১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 143

সিদ্ধিরগঞ্জে বন্দুক যুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ি নিহত

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব ১টি বিদেশী পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার পিছ ইয়াবা এবং ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীস্থ র‌্যাব-১১ হেড কোয়ার্টারের সিনিঃ এএসপি মো: আলেপ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি চট্টগ্রামের কক্সবাজার থেকে মাদকের একটি চালান ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের শিমরাইল হয়ে ঢাকায় যাবে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মঙ্গলবার রাত থেকে শিমরাইল মোড়ে চেকপোষ্ট বসাই। পরে ভোরের দিকে মাদক বহনকারী ওই ট্রাকটি যখন শিমরাইল মোড়ে আসে তখন আমরা থামার জন্য সংকেত দেই। এসময় ট্রাকটি আমাদের সংকেত অমান্য করে চলে যেতে থাকে। পরে সামনেই আমাদের আরেকটি টহল টিমকে বিষয়টি জানালে তারা আবার ট্রাকটিকে থামাতে সংকেত দেয়। এসময় ট্রাকটি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে রেখে ট্রাকটিতে থাকা তিন জন মাদক ব্যবসায়ি সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদি এলাকায় দিকে পালিয়ে যেতে থাকে। এসময় র‌্যাব তাদের আটকের জন্য পিছু নিলে তারা র‌্যাব কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র‌্যাবও এসময় পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে করে একজন মাদক ব্যবসায়ি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনালে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই মাদক ব্যাবসায়ির সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। নিহত ওই মাদক ব্যবসায়ির নাম এমডি রাজমহল রিপন ওরফে মো: রিকন। সে মেহেরপুর জেলার সদর মেহেরপুর থানার কাশারিপাড়া গ্রামের মো: নিজাম উদ্দিন ওরফে তুফানের ছেলে। র‌্যাব জানায় এসময় তার সাথে থাকা অন্য দুজন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় র‌্যাবের তিন সদস্যও আহত হয়। আহতরা হলো পরিদর্শক রবিউল, ডিএডি আজিজ, এসআই নির্মল। এসময় র‌্যাব ঘটনস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ৭০০ পিছ ইয়াবা এবং ২লাখ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

বক্তাবলীতে সাংবাদিক কালামের বাড়ীতে মাদক সন্ত্রাসীদের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ প্রতিদিন ডটনেট’র’ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের উপর মাদক সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তবে সন্ত্রাসীদের হামলার সময় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ বাড়িতে ছিল না। এ ঘটনায় ফতুল্লা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

রিকশা থেকে ট্যাক্স পাচ্ছে না ফতুল্লা ইউপি-ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন বলেছেন, ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত রিকশা থেকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ বছরে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সোমবার বিকেলে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৮-২০১৯ইং অর্থ বছরের খসড়া বাজেট ঘোষনা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের প্রশের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই ট্যাক্স আদায়ে ইতোমধ্যে এ নিয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।

বাজেট অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি রনজিৎ মোদক, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিম, সহ-সভাপতি এড. সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমীন প্রধান, ফতুল্লা থানা প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব শেখ মো: সেলিম,আনিসুজ্জামান অনু, সহিদুল ইসলাম সহিদ। এসময় তিনি চার কোটি ২২ হাজার ৪৭ টাকার বাজের ঘোষণা করেন।

৫০ জনের নিয়ন্ত্রণে বক্তাবলীর মাদক ব্যবসা

ডেস্ক নিউজঃ মাদকের কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি। দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী, কিশোর, যুবক সহ সর্বপেশার মানুষ। মাদক বিক্রেতাদের নির্মূল করার কথা যে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদেরই কিছু অপদার্থ পুলিশ মাদক বিক্রেতাদের সোর্স বানিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করাসহ ব্যাপক হারে মাদক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বক্তাবলী মাদক নির্মূল কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার আত্মীয় স্বজনরা মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে মাসোহারা নিয়ে মাদক বিক্রি করতে সহযোগিতা করছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বক্তাবলীতে মাদক বিক্রেতারা এতই সুসংগঠিত যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কথা বিবেচনা করে মাদক নির্মূলে কঠোর ভুমিকা নেয়া হতে বিরত থাকেন। কেননা মাদক বিক্রেতারা প্রভাবশালী ও প্রতিজনের বংশে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভোট। এ জন্য তারা মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ব্যবস্থা নেয়া হতে নীরব ভুমিকা পালন করে থাকে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে পুরো বক্তাবলী ৫০ জন মাদক সম্রাট ও প্রায় শতাধিক সহযোগীর নিয়ন্ত্রনে ইয়াবা, গাজা, ফেন্সিডিল কেনা বেচা চলে প্রতিদিন। মাদক বিক্রেতাদের উৎপাতে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হলেও পুলিশের সহযোগিতায় মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে কতিপয় মাদক বিক্রেতারা।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ৫০ মাদক বিক্রেতার গডফাদার হচ্ছে রামনগর গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র রহিম বাদশা। যিনি কয়েক মাস আগে পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছিল মাদক বিক্রি করবেনা। পুলিশের হাত থেকে হয়রানি যেন না হয় সেজন্য সরকারী দলের একজন অঙ্গ সংগঠনের নেতা দিয়ে নাটক সাজিয়ে ছিল। রহিম বাদশা ডিলার বক্তাবলীর মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত। আর  এই মাদক সম্রাটের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত মধ্যনগরের মৃত সেকান্দারের পুত্র হালিম।

এর পরই রয়েছে একই এলাকার মৃত মিন্নত আলীর পুত্র হবুল,শরীয়ত উল্লাহ পুত্র জাকির হোসেন,মৃত লাল চানের পুত্র মোঃ হোসেন, মেন্দা জাকিরের পুত্র ওসমান, সাহাবুদ্দিনের পুত্র বাদশা,আব্দুল আওয়ালের পুত্র জসিম উদ্দিন, আছমতের পুত্র কানা আজিজ, কছিমুদ্দিন কইচ্ছা,লক্ষীনগর গ্রামের মৃত জমশের আলীর পুত্র আছান মিয়া, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন, মৃত ফজল সরদারের পুত্র তৌহিদুল, বাচ্চুর পুত্র রবিউল ও রাসেল, নুরা মিয়া ফকিরের পুত্র মরা মুক্তার,কলিমউল্লাহ’র পুত্র রুবেল, হযরত আলীর পুত্র আলমগীর, আতাউল্লাহর পুত্র ইব্রাহীম, জমশেরের পুত্র মানিক, মুসলিম মিয়ার পুত্র আনোয়ার হোসেন,কানাইনগর গ্রামের হাবিজউদ্দিনের পুত্র শরীফ, একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র দাদন ওরফে ডিলার দাদন, গংঙ্গানগর গ্রামের রহম আলীর পুত্র হানিফা, একই গ্রামের লালু কসাইয়ের পুত্র স্বপন, শাহজাহানের পুত্র মনির হোসেন,রাজাপুর গ্রামের মালেকের পুত্র অলি, একই এলাকার আহম্মেদের পুত্র মতিন, শাহজাহানের পুত্র ছালাউদ্দিন ছালু,হজিবলের পুত্র শফিক, চর প্রসন্ননগর গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র রতন, প্রসন্ননগর গ্রামের জয়নাল ফকিরের পুত্র হোসেন ( রহিম বাদশার সহযোগী), মিজান,গোপালনগর গ্রামের মৃত ইলিয়াছের পুত্র মাউচ্ছা জাকির, একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী সেলিনা, ফজলুল হকের পুত্র সাদ্দাম, মৃত চান মিয়ার পুত্র আব্বাস, মধ্যনগর গ্রামের মৃত করিম মালের পুত্র শহীদ,মৃত মজিবরের পুত্র রফিকুল, চর বয়রাগাদী গ্রামে মৃত মোহর আলীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন, মৃত দুখাই মিয়ার পুত্র শহীদ, মধ্যনগর গ্রামের মানিক কসাইয়ের পুত্র আমান ও জামান, মৃত: সেকান্দরের পুত্র হালিম, চর প্রসন্ননগরের মনসুর আলীর পুত্র সফিক, কানাই নগর পশ্চিম এলাকার জামাল, চর বয়রাগাদী এলাকার মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মনজুর, প্রসন্ন নগর গ্রামের আমিন উদ্দিনের পুত্র আব্দুল ও ছমিরনগর গ্রামের বাদশা উল্লেখ যোগ্য। এদের মধ্যে মতিন ও রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলামের সোর্স হিসেবে কাজ করে। তাজুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে রাসেল ও মতিন ইয়াবার ডিলার হলেও তাজুলের শেল্টার পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক ব্যবসার পাশাপাশি নিরীহ লোকদের হয়রানি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ধরাকে সরাজ্ঞান করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা আইন শৃংখলার মাসিক সভায় বহুবার বলেছি। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা তা বোধগম্য নয়। আমি নিজে মাদকের বিরুদ্ধে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। এক সময় বক্তাবলী মেধাশূন্য হয়ে পড়বে মাদকের কারনে। ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই তাজুল ইসলাম জাগো নারায়নগঞ্জ২৪.কমকে বলেন, আমি খারাপ লোকের সাথে মিশিনা। ওরা কাউকে হয়রানি করেছে এমন প্রমান থানায় দিতে পারলে ব্যবস্থা নিব। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক- অঞ্চল) মোঃ শরফুদ্দীন বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্সে। আমরা রুটিন মাফিক বক্তাবলীতে অভিযান চালাবো। দেশ উন্নত হচ্ছে যুব সমাজ মাদক সেবন করে ঝিমুবে তা হতে পারেনা।

বক্তাবলির কানাই নগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কোচিং বানিজ্য তুঙ্গে

কানাই নগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিজেদে কোচিংয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র তুলে দিয়ে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মেধাহীন করার পাশাপাশি তাদের অনিয়ম দুর্নীতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।তাছাড়া ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ক্লাসে ঠিকমত না পড়িয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোচিংমুখী করার অপচেষ্টা ও চলছে দীর্ঘদিন ধরে।এতে শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে আর এ মান সম্পন্ন শিক্ষা বিনষ্টের জন্য কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোচিং ব্যবসাকে দায়ী করছে সচেতন এলাকাবাসী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায় বক্তাবলি এলাকার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ কানাইনগর ছোবহসনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে চালিয়ে আসছেন কোচিং ব্যবসা।আর এ ব্যবসার কারনেই ওইসব শিক্ষক শ্রেনীকক্ষে ঠিকমত পাঠদান না করে শিক্ষার্থীদের কোচিংমুখী করতে বাধ্য করছেন বলে ও অভিযোগ রয়েছে।সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা অনায়াসে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মান সম্পন্ন শিক্ষা ব্যহত করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারনে নীরব।এর কারন হিসেবে একটি সুত্র বলেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক উধর্বতনদের ম্যানেজ করেই এ কোচিং ব্যবসা চালানো হচ্ছে।
এইজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ ওইসব শিক্ষকদের নানান সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন বলে জনশুতি রয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টি লক্ষনীয় সেটি হচ্ছে যিনি যে বিষয়ের শিক্ষক নন তিনি নিজেকপ ওই বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে জাহির করে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের প্রভাবিত করেন।এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানা যায় বানিজ্য বিভাগের শিক্ষক প্রধান শিক্ষক আমজাদ এর উকিল জামাই হওয়ার কারনে নুরুল ইসলাম অষ্টম শেনীর মত গুরুত্বপুর্ন ক্লাসে ইংরেজী বিষয়ে পড়ান, এ সুযোগে নুরুল ইসলাম ছাত্রছাত্রীদের ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিজের ব্যাচে কোচিং করতে বাধ্য করান। সপ্তাহে তিন দিন প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে প্রতিদিন তিন,চার ব্যাচ পড়িয়ে থাকেন,রাষ্টবিজ্ঞানের শিক্ষক মোশারফ হোসেন ও ৫০/৬০ জন করে প্রতিব্যাচে সপ্তাহে তিন দিন তিন,চারটি ব্যাচ পড়িয়ে থাকেন, বিদ্যালয়ের গনিত শিক্ষক আব্দুল মান্নান খান প্রতিব্যাচে ৪০, ৫০ জন করে প্রতিদিন তিন ব্যাচে কোচিং করান,বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক জহির উদ্দিন বারী রতন বাংলা শিক্ষক হয়ে অনুরাপভাবে সকল বিষয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন।এ ছাড়া আব্দুল খালেক ও প্রাইভেট পড়িয়ে থাকেন। বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ৯ ম শ্রেনীর ১৭ জন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাচে পড়ান।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বিদ্যালয়টিতে সকালে একটি কিন্টারগার্টেন শাখা রয়েছে এলাকার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের উচ্চে খরচে এই কিন্টারগার্টেন এ ভর্তি করান, এ ছেলে মেয়েদের প্রাইভেটের পাশাপাশি ৫ ম শ্রেনীর শিক্ঢার্থীদের কোচিং বাধ্যতামুলক এ কোচিং বানিজ্যের সাথে জড়িত বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন ইন্টারমিডিয়েট পাশ শিক্ষক মজিবুর রহমান তিনি কিন্টারগার্টেনের ও শিক্ষক।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোচিং ব্যবসার সাফল্য দেখে অষ্টম শ্রেনীর সকল শিক্ঢার্থীদের মাসিক ৬০০ টাকা জনপ্রতি আদায় পুর্বক কোচিং বাধ্যতামুলক করেছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন বলেন আমরা কোচিং নয় সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ ক্লাস করছি,ফি কত জানতে চাইলে তিনি জানান মফস্বলে প্রতি বিষয় একশত পঞ্চাশ টাকা জেলা শহরে দুই থেকে আড়াইশত টাকা।

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম,দুর্নীতি, কোচিং বানিজ্য , অব্যবস্থাপনা অযোগ্য, দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন,সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল গতকাল সকাল ১০ টায় কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাচ ৯৭ এর উদ্দ্যেগে কানাইনগর স্মৃতি স্তম্ভে অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় গত কালের মানববন্ধন, আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধন জনস্রোতে রাপ নেয়।
মানববন্ধন ও সমাবেশে আলোকিত বক্তাবলির সাধারন সম্পাদক আব্দুল আজিজের পরিচালনায়, সভাপতিত্ব করেন ফ্যান পেইজ মিলন মেলা ১৯৯৭ এডমিন আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ইকবাল মাহমুদ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সদ্যস্য মোঃ শহীদ উল্লাহ,দৈনিক ইনকিলাবের সহকারি সম্পাদক জামাল উদ্দিন বারী,বক্তাবলি ইউনিয়ন মাদক বিরোধী আন্দোলনের নেতা আনোয়ার হোসেন,মতিউর রহমান ফকির,ছাত্র নেতা মাশফিকুর রহমান শিশির,ব্যাচ ৯৭ আহমেদ আলী,নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের প্রকাশক,সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,ছাত্র নেতা ইফতেখারুজ্জামান রাজু,বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের সদ্যস্য রাসেল চৌধুরী সহ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্ধ,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্ধ সহ কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।
সকালে ব্যানার ফেষ্টুনসহ ৯৭ ব্যাচের কর্মসুচীতে একাত্নতা প্রকাশ করে সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলি,বক্তাবলি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট,দিগন্ত সামাজিক সংগঠন,মধ্যনগর আলহেরা ছাত্রকল্যান তহবিল,ছমিরনগর যুবসংঘ,কানাইনগর গ্রাম পঞ্চায়েত,রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত,কানাইনগর প্রগতি ক্লাব,বক্তাবলি মাদক নির্মুল কমিটি,গোপালনগর উদয়ন সংসদ।
৯৭ ব্যাচ সুত্রে জানা যায়, দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ,বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নিয়মিত নির্বাচন, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে আদায়কৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান,শিক্ষকদের কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য, নোট গাইড বই ব্যবসা বন্ধ,যোগ্য, দক্ষ,অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা বিষয় ভিত্তিক পাঠদান নিশ্চিত করন,গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার,কমন রুম নামাজের স্থান, নিয়মিত ক্রীড়া সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবিতে লাগাতার কর্মসুচী পালন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বক্তাবলি পরগনার একমাত্র ঐতিয্যবাহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেনের সীমাহীন লুটপাটের কারনে বিদ্যালয়টি তহবিল শুন্য হয়ে পড়েছে,শিক্ষকদের কোচিং,প্রাইভেট বানিজ্যের কারনে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।বক্তারা দু্র্নীতির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দেন।অন্যথায় আগামী ১৬ মে বুধবারের আলোচনা সভা থেকে লাগাতার কর্মসুচী পালন করা হবে।
মানববন্ধন ও আলোচনা সভাশেষে বিক্ষোভ মিছিল সহ শত শত এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ব করে রাখে।
এ ব্যাপার বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন বক্তাবলি ইউনিয়নের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর সু শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল ন্যায্য ও ন্যায় সংগত দাবীর প্রতি সব সময় আমার সমর্থন থাকবে।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদউল্লাহ,মামুন,দেলোয়ার,সোহরাব,মোজাম্মেল,দিদার হোসেন,সাইদুর,সাফায়েত উল্লাহ,মোতালেব, আনোয়ার,রিপন প্র মুখ।

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানব বন্দন

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অনিয়ম,দুর্নীতি, কোচিং বানিজ্য , অব্যবস্থাপনা অযোগ্য প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার সকাল ১০ টায় কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যাচ ৯৭ এর উদ্দ্যেগে কানাইনগর স্মৃতি স্তম্ভে অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন,বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
৯৭ ব্যাচ সুত্রে জানা যায়, দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ,বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নিয়মিত নির্বাচন, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে আদায়কৃত টাকার যথাযথ ব্যবহার, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মান,শিক্ষকদের কোচিং, প্রাইভেট বানিজ্য, নোট গাইড বই ব্যবসা বন্ধ,যোগ্য, দক্ষ,অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা বিষয় ভিত্তিক পাঠদান নিশ্চিত করন,গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার,কমন রুম নামাজের স্থান, নিয়মিত ক্রীড়া সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতা আয়োজনের দাবিতে আগামীকালকের মানববন্ধন ও সমাবেশ।
এ ব্যাপার বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন বক্তাবলি ইউনিয়নের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর সু শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল ন্যায্য ও ন্যায় সংগত দাবীর প্রতি সব সময় সমর্থন থাকবে।
৯৭ ব্যাচের ছাত্র ইকবাল মাহমুদ মেম্বার বলেন আমাদের আগামী সন্তানদের সু শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমাদের মানববন্ধন ও সমাবেশ সফল করবেন।
৯৭ ব্যাচের অপর ছাত্র আহমেদ আলী বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানউন্নয় ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এ অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
এ দিকে মানববন্ধন সমাবেশ সফল করতে ৯৭ ব্যাচের বন্ধুরা গতকাল বিকালে লক্ষীনগরে আলোচনা সভা শেষে এলাকার বিভিন্ন গ্রামে লিফলেট বিতরন করে।

না’গঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এক বছরের জন্য আজিজুর রহমান আজিজকে সভাপতি ও আশরাফুল ইসলাম রাফেলকে সাধারন সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগ ও হাবিবুর রহমান রিয়াদকে সভাপতি এবং হাসনাত রহমান বিন্দুকে সাধারন সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির অনুমোদন দিয়েছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমান্ড।

গত ২৯ এপ্রিল ছাত্রলগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের স্বাক্ষর সম্বলিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে এই কমিটির বিয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান এবং জেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি সাফায়েত আলম সানি নতুন নেতৃবৃন্দকে ফেসবুকের মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।

এ আই টেকনিশিয়ান দের প্রধানমন্ত্রী নিকট স্মারকলিপি প্রদান

সারা দেশের মাঠপর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে কর্মরত এ আই টেকনিশিয়ানরা স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসুচি পালন ও একই সাথে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। রবিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা করে। পরে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এ আই টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতির ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

এ আই টেকনিশিয়ানরা মূলত স্বেচ্ছাসেবী হিসবে নিযুক্ত হয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের গবাদিপশুর উন্নয়ন ঘটানো। ২০১০ সালে টেকনিশিয়ানদের স্থায়ী নিয়োগ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরে তা থমকে যায়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই পদটির নাম ছিল স্বচ্ছাসেবী এবং ২০১৬ সালে মাসিক ৫০০ টাকা ভাতা প্রদান শুরু হয়।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এ আই টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আজাদ হোসেন বলেন, আমরা চার দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। গত ২০ বছর ধরে অনেকে বিনা বেতনে কাজ করে আসছে। এখন আমরা চাই আমাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হোক। মানবেতর জীবনযাপন থেকে আমরা মুক্তি চাই।

মো. আজাদ হোসেন আরও বলেন, আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজির সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের একটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন, আমরাও আমাদের প্রস্তাব দিয়েছি।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এ আই টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতির চারদফা দাবি হলো স্থায়ী নিয়োগ, মাঠ পর্যায়ে সরকারি বিধিমালাবহির্ভূত কৃত্রিম প্রজননের কাজে কর্মরতদের নিয়ন্ত্রণ, কৃত্রিম প্রজনন কমিটিতে সমিতির প্রতিনিধি রাখা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতি ইউনিয়নে একজন টেকনিশিয়ানের বেশি না রাখা।

কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে

শিক্ষকদের অনিয়ম,দুর্নীতি, গুুপিং,কোচিং বানিজ্য,শ্রেনি কক্ষে অনিয়মিত পাঠদানের কারনে ঐতিহ্যবাহী কানাইনগর ছোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী অভিভাবকরা। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে খারাপ সময় অতিক্রম করছে বিদ্যালয়টি। ২০১৭ সালে জেএসসি পরীক্ষায় ২২০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে মাত্র একজন ছাত্রী এ প্লাস পায়। সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ও ছিলো নিদারুন হতাশা ব্যাঞ্জক।এক শত ৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় আংশ গ্রহন করে কেউ জিপি এ পাঁচ পায়নি কেউ,যেখানে সারা দেশে শিক্ষার মান উচ্চ পাশের হারের কারনে এ প্লাসের ছড়াছড়ি সেখানে কোন শিক্ষার্থী এ প্লাস না পাওয়াকে শিক্ষকদের গাফিলতি,ক্লাস ফাকি, কোচিং বানিজ্য,দায়িত্বে অবহেলাই প্রধান কারন বলে মনে করছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকরাই প্রধান শিক্ষকের কোন নির্দেশ মানেন না। যার প্রায় সকল সিনিয়র শিক্ষকরাই সময়মত বিদ্যালয় আসেন না,আবার সময়ের আগেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।যারা সময় মত আসেন তারা সকলেই নিজের কোচিং কিংবা প্রাইভেট বানিজ্যের জন্য আসেন। শিক্ষকদের চেইন অব কমান্ড এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে প্রধান শিক্ষক অন্য সহকারী শিক্ষকদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছেন। লাঞ্চিতকারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্বে তার ছাত্রী কে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াসহ ছাত্রীদের উত্যেক্ত করার অভিযোগ ও রয়েছে। প্রধান শিক্ষক এতটাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত বছরের পর বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও নির্মানের জন্য অর্থ আদায় করলে ও একটি পয়সার উন্নয়ন হয়নি বিদ্যালয়ের। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেনী কক্ষের জানালা ভেঙ্গে ৬ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছে।বিদ্যায়টির জরাজীর্ন অবস্থা ফুটে উঠেছে ছাদ ও দেওয়ালের আস্তর পলেস্তার খসে পড়ে। গত মঙ্গলবার জানালা ভেঙ্গে ছাত্রী আহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।