৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 10

ফতুল্লা থানা বিএনপির ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্দেগ্যে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে এ উপলক্ষে সমাবেশ ও র‍্যালি করা হয়।

র‍্যালিতে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে দলে দলে এসে যোগ দেন। যা এক সময় জনসমুদ্রে রুপ নেয়। র‍্যালিটি ফতুল্লার ডিআইটি মাঠ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা- নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কে পঞ্চবটী বাস স্ট্যান্ড গিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

র‍্যালিটির নেতত্ব দিয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।

র‍্যালিটির পূর্বে ডিআইটি মাঠের সমাবেশে জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কে উদ্দেশ্য করে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন,গিয়াসউদ্দিন এবং শামীম ওসমান একই সূত্রে গাঁথা,  একজন প্রকাশ্যে খুন করায় একজন গোপনে খুনের মামলা দেয়। এরা দু’জনই গডফাদার।

তিনি বলেন, আপনি মনে প্রানে শেখ মুজিবের আদর্শ লালন করেন বলেই আপনি ১৫ আগস্ট পালন করেছেন, নাসিক নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর মিষ্টি খাইয়ে খুশি রাখার চেষ্টা করেছেন, আপনার পরিবারের সদস্যরা নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। এসব করে আপনি নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। আর এখন বাঘ সেজে হুংকার দিচ্ছেন, বাঘ সাজতে চান তাতে সমস্যা নাই, কিন্তু এই বাঘকে আমরা ভয় পাই না। আমার প্রশ্ন ৫ আগস্টের আগে আপনি কোথায় ছিলেন, তখন কেন বাঘ সাজেননি। আন্দোলন করতে গিয়ে যে গুলি শহিদুল ইসলাম টিটু খেয়েছে তা আপনার খাওয়ার কথা, তখন আপনি কোথায় ছিলেন?

গিয়াসকে উদ্দেশ্য করে রিয়াদ চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালের নিবার্চনের ১৭দিন আগে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে এসে এমপি হয়ে আপনি বিএনপির ত্যাগী, নিবেদিত নেতাকর্মীদের দমন-পীড়ন চালিয়ে আওয়ামীলীগকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলনের বাইরে ছিলেন। আপনাকে ফতুল্লা বিএনপি সমর্থন দিয়ে আলোচনায় এনে জেলা বিএনপির সভাপতির জায়গায় বসানো হয়েছে। আপনি এ পদে এসেই আগের ন্যায় বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছেন। যারা আওয়ামীলীগের আদর্শ লালন করে তারা বিএনপির ত্যাগীদের সহ্য করতে পারবে না এটাই প্রমাণিত।

দীর্ঘদিন ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি আজ এ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। সে অজর্ণকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ এমন মন্তব্য করে রিয়াদ চৌধুরী বলেন,  গিয়াস সাহেব  আপনি ৫আগষ্টের পর বহিষ্কার খেলায় লিপ্ত হয়েছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে কোথায় কার মার্কেট দখল করেছেন, লুটপাট কি করেছেন সব আমরা জানি, আপনি এর দায় এড়াতে পারবেন না। আমাদের হুমকী দিয়ে লাভ নাই,  শামীম ওসমানের মতো গডফাদারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা রাজনীতি করেছি, সেই শামীম ওসমান পালিয়েছে, আর আপনি এসে নারায়ণগঞ্জের মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন।  এসব করে আপনি বিএনপিকে বিতর্কীত করতে যা করনীয় আপনি সব করছেন। আপনার পরিবার কি অপরাধ করেছেন, আর আমরা কি অপরাধ করেছি। একটি মঞ্চ করে বসেন ফতুল্লায় কি হয়েছে আর সিদ্ধিরগঞ্জে কি হয়েছে।  তখনই বুঝা যাবে কে কি দখল করেছে। কে কতোটুকু অন্যায় করেছে।

আপনি প্রতিদিন অন্যায় করছেন আর সভামঞ্চে বসে  পরের সমালোচনা করছেন, পরের অন্যায়ের কথা আর কতোদিন বলবেন। আপনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কথা বলে বিএনপিকে আর বিতর্কীত করবেন না।

ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন যারা মাঠে ছিলোনা, যারা ২০০১ সালে মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজী করেছে, এখন তাঁদের শেল্টার দিচ্ছেন,  আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, আমরা তৃনমূল থেকে উঠে আশা কর্মী। আমাদের হুমকী দিয়ে, ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। যারা আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন আপনার আন্দোলনের সময় কোথায় ছিলেন। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করুন।

এসময় বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা শ্রমিকদলের আহবায়ক শাহ আলম, থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন সালু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আঃ খালেক টিপু, ফতুল্লা থানা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বাবুল আহমেদ, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুমন আকবর, নজরুল ইসলাম প্রধান, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার, ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী ও মুসলিম আহমেদ।

 

ট*য়*লে*টে লুকিয়ে থাকা ভু*য়া মুজিব গ্রে’ফ’তা’র

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :টয়লেটে লুকিয়েও শেষরক্ষা হলো না আরুক মুন্সির” কাশিয়ানী উপজেলায় এক প্রত্যন্ত গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে মুজিব বলে পরিচয় দিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলছিলেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়ভাবে তিনি “মুজিব” নামে পরিচিত ছিলেন, কিন্তু আসল নাম আরুক মুন্সি। পুরো গ্রাম তাকে “নতুন মুজিব” হিসেবে সম্মান করলেও, তার চাঁদাবাজির খপ্পরে পড়ে অবশেষে গ্রামবাসী বুঝতে পারে এটি আসলে একটি বড় প্রতারণা।

আরুক মুন্সি দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের লোকজনকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে আসছিলেন। কখনো তিনি বলতেন, “গ্রামে বিদ্যুৎ এনে দেব,” কখনো বা বলতেন, “স্কুল বানাবো, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে।” এর জন্য এককালীন “জাতীয় উন্নয়ন ফান্ড” দাবি করে তিনি প্রতিটি পরিবার থেকে চাঁদা তুলতেন। গ্রামবাসী তার কথা বিশ্বাস করে একের পর এক চাঁদা দিত, কিন্তু অদ্ভুতভাবে গ্রামের অবকাঠামোতে কোনো উন্নতি চোখে পড়ছিল না। বরং দেখা যাচ্ছিল, আরুক মুন্সির নিজস্ব জীবনযাত্রা ক্রমাগত বিলাসবহুল হয়ে উঠছে। গ্রামবাসীর মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে, এবং অবশেষে এক সন্ধ্যায় তারা সিদ্ধান্ত নেয় আরুক মুন্সির কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার।

খবর পেয়ে আরুক মুন্সি বুঝতে পারেন যে তার সময় শেষ হতে চলেছে। তিনি পালানোর চেষ্টায় দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ির টয়লেটে লুকিয়ে পড়েন।

কিন্তু গ্রামবাসীও ততক্ষণে সাবধানী হয়ে উঠে পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। অবশেষে, রাত ১০টার দিকে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময়ও আরুক মুন্সি চেঁচাতে চেঁচাতে বলছিলেন, “আমি মুজিব, আমাকেই গ্রামবাসী চেয়েছিল। সবই আমার উন্নয়নের টাকায় করা!” কিন্তু গ্রামবাসী জানে, তার কথায় আর কোনও সান্ত্বনা নেই। গ্রেফতারের পর পুলিশ জানায়, আরুক মুন্সির আসল উদ্দেশ্য ছিল নিজেকে মহান ব্যক্তির মতো উপস্থাপন করে লোকজনকে প্রতারণা করা। ধরা পড়ার পরেও তিনি নিজেকে “মুজিব” পরিচয় দিয়ে গর্বের সুরে বলছিলেন, “আমি তো শুধু গ্রামবাসীর কল্যাণই চেয়েছি!” এ ঘটনার পর গ্রামবাসী তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হলেও, ঘটনাটি এখন এলাকায় হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে।

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে গিয়াসউদ্দিনের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে ফতুল্লা প্রেসক্লাব

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন একটি সমাবেশে ফতুল্লা প্রেসক্লাব এবং প্রেসক্লাবের সদস্যদের হুমকী দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফতুল্লা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

রবিবার বিকালে ফতুল্লা প্রেসক্লাবে জরুরী সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন,জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে গণমাধ্যমের কণ্ঠ চেপে ধরার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন সময়ে সভা-সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকী দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার বিকালে ফতুল্লা ধর্মগঞ্জ চলার মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে ফতুল্লা প্রেসক্লাব এবং ক্লাবের সদস্যদের হুমকী দিয়েছেন। আমরা সাংবাদিকদের হুমকীর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি তার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি করছি।

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুমের সঞ্চালনায় এবং ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সী, পিয়ার চাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন, অর্থ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ডিয়েল, প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সুমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক প.ম আজিজ, মোঃ সেলিম,  সোহেল রানা, জসিমউদ্দিন, রাকিব চৌধুরী শিশির প্রমুখ।

না:গঞ্জের আলীরটেকে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রৌপ্যকাপ মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে রৌপ্যকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় আলীরটেক ইউনিয়নের গঞ্জকুমারিয়া বালুর মাঠে আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শরীফ সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ জামাল সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শরীফ সরদার, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাসের জেলা সভাপতি আব্দুল মজিদ প্রান্তিক, যুবদল নেতা এসএম সৌরভ, মোঃ মিলন, মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, নুর-ই হামিম হৃদয়, ইব্রাহিম সরদার, শহিদুল ইসলাম, আল আমিন, গিয়াস উদ্দিন, তৌহিদ, সিহাম প্রমুখ।

বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন।

চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর, বিএনপির ৪ নেতাকর্মী গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চাঁদা না দেওয়ায়  বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে বরিশালের গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়কসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছেন স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা। এর আগে ওই ৪ নেতাকর্মীকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী।

মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গৌরনদী পৌরসভার টরকী বন্দরের ফ্ল্যাক্সিলোডের ব্যবসায়ী ও ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম জামিল শিকদার ওরফে মিঠু শিকদার (৪৫) বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- গৌরনদী পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএম জাকির শরীফ (৪৫), পৌর বিএনপির সদস্য ফরহাদ শরীফ (৪৫), বিএনপি কর্মী নজমুল হাসান মিঠু (৪৫), এসএম সজীব শরীফ (৩৮)। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের একদল সদস্য অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বিএনপির ওই ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করেছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১নং আসামি নাজমুল হাসান মিঠু গত ১৮ অক্টোবর বিকালে বাদীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে আর্মি ক্যাম্পে আসতে বলেন। আরও বলেন- আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আমাকে অনেক জ্বালাইছিস। টরকী বন্দরে ব্যবসা করতে হলে আমাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে টরকী বন্দরে ব্যবসা করতে পারবি না। এরপর বাদী সেনা ক্যাম্পে গিয়ে বিষয়টি জানান।

পরবর্তীতে আসামি মিঠু, তার খালাতো ভাই সজীব, ফরহাদ শরীফ, জাকির শরীফ মিলে গত ২২ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে বাদীর টরকী বন্দর এলাকায় বাসায় ঢুকে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা বাদীকে কিল-ঘুসি মেরে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে আসামিরা চাঁদার জন্য আবার আসার কথা বলে চলে যায়।

গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, চাঁদার দাবিতে মারধরের বিষয়টি বাদী স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করলে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একদল সেনা সদস্য অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে বাদীকে নিয়ে গভীর রাতে থানায় আসেন। টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মিঠু শিকদার বাদী হয়ে বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে আসামি করে মঙ্গলবার গভীর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর সভাপতি সাদ্দাম’র প্রতিক্রিয়া

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।

নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আসার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, ‘এই সরকারের হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী এবং পুলিশের রক্তের দাগ লেগে রয়েছে। নিজেদের গণহত্যার দায় আমাদের ওপরে চাপানোর জন্যেই এই সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে।’

এবার ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘অবৈধ, অসাংবিধানিক, দেশবিরোধী’ উল্লেখ করে এর পদত্যাগ দাবি করেছে সংগঠনটি।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা প্রথমেই ছাত্রলীগের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও আত্মদান থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জনগণের সকল আন্দোলনেও যুগপৎ স্রষ্টা হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।’

গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিজেদের ভূমিকার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ছাত্রলীগ।

আন্দোলনের সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত হামলার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

এ প্রসঙ্গে সংগঠনটির ভাষ্য, ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘মেটিকিউলাস প্ল্যানের’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের বিপরীতে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী ও রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী স্বার্থান্বেষী মহল।’

যুবদলকর্মী শাওন হত্যা, আসামি ডিসি, এসপি, শামীম ওসমানসহ ২৫২

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জে দুই বছর আগে পুলিশের গুলিতে শাওন আহমেদ নামে এক যুবদলকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে নিহতের বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় নারায়ণগঞ্জের সদ্য সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলো-

১) গোলাম মোস্তফা রাসেল, তৎকালীন পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ
(২) মঞ্জুরুল হাফিজ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ,
(৩) এ.কে.এম শামীম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৪
(৪) এ.কে.এম সেলিম ওসমান, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৫, উভয় পিতা মৃত- সামসুজ্জোহা, সাং- চাষাড়া
(৫) নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-২ থানা-আড়াইহাজার (৬) গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-১ থানা- রূপগঞ্জ
(৭) লিয়াকত হোসেন খোকা, সাবেক সাংসদ নারায়ণগঞ্জ-৩ খানা-সোনারগাঁ (৮) আবুল হাসনাত বাদল, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ (৯) আনোয়ার হোসেন, সভাপতি মহানগর আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জ
(১০) শাহজান মিয়া, সাবেক উপদেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আওয়ামীলীগ, রূপগঞ্জ

(১১) আঃ জলিল, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- মৃত আবেদ আলী, সাং-এনায়েতনগর
(১২) মহিউদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- আকার নি ভূইয়া, সাং- গোপাল নগর বক্তাবলী

(১৩) জাহাঙ্গীর মাষ্টার, আওয়ামীলীগ (নেতা), গিতা, আফসার উদ্দিন, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা

(১৪) মঈনুদ্দিন, আওয়ামীলীগ (নেতা) পিতা- মোতালিব, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা
(১৫) মোতালিব, আওয়ামীলীগ (নেতা), পিতা- কাসেম, সাং- পূর্ব গোপালনগর, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ

(১৬) মাহফুজুর রহমান কনক, তৎকালীন এসআই, ডিবি
(১৭) আনিছুর রহমান, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৮) কামরুজ্জামান, তৎকালীন এস.আই নারায়ণগঞ্জ সদর থানা
(১৯) মোঃ সোহাগ, কং/৮০৬
(২০) আরিফ দেওয়ান কং/৪২৫
(২১) ফেরদৌস দেওয়ান, এ.এস আই (এবি)/৯২১
(২২) সেলিম, কং/১৭৩০
(২৩) রিপন, কং/২০৫৬
(২৪) যুগল, কং/১০৪০
(২৫) মামুন, কং/১৭৫২
(২৬) রিয়াজ, কং ২০৭০
(২৭) হাফিজ কং/ সর্ব সাং- পুলিশ লাইন নারায়ণগঞ্জ
(২৮) ইকবাল হোসেন এ.এস.আই (এবি)/১২১
(২৯) দেলোয়ার হোসেন, এ.এস.আই (এবি)/১৮২
(৩০) জাকির হোসেন, কং/১৮১০
(৩১) নাঈম, কং/২০১৭
(৩২) রাকিব, কং/২০৭২
(৩৩) আনিছ, কং/১৯৪১
(৩৪) সাইদুল, এসসিসি নং- ৪২৪৭/২২
(৩৫) মোঃ সোহরাব, এ.এস.আই (এবি)/২১৭
(৩৬) ইনজামামুল, কং/২০৪৮
(৩৭) মোঃ রাসেল, কং/১১০৫
(৩৮) খলিলুর রহমান, কং/১২৫৮
(৩৯) মোহসীন মিয়া, কং/৮২৪
(৪০) মোস্তাকিম, কং/৮৭৩
(৪১) সাহাদৎ হোসেন, কং/১৮৮৩
(৪২) ফখরুল ইসলাম, কং/১৭৫০
(৪৩) আরিফ দেওয়ান, কং/৮০৯
(৪৪) দীপক সাহা, কং/৯৫৮
(৪৫) শাহীন, কং/৮০৬
(৪৬) ফরিদ উদ্দিন, কং/৫৩১
(৪৭) মুরাদুজ্জামান, ৩২/১২৮৯
(৪৮) শাহীন, কং/১৬৩৯
(৪৯) কবির হোসেন, কং/৭৪৯
(৫০) মান্নান, কং/৯৫৮
(৫১) রুবেল, কং/১০০৫
(৫২) সোহাগ, কং/১৬৭৩

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালিতে পুলিশের গুলিতে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ নিহতের ঘটনায় তার বড় ভাই মিলন মিয়া বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তনের সামনে থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিশাল র‌্যালি বের করে। র‌্যালিটি নগরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ এবং পরে গুলি বর্ষণ করে। ঘটনার একপর্যায়ে ডিবি পুলিশের তৎকালীন এসআই মাহফুজুর রহমান কনক চায়নিজ রাইফেল দিয়ে একের পর এক গুলি বর্ষণ করলে যুবদল কর্মী শাওন আহাম্মদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সেই সঙ্গে পুলিশের গুলিতে আহত হন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও অনেক নেতাকর্মী।

মামলার বাদী মিলন মিয়া বলেন, আমার ভাই শাওন ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর র‌্যালিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু পুলিশ ঘটনার পর প্রথমে আমার ভাইকে যুবলীগ কর্মী বানাতে চেয়েছিল। সেটিতে ব্যর্থ হয়ে ভাইয়ের মরদেহ আটকে রেখে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। পরে জানতে পারি আমি নাকি বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। পরে আমি আদালতে মামলাটির বিষয়ে নারাজি দিলে পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বাধ্য হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সময় আমার পরিবারকে পুলিশ জিম্মি করে রেখেছিল। যে কারণে আমি ওই সময় ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারিনি। এখন দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছি। আশা করছি এ সরকারের আমলে ভাই হত্যার ন্যায় বিচার পাবো।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বক্তাবলী ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।

রবিবার (২০ অক্টোবর) ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়ন সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক এড আব্দুল বারী ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন।

তাতে উল্লেখ করেন,এতদ্বারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ফতুল্লা থানা শাখার অন্তর্গত বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক সুমন আকবর ও সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলী নেতৃত্বাধীন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মাঝে সমন্বয়হীনতা, অভ্যন্তরীন বিশৃঙ্খলা, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যর্থতা সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বর্তমান বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হইল। উক্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

 

সাংবাদিক এহসান কাদির রুমি’র মৃত্যুতে মহানগর জামায়াতে ইসলামী’র শোক

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক এহসান কাদির রুমি সাহেব ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টায় হাজীগঞ্জ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমির মাওলানা আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি মানোয়ার হোসাইন এক যৌথ বিবৃতি শোক প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন সেই সাথে মহান আল্লাহ মরহুমের ভুল – ত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করুক, আমিন।

শোকাহত পরিবারের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক কামনা করেন।

কা-পুরুষদের রাজনীতি করার অধিকার নেই-গিয়াসউদ্দিন

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ফতুল্লায় সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অরাজকতার প্রতিবাদে জনসভায় বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ছাত্ররা যখন আন্দোলনে নামলো তখন অহংকারী সেই শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলো। আমরা তো তাকে পালিয়ে যেতে বলেনি। ফুল দিয়েও ঢিল ছুড়ি নাই। কোন দিন দেখেছেন কোন দেশের এমপি মন্ত্রী পালিয়ে গেছে। যায়নি কিন্তু তারা কেন পালিয়ে গিয়েছে। এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে কারন সে জানতে পেরেছে কিছুক্ষণ সময় যদি সে থাকে তাহলে তাকে শেষ করে দিবে। সেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গিয়ে তার দলকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে, তার নেতাকর্মীদের ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের উপর আল্লাহর গজব পড়ছে। আন্দোলনে পর তারা পালিয়ে রয়েছে কারন তারা আন্দোলনের পর সামনে আসলে তাদের ছাত্ররা ছাড়বে না। এমন কোন গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা নাই যারা পালায় নাই। তারা কেন পালিয়েছে তাদের কর্মের কারনে। কারন তারা মানুষের জন্য ভালো কিছু করে নাই। আমরাও তো ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিলাম নির্বাচনের মাধ্যমে। কই আমরা পালাইনি তাহলে আপনি পালালেন কেন?

শুক্রবার (১৮ই অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে উক্ত কথা বলেন তিনি।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মিলন মেহেদীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোঃ হাসান আলীর সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াসউদ্দিন।

গিয়াসউদ্দিন আরো বলেন, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে ২০০১ সালের পরই অনেক করুন সময়ে অনেক ছাত্র আমাকে দেখেনি। আমি যখন এখানে ফেরীঘাটে এসে উপস্থিত হলাম দেখিলাম এখানে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়েছে। আমার নাতীর বয়সি মানুষ হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি আমার পরিবার আপনাদের কাছে অনেক কতৃজ্ঞ। বক্তাবলীর এমন কোন জায়গা নেই যে নির্বাচন এর সময় আপনাদের কাছে আমি যাই নাই। আমাকে আপনেরা যে ভালোবাসা দিয়েছেন তা আমি রাজনৈতিক জীবনে পাই নাই। আমার সফর সঙ্গীদের জামাই আদর করেছেন। আমার পরিবার আপনাদের এই আপ্যায়ন কখনো ভূলবে না। আমার পরিবার ও আমার সন্তানদের নির্দেশ দিয়েছি সব সময় আপনাদের প্রতি খেয়াল রাখতে।

তিনি আরো বলেন, আপনেরা কি কখনো শুনেছেন কোন দেশের বিচারক, পুলিশ শিক্ষক, মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, ডিসি, এসপি, সচিবরা পালায়? কিন্তু বাংলাদেশে পালিয়েছে। কারন তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আওতাধীন ছিলো। তারা বিচার বিভাগকেও স্বাধীনতা দেয় নাই। পুলিশ বাহিনী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশে আমাদের কোমলমতি শিশুদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। মসজিদের ইমাম দিয়ে যেভাবে বলতেন সেভাবেই ফতুয়া দিতো। ডিসি, এসপি,সচিব এরা সরকারের লোক। তারা পালিয়ে গিয়েছে কারন হাসিনা সরকার সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ দিয়ে সরকার গঠন করেছে। আমাদের দেশটাকে যখন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। দশ মন তেলও উত্তপ্ত হবে না আর রাধাও নাচবেনা।

গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, নির্দলীয় লোকদের দিয়ে এই সরকার গঠন করা হয়েছে তাহলে কেন আপনেরা পালিয়েছেন। আপনেরা চাইলেই তো আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। আপনেরা কেন পালিয়ে আছেন? কেমন রাজনীতিবিদ আপনেরা? আপনেরা বোরকা পড়ে পালিয়েছেন। আপনাদের বিচার জনগনই করেছে। আপনেরা রাজনীতিকে ধ্বংস করে গিয়েছেন। কাপুরুষদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।

নারায়ণগঞ্জের গডফাদার কাপুরষ শামীম ওসমান ২০০১ সালে একা বোরকা পড়ে পালিয়েছে এবারও নেতাকর্মীদের রেখে তার পরিবার নিয়ে পালিয়েছে। নেতাকর্মীদের কোন খবর নেন না। এমন নেতার পিছনে আপনেরা যান।

গিয়াস উদ্দিন দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের কাছে অনুরোধ কেউ ভাইয়ের রাজনীতি করবেন না। দলের রাজনীতি করবেন। দলের জন্য কাজ করবেন। কোন ভাইয়ের রাজনীতির জন্য না। এই বক্তাবলীর পরগণার মানুষ আমার, আমি বক্তাবলীর পরগণার মানুষ। আমার কাছে যেতে হলে কোন নেতাকে নিয়ে যেতে হবে না। আমি এটা পছন্দ করি না। আপনেরা আমাকে যদি নাও পান তাহলে আমার পরিবার থাকে তাদের সাথে কথা বলবেন। তারপরই কোন নেতাকে নিয়ে আমার কাছে যাবার প্রয়োজন নেই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান মাহামুদ মোল্লা, লোকমান হোসেন, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, সাধারণ সম্পাদক এড.বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মো. মতিউর রহমান ফকির, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল খায়ের, শ্রমিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মন্টু মিয়া, কুতুবপুর বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন প্রমূখ।