৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 266

মন্ত্রী-এমপির বাকবিতণ্ডা, সমর্থকদের হাতাহাতি : অনুষ্ঠান পণ্ড

চট্টগ্রাম নগরে গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমীন। চট্টগ্রাম নগরের উড়ালসড়কের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে এই বিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। একপর্যায়ে আফছারুল আমীন মন্ত্রীর দিকে তেড়ে যান। এই সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও অন্যরা তাঁদের নিবৃত্ত করেন। এর জের ধরে সভাকক্ষেই হাতাহাতিতে লিপ্ত হন দুই নেতার সমর্থকেরা। ফলে মাঝপথেই পণ্ড হয় যায় আলোচনা সভা। শনিবার রাত পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ছয়তলার সেমিনারকক্ষে এই ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর চট্টগ্রাম কেন্দ্র ‘টেকসই জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক নির্মিত ও নির্মাণাধীন উড়ালসড়কগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপক প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া ও আলী আশরাফ, স্থপতি জেরিনা হোসেন ও তসলিম উদ্দিন চৌধুরী উড়ালসড়ক নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়ে সমালোচনা করেন। এরপর ঢাকা যাওয়ার তাড়া থাকায় বক্তব্য দেন গৃহায়ণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘যখন বহদ্দারহাট, কদমতলী ও মুরাদপুর উড়ালসড়ক হচ্ছে তখন আমি মন্ত্রী থাকলে হয়তো অনুৎসাহিত করতাম। আর করলেও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে করতাম। ফি দিলে চুয়েট সংস্থার অনুকূলে সমীক্ষা প্রতিবেদন দেয়।’ সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, বহদ্দারহাট ও কদমতলী উড়ালসড়কে তেমন গাড়ি উঠে না। গাড়ি না উঠলে এসব উড়ালসড়ক রেখে লাভ নেই। গাড়ি না উঠলে একপর্যায়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই উড়ালসড়কগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। মন্ত্রীর পর বক্তব্য শুরু করেন আফছারুল আমীন। তিনি বলেন, ‘উড়ালসড়কগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। এই সময় আমরা কেউ মন্ত্রী ছিলাম, কেউ এমপি ছিলাম। এর দায়ভার আমাদেরই নিতে হবে।’ এ সময় পাশে বসা মন্ত্রী এর আপত্তি জানিয়ে নিজের কৈফিয়ত দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বক্তব্য অব্যাহত রাখেন সাংসদ। একপর্যায়ে বলেন, ‘আপনার আগ্রহে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়াকে দিয়ে আপনি এ পেপার উপস্থাপন করিয়েছেন।’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাকে (সাংসদ) তো ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চেয়ার থেকে উঠে মন্ত্রীর দিকে তেড়ে যান সাংসদ। মন্ত্রীর উদ্দেশে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় সাংসদ বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামের ছেলে। আমাকে চিনিস।’ এই সময় সিটি মেয়র নাছির উদ্দীন ও অন্যরা তাঁদের নিবৃত্ত করেন। মন্ত্রী ও সাংসদের বাগ্‌বিতণ্ডার সময় তাঁদের সমর্থকেরা হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। তবে এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার বক্তব্য দেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। তিনি পুরো ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে হয়ে গেছে। মনে করবেন কিছুই হয়নি।’ এরপর মন্ত্রী ও সাংসদ করমর্দন করেন। মন্ত্রীর পর সিটি করপোরেশনের মেয়র নাছির উদ্দীন তাঁর বক্তব্যে পুরো ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই সভাটি আরেকদিন করলে ভালো হবে। তখন পরিকল্পিতভাবে করা উচিত।’ মেয়রের পর চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বক্তব্যে দিতে শুরু করলে চেয়ার থেকে উঠে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামার সময় আফছারুল আমীনের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক স্লোগান দিয়ে মন্ত্রীর পথরোধ করেন। এই সময় মন্ত্রী তিন-চার মিনিট অপেক্ষা করে পুনরায় সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাংসদ আফছারুল আমীন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। নিচে মন্ত্রীকে গাড়িতে তুলে দেন তাঁরা। এর একপর্যায়ে সভা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। সভায় অতিথিদের বক্তব্য শেষে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে মুক্ত আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আইইবি এর চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুণ সভায় বলেন, ‘কারও ইন্ধনে বা আগ্রহে এই সভার আয়োজন করা হয়নি। আর কাউকে ভাড়া করেও আনা হয়নি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১২ অক্টোবর বহদ্দারহাট উড়ালসড়ক ও চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি কদমতলী উড়ালসড়কের উদ্বোধন করেন।

বন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড

বন্দর প্রতিনিধি,নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন.নেট
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দেউলী কবরস্থান রোড এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১১ টায় আফজলের বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে,উপজেলার দেউলী কবরস্থান সংলগ্ন আফজলের বাড়ি শনিবার রাত পৌনে ১১ টায় হঠাৎ আগুন লাগে।এতে মুহুত্বের মধ্যে পুরো বাড়ি আগুনে পুরে ছাই হয়ে যায়।এতে কেউ হতাহত না হলেও মুল্যবান আসবাবপত্র পুরে গেছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।পরে আশপাশের লোকজন প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

কন্যা সন্তানের মা হলেন টিউলিপ

কন্যাসন্তানের মা হলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার কন্যার নাম আজালিয়া জয় পার্সি।শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় তাঁর ভেরিভায়েড টুইটার পেইজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
টুইট বার্তায় শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ বলেন, ক্রিস পার্সি এবং আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে সবাইকে জানাচ্ছি আমাদের কন্যাসন্তান আজালিয়া জয় পার্সি জন্মগ্রহণ করেছে। রয়েল ফ্রি লন্ডন (এনএইচএস) হাসপাতালের স্টাফরা অসাধারণ।
গত বছর মে মাসে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের নির্বাচনে নিউ হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ।
এ আসনে ১১৩৮ ভোটে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করেছেন বাংলার মেয়ে টিউলিপ। লেবার পার্টি থেকে আরও দুই বাঙালি নারীও এবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ১৫ পদের ১২টিতে নতুন মুখ

ঢাকা: কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাত যুগ্ম মহাসচিব ও আট সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই ১৫ জনের মধ্যে ১২ জনই নতুন মুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দুই পদে নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।

যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পেলেন মাহবুব উদ্দিন খোকন, মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুন-অর রশীদ ও আসলাম চৌধুরী। এদের মধ্যে শুধু মাহবুব উদ্দিন খোকন আগের কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন। বাকিরা নতুন।

সাংগঠনিক সম্পাদকেরা হলেন- ঢাকায় ফজলুল হক মিলন, চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন, খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু, রাজশাহীতে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বরিশালে বিলকিস শিরিন, রংপুরে আসাদুল হাবিব দুলু, ময়মনসিংহে এমরান সালেহ প্রিন্স ও ফরিদপুরে শামা ওবায়েদ। তাঁদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন ও আসাদুল হাবিব দুলু পুরোনো কমিটিতে একই পদে ছিলেন। বাকিরা নতুন।

১৯ মার্চ দলের জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলররা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কমিটি গঠনের সর্বময় ক্ষমতা দেন। সেই ক্ষমতাবলে চেয়ারপারসন তাঁদের মনোনয়ন দেন। এর আগে দলের মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদে রুহুল কবির রিজভী ও কোষাধ্যক্ষ পদে মিজানুর রহমান সিনহাকে মনোনয়ন দেন খালেদা জিয়া।

বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই : মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপজ্জনক পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেছেন, এই অবস্থায় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে না পারলে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে।

শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, বর্তমানে দেশে কোনও গণতন্ত্র নেই। যদি এখনই এই বিষয়টি ভাবা না হয় তবে ভবিষ্যতে ইতিহাস এর প্রতিশোধ খুবই নিষ্ঠুরভাবে নেবে। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রের পথ বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তবে বিশাল জনগোষ্ঠির কাছে ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে যখন এটা অসহনীয় হয়ে উঠবে তখন এটা বিপদজনক হয়ে পড়বে। বাম দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা অনেকেই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বোকা মনে করি। তবে মনে রাখতে হবে ঢাকার মুষ্টিমেয় কিছু লোক দিয়ে পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করার পরিবেশ এখন আর নেই। যারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে স্বৈরতন্ত্রের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবে তাদেরকে ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করে অন্য কোনও স্বপ্ন দেখে অবশ্যই এদেশে তাদের বিচার হবে। কাউকেই ইতিহাস কখনও ক্ষমা করবে না।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তান এখনও আমাদের কাছে ক্ষমা চায়নি। তাদেরকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করতে হবে। তারা এখনও বাংলাদেশ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এদেশের কতিপয় লোক পাকিস্তানকে ভালোবাসে। তারা যুক্তি দেখায় তারা তো মুসলমান। এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই। আবার অপরদিকে যুদ্ধের সময় মা বোনদের ইজ্জত হরণের বিষয়ে তাদের ঘৃণা করে। তিনি বলেন, যাকে ঘৃণা করবো তাকে মনে প্রাণে ঘৃণা করবো।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস কে সিকদার প্রমুখ।

নববর্ষ উদযাপনে কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

buyধর্ম বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে বৈশাখের প্রথম দিনে এ দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় যেন হয়ে উঠে আমরা বাঙ্গালি। উৎসবের দিনটিকে রঙিন করে রাখতেই নগরীর মানুষেরা এখন ভিড় করছেন পোশাকের দোকানে। লাল, সাদা, নীল সহ বাহারি রঙে নিজেকে সাজাতে খুঁজে ফিরছেন পছন্দের সেই পোশাকটি। তবে, এক্ষেত্রে ক্রেতা চাহিদায় রয়েছে  সাদা ও লাল রঙের প্রাধান্য। আর এ চাহিদাকে মাথায় রেখেই এই ফ্যাশন হাউজগুলো এই বইশাখে এনেছেন  কালারফুল বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দন জামা-কাপড়।

বাংলা নতুন বছর ১৪২৩, শুরু হতে বাকি আর মাত্র ৪ দিন। বর্ষবরণের কেনাকাটায় তাই ব্যস্ত সময় কাটছে নগরবাসীর। পরিবার পরিজনসহ নানা রঙের নতুন পোশাকে নিজেকে সাজাতে ভিড় বাড়ছে বিপণী বিতান গুলোতে।

নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে দোকানীদের প্রস্তুতিরও কমতি নেই। জমকালো পাঞ্জাবী, দৃষ্টি নন্দন শাড়ি আর জামায় এবারেও তারা ফুটিয়ে তুলেছেন বাঙালিয়ানাকেই।

বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক পহেলা বৈশাখের উৎসবে ক্রেতারাও পোশাক কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন দেশিয় পোশাককেই। আর তাই এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশিয় ফ্যাশন হাউজগুলোর ব্যস্ততাও একটু বেশি। বাহারি পোশাকের সঙ্গে মিলে এবারো নানা রকমের দেশিয় গহনা কিনতেও দেখা গেল ক্রেতাদের।

সূত্র : সময় টিভি থেকে নেয়া

যে কোনো ধর্ম মানলেই কি পরকালীন মুক্তি সম্ভব?

কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি ধর্ম সম্পর্কে এই আকিদা পোষণ বা বিশ্বাস করে যে, ‘যে কোনো একটি ধর্ম মানলেই হবে।’ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়ে জান্নাত দিবেন। জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবেন। তাহলে এই অবস্থায় সে কি মুসলমান থাকবে? অথবা তার এই অবস্থার ওপর শরিয়তের হুকুম কী?

এ বিষয়ে ইসলামের ব্যক্তব্য হলো- পরকালের মুক্তি এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম মানার দ্বারা সম্ভব নয়। বিষয়টি অসংখ্য স্পষ্ট আয়াত ও সহিহ হাদিসের বর্ণনা দ্বারা সুপ্রমাণিত। যেমন -আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো ধর্ম অন্বেষণ করবে তবে তা তার থেকে গৃহিত হবে না। আর সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে’। [আল ইমরান : ৮৫]। সুতরাং যে কোনো ধর্ম মানলেই হবে, এমন আকিদা পোষণ করা কুফুরি। যদি কেউ এ ধরনের আকিদা পোষণ করে তাহলে তার কর্তব্য হচ্ছে খাঁটি অন্তরে তাওবা করে তা থেকে সরে আসা এবং ইসলামই একমাত্র আল্লাহ পাকের মনোনীত ধর্ম এবং ইসলাম মানার দ্বারাই শুধু আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে- এ কথা বিশ্বাসে ফিরে আসা। [আলে ইমরান : ৮৫, রুহুল মায়ানি : ৩/২৮৯]

মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়াই আমার লক্ষ II মোঃ রশীদ আহমেদ

মাদক ও ইভটিজিং মুক্ত ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়াই আমার লক্ষ II মোঃ রশীদ আহমেদ
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী মো. রশীদ আহমেদ তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার ওয়ার্ডের প্রতিটি ভোটারের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের যাবতীয় সুবিধা অসুবিধার খোজ খবর নিচ্ছেন এবং ২৩শে এপ্রিল নির্বাচনে তাকে ভোটারদের মুল্যবান ভোটের মাধ্যমে জয়লাভের ব্যাপারে তাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
সরে জমিনে নির্বাচনী এলাকাতে ঘুরে দেখা যায় , বক্তাবলী ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী যে ক’জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে তাদের মধ্যে বর্তমান মেম্বার মো. রশীদ আহমেদ শিক্ষিত,মার্জিত স্বভাবের এবং সদা মিষ্টভাষী এলাকাতে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটারদের সাথে আলাপকালে সাধারন ভোটাররা জানান, মো. রশীদ আহমেদ একজন ন্যায় পরায়ন ব্যক্তি। তার মত যোগ্য প্রার্থী পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। কারন হিসেবে তারা উল্লেখ করে বলেন আমাদের সুপরিচিত মুখ মো. রশীদ আহমেদকে আমরা সাধারন ভোটাররা বিপদে আপদে সব সময় কাছে পাই। তিনি যদি  নির্বাচনে জয়লাভ করে তাহলে আমাদের অবহেলিত এ ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
তাছাড়া এলাকাবাসি ও ভোটারদের মাঝে রয়েছে তার জনসমর্থন। এলাকার সাধারন মানুষের নেই কোন অভিযোগ । এ বিষয়ে মেম্বারপ্রার্থী মো. রশীদ আহমেদ বলেন,আমি যদি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হই তাহলে আমি আমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের যাবতীয় উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনে অল্প কয়েক ভোটে পরাজিত হওয়ার পরও আমার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ কছি। এছাড়াও  সমাজ থেকে মাদক,ইভটিজিং,ভুমিদস্যুতা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে ব্যাপক কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন,বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় স্ধান করে চাকুরীর ব্যবস্থা করবো। অসহায় নারী পুরুষদের জন্য সরকার প্রদত্ত বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা,বয়স্কভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনবো,জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ সনদ,ট্রেড লাইসেন্স যেন সহজ উপায়ে পায় তা দ্রুত বাস্তবায়ন করব। তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দীর্ঘদিন যাবত দুস্থ নারী-পুরুষের মাঝে নগদ অর্থ,শীত বস্ত্র,ঈদে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে আসছি তা আরো ব্যাপকতর করবো। আমি আশাবাদী সাধারন ভোটাররা আমাকে তাদের মুল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে তারা আমাকে তাদের সেবক হওয়ার সুযোগ দেবে।আমি যতদিন বেচে থাকবো তাদের সেবক হয়েই থাকবো। দিনরাত যখনই তারা আমাকে ডাকবে আমি তাদের সেবাদানে ছুটে যাবো। আমি আমার এলাকার সাধারন ভোটারদের মুল্যবান ভোটে জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ।

তনুর বান্ধবী ও পরিবারের সদস্যদের ফের সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুর হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে আসা সিআইডির একটি দল আজ শুক্রবার সকাল থেকে ফের কুমিল্লা সিআইডি অফিসে সোহাগী জাহান তনুর বড় ভাই নাজমুল হোসেন ও তনুর দুই বান্ধবীসহ ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

সকাল সাড়ে ৮টায় তনুর ভাই নাজমুল হোসেন, চাচাতো বোন লাইজু জাহান, তনুর বান্ধবী মনিষা এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইছমাইল হোসেনকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। তাদের বেলা ১১টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিআইডির টিম কুমিল্লা সেনানিবাসে যায়।   এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার ও তনু হত্যা মামলা তদন্ত সহায়ক কমিটির প্রধান আবদুল কাহহার আকন্দসহ সিআইডির একটি দল কুমিল্লায় আসে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ও কুমিল্লার সিআইডির সমন্বিত দলটি সেনানিবাসের ৫ সেনা সদস্যকে কুমিল্লা সিআইডির কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে।  বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ দলটি গত ২ এপ্রিল ও ৩ এপ্রিল সেনানিবাস এলাকায় তনুর মরদেহ উদ্ধারের স্থানসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে। এসময় এ দলটি তনুর মা-বাবা, ডাক্তার নার্সসহ কয়েকজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে এ ব্যাপারে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় সাংবাদিকদের জানান, তনু হত্যার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে তনুর লাশ পাওয়ার সময় পর্যন্ত ওই সড়কে কারা কখন কিভাবে দায়িত্বে ছিলেন সে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিতে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিলা সেনানিবাসের বাসার অদূরে জঙ্গলে তনুর লাশ পাওয়া যায়। ২১ মার্চ তার বাবা ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুমিলা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

সাংগঠনিক কাজে মসজিদকে ব্যবহার করছে জামায়াত

বিশিষ্ট আলেম, নিরাপত্তা বিশ্লেষকসহ বিভিন্ন মহলের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের করা তদন্তে একে একে বেরিয়ে আসছে পবিত্র মসজিদকে ঘিরে জামায়াতের অপরাজনীতির চিত্র। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়, বিএনপি নেতাদের নিয়ে মসজিদকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক কাজে। এরাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধসহ নানা উদ্যোগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের মাধ্যম হিসেবে মসজিদকে ব্যবহার করছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে সরকার সমর্থক নেতারাও স্বার্থের কারণে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে মসজিদ কমিটিতে ঢুকে পড়ছেন।

jamayat jamayat-1মসজিদকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারকারী ব্যক্তি ও মসজিদ কমিটির সদস্যদের পরিচয় জানতে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার চালানো অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। রাজধানীর একটি বড় মসজিদের তদন্তে গোয়েন্দারা পেয়েছেন এর সঙ্গে জড়িত যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর নানা প্রমাণ। যে মসজিদ কমিটিতে আছেন একাধিক যুদ্ধাপরাধী, জামায়াত নেতা ও তাদের আত্মীয়স্বজন। তাদের সঙ্গে আছেন জামায়াতসহ উগ্রবাদীদের একাধিক ডোনার। একই অভিযোগের প্রমাণ মিলছে আরও অনেক মসজিদেও। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে কমিটিতে প্রবেশ করে এরা মসজিদকে নিজেদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন দেশের আলেম ওলামারা। জানা গেছে, মসজিদ কমিটির তালিকা এখন গোয়েন্দাদের হাতে। দলীয় লোক নিয়ন্ত্রিত সারাদেশের মসজিদগুলোকে যেন জামায়াত সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটি থেকে জামায়াত ঘেঁষাদের বাদ দেয়ার সুপারিশও করেছেন তারা। সূত্রগুলো বলছে, সারাদেশের মসজিদগুলোর কমিটির সদস্যদেরই রাজনৈতিক পরিচয় ও তালিকা তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। অনেক ক্ষেত্রেই প্রমাণ মিলছে মসজিদের জন্য কৌশলে নামে-বেনামে আর্থিক সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা। এক সময় তাদের পরিচয় প্রকাশ পেলেও আর্থিক নির্ভরতার কারণে তাদের সঙ্গে বিরোধে যান না কমিটির অন্য সদস্যরা। ফলে জামায়াতের নেতা ও সমর্থকরা জায়গা করে নিচ্ছেন মসজিদ কমিটিতে।jamayat

গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানীর আদাবরের ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের কমিটি ২৯ সদস্যের। এর মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বর্তমানে দলটির প্রভাবশালী নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরসহ ডজনখানেক জামায়াত নেতা, সমর্থক ও ডোনার রয়েছেন। আছেন জামায়াতের ডোনার প্রকৌশলী আকবর হোসেন, কামাল হোসেন খান, শামীম মৃধা, মাসুদুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ। এর মধ্যে শামীম মৃধা হলেন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার বিচারাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আসামি ইস্কান্দার মৃধার ছেলে। এ ছাড়া শামীম মৃধার ভগ্নিপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জব্বার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। শামীম মৃধার গাড়িতেই যুদ্ধাপরাধী জব্বারকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া জামায়াতের এ ডোনার গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই এলাকায় মহিলা জামায়াতের কাউন্সিলরকে নির্বাচিত করার জন্য অর্থ দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে নির্বাচনে লড়া জামায়াতের কাউন্সিলরের নাম কাওসার জাহান।

এই মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকলেও তিনিই সর্বেসর্বা। কমিটিতে আছেন সভাপতি সাবেক ডেপুটি স্পীকার বিএনপি নেতা আকতার হামিদ সিদ্দিকী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও এই মসজিদ কমিটির সদস্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদে খতিবের দায়িত্বে আছেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর, তিনিও জামায়াতের সমর্থক। আর মোয়াজ্জেম হাফেজ হেলালও জামায়াতের কর্মী। এর আগে তিনি একটি মামলায় তিন মাস জেলে থেকে বর্তমানে জামিনে আছেন। এই মসজিদে বিভিন্ন সময় বৈঠক করেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া জামায়াতের পলাতক নেতাকর্মীরা এ মসজিদে আশ্রয় নেন। জামায়াতের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এই হেলালের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তার মাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

মসজিদের কেয়ার টেকার সম্পর্কে বলা হয়েছে, কেয়ার টেকারের নাম মহিউদ্দিন জোয়ার্দার। তার ভাই বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি। পিতা সিরাজ উদ্দিন জোয়ার্দার, তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। মহিউদ্দিন থাকেন হাউজিং মসজিদের দোতলায়। যশোরের উদিচী হামলার পর থেকে পলাতক। এরপর আর বাড়িতে যান না। তার বিরুদ্ধে মসজিদকে ব্যবহার করে উগ্র জঙ্গী গোষ্ঠীসহ জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মকা- চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদাবর এলাকায় জামায়াত, হিযবুত তাহরীরসহ উগ্রবাদী গোষ্ঠীর নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উগ্রবাদীরা এলাকায় মিছিল-মিটিং করে মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতারাও আছেন। সরকারদলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন আব্দুল্লাহ হাকিম হাওলাদার, মো: এমাদুল্লাহসহ কয়েকজন। ঢাকা হাউজিং জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ নূর নিজেকে অবশ্য জামায়াত নেতা নন বলে দাবি করেছেন। তবে বলেছেন, মসজিদ কমিটিতে জামায়াতের লোকজন আছেন।

শ্যামলী শাহী মসজিদ কমিটি ২০ সদস্যের। এর মধ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন জামায়াতের সমর্থক। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য হাজী করিম স্থানীয় জামায়াতের নেতা। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লালমাটিয়া শাহী মসজিদ কমপ্লেক্স (বিবি মসজিদ নামে পরিচিত) কমিটিও রয়েছে জামায়াতের নিয়ন্ত্রণে। মসজিদ ও মাদ্রাসার সমন্বয়ে এই কমপ্লেক্সের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকসহ তিনজন জামায়াত নেতা রয়েছেন। এই মসজিদ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন হলেও মসজিদ কমিটিতে থাকার সুবাদে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছেন জামায়াতপন্থীরা। মসজিদ সংলগ্ন পুকুরও ভরাট করা হচ্ছে অবৈধভাবে।

রাজধানীর কাটাবনে অবস্থিত কাটাবন মসজিদকে ঘিরে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি চলে সব সময়েই। এই মসজিদটি বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যার সভাপতি হিসেবে আছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাবশালী জামায়াত নেতা মাওলানা জায়নুল আবেদীন। সেক্রেটারি আছেন জামায়াতের সমর্থক খলিলুর রহমান মাদানী। এরা দুজনেই আবার জামায়াতের প্রতিষ্ঠান তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মসজিদ কমিটিতে জঙ্গী মনোভাব সম্পন্ন কোন ব্যক্তি বা জামায়াত সমর্থক বা দলের নেতাকর্মীদের কেউ যুক্ত আছেন কিনা- এ নিয়ে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ শেষ হয়েছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে তালিকা অনুযায়ী কমিটিগুলোর কার্যক্রম, চিহ্নিত ব্যক্তিদের দিনলিপিসহ বিভিন্ন সন্দেহজনক বিষয় পর্যালোচনা প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে মসজিদের ভেতরেই দলের গোপন বৈঠক সারছেন জামায়াত নেতারা। মসজিদের ভেতরে বৈঠক করার সময়ও আটক হয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। কিছুৃদিন আগে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাঘা পৌর এলাকার ছাতারী মধ্যপাড়ার মসজিদে গোপন বৈঠক করছে এমন খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে পৌর জামায়াতের আমির অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ ৬২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ।

তদন্তের সঙ্গে জড়িত আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, জঙ্গীবাদের সঙ্গে জামায়াতের কেউ সম্পৃক্ত আছে কিনা আমরা সেটা দেখার চেষ্টা করছি। এ জন্য গোপনে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া জামায়াতের কেউ মসজিদের ইমাম হলে খুতবায় রাষ্ট্র, সরকারবিরোধী বা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় কিনা তা দেখা হচ্ছে। আর জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে পেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন সেটারও তথ্য থাকবে। মূল বিষয় হচ্ছে মসজিদ সংশ্লিষ্ট কেউ জঙ্গীবাদ ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে উস্কানি বা সহায়তা যেন না করতে পারে সেদিকে নজর রাখা।

সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জঙ্গীবাদের পুরো চরিত্র-কৌশল সম্পর্কে সাধারণ মুসল্লিদের সচেতন করতে ইমাম ও মসজিদ কমিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছে সরকার। এ কারণে জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে সরকার আলেমদের পাশাপাশি দেশের মসজিদ কমিটিগুলোকেও কাজে লাগাতে চায়। এ লক্ষ্যে মসজিদগুলোর নির্বাচিত কমিটিগুলোর খোঁজখবর নিতেই প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার মনে করছে, জঙ্গীবাদের উত্থান ঠেকাতে মসজিদগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকর হবে। এ কারণে আগে থেকে মসজিদ কমিটিগুলোয় জঙ্গীবাদী বা জামায়াত ঘরানার কোন ব্যক্তি আছে কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে চায় সরকার। এরপর মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে জঙ্গীবিরোধী কার্যক্রম শুরু করতে চান নীতিনির্ধারকরা।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো আরও বলছে, কমিটিগুলোর তালিকা আসার পর সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না, তাদের কেউ জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা এসব বিষয় নিশ্চিত হলেই কমিটি পুনর্গঠনের চাপ দেয়া হবে। এই কার্যক্রমে মসজিদ কমিটিতে থাকা আওয়ামীপন্থী ব্যক্তিবর্গেরও সহযোগিতা নিচ্ছেন গোয়েন্দারা।

মসজিদকে ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে সরকারের শরিক দল বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। সংগঠনটির মহাসচিব লায়ন এম এ আউয়াল এমপি বলছিলেন, এ সিদ্ধান্ত আগেই নেয়ার দরকার ছিল। খুতবার মাধ্যমে যেন বিরোধ-বিতর্ক, বিশৃক্সখলা সৃষ্টি না হয়, এ জন্য আরব দেশগুলোয় খুতবায় কী পড়া যাবে, কী পড়া যাবে না তা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কেউ রাজনীতির স্বার্থে মসজিদ ব্যবহার করবেন, তা হতে পারে না। এ জন্য মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন, তাও সরকারের জানা জরুরী। এসব সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের কাছে তথ্য থাকবে সব কিছুর। আর যারা অপরাধ করেন না, তাদের এ বিষয়ে আপত্তি থাকার কথাও নয়।

মসজিদ কমিটিতে জামায়াত নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের দাপটের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজধানীতে কয়েকটি মসজিদে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পাশাপাশি জামায়াতের নীতিনির্ধারণী নেতারা আছেন, বিএনপির নেতারা আছেন। আওয়ামী লীগের নেতারাও আছেন। খোঁজ নিলে এমন হাজার মসজিদের কমিটিতে এমন ঘটনা দেখা যাবে। জামায়াতের লোকদের মসজিদের কমিটিতে রেখে কীভাবে জঙ্গীবাদ ঠেকানো যাবে?

তিনি আরও বলেন, জঙ্গীবাদবিরোধী কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় ক্রিয়াশীল শক্তি হিসেবে দেশের খানকা, পীর-মাশায়েকদের দরগাগুলোকেও আনা যেত। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু জঙ্গীবাদের অন্যতম টার্গেট। কিন্তু সরকারের সুদৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে খুব বেশি একটা নেই।

মসজিদ ব্যবহার করে জঙ্গীবাদী কর্মকা- বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাদুর শাহ বলছিলেন, ইসলাম শান্তি, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্যরে ধর্ম। একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করছেন। তারাই ইসলামের শত্রু। যারা পল্টনে বলেছেন, বাংলা হবে আফগান আমরা হব তালেবান’ তারাই হচ্ছেন অরিজিনাল জঙ্গী। চাঁদপুর গাবতলা দরবার শরীফের পীর মাওলানা খাজা আরিফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জঙ্গী ও খারেজীদের চরিত্র। এ জন্য মসজিদে জুমার খুতবায় জঙ্গীবাদবিরোধী বক্তব্য দিতে হবে।

জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের জন্য বিএনপির রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতকে শক্ত হাতে মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন অনেক ইসলামী চিন্তাবিদ। সারাদেশের জামায়াত ও তাদের ম“পুষ্ট ইমামদের তালিকা তৈরির আবারও পরামর্শ দিয়ে আলেমরা বলছেন, যেসব ইমাম ইসলামের নামে জঙ্গীবাদের উস্কানি দিয়ে বক্তব্য দেন, তালিকা থাকলে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুজাহিদের ফাঁসির পর যেসব মসজিদের ইমামরা তার জন্য দোয়া ও কান্নাকাটি করেছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। জনকণ্ঠ