১০ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 70

এড. সাখাওয়াত হোসেনকে রাসেল প্রধানের অভিনন্দন

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জ বারের সিনিয়র আইনজীবী ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নব গঠিত কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো.রাসেল প্রধান।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় মো.রাসেল প্রধান বলেন, সারাদেশের সবচেয়ে সফল ও জনপ্রিয় আইনজীবিদের নিয়ে নব গঠিত এ আহবায়ক কমিটি আগামীদিনে তাদের আইনী কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মামলাগুলো নিষ্পত্তিসহ অতিদ্রুত কারামুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। এছাড়াও গতানুগতিক আইনে লড়াইয়ের মাধ্যমে এ কমিটি দেশে আইনের শাসন পুন:প্রতিষ্ঠিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট মো: ফজলুর রহমানকে সদস্যসচিব করে সংগঠনের ১৭৯ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিনজন আইনজীবী সদস্য পদ পেয়েছেন, এরা হলেন এড. তৈমূর আলম খন্দকার, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান এবং এড. মাহবুবুর রহমান খান।

এই আহবায়ক কমিটি আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলে বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

১৭৯ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ জে মোহাম্মদ আলি, যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন- মোহাম্মদ, নাসির, জয়নাল আবেদিন, নিতাই রায়, আহমেদ আযম খান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কায়সার কামাল, আবেদ রাজা, সদস্য সচিব- মো: ফজলুর রহমান।

সদস্যবৃন্দ হলেন- আব্দুর রেজ্জাক খান, তৈমূর আলম খন্দকার, আফজাল এইচ খান, গিয়াস উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, বদরুদ্দোজা বাদল, শাহজাদা, আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদিন তুহিন, শকতুল হক, মুশফিকুর রহমান তুহিন, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদি, জামিল আক্তার এলাহি, গোলাম মোস্তফা, এস এম মোক্তার কবির খান, আমিনুল ইসলাম শানু, অহেদুজ্জামান দিপু, আমিনুল ইসলাম আমিন, হুমায়ুন কবির মনজু, মহসিন মিয়া, মকবুল হোসেন ফকির, গোলাম মোস্তফা খান, ইকবাল হোসেন, খোরশেদ মিয়া আলম, আরফান উদ্দিন খান, মোসলেহ উদ্দিন জসিম, ফারুক ফারুকি, আজিজুল হক খান বাচ্চু, নশাদ জমির, আনোয়ারুল ইসলাম শাহিন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আসাদুজ্জামান আসাদ, কামরুল ইসলাম সজল, শফিউল মাহমুদ আলম, রাগিব রউফ চৌধুরী, আকতার হামিদ ডাবলু, মোহাম্মদ আলি, ইমাম হোসেন সিডনি, আক্তারুজ্জামান, গাজি গিয়াস, গোলাম রসুল বকুল, জাকির হোসেন ভুঁইয়া, রাজিব প্রধান, জয়নাল আবেদিন মেজবাহ, নাসরিন আক্তার, আসলাম মিয়া, মির মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, শহিদুজ্জামান শহিদ, গাজি তোহিদুল ইসলাম, এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, মনিরুজ্জামান আসাদ, আব্দুলল্লহ আল মাহবুব, কামরুজ্জামান মামুন, রফিকুল হক তালুকদার রাজা, জসিম সরকার, শহিদুজ্জামান, শামিমা সুলতানা দিপ্তি, শরিফ আহম্মেদ, সালমা সুলতানা সোমা, সেলিম চৌধুরী, হোসেন আলি খান হাসান, হযরত আলি, নূরুল ইমাম বাবুল, শাম্মি আক্তার, ফারুক হোসেন, আরেফিন স্বপন, আশিকুর রহমান আশিক, আইয়ুব আলি আশরাফি, মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী উজ্জল, শাকিলা ফারজানা, কাজি জয়নাল, মাহবুবুর রহমান খান,রাকিবুল ইসলাম মন্টু, মতিলাল বেপারি, আব্দুস সালাম খান, তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, জাকির হোসেন, মাহমুদ হোসেন, সগির হোসেন লিয়ন, শহিদুল ইসলাম শপু, মির্জা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান, আব্দুল অহাব সজিব, ফাইয়াজ জিবরান মইন, জহিরুল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান মিলন, আয়েশা আক্তার, রাসিদা বেগম ঐশি, রুকুনুজ্জামান সুজা, আব্দুল্লাহ আল বাকি, গোলাম আক্তার জাকির, ইউনুস আল রবি, আনিছুর রহমান খান, নাসির উদ্দিন সম্রাট, কে আর খান পাঠান, সালাহউদ্দিন শিকদার, ফজলুল করিম জুয়েল, সারোয়ার হোসেন, আমান ফেরদাউস, আশেক-এ রাসুল, শাহজাদি কহিনুর পাপড়ি, মিনা বেগম, সাইফ উদ্দিন রতন ও আব্দুল খালেক মিলন অন্যতম।

আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব

নিউজ প্রতিদিন: যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে ওমর ফারুক চৌধুরীর নামে থাকা সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন, বিবরণীর তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।

এর আগে আলোচিত ক্যাসিনোর ঘটনায় আরও কয়েকজন যুবলীগ নেতা ও ক্যাসিনো ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট। এছাড়া, অনেকের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিতও করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ১৫

নিউজ প্রতিদিন: খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নামফলক পুনঃস্থাপন ও ক্যাম্পাসে সহবস্থান নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা চত্বর থেকে মিছিল বের করে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই’, স্লোগান দেয়। মিছিলের শেষদিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল সাদিক হৃদয়, তাওহীদ হাসান পিয়াস ও সৌরভ দাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা পিছন থেকে ধাওয়া করলে দুপক্ষের মাঝে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ঘটে। এসময় ছাত্রদলের ৪ কর্মী বেধড়ক মারধরের শিকার হন।

এতে গুরুতর আহত হন আব্দুর রশিদ, জিতু, পলাশ ও রুবেল নামে ৪ ছাত্রদল কর্মী। এদের মধ্যে ছাত্রদল কর্মী অর্থনীতি বিভাগের আব্দুর রশিদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহযোগিতায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এবং পরবর্তীতে মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।ঘটনার পর জবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক বলেন, ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল শুরু করি। হঠাৎ পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক (সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি) আশরাফুল আলম টিটন বলেন, ক্যাম্পাসে বুড়ো ও অছাত্রদের কোন স্থান হবে না। দলীয় কার্যক্রমের নাম দিয়ে কেউ অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করলে আমরা বসে থাকবো না। তবে যাদের ছাত্রত্ব আছে তারা ক্যাম্পাসে আসুক, এতে আমাদের কোন বাধা থাকবে না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সকালে ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল করলে ছাত্রলীগের হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়। তার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা প্রথমে তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি এবং পরবর্তীতে তাকে পুলিশের সহযোগিতায় মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্বামী মেয়র স্ত্রী উপমন্ত্রী তবুও থাকেন ভাড়া বাড়িতে!

নিউজ প্রতিদিন: খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তালুকদার আবদুল খালেক। তার স্ত্রী হাবিবুন নাহারও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।  সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি।

নিঃসন্তান এই দম্পতি বাস করেন খুলনা মহানগরীর মুন্সীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তালুকদার আবদুল খালেক ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত তৎকালীন খুলনা পৌরসভার মহসিনাবাদ ইউনিয়নের কমিশনার ছিলেন।

এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ ও ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তারপর ২০০৮ খুলনা সিটি মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৩ সালে পরাজিত হলেও সর্বশেষ ২০১৮ সালের মে মাসে সিটি নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে বাগেরহাট-৩  আসন থেকে পদত্যাগ করেন তালুকদার আবদুল খালেক। পরে উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তার সহধর্মিনী বেগম হাবিবুন নাহার।

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বেগম হাবিবুন নাহার বাগেরহাট-৩ আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। সোমবার বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।

সরকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে-খোরশেদ

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন,খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রক্ত দিতে হবে। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট ঘরের ভিতর বসে আলোচনা সভা করলে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবেনা। একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্য বন্দী রাখা হয়েছে বেগম জিয়াকে। সরকার দেশকে ক্যাসিনো রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তারা অপকর্ম করতে পারবেনা। তাই তাকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কৃষক দল মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে জেলা কৃষক দলের সভাপতি শরীফুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ।

উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক,মো.লিয়াকত হোসেন লেকু,জেলা কৃষক দলের সাধারন সম্পাদক ডাঃ মো.শাহীন,সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হামিদুল্লাহ মোল্লা,মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব হাসান জুলহাস,গন বিষয়ক সম্পাদক মো.সাঈদ খান,যুবদল নেতা মো.কামাল,পরিবহন শ্রমিকদল নেতা মো.মানিক মিয়া,যুবদল নেতা মো.ইউসুফ,কুষকদল নেতা মো.শামীম,হাজি জাভেদ হোসেন,মো.আবদুল্লাহ ইউসুফ প্রমুখ।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগ নেতা হত্যার চেষ্টার মূল হোতা ছুরিসহ গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে হত্যার চেস্টার ঘটনার মূল হোতা সাইফুলকে(২৮) গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে রেললাই বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয। পুলিশ এসময় মুন্না হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মুন্নার ভাই শাওন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার রাতে ফতুল্লার রেল লাইন বটতলা এলাকার সাইফুলের নেতৃত্বে থানা ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

এসময় মারাত্মক আহত মুন্নাকে স্থানীয় পথচারীরা উদ্বার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত মুন্না ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী ও পোস্ট অফিস রোড এলাকার মিরাজের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টায় কয়েকজন যুবক মুন্নার উপর হামলা চালায়। এসময় মুন্না তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করলে ওই যুবকরা মুন্নার পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপায় ও এসিড নিক্ষেপ করে। এতে মুন্না নিথর হয়ে মাটিতে লুটে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুন্নার ছোট ভাই শাওনের দাবী, মুন্না গার্মেন্টের পরিত্যক্ত মালামালের ব্যবসা করেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যেই হামলা করা হয়েছে। মুন্নার সাথে সাইফুল,সাগর জাহান, রেহান,রাজিবসহ আরো কয়েকজনের মধ্যে বিরোধ ছিল। তাদের সঙ্গে রাতে বাকবিতন্ডার পরেই মুন্নার উপর হামলা ঘটে।

ফতুল্লায় ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে কুপিয়ে ও এসিডে নিক্ষেপ করে হত্যার চেষ্ঠা

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লায় সৈয়দ মো: মুন্না (৩৫) নামে থানা ছাত্রলীগের এক নেতাকে এলাপাতারীভাবে কুপিয়ে যখম ও এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় ফতুল্লার থানার বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের দাবি, ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয়েছে।

মুন্না ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মেরাজ হোসেনের ছেলে। দাপা এলাকায় তারা বসবাস করছেন। মুন্না ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং এলাকায় গার্মেন্টসের ওয়েস্টেজ ব্যবসায়ী।

আহত মুন্নার ভাই শাওন এ ব্যাপারে জানান, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত স্থানীয় সন্ত্রাসী সাইফুল ও রকিবের সাথে মুন্নার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধের জের ধরে মুন্নাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সোমবার সন্ধার পর পোস্ট অফিস রোডের বটতলা এলাকায় তার উপর অতর্কিত হামলা করে সাইফুল ও রকিসহ আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
এ সময় সন্ত্রাসীরা মুন্নাকে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে তার শরীরে ও মুখে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়। এ অবস্থায় মুন্নার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সাময়িক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে পরে পরিবারের স্বজনরা মুন্নাকে হাসপাতলের এম্বুলেন্সে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাপাতির আঘাতে মুনার ডান কাধের একটি রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা এবং মুখে এসডি নিক্ষেপ করে। স্থানীয়রা জানায় যেভাবে কুপিয়েছে বাচার কথা নয়।
সুত্রে জানাযায় মুন্নার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তার বলছে বাঁচার আশংখা কম। এ ঘটনার পর পরিবারের সবাই ঢাকা মেডিকেলে অবস্থান করছেন । এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়ার সুযোগ হয়নি। তবে আজ মঙ্গলবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। পুলিশ খবর পেয়ে ফতুল্লা জেনারেল হাসপাতলে আসলে ততক্ষনে মুন্নাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিস্তিতে পিয়াজের হালি ২০ টাকা

তানভীর আহমেদ: শুরুর দিকে পিয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ব্যতিক্রম ছিলেন আমাদের মহল্লার কলিম ভাই। কলিম ভাই ফেসবুকে পিয়াজের দাম বাড়ার খবর প্রথম শুনতে পারেন। ফেসবুকে আজকাল ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি দেখে তিনি সেসব মাথায় মাখলেন না।

আমরা গিয়ে তাকে বললাম, ভাই, পিয়াজের দাম তো বাড়তেই আছে। এভাবে দাম বাড়লে কয়েকদিন পর আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হবে। তিনি আমাদের কথা পাত্তা দিলেন না।

বললেন, কেন? আকাশের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবি কেন? বললাম, ভাই, বামন হয়ে যেমন চাঁদে হাত দেওয়া যায় না। তেমনি মধ্যবিত্তের এই আয়ে পিয়াজের দিকেও হাত বাড়ানো যাবে না। তাই আকাশমুখী হা করে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা আর বাজারে গিয়ে পিয়াজের দিকে তাকিয়ে থাকাও তাই। তিনি আমাদের কথা উড়িয়ে দিয়ে বললেন, তোরা, ফেসবুকের খবরে এত কান দিস— ওসব স্রেফ গুজব। আমরা  কলিম ভাইকে জোর করে ধরে বাজারে নিয়ে গেলাম। দূর থেকে লক্ষ্য করলাম, তিনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই আছেন। হাতে দুয়েকটি পিয়াজও দেখা গেল। অবাক না হয়ে আর পারা গেল না। কাছে গিয়ে বললাম, ভাই, ঘটনা কী? বললেন, ঘটনা তেমন কিছুই নয়। পিয়াজের হালি বিক্রি হচ্ছে, সঙ্গে নাকি কিস্তির সুবিধাও আছে। তাই আর দেরি করিনি। এক হালি কিনেই ফেললাম !

 

এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন:  নারায়ণগঞ্জের ৭২টি পূজা মন্ডপে ৫শ কেজি করে বরাদ্দকৃত চালের ডিউ লেটার তুলে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা মিলনায়তনে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের হাতে সাংসদ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই বরাদ্দ তুলে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বাঙ্গালী এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়, আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমরা সবাই সমান। কেউ আল্লাহ, কেউ ভগবান বলি আমাদের সৃষ্টিকর্তা একজনই। আমরা বাঙ্গালীরা যে অসাম্প্রদায়িক তা আমাদের ঈদ পূজাতেই প্রমানিত হয়।

এ সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্ততের বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারী এডুকেশ সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) এর আওতায় ১১৭ সেট বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদি বিতরণ ও আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সদর উপজেলাধীন প্রতিটি মন্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে সরকার প্রদত্ত চালের ডিউ লেটার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন প্রমুখ।

ক্যাসিনো সম্রাট আটক

নিউজ প্রতিদিন: ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আটক করেছে গোয়েন্দারা। রাজধানীর বনানী এলাকার একটি বহুতল ভবন থেকে গতকাল  শুক্রবার তাঁকে আটক করা হয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোনো বাহিনী বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট চলমান ক্যাসিনো-জুয়াবিরোধী অভিযানের শুরু থেকে তাদের নজরদারির মধ্যেই ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তিনি দেশ ছাড়তে পারেননি।

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছেও তিনি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশনে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে টানা ছয় দিন অবস্থান করেন। আর পাহারায় বসান শতাধিক যুবককে। সেখান থেকে গত রবিবার তিনি বনানীর ডিওএইচএস এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিলেন। সর্বশেষ সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যুবলীগ নেতা সম্রাট ঢাকাতেই অবস্থান করছেন এবং আমাদের নজরদারির মধ্যেই আছেন। তাঁকে আটকের বিষয়টি এখনই প্রকাশযোগ্য নয়। সবুজ সংকেত পেলেই তাঁর বিষয়টি প্রকাশ করা হবে। ’

সূত্র জানায়, যুবলীগের প্রভাবশালী এই নেতা আটক বা গ্রেপ্তার এড়াতে ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে আসছিলেন। হাইকমান্ডের সঙ্গে তিনি দফায় দফায় কথাও বলেছেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নেওয়া প্রভাবশালীচক্র এক্ষেত্রে মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই সম্রাটকে আটকের সিদ্ধান্ত নেয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ওরফে ক্যাসিনো খালেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরই ভড়কে যান সম্রাট। যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার এড়াতে শুরু করেন নানা মহলে লবিং। তিনি দলীয় হাইকমান্ডকে দফায় দফায় বুঝাতে চেয়েছেন দলের প্রতি তাঁর অবদানের কথা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, যুবলীগ নেতা সম্রাট গোয়েন্দা হেফাজতেই আছেন। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও গোলাম কিবরিয়া শামীমকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

আর ওই দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে সম্রাট দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্রাটের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সরকারের কয়েকটি সংস্থা। আর তাঁকে জড়িয়ে ক্যাসিনো বিষয়ক তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে সম্রাট আটক হওয়ার পরপরই গা ঢাকা দিয়েছেন সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের নেতা আরমানুল হক আরমান, মোমিনুল হক সাঈদ ওরফে সাঈদ, সম্রাটের ভাই বাদল, জুয়াড়ি খোরশেদ আলমসহ আরো অনেকে। তাঁদেরও গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো অভিযান অব্যাহত রেখেছে।