১৩ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 88

সম্পত্তি আত্মসাৎ’র অভিযোগে চরমোনাই পীরের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টারঃ
চরমোনাইর পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ন্যায্য সম্পত্তি বুঝিয়ে না দেয়ায় ১৮ এপ্রিল(বৃহস্পতিবার) চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস বাদী হয়ে বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২২৮/২০১৮। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখে দেন|

মামলায় অন্যান্য বিবাদীদের মধ্যে রয়েছেন,চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ মোঃ মোবারক করিম,চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ ফজলুল করিমের ছেলে বর্তমান পীর সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম তার ভাই সৈয়দ মোঃ মমতাজুল করিম মোস্তাক,সৈয়দ মোঃ মোছাদ্দেক বিল্লাহ্, ইসলামি আন্দোলনের নায়েবে আমীর সৈয়দ মোঃ ফাইজুল করিম,সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম,চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবুল খায়ের মোঃ ইসহাক, সৈয়দ নুরুল করিম ও সৈয়দা আফিফা খাতুন সহ ৩৩ জন। আদালতের বরাত দিয়ে আইনজীবী আজাদ রহমান জানান,বরিশাল সদর উপজেলার জে.এল ৯২নং মৌজায় চরমোনাই বিভিন্ন খতিয়ান ও দাগে বাদীর ২.৬৫ একর জমি বন্টন নিয়ে বিবাদী ঘুরতে থাকে।

পরে জমির কথা অস্বীকার করায় আদালতে বন্টন মামলা দায়ের করেন চরমোনাইর সাবেক পীর মরহুম সৈয়দ মোঃ এছাহাক (রাঃ) ছেলে সৈয়দ রশীদ আহমদ ফিরদাউস। মামলার নথিসূত্রে প্রকাশ, বরিশাল সদর উপজেলার অন্তর্গত জে. এল. ৯২নং চরমোনাই মৌজায় এস. এ. রেকর্ডীয় সৈয়দ মোঃ এছহাক তার জীবমানে তিন বিবাহ করেন। ১ম স্ত্রীর গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছাহাকের ঔরষে ২ ছেলে সৈয়দ মোঃ মোবারক করিম, সৈয়দ মোঃ ফজলুল করিম এবং ৩ কন্যা সৈয়দা মোসাঃ আনোয়ারা বেগম, সৈয়দা মোসাঃ নুরজাহান বেগম, সৈয়দা মোসাঃ মমতাজ বেগম জন্মগ্রহণ করেন।

সৈয়দ ফজলুল করিম ইন্তেকাল করলে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা আনোয়ারা বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা মোসাঃ নুরজাহান বেগমের লোকান্তরে ৮ জন ওয়ারিশ, সৈয়দা মোসাঃ মমতাজ বেগমের লোকান্তরে ৬ জন ওয়ারিশ থাকেন। সৈয়দ মোঃ এছহাকের ২য় স্ত্রী ছালেহা খাতুনের গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছহাকের ঔরষে ২ কন্যা মোসাঃ হুরুন্নেছা বেগম এবং মোসাঃ সৈয়দা মনিরুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মোসাঃ হুরুন্নেছা বেগমের লোকান্তরে ৩ জন ওয়ারিশ থাকেন।

সৈয়দ মোঃ এছহাকের ৩য় স্ত্রী আমেনা বেগমের গর্ভে এবং সৈয়দ মোঃ এছহাকের ঔরষে ৩ পুত্র ১ কন্যা জন্মগ্রহণ করেন। উল্লেখিত মতে বাদী সৈয়দ মোঃ এছহাকের পুত্র হিসাবে বিরোধপূর্ণ জমিতে ২.৬৫ একর ভূমিতে স্বত্ববান মালিক দখিলকার বিদ্যমান থাকেন। এই ২.৬৫ একর ভূমি নিয়েই বিরোধ। বিভাজ্য ভূমির পরিমাণ ২৬.২৪ একর।

যার মধ্যে বিরোধীয় ভূমির পরিমাণ ২.৬৫ একর। বিরোধীয় ভূমি এযাবৎকাল আদালতের মাধ্যমে বন্টন হয়নি। এ নিয়ে নিয়মিত বিবাদ সৃষ্টি হলে ভূমি আপোষে বন্টন কওে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ঘুরাইয়া অবশেষে গত ৬ জুলাই পরে জমির কথা অস্বীকার করায় এই মামলাটি দায়ের হয়।

অবশেষে কাউন্সিলর ডিস বাবু গ্রেফতার

অবশেষে চাঁদাবাজ মামলায় ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ওরফে ডিস বাবুকে গ্রেফতার করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়ান্দা শাখা পুলিশ (ডিবি)।

বৃহষ্পিতবার দুপুর আড়াই টায় শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আটককের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান,বন্দর থানার একটি চাঁদা বাজি মামলায় ডিস বাবুকে আটক করা হয়েছে। তাকে এখন বন্দর থানায় হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়,ডিস ব্যবসা কেন্দ্র করে হাসান নামে এক ডিস ব্যবসায়ী কাউন্সিরর বাবুর বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাই ডিস বাবুকে আজ গ্রেফতার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের বালুরচরে ২১৬ ক্যান বিয়ারসহ আহসান হাবীব গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান থানাধীন মোল্লাকান্দি বালুরচর এলাকা থেকে ২১৬ ক্যান বিদেশী বিয়ারসহ মোঃ আহসান হাবীব (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

মাদক ব্যবসায়ী আহসান হাবীব ওই এলাকার হেলাল উদ্দিন মুন্সির ছেলে।

এক ই-মেইল বার্তায় র‌্যাব-১১ জানায়, আহসান হাবীব এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছিলো। বতার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখাঁন থানায় একটি মামলা হয়েছে। আর এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখাঁন থানায় ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বক্তাবলীর ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলী ও সোলেমান ৩ দিনের রিমান্ডে

বক্তাবলীর ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীকে (৫২)পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ায় হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলীসহ দুইজনকে ৩দিন করে রিমান্ড নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ৭দিন রিমান্ড আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের একটি আদালতে রিমান্ড শুনানী শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে শুক্রবার একই হত্যাকান্ডে মোহাম্মদ আলীর কর্মচারী ফয়সাল (২৮) হত্যার দায় স্বীকার করে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো.কাউছার আলমের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে।

নিহত কামরুজ্জামান সেলিম ওরফে সেলিম চৌধুরীর বাড়ি ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মৃত সামছুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। আর সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী আলীরটেক ইউনিয়নের ডিগ্রিরচর এলাকার সালাউদ্দিনের ছেলে ও সোলয়মান গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ আলী ও সোলয়মানকে ৭দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে। সোমবার রিমান্ড শুনানীতে আদালত তাদেরকে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মামুন আল আবেদ জানান, ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর দুই লাখ টাকা আত্মসাত করতে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলী তার লোকজন নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে মোহাম্মদ আলীর গোডাউনে মাটিতে পুতে রাখে। লাশে পাশে চুন দিয়ে রাখে যাতে করে লাশ মাটির সাথে মিশে যায়।

মোহাম্মদ আলীর পরিকল্পনা মোতাবেক ৩১ মার্চ বিকেলে সেলিম চৌধুরীকে মোহাম্মদ আলীর ফতুল্লার ভোলাইলের ঝুটের গোডাউনে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর মোহাম্মদ আলী, ফয়সাল, আলী হোসেন ও সোলয়মানসহ ৪জন মিলে সেলিমের হাত পা বেধে উলঙ্গ করে প্লাষ্টিকের বস্তায় ভরে রাখে। পরে গোডাউনের ভিতরে একটি গর্ত করে মাটিতে পুটে রাখে।

তিনি আরো জানান, সেলিমকে যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে সেখানে চৌকি রেখে ৯দিন ফয়সাল ঘুমিয়েছে। ১০দিনের দিন ১০ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং ভোলাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলহোতা মোহাম্মদ আলী, সোলয়মান ও ফয়সালকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

শামীম ওসমান ও এসপি হারুনের নববর্ষ পালন

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে প্রথমবারের মতো বিরল এক দৃশ্য ধরা দিলো। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের সাথে সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে এমন কথা চাউর হয়েছিলো। তবে নতুন বছরে সেসব জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ সুপারের বাসভবনে বৈশাখী উৎসব অনুষ্ঠানে হাজির শামীম ওসমান। তাকে দেখে উপস্থিত অন্য অতিথিরাও বেজায় খুশি।

অবশেষে এসপি হারুনের অতীতে করা দাবিই সত্যি প্রমাণিত হলো। এসপি হারুন দাবি করে আসছিলেন, তার সাথে জেলার সকল এমপির সাথে সম্পর্ক ভালো।

শামীম ওসমান এসপি হারুনের বাসভবনে ঢুকেন দুপুর দেড়টার দিকে। বাংলা নববর্ষে উৎসবের মাত্রাটা যেন আরো বেড়ে গেলো।

এসপি হারুনও কম যাননা। নববর্ষ উপলক্ষে শতভাগ বাঙালিয়ানা উৎসবের আয়োজন ছিলো তার বাসভবনে। ত্রিশ পদের ভর্তা, পান্তা-ইলিশ, কাঠাল, আতাঁফল আর দেশীয় ফল রাখা হয় ভোজন অনুষ্ঠানে। এমনকি ফুচকা, চটপটি আর চা-কফির ব্যবস্থা তো ছিলোই। ভ্যানগাড়িতে ছিলো ডাবও। ডাব কেটে দুজন পরিবেশন করছিলো সবাইকে।

ছিলো সাপখেলা, বানর খেলা আর ম্যাজিক দেখিয়ে উপস্থিত অতিথিদের বিনোদন দেয়া। পুলিশ সুপারের এমন আয়োজনে অভিভূত করে সবাইকে।
সবশ্রেণি পেশার মানুষের মিলনে নানা আনন্দ আয়োজনের মধ্য দিয়েই পালিত হলো নতুন বছরের প্রথম দিন। সামাজিক সব অনাচারের বিরুদ্ধে মানুষের মনে শুভবোধ জাগিয়ে তোলার মানসেই যেন পুলিশ সুপারের এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন।

এদিকে এমন আয়োজনে শামিল হোন এমপি শামীম ওসমান, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দসহ জেলার সরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট জনেরা।

শামীম ওসমান অনুষ্ঠানে এসে প্রায় এক ঘন্টা অবস্থান করেন। এসপি, তাঁর পত্নীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা শামীম ওসমানকে অভ্যর্থনা জানান। অভ্যর্থনার সময় এসপি পত্নী শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বোনের বাড়িতে ভাই আসবে এটিই তো স্বাভাবিক। এরপর শামীম ওসমান অনুষ্ঠান স্থলে এসে কিছুক্ষণ নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালামের সাথে গল্প করেন। এসময় সমসাময়িক নারায়ণগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি তাঁর সাথে কথা বলেন। এরপর শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ খেতে বসেন। সবাইকে এক টেবিলে দেখে নতুন বছরে নারায়ণগঞ্জে স্বস্তির সুবাতাস বইতে শুরু করলো বলেও উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করেন। খাওয়া শেষে শামীম ওসমান আর বেশিক্ষণ দেরী করেননি। পুলিশ সুপার ও তাঁর পত্নী শামীম ওসমানকে বিদায় বেলায় এগিয়ে দিতে আসেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বাসভবনে বৈশাখে অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মাহবুুবুর রহমান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শামীমসহ অন্যান্য সাংবাদিকগণ। শামীম ওসমান আসার আধাঘন্টা আগে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ও যুগের চিন্তা পত্রিকার সম্পাদক আবু আল মোরছালীন বাবলা। খাবার পর্ব শেষে পুলিশ সুপারের সাথে মোরছালীন বাবলা কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায়।

এছাড়া এসপির বাসভবনে আয়োজন করা বৈশাখী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুব লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, বন্দর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পুলিশ সুপারের এমন আয়োজনকে সবাই সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই। কঠোর নিরাপত্তা আর নানা নিয়ম কানুনের বেড়াজালের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী উদযাপন করছে নতুন বছরকে। লাল-সাদা পোশাকে কিবা বাঙালির প্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি আর শাড়ি পরে সব বয়সী নারী-পুরুষরা আনন্দে মেতেছেন। পুলিশ সুপারের বাসভবনে ঢাক, ঢোল, গান আর ব্যতিক্রমী আয়োজন উৎসবের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফতুল্লাবাসীকে শওকত চেয়ারমানের শুভেচ্ছা

১লা বৈশাখ ১৪২৬ ও বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষে ফতুল্লাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নিউজ প্রতিদিন ডট নেটের প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার(১৩ এপ্রিল)বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের মাধ্যমে তিনি ফতুল্লাবাসীকে এ শুভেচ্ছা জানান।

ফতুল্লাবাসীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে শওকত আলী বলেন,আমি ফতুল্লা তথা দেশবাসী সকলের সুখ, শান্তি,সমৃদ্ধি ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি আমার প্রিয় ফতুল্লাবাসীকে বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নিহতের পরিবার ও বক্তাবলীর বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা বলেন,ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে সেই খুনিরা যাতে কিছুতেই পার না পায়। সেলিমের খুনিরা যদি কোনোভাবে পার পেয়ে যায় তাহলে আমার একমাত্র ছেলে সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে আত্মহত্যা করব। আমার স্বামীর হত্যাকারী মোহাম্মদ আলীসহ তার সহযোগিদের ফাঁসি চাই।

তিনি আরও বলেন,আমার স্বামী একজন সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলেননি। এমনকি কারও সঙ্গে ঝগড়া করেননি। আমার স্বামী মোহাম্মদ আলীকে দুই লাখ টাকা ধার দিয়ে কী অপরাধ করেছিল? যার কারণে সেই টাকা আত্মসাৎ করতে মোহাম্মদ আলী তার সহযোগিদের নিয়ে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করলো। আমি চাই খুনি মোহাম্মদ আলী গংরা যাতে কিছুতেই বের হতে না পারে সেজন্য নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনের প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ থাকবে।

মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বক্তাবলীর সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলী,বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট,এবি ফ্রেন্ড অ্যাসোসিয়েশন ও অগ্রযাত্রার নেতৃবৃন্দ।

এসময় মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বারী,নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ মাস্টার,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাসেল চৌধুরী,আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি নাজির হোসেন,
বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সভাপতি আলামিন ইকবাল,সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ফকির, আলোকিত বক্তাবলীর সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি ও নিহত সেলিম চৌধুরীর মা মমতাজ বেগম, ছেলে রিতুল চৌধুরী প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি হাট, ঘাট ও বাজারের টেন্ডার সমপন্ন

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১১ টি হাট, ঘাট ও বাজারের টেন্ডার সমপন্ন হয়েছে। (১১ এপ্রিল ২০১৯) বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় ইউএনও কার্যালয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত টেন্ডারে উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী মোঃ শওকত আলী, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল গফফার,বিআরডিবি কর্মকর্তা বেলাল হোসেন,পিআইও আনোয়ার হোসেনসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

ডিগ্রীরচর বাজার ইজারাপান আবু সালেহ আহম্মেদ খোকন,বক্তাবলী বাজার ইজারাপান আব্দুস সামাদ, ডিগ্রীরচর গুদারাঘাট পান আওলাদ হোসেন,বক্তাবলী গুদারাঘাট ইজারাপান সাব্বির আহম্মেদ,ফতুল্লা পিলখানা পশু জবাইখানা পান রাসেল চৌধুরী।

১১ টি হাট ও বাজার,ঘাট ও গুদারাঘাটের মধ্যে ৮ টির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। বাকি ৩ টি সরকারী মূল্যের চেয়ে কম হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারো টেন্ডার হবে।

এবারই প্রথম সদর উপজেলায় ফতুল্লা পশু (পিলখানা) জবাই খানা প্রকাশ্যে টেন্ডার অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী মূল্য ছিল ৪৮ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ ৭২ হাজার টাকা দিয়ে নেন রাসেল চৌধুরী।

বক্তাবলীর সেলিম চৌধুরীর জানাযা সমপন্ন

ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইল এলাকায় নির্মম ভাবে নিহত বক্তাবলীর কানাইনগর গ্রামের বাসিন্দা ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। (১১ এপ্রিল ২০১৯) বৃহস্পতিবার বাদ আছর কানাই নগর স্কুল মাঠে জানাযা নামাজ শেষে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।

খুনী মোহাম্মদ আলী বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে নিহত কামরুজ্জামান চোধুরী সেলিমের জানাযায় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রনালয়ের চীফ ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুল্লাহ চোধুরী,বাংলাদেশ নীট মালিক এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের কালাম চৌধুরী,ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ শহীদুল্লাহ, পঞ্চায়েত প্রধান শহীদুল্লাহ ফকির, নাসিরউদ্দিন মাদবর,বক্তাবলী ইউপি মেম্বার রাসেল চৌধুরী সহ সর্বস্তরের ৩/৪ হাজার লোক উপস্থিত হন।

উল্লেখ্য গত ৩১ মার্চ ফতুল্লার শিবু মার্কেট লামাপাড়ার ভাড়া বাসা হতে ব্যবসার উদ্যেশ্যে বের হন কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম। ৬ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করেন। ৮ মার্চ অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ১০ এপ্রিল বিকালে ভোলাইলে খুনী মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউন হতে নিখোঁজের ১০ দিন পর বস্তা লাশ উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। প্রধান খুনী মোহাম্মদ আলী, ফয়সালসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।

শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিমের লাশ বক্তাবলী পৌছলে শোকের ছায়া নেমে আসে। কানাইনগর গ্রামে পৌছলে স্বজনদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে। শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়ে মানুষ।দুর দুরান্ত হতে লোকজন ছুটেঁ আসে জানাযায়।

বক্তাবলীর সেলিম চৌধুরীর নিখোঁজের ১০দিন পর লাশ উদ্ধার,আটক-১

ফতুল্লায় নিখোঁজের ১০ দিন পর ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী সেলিম চৌধুরীর (৫২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাওনা টাকা চাইতে এসে সেলিম চৌধুরীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে মাটিতে পুতে রেখেছিল । আর পুলিশ মাটি খুড়ে সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার কাশীপুর ভোলাইলের একটি ঝুটের গোডাউন থেকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ফয়সালকে (২৯) আটক করা হয়েছে। আর তার দেওয়া তথ্য মতেই মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী ফতুল্লার বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার মৃত শামসুল হুদার ছেলে।
নিহতের স্ত্রী রেহেনা আক্তার রেখা জানান,সেলিম মূলত গার্মেন্টের থান কাপড় ও ঝুট ব্যবসা করতেন।

তাদের বাড়ি বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকায় হলেও সে ব্যবসার সুবিধার্থে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বের হয়ে যান।

ওইদিন বেলা ১১টার দিকে সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেখা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিলেন তিনি ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছেন। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে সেলিম চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

রেহেনা আক্তার রেখা আরো জানান,সেলিম চৌধুরী ভোলাইলের মোহাম্মদ আলী নামের এক ঝুট ব্যবসায়ীর কাছে ২ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। ওই টাকা নিয়ে টালবাহনা করছিল মোহাম্মদ আলী।

আর ৩১ মার্চ পাওনা টাকা চাইতে গেলে আলীরটেকের ডিগ্রিরচর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলীর ভোলাইলের ঝুটের গোডাউনে যায়। এর পর হতে ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী নিখোঁজ হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মামুন আল আবেদ জানান,জিডি ও অভিযোগের সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।

পরে বুধবার দুপুরে ভোলাইলে মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ফয়সালকে আটক করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩১ মার্চ রাতেই সেলিমকে হত্যা করে লাশ মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয় জানিয়েছে ফয়সাল।