এম এম হাসান: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার কখন ভয় পায়? যখন সে একা হয়ে যায়। সরকার একা হওয়ায় ভয় পেয়ে বেশি বেশি অত্যাচার করছে।
শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলা সোনাকান্দর মাঠে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী সমাবেশ এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে নাকি উন্নয়ন হয়েছে। আসলে উন্নয়ন হয়েছে সরকারের। তাদের পকেট ভরেছে। আর জনগণের পকেট খালি হয়েছে।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জেলে নেয়া হয়েছে। তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না।
অথচ ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর কোনো গ্রেফতার করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন করে বলেন, কী বলব আপনাকে সত্যবাদী? এসময় শ্রোতারা চিৎকার করে বলতে থাকেন বেঈমান, মিথ্যাবাদী। মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বললেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। কিন্তু কীসের লেভেল প্লেয়িং? একদল মঞ্চ করে হাজার হাজার লোক নিয়ে, হেলিকপ্টারে করে, বিভিন্নভাবে পতাকা উড়িয়ে সভা করছে। আর আমাদের সভা করতে দেয়া হয় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচনেই আমাদের জয়ী হতে হবে, জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের ১৫ জন প্রার্থীকে তারা জেলখানায় পাঠিয়েছে। গতরাতেও ধানের শীষের একজন প্রার্থীকে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ভয়াবহ সংকটময় মুহূর্ত কাটাচ্ছি। এই মুহূর্ত গোটা জাতির জন্য, দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকারে থাকবে নাকি আলোর পথে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারী হাসিনার অধীনে থাকবে নাকি গণতন্ত্রের দিকে যাবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। বিগত ১০ বছর ধরে এই স্বৈরাচারী সরকার আমাদের অসংখ্য ভাইকে গুম করেছে। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেছে। সবশেষ আমাদের গণতন্ত্রের মাতা যিনি গণতন্ত্রের মাতা, যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন সেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিগত ১০ মাস অন্ধকার কারাগারে বন্দি রেখেছে। তিনি এখন প্রতিটি মুহূর্ত অপেক্ষা করছেন কবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পতাকা উড়বে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি দুই সপ্তাহ আগে তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এখন আর হাঁটতে পারেন না, হুইল চেয়ারে চলতে হয় তাকে। কিন্তু তার মুখে আমি কোনো মলিনতা দেখিনি। আমি অসুস্থতার কোনো চিহ্ন দেখিনি। তিনি আমাদের দেখে বলে উঠেছেন-‘তোমরা সবাই ভালো আছো? ঐক্যবদ্ধ থাকো। এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে তোমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করো-তাহলেই আমার মুখে হাসি আসবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদ্রু রহমান মান্না,পাচঁ প্রার্থী কাজী মনির,নজরুল ইসলাম আজাদ,আজাহারুল ইসলাম মান্নান,মনির হোসেন কাশেমী,এস এম আকরাম,তৈমূর আলম খন্দকার,কামাল হোসেন ও মামুন মাহমুদসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।