১০ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 71

শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আজ

নিউজ প্রতিদিন:দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন আগামীকাল।

তিনি বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাঁর জন্মদিন পালন করবে।

শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রবক্তা স্বপ্নদর্শী এই নেত্রী ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহনের পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেন এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম, ২০০৮ সালে দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থ বারের মত নির্বাচনে জয়লাভ করে দলকে দেশের নেতৃত্বের আসনে বসাতে সক্ষম হন।

তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিচার, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতিসহ জাতীয় জীবনের বহুক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।

দাদা শেখ লুৎফর রহমান ও দাদি সাজহেরা খাতুনের অতি আদরের নাতনি শেখ হাসিনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে মধুমতি নদীর তীরবর্তী গ্রাম টুঙ্গিপাড়ায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলসহ তাঁরা পাঁচ ভাই-বোন। বর্তমানে শেখ হাসিনা ও রেহানা ছাড়া কেউই জীবিত নেই।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ সবাই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে নিহত হন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে চলে আসেন। তখন পুরনো ঢাকার রজনী বোস লেনে ভাড়া বাসায় ওঠেন তাঁরা ।

বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য হলে সপরিবারে ৩, নম্বর মিন্টু রোডের বাসায় তারা বসবাস শুরু করেন। শেখ হাসিনাকে ঢাকা শহরে টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দিরে ভর্তি করা হয়। এখন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামে খ্যাত। শুরু হয় তাঁর শহর বাসের পালা।

তিনি ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ওই বছরেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

শেখ হাসিনা ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজে পড়ার সময় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত ৬-দফা দাবিতে পূর্ববাংলায় এক অভূতপূর্ব জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি হয়। শাসকগোষ্ঠী ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। শুরু হয় প্রচন্ড দমন-নির্যাতন। আটক থাকা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে। তাঁর জীবন ও পরিবারের ওপর নেমে আসে গভীর বিপদাশংকা ও দুঃসহ দুঃখ-যন্ত্রনা।

এই ঝড়ো দিনগুলোতেই বঙ্গবন্ধুর আগ্রহে ১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনার বিয়ে হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যাওয়ার পর গোটা পরিবারকে ঢাকায় ভিন্ন এক বাড়িতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

অবরুদ্ধ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনা গৃহবন্দী অবস্থায় তাঁর প্রথম সন্তান ‘জয়’-এর মা হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর কন্যা সন্তান পুতুলের জন্ম হয়।

১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার আগে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ শেখ হাসিনা ইউরোপ যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার খবর পান। তাৎক্ষণিকভাবে দেশে ফেরার কোনো পরিবেশ না থাকায় তিনি ইউরোপ ছেড়ে স্বামী-সন্তানসহ ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।

শেখ হাসিনার পরবর্তী ইতিহাস একবিংশ শতকের অভিযাত্রায় তিনি কীভাবে বাঙালি জাতির কান্ডারি হয়েছেন তার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন রূপায়নের দায়িত্ব নিয়ে বাঙালি জাতির আলোর দিশারী হওয়ার ইতিহাস।

১৯৮১ সালের ১৩ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আর ঐ বছরেরই ১৭ মে দীর্ঘ ৬ বছর প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালের ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের পরে তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে এবং সে বছরের ২৩ জুন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও ওই হামলায় ২৪ জন নিহত এবং পাঁচশ’ নেতা-কর্মী আহত হন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন নিয়ে বিশাল বিজয় অর্জন করে। এই বিজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে চতুর্থবারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

শেখ হাসিনা বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এর আগে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সম্মানসূচক ডিগ্রী, পদক ও স্বীকৃতি দিয়ে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানকে সম্মানিত করা হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টিকা দান কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরুপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরুস্কারে ভ’ষিত করা হয়েছে।

সুইজারল্যন্ড ভিত্তিক বিশ্বব্যাপি টিকা দান সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জি এভি আই) ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর আগে এ মাসেই শেখ হাসিনাকে ড.কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড পদক প্রদান করা হয়। কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজরি কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাম্বাসেডর টিপি শ্রী নিবাসন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ পদক হস্তান্তর করেন।

এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত উল্লেখ যোগ্য পদক গুলোর মধ্যে রয়েছে,ওয়াসেদা ইউনিভার্সিটি অব জাপান-এর সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ল ডিগ্রি, যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আলবারটে ডান্ডি’র সম্মানসূচক ডক্টরেট অব ফিলোসফি ইন লিবারেল আর্ট, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান সূচক দেশীকোত্তমা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট অফ লস, মার্কিন যুক্তরাষ্টের ব্রিজপোর্ট ইউনিভার্সিটির, ডক্টর অফ হিউম্যান লেটারস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিগ্রি ডক্টরেট অব ল’স প্রদান, পল হারিস ফেলোশিপ দ্য রোটারি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনেস্কোর হাউফুয়ট-বোনি শান্তি পুরস্কার-১৯৯৮, এম কে গান্ধী পুরস্কার-১৯৯৮, মাদার তেরেসা পুরস্কার-১৯৯৮ এবং ২০০৬, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের র‌্যান্ডলফ ম্যাকন মহিলা কলেজের পার্ল এস বাক পুরস্কার-১৯৯৯, সিইআরইএস পদক- ১৯৯৯, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পুরস্কার (শিশু মৃত্যু২১০, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০০৯, সাউথ-সাউথ পুরস্কার-২০১১, এমডিজি অর্জনের জন্য জাতিসংঘ পদক-২০১৩, পুরস্কার, রোটারি শান্তি পুরস্কার- ২০১৩, শান্তি বৃক্ষ-২০১৪ আইসিটি স্থায়ী উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৪, পৃথিবীর চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ-২০১৫, এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬, এবং প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন পদক-২০১৬।

সম্পত্তি নিয়ে আটরশি পীরের দুই সন্তান মূখোমূখি,১৪৪ ধারা জারি!

নিউজ প্রতিদিন:ফরিদপুরের আটরশিতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের নিয়ন্ত্রণাধীন ফরিদপুর স্পিনিং মিল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সদরপুরের উপজেলা প্রশাসন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কায় সেখানে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর স্পিনিং মিল অভ্যন্তরে হেলিপ্যাড তৈরির ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বড় ভাইজান হিসেবে পরিচিত আটরশী হুজুরের বড় সন্তান মাহফুজুল হকের আম মোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) বলে জনৈক শহিদুল ইসলাম শাহিন বাদি হয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আসলাম হকের আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় জেলা জাকের পার্টির সভাপতি মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে ফরিদপুর স্পিনিং মিল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফরিদপুর স্পিনিং মিলে আটরশীর পীরের মেঝো সন্তান ও জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সলের অনুসারীরা গত সোমবার একটি হেলিপ্যাড তৈরি করতে যায়। এসময় সেখানে আটরশী হুজুরের স্থলাভিষিক্ত মাহফুজুল হক মোজাদ্দেদীর অনুসারীরা এতে বাধা দেন। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

হুজুরের দুই সন্তানের মধ্যে মিয়া ভাইজানের অনুসারীরা বর্তমানে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কর্মী গ্রুপ আর মেঝো সন্তান যিনি মেঝো ভাইজান হিসেবে পরিচিত এবং জাকের পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তার অনুসারীরা জাকের পার্টির ব্যানারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছেন। কর্মী গ্রুপ ও জাকের পার্টি এখন একে অপরের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন আটরশীতে। এ প্রেক্ষিতেই উত্তেজনা।

গত কয়েকদিন যাবত এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। এরই মাঝে আজ শুক্রবার মোস্তফা আমীর ফয়সলের আটরশীতে আসার কর্মসূচি জানানো হয়। আর মেঝো ভাইজানের এই সফরকে স্বাগত জানিয়ে কর্মী গ্রুপের পক্ষ হতে অভিনন্দন সূচক ব্যানার টাঙানো হয়। তবে তিনি যেনো তার দলবল তথা বহর নিয়ে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে প্রবেশ না করেন সেজন্য তাকে অনুরোধ জানানো হয়।

ফরিদপুর স্পিনিং মিল গেটে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মোস্তফা আমীর ফয়সলের স্ত্রী শাহিনা ফয়সল প্রায় ২০টি মাইক্রোবাসযোগে ফরিদপুর স্পিনিং মিলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছেন। জাকের পার্টির যুব ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার মাহবুবুর রহমান জানান, সিপিএইচডি নামে একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানি পরিদর্শন করতে মেঝো ভাইজানের আসার কথা। তবে তিনি এখনো আসেননি। তার পরিবর্তে মেঝো ভাবিজান আসবেন। তবে মেঝো ভাইজানের এখনো আসার কথা রয়েছে বলে মাহবুবুর রহমান জানান। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) মোস্তফা আমীর ফয়সল ঢাকার বনানীর বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মিয়া ভাইজান হিসেবে পরিচিত মাহফুজুল হক ঢাকা থেকে সড়ক পথে ঢাকা থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে এসে পৌঁছান। প্রায় ৩০টি গাড়ির বহর ছিলো তার সাথে। তার অনুগামী কর্মী গ্রুপের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভক্ত তার স্বপক্ষে বিশ^ জাকের মঞ্জিলে অবস্থান করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পশ্চিম দিকের মূল সড়কের আশপাশে কর্মী গ্রুপের লোকেরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন। তাদের সাথে সেখানে প্রচুর সংখ্যক পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। জাকের মঞ্জিলে প্রবেশকালে সন্দেহজনক কোনো গাড়ি কিংবা ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কর্মী গ্রুপের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, মেঝো ভাইজান দরবার শরীফে আসবেন তাকে কর্মী গ্রুপ অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু তার এই আগমনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে মিল গেটে অবস্থান করছে। তারা এর আগে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল এলাকায় লাঠি মিছিলও করেছে। আমরা আমাদের এই আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানটিতে এমন কোনো অনভিপ্রেত ঘটনার হোক তা চাই না।

তিনি বলেন, প্রতি শুক্রবারই অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও জাকেরগণ এখানে আসেন। আজও এসেছেন।

সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এটি আসলে আম জনতার জন্য প্রয়োগকৃত কোনো ১৪৪ ধারা নয়। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে সেখানে এই সিদ্ধান্ত জারি করা হয়েছে বিবাদমান পক্ষদের জন্য। উভয় পক্ষকে বলেছি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী হালদার ১৪৪ ধারা জারির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেখানে উভয় পক্ষকেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ক্যাসিনোতে ৪ নায়িকা:যা বললেন জি কে শামীম

নিউজ প্রতিদিন: ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে একে একে নাম জড়িয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদের। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু মডেল ও অভিনেত্রী।

টেন্ডার মুঘল জি কে শামীমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি  মডেল ও নায়িকাদের সংশ্লিষ্ঠতার তথ্য দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।

এর পর থেকে চলচ্চিত্র পাড়ায় চলছে গুঞ্জন। শামীমের সঙ্গে ৫০জন মডেল-নায়িকার ওঠা-বসা ছিল বলেও খবর বেরিয়েছে। এর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চার নায়িকার।

অভিযুক্ত চার নায়িকা হলেন, রত্না, মিষ্টি জান্নাত, রাহা তানহা খান, শিরিন শিলা। তবে তারা প্রত্যেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অভিযোগ চ্যালেঞ্জও জানিয়েছেন এ নায়িকারা।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বলেন, দেখুন একজন শিল্পী হওয়া সাধনার ব্যাপার। একটি গণমাধ্যমে আমি সংবাদ পড়েছি। সেখানে কোনও শিল্পীর নাম সরাসরি বলা হয়নি।

তিনি বলেন, আমার কথা হলো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া আমাদের কোনও শিল্পীকে হেয় করবেন না। আর কেউ যদি সত্যি অপরাধী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র:সময় নিউজ

আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মাশরাফি!

নিউজ প্রতিদিন: সাম্প্রতিক সময় আওয়ামীলীগের শুদ্ধি অ’ভিযানে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছে যুবলীগ। এখন পর্যন্ত যারা আ’ট’ক হয়েছেন তাদের সকলের সঙ্গে যুবলীগের সংশ্লিষ্টতার অ’ভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, আওয়ামী যুবলীগের কিছু মনস্টার (দানব) তৈরী হয়েছে। যারা ছাত্রলীগের চেয়েও খা’রাপ।এই বাস্তবতায় অনিবার্য হয়ে উঠেছে যুবলীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে।

যদিও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে যুবলীগ চেয়ারম্যানের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। তবে এই বৈঠকে যুবলীগের কাউন্সিল বা নেতৃত্ব পরিবর্তন করার বিষয় কোন কথা বলেননি। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক থেকে ফিরে এসে যুবলীগের দিনক্ষণ চুড়ান্ত করবেন। অসম’র্থিত সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে একাধিক প্রাক্তন যুবলীগ নেতা এবং আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে যুবলীগের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলেছেন।

এসব আলাপচারিতায় যুবলীগের নতুন সম্মেলনের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেছেন, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগি সকল সংগঠনের যেসব মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি রয়েছে সেসব কমিটির সম্মেলন শেষ করতে হবে। সে হিসেবে যুবলীগের কমিটিও মেয়াদ উত্তীর্ণ। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্যান্য অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের মত যুবলীগেরও সম্মেলন করতে হবে।

তবে যুবলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। যুবলীগের বি’রুদ্ধে যে ক্যাসিনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির অ’ভিযোগ উঠেছে তা একটা নতুন সম্মেলন বা নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে পাল্টে ফেলাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্যই কাউন্সিলের মাধ্যমে যুবলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। এমনিতেই আওয়ামী যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ওম’র ফারুক চৌধুরী ১০ বছর ধরে যুবলীগের নেতৃত্বে রয়েছে।

দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদও দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত না হলেও যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হত। ওম’র ফারুক চৌধুরি নিজেই জানিয়েছিলেন যে, সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি যুবলীগের নেতৃত্ব কারো হাতে তুলে দিতে চান। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে হবেন যুবলীগের নেতা?

জানা গেছে, এখন যখন যুবলীগের নানা কেলেঙ্কারির ঘটনা আ’লোচিত হচ্ছে। পাশাপাশি যুবলীগের নতুন নেতৃত্বের বিষয়টিও সামনে চলে আসছে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ভাই যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মা’রুফের নাম আলোচনায় রয়েছে। শেখ মা’রুফ নিজেও যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজমের নামও চেয়ারম্যান হিসেবে আলোচনায় এসেছে। মির্জা আজম তৃনমূলের কাছে অ’ত্যন্ত জনপ্রিয়। যদিও তিনি তার ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে আগ্রহী না। কিন্তু শুদ্ধি অ’ভিযান ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া যুবলীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে এর কোন বিকল্প নেই বলেও অনেকে মনে করছে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নীতি নির্ধারক বলছেন যে, একজন ভালো সংগঠক হওয়ার চেয়ে একজন ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিত্ব যুবলীগের ভাবমূর্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।ক্রিকেটার মাশরাফি বিন ম’র্তুজার নামও এক্ষেত্রে আলোচনায় আসছে। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যেখানে সংগঠন তৈরী করা কঠিন নয়।

দল শক্তিশালী এবং শতভাগ সংগঠিত। কাজেই সংগঠন এমনিতেই শক্তিশালী হবে কিন্তু যিনি নেতৃত্বে থাকবেন তার ইমেজ এবং আকর্ষণ সন্দেহাতীতভাবে বিতর্কমুক্ত হতে হবে। সেই বিবেচনায় মাশরাফির নামও জো’রেশোরে আলোচনায় আসছে।

তবে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত কে হবেন তা সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সফরের পরপরই তার ভারত সফর রয়েছে। ভারত সফরের আগে তিনি সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন না বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।    সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

ফতুল্লায় ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের শুভ উদ্বোধন

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার শিবু মার্কেটে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ফতুল্লা শাখার উদ্যোগে শিবু মার্কেট এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় শিবু মার্কেট এলাকায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কার্যালয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের উদ্বোধন করা হয়।

ইসলামী ব্যাংক ঢাকা ইস্ট জোনের এক্সকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জোন প্রধান মোহাম্মদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংক ফতুল্লা শাখার এফপিও এবং ম্যানেজার অপারেশন মোহাম্মদ রমজান আলীর উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ফতুল্লা শাখার এস.এ.ভি.পি ও শাখা প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ইসলামী ব্যাংক ফতুল্লা শাখার সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বারী ও ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন ফতুল্লা শাখার আরডিএস প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম। অতিথিবৃন্দরা মেসার্স এন আর ট্রেডিং কর্পোরেশনের স্বত্তাধিকারী মোঃ ফারুক আহাম্মেদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে শিবু মার্কেট এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পশ্চিম লামাপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ক্বারী সেলিমুল হক আরিফি।

ফতুল্লায় একই পরিবারের ৩ নব্য জেএমবি আটক

নিউজ প্রতিদিন: পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গি সন্দেহে ঢাকায় একজনকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফতুল্লার একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এখানে তক্কারমাঠ এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক দম্পতিকে আটক করা হয়। ফতুল্লায় আটক তিনজনই নব্য জেএমবির সদস্য। সোমবার দুপুরে ফতুল্লার তক্কারমাঠ এলাকার ওই বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব বলেন।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, বাড়িটিতে পাওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানায় পাওয়া বিস্ফোরকের মিল রয়েছে।

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘অন্যান্য জঙ্গি আস্তানায় যে ধরনের ল্যাব বা কারখানার সন্ধান মিলেছে সেগুলোর চেয়ে এটি ব্যতিক্রম। এখানে ডেটোনেটরসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। দুই ভাই এই আস্তানাটিতে বেশ কিছুদিন ধরে অবস্থান নিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করছিল।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার রাতে ঢাকা থেকে মিজানুর রহমান ওরফে রফিককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে তার ভাই ফরিদ উদ্দিন রুমিকে আটক করা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফরিদের স্ত্রী জান্নাতুল ফোয়ারা অনুকে আটক করা হয়।’ আটক ফরিদ ও রফিক নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানান তিনি।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জঙ্গি আস্তানা দেখতে উৎসক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। ওই বাড়ির চারপাশ পুলিশ ঘিরে রাখলেও সড়ক ও আশপাশের বহুতল বাড়ির ছাদে ভিড় করেন জনতা। এর মধ্যে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপজাল ইউনিটের একটি দল। এর পর ওই বাড়িতে রোবট নিয়ে প্রবেশ করে।

রোববার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ফতুল্লার তক্কারমাঠ এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিনের বাড়িটি ঘিরে চালানো অভিযানে এ পর্যন্ত দম্পতিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- ব্যাংক কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের ছেলে ফরিদ উদ্দিন রুমি (২৭), তার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিক (২৩) ও রুমির স্ত্রী জান্নাতুল ফুয়ারা অনু (২২)।

এদের মধ্যে জামাল উদ্দিন রফিককে আগেই ঢাকা থেকে আট করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। তার দেয়া তথ্যেই পরে তাদের ফতুল্লার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের জেলা পুলিশ কাউন্টার টেররিজম টিমকে সহযোগিতা করছে।

রূপগঞ্জের ভূমিদস্যু রফিক ও মিজানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিউজ প্রতিদিন: রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কুমুর পরিবার।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর)  সকাল সাড়ে ১১ নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব হল রুমে লিখিত পত্র পাঠ করেন  শহরের তামাকপট্রি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোঃ মুকিত।

তিনি বলেন, রুপগঞ্জ পিতলগঞ্জ মৌজায় আমাদের ১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। যা আমাদের নামে খারিজ করা। সেই জায়গাটি কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক জবর দখল করে বালু ভরাট করে ফেলেছে।

আন্ডা রফিক চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে,পুলিশ প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়না। এ ব্যাপারে রুপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিপিএম পিপিএম বারের শরনাপন্ন হলে তিনি রুপগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত তারা নির্বিকার।

মুকিত আরো বলেন,আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ২০১৬ সালে মারা যান। অথচ আজ একজন মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে রেখেছে ভুমিদস্যু আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজান। আপনাদের লিখুনীর মাধ্যমে জেনেছি রফিক শুধু ভূমিদস্যুতায় নয় নারী কেলেংকারীর সাথেও জড়িতের সাথে অভিযোগ রয়েছে।

নিরুপায় হয়ে আপনাদের শরনাপন্ন হয়েছি যেন আমাদের জমিটি ভূমিদস্যু রফিক ও মিজানের কাছ থেকে উদ্ধার পেতে চাই।বর্তমানে রফিক ও মিজান বাহিনীর হুমকি ধমকীর কারনে চরমনিরাপক্তা হীনতায় রয়েছি।জমিটি অন্যত্র বিক্রি করতে চাইলেও রফিক বাহিনীর ভয়ে কেউ কিনতে চায়না।

বর্তমান পুলিশ সুপার হারুন সাহেব সব জায়গায় বলে থাকেন ভূমিদস্যু,চাদাঁবাজ,মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দিবেন না । এটাই যদি হয়ে থাকে আমি এর বাস্তবায়ন চাই। এক সপ্তাহের মধ্যে আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজানের বিরুদ্ধে আমার জমি দখল মুক্ত না করলে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি পালন করবো। আমি আমার জমি দখল মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মুকিত বলেন, জমি ভরাট করার সময় গেলে রফিক ও মিজান দেখা দে নাই। কাগজপত্র দেখতে দেখাই। এভাবে ২৮ দিন ঘুরায়। রফিকের খাস লোক আবদুল্লাহ ও মানবজমিনের সাংবাদিক জয় বলেন,আমরা ঝামেলা শেষ করে দিব। তারাও দেয়নি। শামীম ওসমান এমপির কাছেও গিয়েছি তিনি কাগজপত্র দেখে বলেন আমি বিষয়টি দেখবো। ঢাকায় মানববন্ধন করায় রফিক ও মিজান শাসিয়েছে। তারা সরকারী বন্ধের দিন দেখা করার সময় দেয়। মিজান ও রফিক ন্যায্য মূল্য দেবার কথা বলে দেড় বছর যাবত ঘুরাচ্ছে। একবার অফিস থেকে বডিগার্ড দিয়ে বের করে দেয়।

জমিটি ফেরত পেতে এসপি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা,পুত্র মোঃ মুকিত,পুত্রবধূ ফাতেমা রহমান ও নাতনী রওশন আরা রহমান নিশা প্রমুখ।

মুরগী আর পান ব্যবসায়ীরাও সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী

নিউজ প্রতিদিন: অলিতে গলিতে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে নাম সর্বস্ব ভূয়া পুলিশ, ভূয়া মানবাধিকার, ভূয়া ডাক্তার আর ভূয়া সাংবাদিক সংগঠনদের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে।

যার মাধ্যমে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই ভূয়া মানবাধিকার সংগঠনের কারনে মানবাধিকার শব্দটি আজ আতংকের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন গুলোর কারনে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ মানবাধিকার এর উপর থেকে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। মানবাধিকারের একটি চক্র জেল থেকে আসামী ছাড়ানো এবং নির্যাতিত মানুষকে আইনী সহায়তা প্রদানের নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে। পাশাপাশি সারা দেশ ব্যাপী চলছে তাদের কার্ড বাণিজ্য। যাদের মানবাধিকার সম্বন্ধে নূন্যতম জ্ঞানও নেই তাদের হাতে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হচ্ছে মানবাধিকার কর্মীর আইডি কার্ড। তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে থানা কমিটি এবং ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা কমিটি গঠনের অনুমোদনও দেয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো সারা দেশে খুলে বসেছে শাখা প্রশাখা, এমনও অনেক সংগঠন আছে যারা সরকারের কোন সংস্থারই অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু মাত্র প্রেস লেখা আইডি কার্ড কেনাবেচাই যাদের মূল পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবাধিকার নামক সংস্থায় কাজ করে মুরগী আর পান ব্যবসায়ী, পেশাদার ছিনতাইকারীরা নামের আগে পিছে বসাচ্ছে সাংবাদিক। নিজের নাম লিখতে কলম ভাঙ্গে, সাংবাদিক বলতে গেলে উচ্চারণ করে বসে সামবাদিক, নিজের সংগঠনটির নাম পর্যন্ত বলতে পারে না-তারাই রাতারাতি মানবাধিকার-সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বনে গেছেন। ভূয়া সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে খোদ পুলিশেরও অনেকটা ভুমিকা রয়েছে। কারণ, পুলিশের সঙ্গেই ওইসব ভূয়া ও নামধারী সাংবাদিকদের বেশি সখ্যতা। এরা প্রায়ই থানার ভিতরে দারোগাদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডাবাজিতে মত্ত থাকে। ‘দালাল’ হিসেবে ঘুষ বাণিজ্যে সরাসরি সহায়তা করে, পুলিশের ‘সোর্স’ হিসেবেও তারা বিশ্বস্থ! সারা দেশে ‘ভুয়া মানবাধিকার কর্মি আর ভূয়া সাংবাদিক’দের দৌরাত্ম্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে। ভুয়া সাংবাদিকেরা বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পেতে এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য-সমর্থকরা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ পরিচয় দিয়ে নিরীহ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও এন্তার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক পরিচয়ে এরা নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। এরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে ‘প্রেস’ কিংবা ‘সংবাদপত্র’ লিখে পুলিশের সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে দাবড়ে বেড়ায়। এদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনও থাকে চোরাই এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্রবিহীন। ভূয়া সাংবাদিক আর কথিত মানবাধিকার কর্মিদের নানা অপকর্মের কারণে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি এখন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আর বর্তমানে এফবি খোললেত কোন কথাই নেই সাংবাদিক আর মানবাধিকার নেতার অভাব নেই। এতে করে পেশাদার সাংবাদিকরা আজ নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। ভূয়া সাংবাদিকদের প্রতারণার জাল কোনো এক ছড়াকার টিটকারির সুরেই ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন- ‘হঠাৎ করে এই শহরে এলো যে এক সাংবাদিক, কথায় কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক। তিলকে সে বানায় তাল-তালকে আবার তিল, চড়ুইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল। পুলিশ দেখে মুখ লুকিয়ে পালায় দিগ্বিদিক, সবাই বলে লোকটা নাকি ভূয়া সাংবাদিক।’ পেশাদার সম্মানিত সাংবাদিকদের জন্য বিষয়টি লজ্জাকর হলেও ছড়া ছন্দের মতই ভূয়া সাংবাদিকরা দেশ জুড়ে বেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ফেলেছে। সাংবাদিকদের মতো বেশভূষায় সেজেগুজে একশ্রেণীর প্রতারক অলিগলি, হাট-বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হামলে পড়ছেন সেখানে। প্রকৃত ঘটনা কি-সে ঘটনার আদৌ কোনো নিউজ ভ্যাল্যু আছে কি না, সেসব ভেবে দেখার ফুসরৎ তাদের নেই। তাদের দরকার নিজেদের প্রতাপ দেখিয়ে, আতংক ছড়িয়ে টুপাইস কামিয়ে নেয়া। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লাপাল্লা, হুমকি, ভীতি প্রদর্শনের সব কান্ডই ঘটিয়ে থাকেন তারা। রাজধানী থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত পল্লীর সাধারণ বাসিন্দারা পর্যন্ত কথিত সাংবাদিক কার্ডধারী ভূয়াদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, তটস্থ থাকছেন। পেটে বোমা ফাটালেও দু’ লাইন লেখার যোগ্যতাহীন টাউট বাটপারের দল চাঁদাবাজিতে সিদ্ধান্ত। ভূয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য নতুন নয়, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর মালিবাগে।
সাংবাদিকতার যে মহান পেশা সকল শ্রেণী-পর্যায়ের ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম, বিভ্রান্তি, অসঙ্গতির বিস্তারিত তুলে ধরে, এখন সে পেশার নাম ভাঙ্গিয়েই চলছে ভয়ংকর ফাঁকিবাজী, চাঁদাবাজি, জোর-জুলুমের হাজারো কারবার। কারা অপকর্মটি করছেন? অনেকেরই তা জানা আছে। সাংবাদিক না হয়েও সাংবাদিকতার বেশভূষা তাদের মূল পুঁজি। খ্যাত-অখ্যাত একাধিক গণমাধ্যমের ৪/৫টি আইডি কার্ড বুকে পিঠে ঝুলিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বত্র। যারা পেশাদার সাংবাদিক তাদের কারো না কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে সাইনবোর্ড হিসেবেও ব্যবহার করেন তারা। সম্ভব হলে সাংবাদিকদের কোনো সংগঠনে নিজের নামটা লিখিয়ে নেয়, তা না হলে নিজেরাই ‘সাংবাদিক’ ‘রিপোর্টার’ ‘প্রেসক্লাব’ শব্দ যোগ করে ভূইফোঁড় কোনো সংগঠন খুলে বসে। প্রয়োজনে টাকা-পয়সা খরচ করে রেজিস্ট্রেশনও করিয়ে নেয়। পেশাজীবী সংগঠন গড়তে, বৈধতা পেতে যেহেতু আলাদা কোনো নিয়ম কানুনের দরকার পড়ে না; সেই সুযোগে কাওরানবাজারের আলু পটলের ব্যবসায়ি, মুগদা-মান্ডার বংশানুক্রমের জেলেও এক মুহূর্তেই সাংবাদিক ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের রেজিষ্ট্রেশন পেয়ে যাচ্ছেন। তখন তাদের বুলি থাকে অন্যরকম-“আমি সাংবাদিক কি না সেটা আপনার জানার দরকার নাই, আমি সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট। আমি সাংবাদিক বানাই, আমার স্বাক্ষরে আইডি কার্ড দেই- আমার পরিচয় আলাদাভাবে দেয়ার কি আছে? ভূয়াদের এতোসব সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ও কথিত ক্লাব-ইউনিটির দাপ্তরিক প্রতারণার ধকলে নানাভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মানুষজন। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ছে মহান সাংবাদিকতার পবিত্র পেশাটিও।
টাকায় কেনা পদ-পদবি।
আইন সহায়তা প্রদানের নামে গড়ে তোলা কথিত এক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এক হাজার টাকায় তাদের সদস্যপদ বিক্রি করছে। কোন থানা কমিটি করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা এবং জেলা কমিটির জন্য ১০ হাজার টাকা ফি আদায় করে নেয়। শর্ত দেওয়া হয়, সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে কোন টাকা আয় হলে তা আলোচনার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আজীবন সদস্য হতে হলে দিতে হবে অন্তত ১০ হাজার টাকা। সংগঠনের কোন সদস্য সাংবাদিক হতে চাইলে ‘সাংবাদিক কার্ড’ বাবদ দিতে হবে আলাদা টাকা।
শুধু এই ফাউন্ডেশনই নয়, এভাবে সাধারন মানুষের সঙ্গে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে দেড় শতাধিক তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন। জয়েন্ট স্টক কোম্পানী ও ফার্মস এর দপ্তর থেকে সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নিয়ে মানবাধিকারের নামে প্রতারনা করছে বিভিন্ন চক্র। এই প্রতারক চক্রের একটি বড় অংশ বিভিন্ন অখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকার কার্ডধারী সাংবাদিক। কনজুমার রাইটস সোসাইটি নামে একটি সংগঠনের প্রাদুর্ভাব রয়েছে দেশজুড়ে। সোসাইটি এ্যাক্টের অধিনে নিবন্ধন নেওয়া এই সংগঠনের আইডি কার্ডের উপরে বড় করে লেখা রয়েছে “গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থা”। গভ: রেজি: এস-৭০০৬ (১৯৪)/০৭, অফিস- ১২০/এ মতিঝিল সি/এ (চতুর্থ তলা) ঢাকা। একই ভাবে মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটি নামেও আরেকটি সংগঠন সদস্যদের ‘মানবাধিকার সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচয়পত্র দেওয়ার নাম করে এক হাজার টাকা এবং বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় কমিটি গঠন করে আঞ্চলিক পরিচালক, সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদের জন্য ৩ হাজার টাকা করে আদায় করছে।
মানবাধিকার সংগঠনের নামে প্রতারনার অভিযোগে ইতিপূর্বে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) থেকে ভুয়া সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্রাইম রিপোর্টার্স ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান এসএম হুমায়ুন কবীরসহ তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। এই সংগঠনটিও ঢাকাসহ সারাদেশে টাকার বিনিময়ে প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তিকে ‘প্রেস’ লেখা আইডি কার্ড বিতরণ করেছে। একইভাবে ফেয়ার ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটি, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, আর্ন্তজাকিত সাংবাদিক মানবাধিকার সোসাইটি, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটি, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি, কনজুমার এন্ড প্যাসেঞ্জার রাইটস প্রোটেক্ট সোসাইটি, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস জার্নালিস্ট এন্ড কালচারাল সোসাইটি নামের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নানারকম দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা যায়। কিম্ভূতকিমাকার নামধামের এসব মানবাধিকার সংগঠনের কর্মকান্ড মনিটরিং না করায় বাধাহীনভাবে তাদের অপকর্ম বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় মিরাজনগর মিজানের বাড়ীর ২য় তলায় গজিয়ে উঠেছে আরেক ভূয়া সংগঠন আর্ন্তজাতিক এই সংগঠনটির সরকারী কোন অনুমোদন না থাকলেও লেথা রয়েছে আর্ন্তজাতিক সনদপ্রাপ্ত, এই সংগঠনের মালিক এলাকার সাধারন মানুষকে সদস্য করা তাদের পাশে দাড়ানো এবং উপকার নাম করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা, অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের মালিক বেশীদিন এক স্থানে অফিস নিয়ে থাকতে পারেনা তার কারন কিছুদিনের মধ্যেই তার আসল রুপ জানতে পাওে আর সে জন্য সে রাতের আধারে পালিয়ে গিয়ে অন্যস্থানে ভিন্ননামে সংগঠন খোলে প্রতারনা কওে আসছে প্রতিনিয়ত।
সরেজমিন ঘৃণাচিত্র ॥
একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রস্তুতের নিমিত্তে গত কয়েকদিন রাজধানীর থানা প্রাঙ্গনগুলোতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সরেজমিনকালে এক হতাশাব্যঞ্জক চিত্রই বেরিয়ে আসে। বিভিন্ন নামের হরেক আকৃতির পত্রিকা আর মানবাধিকার সংগঠনের ‘সাংবাদিক কার্ডধারীরা’ থানা-পুলিশের দালালি ও তদবির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছে। অনেকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে প্রকাশ্যেই পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি’র সোর্সের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। সংগঠনগুলো থেকে দেয়া আইডি কার্ডসমূহে ‘মানবাধিকার লংঘন সংক্রান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা’ ফিল্ড অফিসার, জোনাল অফিসার (ইনভেস্টিগেশন), থানা কমিটির সেক্রেটারী, মহানগর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর (তদন্ত সেল), পরিচালক (তদন্ত) ইত্যাদি পদবী লেখা থাকে। সন্ধ্যার পর একেকটি থানা চত্বরে, আশপাশের চা দোকানে, দারোগাদের টেবিলে টেবিলে ১৫/২০ জন কথিত সাংবাদিক ও তথাকথিত মানবাধিকার কর্মির জটলা থাকে। থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ ষ্টেশন কেন্দ্রিক তথাকথিত সাংবাদিক আর মানবাধিকার তদন্ত কর্মকর্তার সংখ্যা কত-তা হিসেব কষে বলা মুশকিলই বটে। থানায় থানায় গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ কেন্দ্রিক কি কাজ তাদের ?
সরেজমিন অনুসন্ধানকালে যে দৃশ্যপট দেখা গেছে তা সবিস্তারে উল্লেখ করে ঘৃণার বিস্তার ঘটানো অবান্তর। শুধু এটুকু উল্লেখ করা জরুরি যে, এদেশে কামাল লোহানী, আকরাম হোসেন খাঁন, রেহমান সোবহান এর মতো ব্যক্তিত্বও মানবাধিকার কর্মি- অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর হেরোইনসেবী, পেশাদার গ্রিলকাটা চোর হিসেবে খ্যাত মনোয়ার হোসেন মানু মিঞাও হয়েছেন মানবাধিকার রক্ষা পরিষদের তদন্ত সেলের কো-অর্ডিনেটর। একইভাবে খুশী কবির, এলিনা খান’রা যখন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন- তখন এর বিপরীতে মিরপুর থানার তালিকাভুক্ত দেহ ব্যবসায়ি, পর তিন বার গ্রেফতার হয়ে জেল খাটা আসামি আইরিনও শক্ত অবস্থান নিয়ে মানবাধিকারের আইডি কার্ড ব্যবহার করছেন। আইরিনের চাররঙা ভিজিটিং কার্ডে লাল হরফে লেখা আছে ‘মাদক রোধ ও মানবাধিকার সংঘ’, রেজিঃ নং-। নিচে মোটা অক্ষরে আইরিন সুলতানা’র পদবীর ঘরে লেখা রয়েছে যুগ্ম সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, সদস্য সচিব-ঢাকা মহানগর কমিটি এবং ভাইস চেয়ারম্যান-মিরপুর থানা কমিটি। আইরিনের বাসা থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জন দেহজীবি ও চার জন খদ্দেরকে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় গ্রেফতার করে। তাদেরকে ছাড়ানোর জন্য আইরিন থানার ভিতরে ঢুকে তদবির ছোটাছুটিতে ব্যস্ত ছিলেন। তদবিরকালে থানা পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে তিনি টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছিলেন, আবার কোনো কোনো কর্মকর্তার হাতে নিজের ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিয়ে হুমকি ধমকিও দিচ্ছিলেন। কী সেলুকাস !! কত বৈচিত্য আর বিচ্যুতিতে ভরা প্রিয় বাংলাদেশ !

নেশা মুক্ত সুন্দর জীবন গঠনে মাঠের ভুমিকা অপরিসীম-পলাশ

নিউজ প্রতিদিন: আলীগঞ্জের মাঠটি রক্ষার করার দায়িত্ব আমাদের সকলের এমন মন্তব্য করে জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক, আলীগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব কাউসার আহমাদ পলাশ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় কোন মাঠ নেই, আমি একা মাঠটি রক্ষা করতে পারবোনা। আপনারা মাঠটি উদ্ধার করুন। যাতে আমরা বলতে পারি, এই মাঠটি আমাদের মাঠ।

(২১ সেপ্টেম্বর) শনিবার বিকেলে আলীগঞ্জ মাঠে অনুষ্ঠিত ২য় আলীগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ ডিগবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে  পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খেলাধুলা হচ্ছে মানুষ গড়ার হাতিয়ার। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে তাদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নারায়ণগঞ্জে মাঠ থাকলে মাশারাফী যেভাবে নড়াইল এক্সপ্রেস হয়েছে, এখান থেকেও কেউ নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস হতে পারবে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ, আপনারা লেখা লেখির জন্য মাঠ রক্ষা আন্দোলন সাড়া দেশে ছড়িয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, নেশা মুক্ত সুন্দর জীবন গঠনে মাঠের ভুমিকা অপরিসীম। একটি মাঠ লাখো জীবনের অক্সিজেন। আমি বিশ্বাস করি আলীগঞ্জ  মাঠ থেকেই একদিন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় তৈরী হবে।তারা পরিবার ও দেশের সম্মান বয়ে আনবে।

পলাশ বলেন, যুবকরা হচ্ছে  আগামী দিনের ভবিষ্যত।এদেরকে আগামীর অপার সম্পদে পরিনত করতে হলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং সেই পরিবেশও আমাদেরই তৈরী করে দিতে হবে। যারা যুব সমাজের মঙ্গল চায় না তারাই মাঠ নিয়ে ষড়যন্ত্র করে।

মাদক ও সন্ত্রাসের পৃষ্টপোষকতা করে।ভবন নির্মানে বাধা দেওয়ায় সন্ত্রাসী জি কে শামীম  আমাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছিল,আমি ভয় পাওয়ার লোক না।আমি বলেছিলাম আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষায় যদি জীবন দিতে হয় দেবো,তবুও মাঠ দেবো না।জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষা করবো।

আলীগঞ্জ মাঠ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সচিব মোঃ শামসুল হকের সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  আলীগঞ্জ ক্লাবের সহসভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন,কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,ক্লাবের সহসভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বাবুল,ব্যবসায়ী  ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হান্নান,মোঃ রমজান হোসেন,মোকাররম কন্ট্রাক্টর প্রমুখ।উপস্থিত ছিলেন টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক হাজী মোঃ আরিফুল ইসলাম,সদস্য সচিব হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম শামীম,যুগ্ন সচিব মোঃ মিজানুর রহমান ওবায়েদুর রহমান ওবায়েদ।

ফাইনাল খেলায় জাষ্ট ফ্রেন্ডস ক্লাব আলীগঞ্জ তরুন যুব সংঘকে ট্রাইব্রেকারে ২-০ গোলে পরাজিত করে  চ্যাম্পিয়ন হয়।টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়ারের পুরস্কার লাভ করে জাষ্ট ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাজিদ ও ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করে আলীগঞ্জ তরুন যুব সংঘের পিয়াস।

জৈনপুরী পীর এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ১২ (সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার স্থানীয় দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকায় বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরীর পীরকে নিয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও চরম মিথ্যা আশ্রীত সংবাদ প্রকাশে গভীর উদ্বেগের সাথে নিন্দা জ্ঞাপন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাতের আহবায়ক মাওলানা মুফতি আ. রশীদ হারুনী। তিনি বলেন ১২ই সেপ্টেম্বর সংবাদচর্চা পত্রিকায় “জৈনপুরী পীরের খাল দখলের কারণে জলাবদ্ধতা” শীষক কলামে তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর বিশ্ব বরেণ্য মুফাসির আল্লামা আব্বাসীকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে। যার সাথে সত্যের লেশ মাত্র নেই।পত্রিকাটি যে মিথ্যাচার করেছে তাহলো আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাট করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছ। অথচ গত ৫ সেপ্টেম্বর সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক পাঠানটুলী পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় পঞ্চায়েত ঘরে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে এ কথার প্রমান পান যে আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ তাদের পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাণ ভরাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং আশপাশের বিভিন্ন ফ্যাক্টরীর লোকজন রেলওয়ের জায়গা ভরাট করাতে বিষেশ করে আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে চক্রটি ‍সুদীর্ঘ ৪ মাস যাবৎ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত করছে তাদের হোতা গংরাই আব্বাসী মঞ্জিলের পূর্ব পাশের রেলওলেয় খালে ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থ বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধ্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী নির্মাণ করে এলাকার জলাবদ্ধতা সূচনা করে। অথচ আব্বাসী মঞ্জিল কর্তৃপক্ষ যখন দরবারের মাঠ হিসেবে পূর্ব পাশের রেলওয়ের খাল ভরাট করেন তার আগে(২০০১)সালে তৎকালীন রেলওয়ে স্টেট অফিসার আল্লামা আব্বাসীর পিতা মরহুম আল্রামা নিসার আহামাদ আব্বাসী জৈনপুরী (র) উপস্থিতিতে দরবারের পূর্ভ পাশের ১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ খালটি দরবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবহারের মৌখিক অনুমতি দেন।পরবর্তীতে রেলওয়ের জায়গাটি লিজও নেওয়া হয়। অধিকন্তু রেলওয়ের খালটি বালু দিয়ে ভরাটের সময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য মাটির নিচে উত্তর-দক্ষিনে ৩৬ ইঞ্চি মোটা পাইপও (১৫০ ফুট দৈঘ্য ও ৮৮ ফুট প্রস্থ) বসানো হয়। তাই সিদ্দিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় কমিশনার ইফতাখার আলম খোকনকে দায়িত্ব দেন। তাও সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। ওসি কামরুল ফারুক ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীকে রেলওয়ের ভরাট খাল অবমুক্ত করার কোন কথাই বলেননি। যা ৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এবং একথা সত্য হিসেবে উদ্ভাসিত হয় যে আল্লামা আব্বাসী রেলওয়ের খাল ভরাটে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। বরং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিচু হওয়াতেই ভাড়ী বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অতএব সংবাদচর্চা পত্রিকায় একটি প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে মূলত সংবাদপত্রের সত্যনিষ্টতা ও পেশাদায়িত্বকেই প্রশ্ন বিদ্ধ করেছে। আমরা এ মিথ্যা সংবাদে তীব্র নিন্দাজ্ঞাপন ও প্রতিবাদ করছি।

পত্রিকায় দ্বিতীয় যে মিথ্যাচার করেছে পাঠানটুলী পঞ্চায়েত কমিটির আহবায়ক আ. রব ভূইয়া আল্লামা আব্বাসী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন। এ অভিযোগটিও ৫ সেপ্টেম্বর পাঠানটুলী পঞ্চায়েত ঘরে ওসি উপস্থিতিতে সব মিথ্যা সাবস্থ হয়। কারন আলআমা আব্বাসীর উপস্থিতিতে আ. বর ভূইয়া তার অভিযোগকৃত বিষয়ে একটি কথাও বলেননি বরং ওসি তাকে বার বার ধমক দিলেও তিনি সোজা বলে দেন তিনি বলবেন না। কারণ তিনি নিজেই জানেন না অভিযোগে কি লেখা আছে। পত্রিকাটি আল্লামা আব্বাসীর বিরুদ্ধে আরেকটি একপেশে সংবাদ পরিবেশন করে আব্বাসীর সন্মানে আঘাত করার চেষ্ঠা করেছে। তারা প্রকাশ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অথচ মামলা দায়েরের মাত্র ২১ দিন পরই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত প্রমানসহ আল্লামা আব্বাসী ও তার দুই সহোদরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে নতুন (এফ আর আই) নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পুলিশ সুপার কার্যালয় ও সিদ্দিরগঞ্জ থানায় প্রেরণ করেন।

তাই সংবাদচর্চা পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে আমরা অনুরোধ করবোহলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সত্য ও বস্ত্রুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে পেশাদায়িত্বের পরিচয় দিতে অন্যথায় তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত নারায়নগঞ্জ জেলা শাখা মানহানি মামলাসহ সকল ধরণের পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।