১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 86

ফতুল্লার মাদক সম্রাট আর্মী সেলিম গণধোলাইয়ের শিকার

ফতুল্লা মাদক সম্রাট আর্মী সেলিম গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। ফতুল্লা বাজারে অবস্থিত মাদকের নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত অভি ভিলায় স্থানীয়রা মাদক ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানায় হানা দিয়ে আর্মী সেলিম ও তার এক সহযোগীকে গণধোলাই দেয়।

এলাকাবাসী এসময় মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবীদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎ দাসের রুমে হানা দিয়ে তাকে না পেয়ে রুম তাল দিয়ে চলে যায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিনে ধরে ফতুল্লা বাজারে অবস্থিত অভি ভিলার ২য় তলায় বিদ্যুতের ভাড়াকৃত কক্ষে মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন করে আসছে আর্মী সেলিম, বিদ্যুত সহ বেশ কিছু মাদক ব্যাবসায়ী। ইতোমধ্যে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একাধিক বার অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ গ্রেফতার করে।

কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে তারা বের হয়ে পূনরায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে। গণধোলাইয়ের শিকার আর্মীকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আর্মী সেলিমকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। আর্মী সেলিম ফতুল্লা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

আলোকিত বক্তাবলীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বক্তাবলী পরগনার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলীর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ৬ মে (সোমবার) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ বাগান বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,আলোকিত বক্তাবলীর সাবেক আহবায়ক মাশফীকুর রহমান শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া,সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মাদ,মো.রহমত উল্লাহ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন,সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াছিন আহমেদ দোলন,বিশেষ সম্পাদক মে.মনির হোসেন, অনুকূল চন্দ্র রায় ও তৃষ্ণা রায়সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

সাংবাদিকরা সমাজের ভুল শুধরে দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেন-এম শওকত আলী

স্টাফ রিপোর্টা:ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের ভুল শুধরে দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ প্রতিদিনের ৩য় প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক ও সমাজের আয়না। তারা বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের মধ্যদিয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিউজ প্রতিদিনের প্রধান উপদেষ্টা শওকত আলী বলেন, আমাদের ভূল ত্রুটি তুলে ধরে আমাদের সুধরে দিবেন। আমরা কেউ ভুলে বাইরে নই। তিনি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় নিউজ প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ,সহ-সভাপতি এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন,নিউজ প্রতিদিনের উপদেষ্টা মো: খোরশেদ মাস্টার,সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম,যুগান্তরের সাংবাদিক আলামিন প্রধাণ,
মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান,বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মো:মতিউর রহমান ফকির,প্রেস বিডি ডট নেটের সম্পাদক মো: বদিউজ্জামান,দৈনিক এশিয়া বানী জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ সাগর,শব্দ পাতার সম্পাদক শিশির,আলোকিত নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন,নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর ডালিম,নিউজ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার শেখ মো:সেলিম হোসেন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর,মো:দেলোয়ার হোসেন,মানবাধিকার কর্মী মো: রফিকুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম ইসলাম,জিএম মোস্তফা ও ইউসুফ আলী প্রধাণ প্রমূখ।

ক্ষমতার প্রভাব ও আদর্শের লড়াই নিয়ে মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছে দুই প্রার্থী

আগামীকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদের কার্য নির্বাহী পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই হলেও মূল লড়াই হবে সভাপতি প্রার্থী নিয়ে। এ সভাপতি প্রার্থীদের নিয়ে চলছে যত আলোচনা ও সমলোচনা।

তবে সভাপতি পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধি¦তা করায় নির্বাচনের মাঠ উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থীর একজনের ক্ষমতার প্রভাব অন্যজনের আদর্শের লড়াই। এ দুটি ইস্যু নিয়ে দুই প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের হিসাব নিকাশ করছে সাধারন ভোটাররা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ একটি অরাজনৈকি সংগঠন হলেও নির্বাচনে নিজের অবস্থান তৈরি করতে দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে একজন সভাপতি প্রার্থী। এমনকি সেই প্রার্থী বড় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এমনকি সেই প্রার্থী প্রচারও করছে আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ এর উন্নয়ন করার জন্য পরিবর্তন দরকার। কিš‘ পাঠাগারের কেমন উন্নয়ন করবেন তা ভোটারদের কাছে প্রকাশ করেনি। শুধু মাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে ভোটারদের উদ্ভুদ্ধ করতে চাইছেন। এছাড়া এ প্রার্থী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়ে বিশাল বহর নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া নিয়ে নানা সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নেতার ফাদে সাধারন ভোটাররা পা দিবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

অপরদিকে সভাপতি আরেক প্রার্থী মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ এর দীর্ঘদিন সভাপতি হলেও পাঠাগারের উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। তবে এ প্রার্থী নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবে কোন প্রভাব বিস্তার না করলেও নিজের আদর্শ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন।

প্রতিটি ভোটারের কাছে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরছেন এবং নির্বাচিত হলে পাঠাগারের কি ধরনের উন্নয়ন করবেন তা প্রচার করছেন। এ প্রার্থীর কথা মোতাবেক ভোটাররা কিভাবে গ্রহন করবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে একটি রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নির্বাচনে সভাপতি পদে ভোটের লড়াই হিসাব নিকাশ করছে সাধারন ভোটাররা।

এদিকে এ নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসাবে এমএ মান্নান ও আব্দুল বাতেন বাদল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আর সাধারন সম্পাদক পদে এড.মাসুদ পারভেজ সুজন ও ডা.কাজী ইদ্রিস আলী মিন্টু। তারা নিজের অবস্থান তৈরি করে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করার কৌশল অবলম্ভন করছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ৩ মে শুক্রবার সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহন চলবে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য ভোট গ্রহন বিরতি থাকবে। নির্বাচনে পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে জামাল উদ্দিন সবুজ,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাজি আবুল কাশেম,পোলিং অফিসার মো: মতিউর রহমান ও সহকারী পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে শরীয়তউল্লাহ।

নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী গ্রেফতারে এসপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

একটি রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজি হাতিয়ারসহ জঙ্গি সাদৃশ্য ছবি তোলা মো. নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। একটি গার্মেন্টস কারখানার দেয়াল ভেঙে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী পীর এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী হুজুরের ভাই।

বুধবার (১ মে) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় ‘এইচ এন অ্যাপারেলস লি.’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

পরে প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ মো.মহিউদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-৭৪) দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে।

পুলিশ সুপার বলেন, এঘটনার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর হাতে একটি রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজি হাতিয়ারসহ জঙ্গি সাদৃশ্য ছবি প্রকাশ পায়। এদুটি ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আব্বাসীর সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তদন্ত অব্যাহত আছে এবং তাকে নিয়ে অভিযান অব্যাহত আছে।

এদিকে গত ২৮ এপ্রিল নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁর হাতে থাকা রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজিটি উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিনশাহ পারভেজ অস্ত্র দুটিকে খেলনা বলে সনাক্ত করেন।

তারা জানতে পারেন,ছোটবেলা থেকেই হাতিয়ার নিয়ে জঙ্গী সাদৃশ্য ছবি তোলার সখ আব্বাসীর। তাঁর সাথে জঙ্গী সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা এব্যাপারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

যেই কদিন বেঁচে আছি সকলের জন্য দোয়া করবো-শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, যেই কদিন বেঁচে আছি আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ মনে হয় আমার মতো মানুষের দোয়া কবুল করবেনা!কিন্তু চেষ্টা করবো এই জন্য কারণ আল্লাহতো গাফুরুর রাহিম। আল্লাহ আমাদের শাস্তি দেয়ার জন্য দুনিয়ায় পাঠাননি। আল্লাহ আমাদের পুরস্কার দেয়ার জন্য,পরীক্ষা দেয়ার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমরা কেউ অহংকার করি, কেউ গড়িমা দেখাই কিন্তু জীবনটা খুব সহজ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর চাষাড়া জামে মসজিদে আয়োজিত দোয়া ও মাহফিলে তিনি এসকল কথা বলে। এ সময় মসজিদের ভিতরে এবং বাহিরে, আওয়ামীলীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টির অসংখ্য নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান বলেন,আমাদের কিছুই করার নেই। আপনাদের জন্য শুধু এইটুকুই বলতে পারি। আমি নামাজ পড়ি,পাঁচ ওয়াক্তই পড়ি, তাহাজ্জুতও পড়ি। আল্লাহর ঘরে যখন যাই নারায়ণগঞ্জবাসী সকলের জন্য দোয়া করি।

তিনি বলেন,খুব ছোট আমরা। অধৈর্য্য হয়ে যাই যে, কোনটা খারাপ আর কোনটা ভাল ? এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন আমরা কেউই বলতে পারিনা। আমরা মনেকরি এটা আমাদের জন্য খারাপ হচ্ছে কিন্তু সেটা আমাদের জন্য ভালই হচ্ছে। তাই আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই আপনারা আমার ভাই নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন।

প্রয়াত নাসিম ওসমানকে স্মরণ করে শামীম ওসমান বলেন, আল্লাহ তাকে অনেক সৌভাগ্য দিয়েছেন, পবিত্র মক্কায় কাবা ঘরে ঢুকে তা দেখার সৌভাগ্য দিয়েছেন। এবং সেটা তাঁর জীবনে অনেক বড় পাওয়া। আজকে আমার ভাইয়ের জন্য বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গাতে দোয়া হয়েছে, মিলাদ হয়েছে। আসলে আমার ভাইয়ের উপর, আমাদের পরিবারের যতটুকু হক রয়েছে আপনাাদেরও ঠিক ততটুকুই রয়েছে।

তিনি বলেন,আমরা আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাই। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ভাই আছেন উনিও এলাকার জন্য কাজ করছেন। আমিও কম বেশি করার চেষ্টা করছি। কয়দিন আছি জানিনা। কয়দিন বাঁচবো জানিনা। তাই আমি আপনাদের কাছে হাতজোর করে ভিক্ষা চাই আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমার আব্বা আম্মার জন্য দোয়া করবেন। এবং বিশেষ করে আজকের দিনটাতে আমার বড় নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কবরের আজাব মাফ করে দেন। বেহেশতের দরজাটা যেন খুলে দেয়। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

আই এস ইহুদিদের দালাল-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আই এস হচ্ছে সেই ইহুদীদের দালাল,যারা অটমন সাম্রাজ্য তুরস্কের খেলাফতকে সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে ১৯২৪ সালে নষ্ট করেছিল এবং তাদের তৈরি করা বংশধর নাস্তিক ফেরাউনের উত্তরসূরি কামাল পাশাকে ১৯২৪ সালে তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন হিরার জ্যোতি,হিরক্ষনদের জ্যোতি ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না। ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিপক্ষে কামাল পাশা তুরস্কের ক্ষমতা নিল। ক্ষমতা নিয়ে এসে ঘোষণা দিলঃ তুরস্কের ভূখণ্ডের কোন এক ইঞ্চি জায়গাতে ইসলাম নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। মসজিদ গুলোকে নাইট ক্লাব বানিয়েছে। মসজিদের মিনারকে ভেঙ্গে চুরমার করেছে। আজানকে বন্ধ করেছে। দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাথার টুপি কেরে নিয়েছে। মুসলমানের হেজাবকে খুলে দিয়েছে। চরম Secularism (ধর্মনিরপেক্ষতাকে) সে প্রতিষ্ঠা করলো। কিন্তু তুরস্কের মুসলমানের হৃদয় থেকে কুরআন ও সুন্নাহর ভালোবাসার ইসলামের ঐতিহ্যকে তাঁরা মুছে দিতে পারে নাই।৮০ বছর পর আজ চরম ইসলামপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের ক্ষমতায় বসে আছে। তাঁর পূর্বসূরি সোলেমান ডেভিডেল, নাজমুদ্দীন আরবাকান তাঁরা খুব কষ্ট করে গেছেন। তারা সকলেই বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)-এর অনুসারী। যিনি তুরস্কের আধ্যাত্মিক নেতা। মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর ছিলেন। তাঁর সেই মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) চরম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যে দাওয়াতের কাজ চালালেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র তাঁর মুরিদ হয়ে গেল। সে সরকার তাঁকে ২৭ বার কারাগারের ভিতরে নিয়েছে। আর আমাদের দেশের পীররা চরম সুবিধাবাদী। যখন যে সরকার তারা সেই সরকারের অনুগত্য হয়ে যায়। এছাড়া পীরালীটাকে এখন তারা পুরোহিত তন্ত্রে পরিণত করেছে। ইসলামের পক্ষে দ্বীনের পক্ষে সত্যের পক্ষে এদের কোন বক্তব্য নাই। কিন্তু সত্যিককারের যারা পীর মাশায়েখ সাড়াজীবন তারা আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে, শিরক কুফর এবং বাতিলের বিপক্ষে খেলাফতের পক্ষে, হুকুমতে ইলাহির পক্ষে কাজ করে গেছেন। কেউ প্রকাশ্যে,কেউ অপ্রকাশ্যে,কেউ প্রত্যক্ষভাবে,কেউ পরোক্ষভাবে। তাঁদেরই একজন বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)। তাঁরই অনুসারী নাজমুদ্দীন আরবাকান,সোলেমান ডেভিডেল। আর তাঁদেরই অনুসারী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেখানে এখন মসজিদে আজান হয়। মহিলারা স্কার্ফ পরিধান করে সংসদে ঢুকতেছে। পুরুষরা দাড়ি রাখতেছে। ইসলামের পক্ষে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকাতে চলে আসতেছে তুরস্ক। তাহলে ১৯২৪ সালে সমস্ত কাফের মুশরেক একত্রিত হয়ে,রাশিয়া,ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে তারা তুরস্কের খেলাফতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইহুদীরা আইএসকে মাঠে নামিয়েছে।

আইএস ২টি কথা বলতেছেঃ একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। এখন যারা ইসলাম বুঝেনা জানেনা,তাদের মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। খেলাফতের ব্যাপারেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।দেখা যাচ্ছে- আইএস যে এলাকা দখল করছে, মহিলাদেরকে ধর্ষণ করছে। এবং বিচার ছাড়া যাকে তাকে কল্লা কেটে দিচ্ছে। এখন ইহুদীরা সুযোগ পাচ্ছে।

দুনিয়াবাসীকে বুঝাতে-খেলাফত মানেই হল মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা। খেলাফত মানেই হল যাকে তাকে পাও কল্লা ফেলে দেওয়া। সে কাজটি তারা পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা তো সফলতা লাভ করছে। বড়ই দুঃখজনক হলোঃ বাংলাদেশে এই আইএস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন কথা শুরু হলো। এদেশে যারা আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ তাদের দায়িত্ব ছিল,সন্ত্রাসের পূর্ণমাত্রায় বিরোধিতা করে,খেলাফত এবং জিহাদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।

আইন মানার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মানতে হবে। আল্লাহর আইন ইবাদতের অংশ। আর সে আইনকে বাস্তবায়িত করার একমাত্র মূলমন্ত্র হল খেলাফত। তাহলে বুঝা যাচ্ছে,আমরা যারা ভূপৃষ্ঠের হুকুমত থেকে বঞ্চিত তারা ঈমানকেও ঠিক করি নাই, আমলকেও ঠিক করি নাই। ঈমান এবং আমল যদি ঠিক হতো,ভূপৃষ্ঠের হুকুমত আল্লাহ আমাদের দান করতেন।

খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য চারটা:- নূর নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস থেকে এই মাসালা আস্তেমবাত করেছেন,উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক,আমাদের পূর্বসূরি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলবী (রহঃ) হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের ১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি তুলে ধরেছেনঃ খেলাফতের মূল ৪টা বিষয় বাস্তবায়ন করা।

১. (মজলুম) জুলুমের শিকার মানুষকে জুলুম থেকে বাঁচানো ।
২. আল্লাহর প্রদত্ত আইনকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিকে বাস্তবায়ন করা ।
৩. বিচার ব্যবস্থা কুরআন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. জিহাদ পরিচালনা করা।

★ আই এস এর গোঁমরা ফাঁসঃ

দুইটা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই। আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না। আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার। আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা। আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই। কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার ও জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয়। জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয়।

ধর্ম ও ইসলামের নামে দেশকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে-শামীম ওসমান

প্রধানমন্ত্রী বলার দুদিন আগেই নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বর্তমানে চলমান চক্রান্তের বিষয়ে জানিয়ে ছিলেন এমন দাবি করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমি জানানোর দুদিনের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সে তিনি বলেছেন ধর্মের নামে ইসলামের নামে আমাদের দেশকে আবারো রক্তাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সংগীত,আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সভাপতি রাব্বী মিয়া।

শামীম ওসমান আরো বলেন, ৩১ বছরের একজন মহিলা যে বাবা-মা, ভাই সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে এসে হাল ধরলেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রেও জন্য। জাতির পিতার মেয়ে শেখহাসিনাকে সামনে দেখে লক্ষ কোটি মানুষ সাহস পেয়েছে। নেতৃত্বপ্রদানকারী প্রধান যদি সাহসী না হয় তবে সব লড়াই জেতা যায়না। সেই লড়াইয়ে হারানোর জন্য আবার নতুন করে কৌশল হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৬ জুন আমাদের উপর আরডিএক্স ফোটানো হয়েছিলো, আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। সারা বাংলাদেশের কোথাও আরডিএক্স ফোটানো হয়নি, আমাদের উপরই প্রথম ফোটানো হয়েছিলো। কি অপরাধ করেছিলাম আমরা? আমরা নারায়ণগঞ্জে গোলাম আজমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছিলাম এ অপরাধে আমাদের অফিসে বোমব্লাষ্ট করা হলো। ২০ জন ছেলে মারা গেলো। রক্তের উপর শুয়ে আছি, রক্ত কত গরম আমি তা জানি। আমি তখন বলেছিলাম শেখ হাসিনাকে বাঁচান।

শামীম ওসমান বলেন, আপনি আমি মারা গেলে আমি মরে গেলে এই দেশে কিছুই হবে না! আমার বউ-বাচ্চা কাঁদবে! হয়তো আপনারা যারা ভালোবাসেন তাঁরা একটু মনে রখবেন। খুব একটা ক্ষতি দেশের হবেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশটা পিছিয়ে যাবে আরো একশ বছর। তিনি এই দেশটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আপনার, আমার ও বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য। তাই আমি একটা প্রার্থনা করি আপনাদের কাছে, যে যেই ধর্মেরই হননা কেন আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। যাতে তিনি এই দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এছাড়া অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহানগর আওয়ামী লীগের য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আমার প্রিয় নেতা-এসপি হারুন

জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানকে প্রিয় নেতা বলে সম্বোধন করেছেন । এসপি বলেন, ‌‌‘আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এই এলাকার কৃতি সন্তান,সম্মানিত সাংসদ,আমার অত্যন্ত প্রিয় নেতা একেএম শামীম ওসমান। আমরা ছাত্রজীবনে যখন পড়তাম,তখন যাকে হিরো হিসেবে জানতাম,সেই ছাত্রনেতা আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাষাড়ায় অবস্থিত রাইফেলস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান ও এসপি হারুন অর রশীদ। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেনএসপি হারুন।

তিনি আরও বলেন,বঙ্গবন্ধু একটি ভালোবাসার নাম, ইতিহাসের নাম৷ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপনাদের তরুণ প্রজন্মদের জানতে হবে৷ শিশু বয়স থেকে তিনি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতেন৷ বঙ্গবন্ধুর নাম সকলের হৃদয়ের মধ্যে থাকবে৷

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিবস উপলক্ষে রাইফেলস্ ক্লাবের আয়োজনে সংগীত,আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান৷ জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা,জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব ফারহানা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম,সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক,রাইফেলস্ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হায়দার খান কাজল, ক্রীড়া সংগঠক কুতুবউদ্দিন আকসির প্রমুখ৷

সাংবাদিকদের সঙ্গে এসপি হারুনের মতবিনিময়

নারায়ণগঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ আলম দীপুর নেতৃত্বে জেলা পুরিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

এসময় নারায়ণগঞ্জের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সামাজিক বিষয়বস্তু আলোচনায় স্থান পায়।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নিউজ পেপার ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সোজা সাপটা পত্রিকার স্বত্ত্বাধিকারী কামরুল ইসলাম সোহেল, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক নারায়ণগঞ্জের আলো পত্রিকার সম্পাদক কমল খান, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়ন (এনইউজে) (রেজি নং-৪৪৬০) এর সহ সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কথা পত্রিকার সম্পাদক আরিফুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক ও নিউজ পোর্টাল লাইভ নারায়ণগঞ্জের প্রধাণ নির্বাহী মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম প্রমুখ।

জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রশংসা করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, আপনার নেতৃত্বে জেলা পুলিশ সামাজিক অপরাধে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে যে সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করছে তাতে আমরা সাধুবাদ জানাই। এসব অভিযানের সংবাদ আমরা ফলাও করে প্রকাশ করছি ,যাতে জেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জেলা পুলিশের ভূমিকা জনমনে স্বস্তি এনে দিচ্ছে।সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি জাতীয় ও অনলাইন মিডিয়ায় শহরের একটি জুয়ার আসর উচ্ছেদ অভিযানের ২ মাস পর সাংবাদিকদের নাম জড়ানোর বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করে শাস্তির ব্যাবস্থা করার দাবি জানান।সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, মুলত অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে স্থানীয় সাংবাদিকদের সমন্বয় এবং পরস্পরের সহযোগীতা বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। এ কারণে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক বিরাজমান। বিগত সময়ে সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহলের বিরাগভাজনও হয়েছে।

সংবাদ প্রকাশের কারণে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষও বানিয়েছে কোন কোন মহল। আমরা মনে করি গণমাধ্যমের ভূমিকায় কোন শ্রেনী বা মহলের আক্রোশে ঐ গণমাধ্যম কর্মীর ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য দেয়া হয়েছে। যাতে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে চাপের মধ্যে রাখার একটি প্রক্রিয়া বলে আমরা মনে করি।এসময় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সন্ত্রাসী, মাদক ও অপরাধমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গঠনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এখানকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে জেলাবাসী ভালো থাকবে। শান্তি ফিরে আসবে। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগীতা একান্ত প্রয়োজন। আপনাদের মধ্যে গ্রুপিং থাকতে পারে কিন্তু সকলের সাথেই আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে কিছু কিছু অতিরঞ্জিত সংবাদ নারায়ণগঞ্জ সহ দেশবাসীর মাঝে বিরুপ মনোভাব দেখা দেয়। যেমন ডিসেম্বরে আমাদের দেয়া একটি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে একটি জাতীয় দৈনিক নানাভাবে খুচিয়ে খুচিয়ে লিখছে। এতে করে মানুষ মনে করছে নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সাথে রাজনৈতিক নেতাদের যুদ্ধ চলছে। আসলে তা নয়। মন্ত্রী-এমপি সাহেবদের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। কারও সাথে আমার দ্বিমত নেই। আমি আমার কাজ করছি ওনারা ওনাদের কাজ করছেন।পহেলা বৈশাখে এমপি শামীম ওসমান সাহেব আমার বাসভবনে দাওয়াত খেয়ে গেছেন। এমন নজির অন্য কোন জেলায় নেই।

আজও ওনার সাথে কথা হয়েছে। আমাদের মাঝে সুসম্পর্ক রয়েছে। তারপরও কেউ কেউ চাচ্ছে দূরত্ব সৃষ্টি করতে। কিন্তু আমার কাছে এসব চলবে না। আমাদের উদ্দেশ্য নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা। শান্তি-শৃংখলা রক্ষা করা। আর এ কাজ করে সর্ব মহলের প্রশংসা পাচ্ছি। সাংবাদিকদেরও আমরা পাশে চাই। এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ একটি লিখিত বক্তব্য তুলে দেন পুলিশ সুপারের হাতে। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে মিষ্টিমুখ করান পুলিশ সুপার।