৯ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 56

আল্লাহকে গালি দেয়া সেই রিতা দেওয়ান দুই মেয়েকে নিয়ে ক্ষমা চাইলেন

নিউজ প্রতিদিন: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালি দেওয়া রিতা দেওয়ান তার ভুলের জন্য করজোড়ে ক্ষমা চেয়েছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলামানদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে এক ভিডিও সাক্ষাতকার দিয়েছেন রিতা দেওয়ান। এসময় মায়ের সাথে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছে রিতা দেওয়ানের দুই মেয়ে আফরিন দেওয়ান ও নাজমিন দেওয়ান।

গতকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘গান রুপালি এইচডি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে রিতা দেওয়ানের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায় উপস্থাপকের সঙ্গে রিতা দেওয়ান তার দুই মেয়েকে নিয়ে হাজির হয়েছেন। উপস্থাপনের কুশল বিনিময় প্রশ্নের জবাবে রিতা দেওয়ান তেমন ভালো নেই উল্লেখ্য করেন।

কেন ভালো নেই জানতে চাইলে রিতা বলেন, ‘আমার একটা গান ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল হয়ে সমস্যায় পড়ে গেছি। আমার ভুলটি ছিলো, আসলে তো আল্লাহর সাথে কখনো পাল্লা চলে না। তার দয়ায় তার রহমতে আমি বাচ্চা ছেলে মেয়ে নিয়ে গান করে বেঁচে আছি। সেদিন যে পালাটা ছিলো তাতে আমার প্রতিপক্ষ ছিলো পরম। অভিনয় করতে গিয়ে তাকে আক্রমণ করতে গিয়ে আমার সৃষ্টিকর্তার দিকে চলে গেছে। এটা আমার ভুল হয়ে গেছে’।

রিতা বলেন, ‘পালা করতে গেলে সারারাত-সারাদিনব্যাপী কথা বলতে হয়।  একটা কথা এদিক-সেদিক হয়ে যায়। ভুল হয়ে যায়। তবে এ কথাটা আমার ভুল হয়ে গেছে। মুসলিম ভাই বোনদের কাছে আমি বলবো আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে ক্ষমাকে করে দিবেন। আমি যেন আর কোনোদিনও ভুল না করি। এবং আমি যেন ধর্মের বিরুদ্ধে বলিনাই ভুল হয়ে গেছে তারপরও যেন আর না বলি’।

এসময় রিতা দেওয়ান দুই হাতড়ড়ো করে দর্শকদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা চান। রিতা দেওয়ানের সঙ্গে তার দুই মেয়েও এসময় মায়ের সাথে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

রিতা দেওয়ান বলেন, ‘মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসেছি। মানুষ হয়ে থাকতে চাই। আল্লাহকে নিয়ে কটু কথা বলিনাই, মালিক যেন আমাকে ভুল না করায়। এটা আমার ভুল হয়ে গেছে। মানুষের ভুল হয়, শয়তানের ভুল নেই। শয়তানই আমাকে দিয়ে ভুল করিয়েছে’।

ছোট মেয়ে আফরিন দেওয়ান বলেন, ‘আমি বলতে চাই- আমার মায়ের হয়ে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। আর আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আমার মার আর এরকম ভুল করবেন না’।

বড় মেয়ে নাজমিন দেওয়ান বলেন, ‘আসলে আমার মা বাউল গান করে। গান করতে গিয়ে অনেক শিল্পীরা অনেক ধরণের ভুল হয়। আমার মা ভুল হয়ে গেছে। আমার মায়ের হয়ে আমরা দুই বোন ক্ষমা চাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রিুতি দিচ্ছি না আমার মা এরকম ভুল করবে না।  আপনারা আমার মায়ের জন্য না, আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মাকে ক্ষমা করে দিবেন’।

প্রসঙ্গ, সম্প্রতি একটি পালা গানের আসরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে গিয়ে রিতা দেওয়ান মহান আল্লাহ তাআলাকে নিয়ে চরম ধৃষ্টতা, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আল্লাহ তাআলাকে শয়তান, মুনাফিক, দুইমুখী বলেও গালি দেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। রিতা দেওয়ানের শাস্তিও দাবি করেন অনেকে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শরিয়ত বয়াতি নামক এক বাউল শিল্পী পালা আসরে ইসলামে গান বাজনা জায়েজ বলে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি আল্লাহ-রাসূল (সা.) ও ইসলাম নিয়ে নানান আপত্তিকর কথা বলেন। ধর্মবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয় মুসুল্লিরা। ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলাও হয়। পরে বিক্ষোভের মুখে তাকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন।

কাদিয়ানি সুন্দরী নারীকেও বিবাহ করা যাবেনা- আল্লামা শফি

নিউজ প্রতিদিন: কাদিয়ানি সম্প্রদায়কে (আহমদিয়া মুসলিম জামাত) রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার দুপুরে নগরের জামতলায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহে মহাসম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে। সমাবেশস্থল থেকে লোকসমাগম পুরো চাষাঢ়া ও পঞ্চবটি সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

হেফাজতের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পর কোন নবী আসতে পারে না। যারা এই ঘোষণা মানতে নারাজ তারা সুস্পষ্ট কাফের। যারা আমাদের শেষ নবীকে বিশ্বাস করে না তারাও এদের দলের অন্তর্ভুক্ত। এমনকি যারা কাদিয়ানীদের কাফের মনে করে না তারাও কাফের।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহে আয়োজিত কাদিয়ানী বিরোধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন । সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে। সমাবেশস্থল থেকে লোকসমাগম পুরো চাষাঢ়া ও পঞ্চবটি সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

মহাসম্মেলনের প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। আহমদ শফি বলেন, কাদিয়ানীদের মুসলমানের কবরস্থানে দাফন করা যাবেনা। একই সাথে তাদের সাথে আত্মীয়তা করা যাবেনা। তাদের সুন্দরী নারীকে বিবাহ করা যাবেনা।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, আমি শেখ হাসিনাকে অনেকবার বলেছি যে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করো। কিন্তু এখনও তারা সেই কথা বাস্তবায়ন করেনি। আমি বলবো যাতে অতিস্বত্বর এই ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হয়। সরকারের নীতিনির্ধারকরা যদি নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবী করতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। যদি তা না করা হয় পরবর্তীতে দেশের কি অবস্থা হবে তা জানিনা। সরকারকে বার বার বলা হয়েছে, কিন্তু তারা কর্নপাত করছে না। যদি সরকার আমাদের দাবী মানেন তাহলে আমরা আপনার সাথে থাকবো অন্যথায় আপনার সাথে আমরা নেই।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, আল¬ামা জুনায়ের আল হাবিব, মুফতি সাখাওয়াত হোসেন নদভী, মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ, মুহাম্মদ রেজাউল হোসেন, মাওলানা মোহাম্মদ হানজালা, মাওলানা আহমফ আলী কাশেমী, মুফতি নূর হোসাইন নুরানী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের নেতা, মুফতি মাসুম বিল্লাহ, নাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শ্রমিক নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতের আহবায়ক মাওলানা আব্দুল আউয়াল, এবিএম সিরাজুল মামুন, খেলাফত আন্দোলনের আমির আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী প্রমুখ।

এদিকে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। তিনি বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা কোনো ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য যাতে প্রদান করা না হয় সেজন্য পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল। সমাবেশ ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।

আতাউর রহমান বক্তাবলী ইউ: আ’লীগের ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী

নিউজ প্রতিদিনপরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক মো.আতাউর রহমান আতু।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত আাতাউর রহমান।

জন্ম ও পারিবারিক সূত্রে তিনি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর হাত ধরে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়ে তার ছায়াতলে এসে রাজনীতি করতে চান।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

মো.আতাউর রহমান আতু শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় মানুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু মাটিও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ডের একজন কর্মী  হিসেবে জনগনের সেবা করে আসছেন। তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত।

মো.আতাউর রহমান আতু বলেন,এখন পযর্ন্ত আমার নামে কোন মামলা,জিডি ও অভিযোগ নাই। বক্তাবলীর পলিটিক্যাল বিউটি আলহাজ্ব মো. শওকত চেয়াম্যানের ভালবাসা পেয়েছি এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

তিনি এবং কাউন্সিলরা যদি মনে করেন আমি বক্তাবলী ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পদে যোগ্য এবং আমাকে দায়িত্ব দেন আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি। আমি নির্বাচিত হই বা না হই আমাদের প্রিয় অভিভাবক আলহাজ্ব এম শওকত চেয়াম্যানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা করার দাবীতে বক্তাবলীতে বিক্ষোভ

নিউজ প্রতিদিন: কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা ও আগামীকাল নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে জনসভা সফল করার লক্ষে আজ শুক্রবার বাদ জুম্মা বক্তাবলী ইউনিয়ন আলেম সমাজের সভাপতি মাওলানা কাজী শহিদুল্লাহ সাহেবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।আজকের বিক্ষোভ মিছিলে আলেম সমাজ সহ এলাকার সর্ব সাধারণ মানুষ স্বার্থফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। বক্তাবলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জামে মসজিদ থেকে মিছিল নিয়ে বক্তাবলী বাজারে পথসভা করেন।এই পথসভা শেষ করে বক্তাবলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বক্তাবলী মধ্য মহল্লা বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ফেরদৌস হোসাইন, রাজাপুর মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইফুল ইসলাম,রাজাপুর চৌরাস্তা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ সুলতান আহম্মদ, মধ্যনগর গ্রামের বিভিন্ন জামে মসজিদ থেকে আসা ইমাম মাওলানা হাফেজ মনির, মাওলানা মাহাবুব, মাওলানা আব্দুল্লা হাফিজ,মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা সাঈদ হোসাইন,বক্তাবলী বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মুক্তি ইমরান হোসাইন,মাওলানা বেলাল হোসাঈন,মাওলানা মমিনুল ইসলাম হোসাইন,আব্দুল আজিজ কয়াল,মো.আবুল খায়ের ও মোজাম প্রমুখ।

বক্তাবলীতে কোন বিশৃংখলা করলে কঠোর ব্যবস্থা –এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: অশান্ত আকবরনগর পরিদর্শন করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলী।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী)  সকাল ১১ টায় আকবরনগরের প্রতাপনগর ইব্রাহীম মন্ডলের বাড়ী পরিদর্শন করেন।

গত সোমবার রাতে প্রতিপক্ষ রহিম ও সামেদ আলীর লোকজনকে ফাঁসাতে ইব্রাহীম মন্ডল নিজের স্ত্রী ও লোকজন দিয়ে তার রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগ করান।খবর পেয়ে আকবরনগর পুলিশ বক্স হতে পুলিশ গিয়ে হাতে নাতে অনিক ও ইব্রাহীম মন্ডলের স্ত্রীকে আটক করে।পুলিশ বক্সের পুলিশ ইব্রাহীম মন্ডলের স্ত্রীকে ছেড়ে দিলেও আটক অনিককে ফতুল্লা থানা পুলিশের হাতে সোর্পদ করা হয়।

অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আলহাজ্ব এম শওকত আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময় সভাকরেন।তিনি কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন,শুধু আকবরনগর নয় বক্তাবলীতে কেউ বিশৃংখলা করার চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেরা অগ্নিসংযোগ করার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ নেই।

তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য আরো বলেন,রহিম হাজ্বী ও সামেদ হাজ্বী মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল তা মিটিয়ে দেয়া হয়েছে।একটি পক্ষ তা মেনে নিতে পারেনি।তারা চাইবে বিরোধ সৃষ্টি করতে তা যেন না হয় এলাকাবাসীকে সচেতন থাকতে হবে।ইব্রাহীম মন্ডল ও সুরুজ হাজ্বীর মধ্যে ইটভাটা নিয়ে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।এ জন্য উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে হবে।

আকবরনগর গ্রামের লোকজন জানান, কাশেম মন্ডল ও খালেক মন্ডলের নির্দেশে ইব্রাহীম মন্ডল আকবরনগরে ভূমিদস্যুতা,ইটভাটা দখল সহ নানান অপকর্ম করে আসছে।এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় হামলা ভাংচুর চালায় ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনী।

আলহাজ্ব শওকত চেয়ারম্যান পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন ইউপি মেম্বার আতাউর রহমান প্রধান, জাহাঙ্গীর আলম মাষ্টার, আকিলউদ্দিন, রহিম হাজ্বী, সামেদ হাজ্বী, ফুলু মাদবর ও খবিরসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

‘মানুষ মারার কারখানা’ বক্তাবলীতে অবৈধ রাজিয়া নার্সিং হোমটি এখনও বন্ধ হয়নি!

নিউজ প্রতিদিন: ‘মানুষ মারার কারখানা’ খ্যাত সদর উপজেলার বক্তাবলীতে অবৈধ রাজিয়া নার্সিং হোমটি এখনও বন্ধ হয়নি। তিন দফা সীলগালা করে দিলেও বারবার রহস্যজনক কারণে তা আবার খুলে যায়। ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদফা সীলগালা করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানটি কী করে আবার ব্যবসা পেতে বসে! তাদের দাবি, বক্তাবলীর গোপালনগর বাজারে হাজী চাঁন প্লাজায় অবস্থিত ওই ক্লিনিকটি ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর যোগসাজসেই বারবার চালু হয়। অভিযানের পর তিনিই বারবার তদবীর করে তা খুলে দেবার ব্যবস্থা করেন। সবশেষ গত বছরের ২১ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিযান চালানোর সময় তিনিই কয়েকদিনের দায়িত্ব নিয়ে ওই টিমকে বিদেয় করেন।

২১ নভেম্বর ওই টিমের অভিযানে খবরে সেদিন রোগী রেখেই পালিয়ে যায় রাজিয়া সহ ক্লিনিকের সকলেই। তারপর কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় ক্লিনিকটি।

অনিয়মের অভিযোগে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডাঃ জাহিদের নেতৃত্বে একটি টিম পরিদর্শনে এসে অভিযোগের সত্যতা পান। অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় রাজিয়া। পরে ভবন মালিক এসে টিমের কাছে কয়েকদিনে সময় চান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে রাজিয়াকে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ রাজিয়া ক্লিনিক খুলে এমআর, ডিএনসি, ডেলিভারীর কাজ করে আসছে। ডেলিভারী করতে গিয়ে অনেক প্রসূতি মৃত্যুবরণ করেছে। নারায়ণগঞ্জে কর্মরত থাকা অবস্থায় আলোচিত কর্মকর্তা গাউছুল আজম দুইবার প্রতিষ্ঠানটিকে সীলগালা করে দেন।

রাজিয়া নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলে গাউছুল আজমের অভিযানে সময় পঞ্চম শ্রেণী পাস সনদপত্র ও মেডিস্টার ক্লিনিকে আয়ার কাজের সার্টিফিকেট ছাড়া কিছু দেখাতে পারে নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদ বলেন, অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার কারণে তার কাগজপত্র দেখতে পারি নাই। তখন তাকে তিনদিন সময় দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু ক্লিনিকটি আবারও চালু হয়েছে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লিনিক চালানোর কোন কাগজপত্র ও অনুমোদন তার নেই। উনি আইনত ক্লিনিক চালাতে পারেন না। তাকে ওই ক্লিনিকে বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। কারণ ক্লিনিক চালানোর মতো সরকারী বিধি অনুযায়ী তার কোন সরঞ্জাম বা জনবল নেই।

ডা: জাহিদ আরো বলেন, তবে রাজিয়া একজন প্রশিক্ষিত দাই। নরমাল ডেলিভারি তিনি করতে পারেন। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে সিজার বা ক্লিনিকালি অন্যান্য কার্যক্রম অবৈধ। যদি এমন কোন তথ্য আপনার কাছে থাকে, আমাকে জানান ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজিয়া আক্তারকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

(সূত্রঃ প্রেস বাংলা)

বক্তাবলীর পূর্বচর গড়কূল স্কুলে ভিলেজ পরিটিক্সের কারনে ফলাফল খুব খারাপ-এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর  পূর্বচর গড়কুল স্কুল ম্যানেজিং কমিটির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শওকত আলী। শুধু ম্যানেজিং কমিটিই নয়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপর ক্ষোভ ঝাঁড়েন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পূর্ব চরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।

তিনি বলেন, আপনারা আমার কাছ থেকে আদায় করতে পারেননি। আপনারা স্কুলের ভিতরে ভিলেজ পরিটিক্স করেন। স্কুলের ভেতরে কীসের আওয়ামী লীগ-বিএনপি? এখানে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করবে, আমরা সবাই তাদের সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, আপনাদের রাজনীতির কারণে এই স্কুলে যোগ্য ম্যানেজিং কমিটি দিতে পারি নাই, যোগ্য শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় নাই।

শওকত আলী আরও বলেন, এখন স্কুলের বাচ্চাদের হাতেও মোবাইল ফোন তুলে দেয়া হয়, তা-ও স্মার্টফোন। সারাদিন ওরা তাই নিয়ে বসে থাকে। এটা-সেটা দেখে। যার কারণেই তাদের ফলাফল খারাপ হয়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সুলতান আহমেদ ভুইয়া, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাজিয়া আহসান, ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান নান্নু, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, পূর্বচরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার, আব্দুল কুদ্দুস, ইউপি সদস্য মনির হোসেন, ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাষ্টার,স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদের সভাপতি সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এম এ কাদির, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ মফিজ উদ্দিন মেম্বার, মোঃ গাজিউর রহমান মাদবর, মোঃ মনির হোসেন শেখ, মোঃ জহির উদ্দিন মাদবর, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হাছান আলী, মতিউর রহমান, জজমিয়া মাষ্টার, নুরুল হক মোল্লা, শাহাবুদ্দিন মাদবর, মোঃ আফসার উদ্দিন গাজী, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ শামসুল হুদা, আব্দুর রব কন্ট্রাক্টর, মোঃ নুরউদ্দিন, রশিদ শেখ, আহাম্মদ আলী বেপারী, হাসেম ঢালী ও আনোয়ার আলী প্রমুখ।

শওকত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে চাই-বাছির সরদার

নিউজ প্রতিদিনপরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক মো.বাছির সরদার।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত বক্তাবলীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.বাছির সরদার।

২০০৩ সালে ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর হাত ধরে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে তার ছায়াতলে এসে রাজনীতি করেন। সেই থেকে আছেন শওকত আলীর সাথে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

মো.বাছির সরদার শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় পুরুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু মাটিও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি  হিসেবে জনগনের সেবা করে আসছেন। পূনরায়  সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত।

মো.বাছির সরদার বলেন,এখন পযর্ন্ত আমার নামে কোন মামলা,জিডি ও অভিযোগ নাই। বক্তাবলীর পলিটিক্যাল বিউটি আলহাজ্ব মো. শওকত চেয়াম্যানের ভালবাসা পেয়েছি এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

তিনি এবং কাউন্সিলরা যদি মনে করেন আমি বক্তাবলী ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে যোগ্য এবং আমাকে দায়িত্ব দেন আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি। আমি নির্বাচিত হই বা না হই আমাদের প্রিয় অভিভাবক আলহাজ্ব এম শওকত চেয়াম্যানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

২০২০ সালের মধ্যে বক্তাবলীতে সেতু হবে: এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: মাদক সহ সকল ধরনের কু-সংস্কার থেকে দুরে রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই। খেলাধুলার মাধ্যমে সমাজের যুবকরা অপরাধ থেকে দুরে থাকে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ সকল কাজের উর্ধ্বে খেলাধুলাকে প্রাধান্য দেওয়া।

রবিবার (২৬ জানুয়ারী ) বিকেলে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক এম শওকত আলী বক্তাবলীর রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এল.ই.ডি টিভি রামনগর ফুটবল সুপার লীগ’র ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, আজকের খেলা দেখে আমার মনে হলো বক্তাবলীর ছেলেরা গ্রামের সন্তান হলেও তারা কিন্তু খেলাধুলায় পিছিয়ে নেই। আমাদের ছেলেরা ভাল খেলাধুলা করে এখান থেকে জেলা ভিত্তিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারে সেই প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন জননেতা একে এম শামীম ২০২০ সালের মধ্যে বক্তাবলী ফেরী ঘাটে সেতু নির্মাণ করবেন। এম পি সাহের মাধ্যমে হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করণের লক্ষে কাজ করছি এবং ইউনিয়ন পরিষদ ও আমার ব্যাক্তগত তহবিল হইতে যতো ধরনের সহযোগিতা লাগে আমি করবো, আপনারা খেয়াল রাখবেন কোমলমতি শিশুদের যেনো কেউ ইভটিজিং করতে না পারে।এর আগে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।

অনুষ্ঠানে রামনগর পঞ্চায়ে প্রধান মোঃ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আল আমিন ইকবাল, প্রকৌশলী আবু সাইদ রিংকু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আঃ কাদির মাতবর, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফি মাহমুদ, সাবেক মেম্বার মোতালিব, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ আলীম, বাছির সরদার, ইউ পি সদস্য আতাউর রহমান, ইউ পি সদস্য ওমর ফারুক, ইউ পি সদস্য রাসেল চৌধুরী, ইউ পি সদস্য আকিল উদ্দিন, ইউ পি সদস্য জলিল গাজী, ইউ পি সদস্য মনির হোসেন, ইউ পি সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন , মহিলা ইউ পি সদস্য হাজেরা, মরিয়ম, কুলছুম, নাজির মাহমুদ, রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম দাতা সদস্য মোঃ ফখর উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, ইউসুফ মাদবর, তুহিন চৌধুরীর, আনোয়ার আলী ও আঃ মান্নান প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সার্বিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, ওসমান, নাজমুল, মেহেদী, হাছান, মেহেদী মারুফ, জুয়েল, শফিকুল ইসলাম, শান্ত ও নাহিদ।

এদিকে রামনগর ফুটবল সুপার লীগ (আর,এফ,এস,এল) এর ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় এফ সি গ্লাডিয়েটরস্ বনাম ভিক্টোরিয়ান্স। এ দুটি দল খেলায় অংশগ্রহণ করে ভিক্টোরিয়ান্স কে ২-১ গোলে পরাজিত করে এফ সি গ্লাডিয়েটরস চ্যাম্পিয়ন হয়।

আর খেলায় ম্যান অব সিরিজ হন মোঃ সিয়াম ও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন শফিকুল ইসলাম।

বক্তাবলীর আকবর নগর আবারো অশান্ত হয়ে উঠছে!

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি,ভাংচুর ও  লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭ টায় আকবরনগরে রহিম হাজ্বীর ও সামেদ আলীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ইব্রাহিম মন্ডলের ইয়ানুস ও আনোয়ার নামে ২জন আহত হয়।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জয়নাল মন্ডল হত্যাকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী ও রহিম হাজ্বীর লোকজনের পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ায় দুইপক্ষের লোকজন এলাকা ছাড়া ছিল।এই সুযোগে রহিম হাজ্বীর ভাই সুরুজ হাজ্বীর ইটভাটা দখল করে নেয় ইব্রাহীম মন্ডল। ইটভাটাটি ফেরত দিতে বারবার বলা হলেও ইব্রাহীম মন্ডল টালবাহানা শুরু করে।সকালে সামেদ আলী,রহিম ও সুরুজ হাজ্বীর লোকজন তাদের ইটভাটায় গেলে ইব্রাহীম মন্ডলের লোকজনের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এতে ইব্রাহিম মন্ডলের পুত্র ইয়ানুস,আলাউদ্দিনের পুত্র আনোয়ার আহত হয়।

এ ব্যাপারে ইব্রাহীম মন্ডল বলেন,সন্ত্রাসী মোতালিব,রহিম, সুরুজ ও সামেদ হাজ্বীর লোক ইটভাটা ও বাসায় এসে হামলা সহ জিনিস পত্র লুটকরে নিয়ে যায়।পুলিশকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা। ইটভাটা আমাকে দেয়া হলেও এখন তারা দিবেনা বলে টালবাহানা শুরু করে।

সামেদ ও রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,ইটভাটা ফেরত চাওয়ায় পরও ভূমিদস্যু ইব্রাহিম মোল্লা ফেরত দেবার নামে টালবাহানা শুরু করে। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী আসাদুজ্জামান দায়িত্ব নেন।তাকেও মানছেনা ইব্রাহিম মন্ডল। আমরা তাদের উপর হামলা করিনি বরং তারা হামলা চালায়। বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হাজ্বী এম শওকত আলী বলেন, আসলে ইটভাটাটির মালিক সুরুজ হাজ্বী। ইব্রাহিম মন্ডল ফেরত দিবে বলে দিচ্ছেনা। আসাদ চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন। আজকে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান ইব্রাহিম মন্ডলের বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।