২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 186

দেশ ও দেশের বাইরের সকল মুসলমানকে ঈদ মোবারক-এম শওকত আলী

সমগ্র মুসলিম জাহানের জন্যে আনন্দের সওগাত নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়। সুস্থ্য দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে সবাই যাতে এই মহানন্দে শরীক হতে পারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। আমীন ॥

ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়- মনির হোসেন

মুসলিম উম্মাহ’র সবচেয়ে বড় এই উৎসবে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নিচু সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে মহানন্দে মেতে উঠার আহবানে, দেশ ও দেশের বাইরে সকল মুসলমানকে জানাই পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ঈদ আনন্দে রঙ্গিন হয়ে উঠুক প্রতিটি হৃদয়।

রূপগঞ্জে বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরাব কবরস্থান রোডের ৪৪৭ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘কুমিল্লা হাউজ টু’ বাসাটিতে বোমা বিস্ফোরণ নয়, গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক (পিপিএম)। শুক্রবার ভোর রাতে বিস্ফোরণে বাসাটির দেয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। এতে দুইজন দগ্ধ হন।

পরে বাসাটিতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে এমন সন্দেহে সকাল ৮টার দিকে ঢাকা থেকে আসা বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশি শেষে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক (পিপিএম) সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।তিনি বলেন, বাসাটিতে কোনো বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার ভোরে বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এরপর ওই বিল্ডিংয়ের এক পাশের দেয়াল ভেঙে পড়ে। এ সময় সেখানে থাকা ইব্রাহীম ও আয়নাল গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বরাব কবরস্থান রোডের ৪৪৭ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওই বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর ওই বাড়িতে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তা নেভায়।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, আবুল খায়ের নামে এক কুয়েত প্রবাসী বেশ কয়েক বছর আগে বরাব (কবরস্থান রোড) এলাকায় জমি কিনে ওই বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন। ওই বাড়িতে আবুল খায়ের তার স্ত্রী ছেলে ইব্রাহীম মিয়া ও শ্যালক আয়নাল হক বসবাস করেন। দ্বিতীয় তলার দুটি ইউনিট রয়েছে। এক ইউনিটে আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী থাকেন। অপর ইউনিটে থাকেন ইব্রাহীম ও আয়নাল হক।

মাসদাইরের ঈদগাহ মাঠ পরদর্শন করলেন ডিসি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহানগরীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় মাসদাইরের ঈদগাহ মাঠে। ঈদের জামাতের জন্য মাঠের প্রস্তুতি দেখতে গত বৃহস্পতিবার ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া। এসময় তার পাশে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর  মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদসহ প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা। ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া মাঠের নানা বিষয় নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সাথে কথা বলেন ।

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে এড.আল আমীন সিদ্দিকীর লিগ্যাল নোটিশ

সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম জীবনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকী। এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা সংবাদ ছাপানেরে কারণে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। লিগ্যাল নোটিশে এডভোকেট আল আমীন সিদ্দিকীর পক্ষে তাঁর বিজ্ঞ আইনজীবী লিখেছেন,অত্র নোটিশ দাতা কর্তৃক কৌশলী নিযুক্ত হইয়া নোটিশ দাতার বর্ণনা ও পরামর্শ মোতাবেক আপনাকে এই মর্মে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা যাইতেছে যে, আপনি নোটিশ গ্রহীতা নারায়ণগঞ্জ বিডি ডট নেট (ঘধৎধুধহমধহলনফ.হবঃ) এর সম্পাদক এবং জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি পরিচয়ধারী একজন সাংবাদিক। আমার মোয়াক্কেল অত্র নোটিশ দাতা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত একজন আইনজীবী এবং একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বক্তাবলী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ফতুল্লা থানা শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। আপনি নোটিশ গ্রহিতা দীর্ঘদিন যাবত আমার মোয়াক্কেলকে অসৎ উদ্দেশ্যে বে-আইনী লাভের আশায় নানাভাবে হয়রানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকিয়া তাহার নিকট বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা চাঁদা দাবী করিতে থাকিলে আমার মোয়াক্কেল আপনার দাবি পূরণ না করায় আপনি আমার মোয়াক্কেলের মানহানি করিবার জন্য ২১/০৮/১৭ ইং তারিখে তাহার বিরুদ্ধে আপনার সম্পাদনায় প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঘধৎধুধহমধহলনফ.হবঃ এ “মিলন মেহেদীর বিশাল শোডাউন : বক্তাবলীতে পাল্টে গেছে বিএনপি’র চিত্র” শিরোানামে একটি সংবাদ আপলোড করে প্রকাশ করেন। সংবাদটি একই তারিখে উক্ত শিরোনামে দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায়ও প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত সংবাদটি একই তারিখে জধভরয়ঁষরংষধস ঔরনড়হ নামে আপনার ফেইসবুক একাউন্টের টাইম লাইনে শেয়ার করে প্রচার করেন। আপলোড ও শেয়ারকৃত সংবাদটিতে আপনি লিখেছেন, “ইউনিয়ন বিএনপি’র অযোগ্য দুই নেতা এই দলের বারটা বাজিয়েছে। এদের মাঝে আবার একজন নাস্তিক হিসেবে পরিচিত। সে মূর্তি পূজারী। মূর্তির পক্ষের লোক। নিজে নাস্তিক এবং নাস্তিকদের অনুসারী। সব সময় এই কুলাঙ্গার বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে মূর্খ বলে গালি দেয়”। যাহা মিথ্যা, মানহানিকর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সামিল। আপনি সংবাদে “অযোগ্য দুই নেতা”, “তাদের মধ্যে একজন” কথাগুলো লিখেছেন। যেহেতু আমার মোয়াক্কেল বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করিতেছেন, সেহেতু সংগঠনের উক্ত ইউনিটে শীর্ষ দুই পদবীধারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি একজন। স্বাভাবিক কারণেই সংবাদে লেখা মিথ্যা, বানোয়াট এসব কথায় আপনি আমার মোয়াক্কেলের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ তাঁর পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মানহানি এবং আর্থিক ক্ষতি সাধন করিয়াছেন; যাহার পরিমাণ এক কোটি টাকা।

অতএব, আপনি নোটিশ গ্রহিতা অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার অনলাইন নিউজ পোর্টালে আপনার সম্পাদনায় উক্ত শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের গর্ভে উল্লেখিত মিথ্যা, ব্যক্তিগত আক্রমন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানিকর কথাগুলো সম্পর্কে অপরাধ ও ভুল স্বীকার করিয়া আপনার সম্পাদনায় প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ জন্মভূমি পত্রিকায় ও আপনার ফেইজবুক একাউন্টে একই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করিবেন। অন্যথায় আমার মোয়াক্কেলের বিরুদ্ধে এসব লেখার কারণে আমার মোয়াক্কেল আপনার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে বাঁধ্য হইবেন এবং তাহাতে সাকুল্য ব্যয় আপনার প্রতিকূলে যাইবে।

অত্র লিগ্যাল নোটিশের হুবহু এক কপি ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবহারের জন্য আমার সেরেস্তায় সংরক্ষণ করা হলো।

 

সোনারগাঁয়ে যুবলীগের শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সোনারগাঁ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে কয়েক শত নেতাকমী নিয়ে র‌্যালী নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সভা করেন।

সভা ও র‌্যালীতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সভাপতিত্বে অংশ নেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন কবির, উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মাছুম চৌধূরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, কামাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শামীম, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী আহাম্মেদ আলী তানভীর, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম প্রধান, কাচঁপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাহাবুব পারভেজ, তাতীলীগ নেতা আসাদুজ্জামান নুর প্রমূখ।

কলাপাড়া ধানখালী আশরাফ একাডেমী স্কুল মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

এ.আর.কুতুবে আলমঃ গত(২৭আগষ্ট) বিকেলে পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের এস,এইচ,এম আশরাফ একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠেস্কুল আন্তঃজিলা ফুটবল টুর্নামেন্টসের ফাইন খেলা ও পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,ধানখালী সোনালী সংসদ নামের একটি সামাজিক সংস্থার সভাপতি উদিয়মান সাহসী নেতা গাজী রাইসুল ইসলাম রাজীব । এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এস.এইচ,এম আশরাফ একাডেমী স্কুল ও চম্পাপুর ইউনিয়নের পাটুয়া আল-আমিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।এছাড়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
এই টুর্নামেন্টসে এস,এইচ,এম আশরাফ একাডেমীরে খেলোয়াড়েরা একটি গোল করে শূন্য গোলে পাটুয়া আল-আমিন স্কুলকে পরাজিত করে।
উপস্থিত দর্শকেরা জানান, বিজয়ী ও পরাজিত দুই দলের খেলাই চমৎকার ছিলো।

পথশিশুদের মাঝে “দেশ সমাজ কল্যাণ সংগঠন” পোশাক বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অসহায় পথশিশুদের মুখে হাঁসি ফুঁটাতে এবং তাদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশ সমাজ কল্যাণ সংগঠন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুরে পথশিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করে সংগঠনটি। ত্রিশ জন শিশুকে ঈদের নতুন পোশাক হাতে তুলে দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম জীবন বলেন, এ বিতরনে আমরা কারো সাহায্য নেইনি। আমরা এ সংগঠনের সকল সদস্য চাঁদা দিয়ে এ কার্যক্রমটি সফল করেছি। আমরা ভবিষ্যতে আরো অনেক বড় ধরনের মানবসেবা মুলোক কাজ করতে চাই। দেশের যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় “দেশ সমাজ কল্যাণ সংগঠনের প্রতিটি সদস্য প্রস্তুত আছি”।
পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক বুলবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আকাশ, আবুল কালাম আজাদ, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।

আদালতের সাথে আওয়ামী লীগের মৌন যুদ্ধ চলছে-রিজভী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ধমক দিতেই তার সাথে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ‘বিচার বিভাগকে আক্রমণ করে আওয়ামী দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শিরোনামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন।

গওহর রিজভীর সাক্ষাৎ নিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, ‘গওহর রিজভী কে আমরা তাকে চিনিও না। তার বাড়ি উত্তর প্রদেশে, তিনি ভালো করে বাংলা বলতে ও লিখতে পারেন না। তাকে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যাননি।’

রিজভী বলেন, ‘আদালতের সাথে আওয়ামী লীগের মৌন যুদ্ধ চলছে। ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের মনের কথা বলায় তাদের গায়ের জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের দলের প্রতিটি নেতারা তার সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয় তারা দুদক, এনবিআরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা মনি শহীদ উল্লার সভাপতিত্বে এবং এম. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ।

ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণ সঠিক নয়-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

গত ১লা আগষ্ট ২০১৭ইং তারিখে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা ষোড়শ সংশোধনী রায় দিয়েছেন । রায়টি ছিল মূলতঃ প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতিদের অপসারণকে কেন্দ্র করে । কিন্তু রায়ের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি অনেক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন । পর্যবেক্ষণ সমূহ প্রমাণ করে এ রায় রাজনৈতিক ভাবধারায় লিখিত । রায়ের মাধ্যমে জাতিকে রাজনৈতিক ভাবে বিভক্ত করা হয়েছে । প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরকার এবং সরকার সমর্থকসহ আইনজীবী এবং সাবেক বিচারপতিগণও সমালোচনায় মুখর । সমালোচনা এমন পর্যায়ে উঠেছে যে, প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ সহ দেশ ছাড়তে বলা হচ্ছে । সমালোচনায় বলা হয়েছে এ রায় বিচারপতির নিজের লিখা রায় নয় । এ রায় লিখেছেন একজন ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক । আরো বলা হচ্ছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার নিয়ন্ত্রণে এ রায় লেখা হয়েছে । প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা এর পূর্বে যত রায় দিয়েছেন সেসব রায়ের শব্দ/বাক্য চয়নের সাথে ষোড়শ সংশোধনী রায়ের শব্দ/বাক্য চয়নের মিল নেই । সমালোচনায় আরো বলা হয়েছে ৭৯৯ পৃষ্ঠার ষোড়শ সংশোধনী রায় মাত্র ২৪ দিনে লিখা হয়েছে । যা কোনভাবেই একজন বিচারপতির পক্ষে লিখা সম্ভব নয় এবং এরূপ ইতিহাস নেই । রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে এত ব্যাপক সমালোচনার ইতিহাসও নেই । সমালোচনায় আরো বলা হয়েছে । রায়ের পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক ভাবধারায় পক্ষপাতিত্ব করে লেখা । এসব কারণে প্রধান বিচারপতি বিচারকের নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন । তার এ রায় বাতিল করা দরকার । আবার কেউ কেউ বলেছেন অনেক শব্দ/বাক্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে । কারণ রায়ের পর্যালোচনা সমূহ অপ্রাসঙ্গিক অযৌক্তিক । এছাড়া প্রধান বিচারপতি তার রায় এবং পর্যবেক্ষণ দ্বারা রাজনৈতিক একপক্ষকে খুশি করেছেন এবং অপর পক্ষকে ক্ষুব্ধ করেছেন । সুতরাং এমন সব অপ্রাসঙ্গিক পর্যবেক্ষণ সম্বলিত রায় প্রকৃত অর্থে কারো কাম্য হতে পারে না । রায় পাঠে মনে হয়েছে কোন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণ ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত । পর্যবেক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাকে এমনভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে বিক্ষুব্ধ করেছে । একসাথে রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে । নিরপেক্ষতা না থাকলে কোন রায়কে ন্যায়ের মাপকাঠিতে বিচার করা যায় না । রায়ের এক পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি এস.কে সিনহা বলেছেন সংবিধানের প্রারম্ভে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বিরোধী” কিন্তু কথা হল প্রধান বিচারপতি একথা কোথা থেকে এবং কেন আবিষ্কার করেছেন ? তা বোধগম্য নয় । তাছাড়া প্রধান বিচারপতির বক্তব্য এদেশের ইসলামীগণ মানুষের চেতনা, আকাঙ্ক্ষা এবং ইতিহাস বিরোধী । সুতরাং প্রধান বিচারপতির এ মন্তব্য অপ্রাসঙ্গিক এবং ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতি । কারণ স্বাধীনতা পূর্বকালেও কোন রাজনৈতিক দল ধর্ম নিরোপেক্ষতার কথা বলেনি । ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১১ দফা, ৬ দফা, ৫৯-এর গণ অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০-এ নির্বাচন কালেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়নি । ১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল মুজিব নগরের স্বাধীনতা ঘোষণা পত্রেও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ নেই । অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে একত্র করে ফেলা হচ্ছে । অথচ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম এদেশের ৯৫ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈমান আক্বিকা ও ইসলামী মূল্যবোধের সাথে সংশ্লিষ্ট । বরং মুক্তি যুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতা, মূর্তি স্থাপন এবং হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচীর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই । ১৯৫২ সালে কথিত বুদ্ধিবৃত্তির সিন্ডিকেট প্রভুশক্তির ইশারায় সুদূরপ্রসারী নীল নকশা অনুযায়ী বাংলাদেশের ইসলামিক আদর্শের প্রধান শিকড় কেটে ফেলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ধর্শন সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে বলপ্রয়োগ করে সংবিধানে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয় । সুতরাং এদেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী কর্তৃক প্রখ্যাত সমাজতন্ত্র বহুবছর পূর্বেই নির্বাসিত হয়েছে । এখন ধর্মনিরপেক্ষতাকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে । সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমাননির রাহিম এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামই থাকবে । এটা পরিবর্তের ক্ষমতা কারও নেই । এখানে বলা প্রয়োজন প্রধান বিচারপতি বলেছেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা বিরোধী । অথচ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী । কারণ মুক্তিযুদ্ধের সনদে উল্লেখ আছে শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের প্রতি আমার আবেদন ও আদেশ, দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান” (পৃষ্ঠা- ৩৯৯, শেখ মুজিবের লিখা অসমাপ্ত আত্নজীবনী, পৃষ্ঠা- ৪৬৪ আবুল মাল আব্দুল মুহিত সম্পাদিত এইদেশ এই মাটি) । এছাড়া মুজিবনগর সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় বলা আছে “বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করতে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করলাম” । একথাগুল ইসলামেরই দাবী । এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন “যেদেশের মানুষ হালের গরু ও জমী বিক্রি করে হজ্জ্বে যায় সেদেশে ইসলাম ছাড়া কোন রাজনীতি করা যায় না” । এর পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মনিরপেক্ষতার সম্পর্ক থাকতে পারেনা । ধর্মনিরপেক্ষতা মানলে শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, রাষ্ট্রীয়ভাবে মদ নিষিদ্ধ, রমনার ঘোড়া দৌড়, জুয়া নিষিদ্ধ, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গঠন এবং তাবলীগ জামাতের জন্য টঙ্গী ইজতেমা ময়দান বরাদ্দ করতেন না । সুতরাং সংবিধানের প্রারম্ভে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এবং সংবিধানে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।