছে সর্বনিম্ন কলরেট

যেকোনো অপারেটরে অফনেট বা অননেট তুলে দিয়ে কলরেট প্রতি মিনিট সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা করা হচ্ছে। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত সপ্তাহে এক বৈঠকে অভিন্ন কলরেট মিনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পরে আবার বৈঠকের কার্যবিবরণীতে এই রেট ৪৫ পয়সা উল্লেখ করা হয়।তাছাড়া সর্বোচ্চ রেট প্রতি মিনিটের জন্যে এক টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণের আলোচনা হলেও সেটি আগের মতোই দুই টাকা রয়ে গেছে।ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চলতি সপ্তাহেই অপারেটরদেরকে চিঠি দিয়ে নতুন হার কার্যকরের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট দপ্তর।বর্তমানে একই অপারেটরে কথা বলা বা অননেটের সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে ২৫ পয়সা এবং অফনেট বা অন্য অপারেটরে কথা বলার জন্যে সর্বনিম্ন ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিন্ন কলরেট নির্ধারণের ফলে গ্রাহক স্বস্তি পাবে।