১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 157

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি’র বিক্ষোভ

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্টের দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়ের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জুম্মার নামাজ শেষে সিদ্ধিরগঞ্জে জেলা বিএনপির  অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি এতে নেতৃত্ব দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ব্যারিষ্টার পারভেজ আহম্মেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আশরাফুল হক রিপন, সোনারগাঁ পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ন কবির রফিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, বিএনপি নেতা রিয়াজুল ইসলাম, আহাদ, গোলজার হোসেন, শহীদউল্লাহ, জাহাঙ্গীর আক্তার, রাসেল, ছাত্রদল নেতা ইমন , রাব্বী প্রমূখ ।
বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আপোষহীন নেত্রী। তিনি তিন বার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম মহান স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বেগম খালেদা জিয়ার অসামান্য অবদান রয়েছে। সেই নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও জাল-জালিয়াতি করে সৃজন করা মামলায় বর্তমান অবৈধ দখলদার সরকার সাজা দিয়ে গণতন্ত্রকে চিরতরে নির্বাসনে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে নেমেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার রায় এদেশের ষোল কোটি মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। সরকারী বাহিনীর সীমাহীন নিপীড়ণ সত্বেও এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। বেগম জিয়ার মুক্তির সাথে বাংলাদেশের অপহৃত গণতন্ত্র উদ্ধারের সম্পর্ক জড়িত বলে নেতারা বলেন।

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করায় সাঈদ দেলোয়ারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির চেয়ারপার্সন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক সাঈদ দেলোয়ার। সংগঠনটির বক্তাবলী শাখার সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক সাঈদ দেলোয়ার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বর্তমান এই সরকার অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেনা, বাংলার জনগণ তা প্রতিহত করবেই। জনসমর্থন হীন অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। এক নায়েকতন্ত্র কায়েম করার জন্য একের পর এক আওয়ামী পুলিশ দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বি এন পির উপর স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে যা একটি গণতান্ত্রিক দেশে কাম্য নয়।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কে কারারুদ্ধ করে দেশের জনগণ কে থামিয়ে রাখা যাবেনা।অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকারের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে যে সমস্ত নেতাকর্মী কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে সকলের নিঃশর্তে মুক্তি দাবি করছি।

বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা’ সাজা প্রদান করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টা ব্যর্থ করে দেবে বাংলার জনগণ। দেশে এখন বিএনপি অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় শক্তিশালী, গতিশীল ও সুশৃংখল। এজন্য বিনাভোটে নির্বাচিত জনসমর্থনহীন বর্তমান সরকার এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করা হয়েছে।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বক্তাবলী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সাজা থেকে অব্যাহতি ও মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

বই মেলায় বাপ্পি সাহার দুই বই

ডেস্ক নিউজঃ এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে কবি বাপ্পি সাহা’র দু’টি বই। এরমধ্যে একটি বাপ্পি সাহা’র শত কবিতা। বইটি প্রকাশ করেছে পরিবার পাবলিকেশন্স। অন্যটি তার সম্পাদিত কাব্যসংকলন- কবিয়াল। কবিয়ালে লিখেছেন একশ’ ছয় জন কবি। এটি পাওয়া যাবে বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের স্টলে (স্টল নং-১৬) এবং পরিবার পাবলিকেশন্স স্টলনং-১৫৯ এ।

বই দুটোর পাঠকপ্রিয়তা প্রত্যাশা করে করেন কবিয়াল সম্পাদক। বাপ্পি সাহা বলেন, সাহিত্যানুরাগীদের বই দু’টো ভাল লাগবে। আশা করি সকলে সংগ্রহ করে অতৃপ্ত হবেন না।

নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া এ কবি আরো জানান, নারায়ণগঞ্জে যে কবিতার চাষ হয় তা একমলাটে বন্ধি করার চেষ্টা করা হয়েছে। কবিয়াল-এ রয়েছে দেশবরেণ্য কবিদেরও কবিতা।

ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান এর গ্রেফতারে মশিউর রহমান রনি ও শাহ জাহানের তীব্র নিন্দা

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় অবৈধ রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টন তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ-মিছিল করতে গিয়ে মিছিল থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি- রাজিব আহসান গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান রনি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রদল নেতা মোঃ শাহ জাহান আলী। এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি- রাজিব আহসানসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমান সরকারের অপকর্ম ঢাকার জন্যই পুলিশের দ্বারা গ্রেফতার করিয়ে ও তল্লাশী চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত। তাই তারা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে ঢুকিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তবে পুলিশ নেতাকর্মীদের যতই গ্রেফতার করুক না কেন জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিকরা ভীত নয়। তারা যে কোন উপায়ে দলীয় সকল কর্মসূচি সফল করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।

নারায়ণগঞ্জে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত

রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে নারায়নগঞ্জ রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে গন্ধর্বপুর এলাকার মনু মিয়ার ছেলে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সুমন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজে মারা গেছে। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কাঞ্চন এলাকা ও আশপাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫শ’ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। বর্তমানে গোটা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার সকাল ঘটে এ ঘটনা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামীলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের দেওয়া তথ্যমতে, খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএনপি নেতাদের প্রতিহত করতে সকাল থেকেই রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা কাঞ্চন সেতু এলাকায় জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে দফায়-দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ এগিয়ে আসলে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সঙ্গে পুলিশেরও সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, উভয়পক্ষের নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্ণীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কাঞ্চন সেতু এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কে স্থানীয় এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতিক) সমর্থিত নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। অপর দিকে, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থিত নেতাকর্মীরা প্রায় একশ’ গজ দূরে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রায় ঘোষণার সাথে সাথেই নারায়ণগঞ্জ আদালত অঙ্গনে উপস্থিত ফোরাম নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির গেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামন দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পুনরায় আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতির সামনে ফোরাম নেতাকর্মীরা এক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট সামসুজ্জামান খোকা। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির,এডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট আশরাফুল আলম সিরাজী রাসেল, এডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, এডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, এডভোকেট রাসেদুল আলম মানিক, এডভোকেট নুরুল আমিন মাসুম, এডভোকেট মাসুদা বেগম সম্পা, এডভোকেট মোজাম্মেল হক শিপলু, এডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তি, এডভোকেট সুমন মিয়া, এডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, এডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, এডভোকেট হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট লিজা, এডভোকেট আলী হোসেন, এডভোকেট আমেনা বেগম শিল্পী এডভোকেট সায়েম রানা প্রমুখ আইনজীবী ফোরাম নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রের নীল নকশার অংশ হিসেবে আদালত প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদেরকে সাজা প্রদান করেছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক রায় মানি না। বক্তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের নিঃশর্ত অব্যাহতি দাবি করেন। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

কারাগারে খালেদার সঙ্গে থাকবেন ফাতেমা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনকে। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একই সেলে থাকবেন তার ব্যক্তিগত ফাতেমা বেগম (৩৫)।

বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচার আকতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার বাকি পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, আজ গুলশানের বাসা থেকে ফাতেমাকে নিয়ে একই গাড়িতে করে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। রায় পড়ার সময়ও তার সঙ্গেই ছিলেন ফাতেমা। আদালতের রায় পড়া শেষ হলে বিচারকরা কক্ষ ত্যাগ করেন। এর পর খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে, পরিচর্যার জন্য ফাতেমাকে তার সঙ্গে কারাগারে রাখার আবেদন জানান আইনজীবীরা। আবেদনে স্বীকৃতি দিয়ে এ বিষয়ে একটি আবেদনপত্র দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন বিচারক।

আদালতের স্বীকৃতি পেলে, ফাতেমাকে নিয়ে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারের দিকে রওনা দেন খালেদা জিয়া।

শুক্রবার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেগম খালেদা বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

এরপর বেলা পৌনে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর সাথে রায়ের আগের দিন কথা হয়েছে। রায় হওয়ার পর তা নিয়ে শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, চেয়ারপারসনের রায় নিয়ে আমরা শুক্রবার সারাদেশে জেলায়-উপজেলায় বিক্ষোভ করা হবে। কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। এরপরদিন শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।

রায় প্রতিহিংসা মূলক, ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছি: রিজভী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সাজানো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রমানকে দশ বছরের সাজা দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভ আহমেদ এ তীব্র প্রতিবাদ জানান।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই রায় প্রতিহিংসামূলক আমরা ক্ষোভ ও ঘৃণা ভরে এই রায় প্রত্যাখান করছি। শেখ হাসিনার ইচ্ছায় এবং নির্দেশে এ রায় প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও আমরা এটা দেখিনি। কোনো দেশে একজন স্বামীহারা, সন্তানহারা, আরেক সন্তানের মাতৃত্বের স্নেহ বঞ্চিত হয়ে শুধু মানুষের জন্য যিনি কাজ করেছেন। এটি যেন এক দীর্ঘ প্রতিহিংসার ফল। মনের মধ্যে যে বিষ পুষে রেখেছিলেন, তারই বহিঃপ্রকাশ। এ রায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা পূরণের রায়।

একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার জন্যই এ রায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এ রায় বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা গণবিরোধী রায়। একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য এই রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে ন্যায়বিচার হয়নি। শুধু চাকরি রক্ষার্থে এই রায় দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে ১০ বছর দণ্ডিত করে আদালতের রায়

ষড়যন্ত্রমূলক ও হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ জনকে দশ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ অস্থায়ী আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার ৫০ মিনিটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে এসে হাজির হন। বেগম খালেদা জিয়া সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওয়ানা হন।