২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 208

সস্তাপুরে নাগিনা জোহার মৃত্যুবাষির্কী পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের রতœগর্ভা মা ও ৫২ এর ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহার প্রথম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে ফতুল্লার সস্তাপুরে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। সকাল বেলা কোরআন খতম থেকে শুরু করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নাগিনা জোহার আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া প্রার্থনা করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডস্থ সস্তাপুর এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমানের আয়োজনে নাগিনা জোহার মৃত্যুবাষির্কী পালনে দোয়া মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া মরহুমার বিদেহী আত্মার মাহগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল। এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা ফজলুল কাদের জীবন, আনোয়ার হোসেন, মুসলিম প্রধান, জহির আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি জুয়েল আহম্মেদ, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, রুহুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক রতন, হ্নদয়, রাজুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন মধ্য সস্তাপুর জামে মসজিদের ইমাম ফেরদৌসুর রহমান।
নাগিনা জোহার মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, নাগিনা জোহা মৃত্যুর পর আমরা যারাই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি তারা ওনার অভাব অনুভব করছি। কারন উনি আমাদের সব সময় উৎসাহ দিতেন। নাগিনা জোহা শুধু ওসমান পরিবারের স্ত্রীই ছিলেন না তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর গর্ব ছিলেন। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর একটি বছর পার হয়ে গেলো। আমরা মরহুমার বিদেহী আত্মার মাহগফেরাত কামনা করছি।

রূপগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সভা

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার তারাব পৌরসভার যাত্রামুড়া মারুফ শারমিন স্মৃতি পাঠাগারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় রূপগঞ্জ থানার কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আলহাজ্ব লায়ন মোঃ  মোজাম্মেল হক ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা ’গ’ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এমদাদুল হক , হাজী এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ শহিদুল্লাহ ভুইয়া, কমিশনার বিএম আতিকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রাসেল সিকদার , সরোয়ার হোসেন রাছেল, মাহাবুবুর রহমান মেহের, ইঞ্জিনিয়ার মনির , অলিউল্লাহ মিজি, তাইজদ্দিন, মান্নান ভুইয়া, মোফাজ্জল হোসেন ভুইয়া, শিল্পি আহম্মেদ, রুজিনা, লিলি আক্তার, শাহানা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মাদক ও জঙ্গি নির্মূল করতে প্রশাসনের পাশাপাশি এলাকার জনপ্রতিনিধি ও  যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এলাকাবাসীর সহযোগিতা ছাড়া মাদক ও জঙ্গি নির্মূল করা শুধু কমিউনিটি পুলিশের বা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব নয়।

আমি ভোটের আশায় কাজ করি না: শামীম ওসমান

ফতুল্লা প্রতিনিধি
আলীগঞ্জ খেলার মাঠকে একটি মিনি স্টেডিয়ামে রুপান্তরিত করার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, আগামীতে তাই করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান। সোমবার ফতুল্লার আলীগঞ্জ খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত ৫ম শেখ রাসেল স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, খেলার মাঠ শুধু আলীগগঞ্জ বাসীর দাবী নয়, এটা আমাদের সকলেরই প্রাণের দাবী। এই মাঠে একটা সময় বহু অপকর্ম সংঘঠিত হতো। আমি বলেছিলাম এখানে একটি মিনি স্টেডিয়াম করা হবে। যাতে করে ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ পায়। কিন্তু সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই মাঠ এলাকার বিষয়ে বহু তথ্য পৌছেছে। এখানে একটি সরকারি প্রকল্প করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো। বর্তমানে বিষয়টা কিছুটা জটিল হয়ে পড়েছে। তবে এই মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে রুপান্তর করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমি তাই করবো।
শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি ভোটের আশায় কাজ করি না। আমার আগে যেই ব্যক্তি এখানে সংসদ সদস্য ছিল, সে কোন কাজ করেনি। এখনও বহু রাস্তাঘাট সংস্কারের কাজ বাকি রয়েছে। আর দ্রæতই তা সম্পন্ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আলীগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি ও শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব কাউছার আহমেদ বলেন, এক সময় এই মাঠে মাদক সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হতো। এই মাঠটি কিছু অসামাজীক ব্যক্তি প্রায় দখল করে রেখেছিল। আমি এলাকার মুরুব্বি ও যুবকদের নিয়ে এটিকে দখল মুক্ত করেছি। যাতে করে ছেলে মেয়েরা খেলা ধূলার জন্য একটি মাঠ পায়। তবে আমি প্রথমে এই মাঠকে স্টেডিয়াম করার চিন্তাও করিনি। এই স্বপ্ন দেখিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। তিনি এই মাঠের বিষয়ে মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করেছেন। কিন্তু একটি মহল এখানে ভবন নির্মানের নামে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এখানে ভবন নির্মান হলে মাঠের পরিবেশ নষ্ট হবে কিনা তা জানতে চেয়ে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট ১ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছে মাননীয় হাই কোর্ট। মূলত এই মাঠ আলীগঞ্জ তথা নারায়ণগঞ্জ বাসীর প্রাণের দাবী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই নারায়ণগঞ্জবাসীর এই প্রাণের দাবী বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন কাউছার আহমেদ পলাশ।
পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ক্লাবের সভাপতি ও শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ক্রীড়া সংগঠক ও ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক কে.ইউ আকসির, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো: তানভীর আহমেদ টিটু, সহ সভাপতি এ.জেড.এম ইসমাইল (বাবুল), বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক মো: ফারুখ আহমেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন, শ্রমিক নেতা শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু প্রমূখ।

সোনারগাঁয়ে অসহায় বৃদ্ধার দায়িত্ব নিলেন নূরে আলম খাঁন

সোনারগাঁ প্রতিনিধি
সোনারগাঁয়ের সনমান্দী পূর্বপাড়া গ্রামের পঁচাত্তুর বছরের অসহায় বৃদ্ধা রূপবাহারের আজীবন দেখাশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাজী নূরে আলম খাঁন। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পর জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম রূপবাহারের পাশে দাঁড়ালেন।
জেলা পরিষদের সদস্য হাজী নূরে আলম খাঁন জানান, তিনি স্বামী ও সন্তান হারা অসহায় বৃদ্ধা রূপবাহারের মৃত্যু পর্যন্ত অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসাসহ যাবতীয় দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। গত রোববার রূপবাহারের কাছে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষনা দিয়েছেন। এছাড়া জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত প্রথম মাসের সেলারির অর্ধেক টাকা (সাড়ে ১৭ হাজার) তিনি নিজের মা ও বাকি অর্ধেক টাকা বৃদ্ধা রূপবাহারকে দিবেন।
হাজী নূরে আলম খাঁন আরো জানান, বৃদ্ধা রূপবাহারের দেখাশুনার জন্য তিনি একজন সার্বক্ষনিক সেবিকা রেখে দিবেন এবং রূপবাহারের মাসিক যাবতীয় খরচের টাকা তার দেখাশুনার দায়িত্বে নিয়োজিত সনমান্দী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটির কাছে প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, সোনারগাঁয়ের সনমান্দি পূর্বপাড়া গ্রামে বসবাসরত পঁচাত্তুর বয়সের অসুস্থ বৃদ্ধা রূপবাহার দাম্পত্য জীবনের ৮ বছরের মাথায় স্বামী ময়জুদ্দিন ও এর তিন বছর আগে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান। পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ না থাকলেও স্বামীর রেখে যাওয়া ২ শতাংশ ভিটে-মাটিকেই শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে মেনে নেন রূপবাহার। রোদ, বৃষ্টি আর শীতকে উপেক্ষা করে ঝুঁপড়ির ভিতরে অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন ছিল তার। গত ২৭শে জানুয়ারী জুম্মার নামাজের সময় রূপবাহারের বাড়ির পার্শ্ববর্তী সনমান্দি জামে মসজিদে মাদক ও জঙ্গী বিরোধী জনসচেতনতা মূলক এক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সোনারগাঁ থানার এএসআই আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি অসুস্থ রূপবাহার সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তার পাশে দাঁড়ান। চিকিৎসার পাশাপাশি নিজের চাকুরির ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএস) ফান্ডের জমানো প্রায় ৫০ হাজার টাকা তুলে বৃদ্ধা রূপবাহারের জন্য সুন্দর একটি টিনের ঘর নির্মান করে দেন। ক্রয় করে দেন আসবাবপত্র ও ফার্নিচার। গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে উক্ত ঘর ও আসবাবপত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য হাজী নূরে আলম খাঁন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলায় প্রশাসন-জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময়

ফতুল্লা প্রতিনিধি
সদর উপজেলায় কর্মরত প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া।  এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। সদর উপজেলার পরিচিতি ও কার্যক্রমের উপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমীন জেবিন বিনতে শেখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, উপজেলা চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, ফাতেমা মনির,গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) শাহ জালাল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন করে সব বলে দেব-আইভী

শহর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীসেলিনা হায়াৎ আইভী নগরীর যানজট নিরসন ও হকারসহ সব সমস্যা সমাধানে প্রশাসন সহযোগিতা না পেলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।  সোমবার বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা একপেশে কাজ করছেন। সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করছেন না। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা দিতে না পারলে চলে যাব। তার আগে সংবাদ সম্মেলন করে সবার বিষয়ে বলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র কাছে জমা দেব।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘ত্বকী হত্যা নিয়ে যখন কথা বলেছি, তখন শহর ঠিক ছিল। আমি কথা বললে দলীয় লোকজন বলে সরকারবিরোধী। আর এখন চার বছর ধরে কোনও কথা বলি না, তাই সব কিছুই অগোছালো। আমি কারও টাকা খাই না, কথা বলতে ভয় পাই না। যখন বলব, তখন সংবাদ সম্মেলন করে সব বলে দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সব দফতর জনসেবার জন্য। দেশের ৬৪টি জেলায় রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু এত কিছুতেও অন্য জেলায় প্রশাসনের সব কর্মকর্তা কাজ করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আসলে সবাই স্তব্ধ হয়ে যায় কেন? নারায়ণগঞ্জে প্রচণ্ড রাজনৈতিক প্রভাব আছে। কিন্তু জেলার ডিসি, এসপি চাইলে অবশ্যই সব করতে পারেন। এ জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের নয়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাজ। তারাই এর জন্য কাজ করছে। তারপরও পুলিশ গত ১ বছরে ১৫০টি মাদক মামলা ও ৫০০ মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।’ নারায়ণগঞ্জ শহরের যানজট ও হকার উচ্ছেদসহ বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ওয়াসা, বিআরটিএ ও গণপূর্ত বিভাগসহ সব প্রশাসনিক দফতরের সঙ্গে ওই সভার আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব ১১ এর কোম্পানি উপ-অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, জনস্বার্থ প্রকৌশলের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগ নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ক্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুর রহমানর হাবিব প্রমুখ।

আড়াইহাজার বিএনপিতে দুই নেতাকে নিয়ে গুঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আড়াইহাজারে বিএনপির থানা কমিটিতে এবার এডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর সভাপতি ও মনিরুজ্জামান খাঁন সাধারণ সম্পাদে আসছেন। এমন গুনজনে সরগম হয়ে উঠেছে উপজেলার সর্বত্র। শুক্রবার দিনভর বিএনপির নেতাকর্মীদের এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তুণমুল নেতাকর্মীদের দাবী এই দুইনেতার সম্ময়নে কমিটি করা হলে, উপযুক্ত ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ কমিটিই হবে। তাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজ। সাংগঠনিক ভাবেও তারা ইতিপূর্বে বেশ ত্যাগ শিকার করেছেন এবং  দক্ষতার সাথে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, এড. জাহাঙ্গীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। ইতিপূর্বে তিনি সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রয়াত নেতা রোকনউদ্দিন মোল্লার হাত ধরে এপদে তার অভিষেক হয়। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে দলের কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তার ক্লিন ইমেজের কারণে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা তাকে বিএনপির থানা বিএনপির নেতৃত্বে আসা সময়ের দাবী বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

এদিকে, মনিরুজ্জামান খান জাহাঙ্গীর নগর ইউনির্ভাসিটি থেকে অনার্স মাস্টাস শেষ করে বিএনপির রাজনীতিতে তার অভিষেক ঘটে। ইতি মধ্যে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে আড়াইহাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসাবে অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে তার ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।

জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলায় যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীর ও মনিরুজ্জামানকে আড়াইহাজার থানা কমিটির দায়িত্ব দেয়া হলে বিএনপির ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধা হবে। আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা করতে হলে প্রথমেই ক্লিন ইমেজধারী নেতার প্রয়োজন। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় এই মুহূর্তে উক্ত দুইনেতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেন, উক্ত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের জন্য লবিং করছেন এড. মো: আবু ছিদ্দিকুর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জ আইনজীবি সমিতির সদস্য ও থানা যুবদলের মধ্যে একজন ইমেজধারী নেতা।

এদিকে, মনিরুজ্জামান খান বলেন, অতীতে নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে বিএনপিকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। নেতৃত্বে সাংগঠনিক দক্ষতার দুর্বলতার কারণে নেতাকর্মীরা অনেকে দল ত্যাগ করেছেন। তাদের আবার ফিরে আনতে হবে। আমাকে ও জাহাঙ্গীরকে দলের দায়িত্ব দেয়া হল। প্রথমেই দলকে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গুছানো হবে। বিএনপির নিস্ক্রীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে মাঠে নামানো হবে। কাউকে মাইনাস করে নয়; সবাইকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে আমার প্রথম দায়িত্ব। তবে বিতর্কিত কোনো ব্যাক্তির ঠাঁই সংগঠনে হবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন।

জেলা আইনজীবি সমিতির নেতা এড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিএনপির তুণমুলের শতশত নেতা মিথ্যা মামলায় আসামি হয়ে কারাবাস করছেন। অতীতে নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে বিএনপির চরম ক্ষতি হয়েছে। শীর্ষনেতাদের কাছে না পেয়ে অনেকে দল ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে যে সময় সারাদেশ আন্দোলন সংগ্রামে উত্তাল ছিল। সেই সময় প্রয়াত নেতা এএফএম ইকবাল ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে মাঠে-ময়দানে ছিলাম। তখন জাহাঙ্গীর ভাইও কর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে ছিলেন। জাহাঙ্গীর একজন সংগ্রামী ও কর্মী বান্ধব নেতা। তাকে কাছে পেলে নেতাকর্মীরা উৎসাহ নিয়ে দলের জন্য কাজ করবেন।

এদিকে, বর্ষীয়ান নেতা ও থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড. হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবি মো: জাহাঙ্গীর বলেন, অতীতে যারা আড়াইহাজার বিএনপির দায়িত্বে ছিলেন। তারা দলের জন্য রাজনীতি করেনি। তারা রাজনীতি করেছেন নিজেদের আখেঁর গুড়ার জন্য। জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমাকে থানা বিএনপির দায়িত্ব দেয়া হয়; আমি প্রথমেই সব নেতাকর্মীদের একমঞ্চে বসানোর চেষ্টা করব। অতীতের ভেদাভেদ ভুলে বেগম জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দলের জন্য ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করব।

স্বাধীনতাবিরোধীদের অতিথি করা যাবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সচিবালয় প্রতিবেদক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাবিরোধীদের অতিথি করা যাবে না।’

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন’উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই বিতর্কিত ও স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তিকে অতিথি করা যাবে না। অতিথি হিসেবে কোনো অনুষ্ঠানেই তারা যেতে পারবে না।’

স্বাধীনতা দিবসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের নাশকতা এড়াতে জাতীয় দিবস পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকবে। সাভার স্মৃতিসৌধ ও ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর নজরে থাকবে। প্রতি বছর স্মৃতিসৌধ এলাকায় যে  ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয় এবারও ব্যতিক্রম হবে না। নিরাপত্তার জন্য আগের মতো সিকিউরিটি গেট, সিসিটিভি, আর্চওয়ে, কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।

‘নৌপথে নিরাপত্তা দেবে নৌপুলিশ। পর্যাপ্ত নৌপুলিশের টহল  থাকবে। তাছাড়া বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ স্থলেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হবে- বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, পদাতিক ডিভিশন সাভার স্মৃতিসৌধে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেবে।

মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ স্বাধীনতা দিবসে নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবে। স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নি নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের বিপুলসংখ্যক  কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হবে। তাছাড়া বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাধীনতা দিবস পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে এবারও ঢাকা থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত রাস্তায় কেউ তোরণ করতে পারবে না বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আগেও এই রাস্তায় আমরা কাউকে তোরণ করতে দেইনি। এবারও কাউকে তোরণ করতে দেওয়া হবে না। আগের মতো তোরণ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, স্বাধীনতা দিবস ছাড়াও শুক্রবার ও শনিবারসহ তিনদিনের ছুটিতে পর্যটক স্থানগুলোতে যথেষ্ট ভিড় হবে। এসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।’

তিনদিন ছুটিতে নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, না এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি নেই। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত। তৎপর রয়েছে গোয়েন্দা বাহিনী। আশা করছি, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় দেশবাসী দিবসটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালন করবে।

জাতীয় পতাকা ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,  জাতীয় পতাকা যত্রতত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়, এতে জাতীয় পতাকার মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়। সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পতাকার সাইজ এবং পতাকা কতটুকু সময় উড়ানো যাবে, কিভাবে পতাকা উড়বে-  সবকিছু তারা ঠিক করে দেবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামালউদ্দিন আহমেদ, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : নওগাঁ যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী হেলিকপ্টার সিরাজগঞ্জে জরুরি অবতরণ করানো হয়।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় পৌঁছে বিরূপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। এ সময় তাড়াশের দেশিগ্রাম ইউনিয়নের খিরসিন আদিবাসীপল্লি এলাকায় হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করানো হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় যোগ দিতে একটি হেলিকপ্টারে করে নওগাঁ যাচ্ছিলেন ওবায়দুল কাদের। তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক স্থানীয় নেতা-কর্মীদের জানান, মেঘ, ঘন কুয়াশা ও আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দিক নির্ণয় করতে না পারায় পাইলট হেলিকপ্টারটি তাড়াশের দেশিগ্রামে জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন। ৪০ মিনিট পর আবহাওয়া ঠিক হলে হেলিকপ্টারটি নওগাঁর উদ্দেশে রওনা হয়।

দেশিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘হঠাৎ ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে। খবর পেয়ে আমি, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হকসহ অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এ সময় শত শত লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর ঘন কুয়াশা কেটে গেলে হেলিকপ্টারটি গন্তব্যস্থলে চলে যায়।’

জরুরি অবতরণের পর সংক্ষিপ্ত সময়ে ওবায়দুল কাদের দলের খোঁজখবর নেন এবং নেতা-কর্মীদের দলকে সুসংগঠিত করার দিকনির্দেশনা দেন।

দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে নিতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নির্বাচন নয়। সরকার একই কায়দায় ছলচাতুরি করে, প্রতারণা করে গোল করতে চায়। কিন্তু তা এত সহজ নয়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের (আরপিও) রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত ধারার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আইন মানুষের উপকারের জন্য। যে আইন মানুষের উপকারে আসে না, সেটি আইন নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই। জনগণকে বোকা বানানোর জন্য সরকার গণতন্ত্রের কথা বলে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, একদিন তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস পালন করে লাভ হবে না। তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে আসতে হবে, সে জন্য আন্দোলন করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, তারেক রহমান সুদূর প্রসারী চক্রান্তের শিকার। এই চক্রান্ত শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে।

বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।