১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 102

জয় নিশ্চিত করতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শামীম ওসমান

ফতুল্লা প্রতিনিধি:একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের সমর্থনে কেন্দ্র কমিটির সদস্যদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছেন শামীম ওসমান। 

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় আকবর টাওয়ারের কনভেনশন সেন্টারে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এ বৈঠকের আয়োজন করে।  

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান।

একটি সূত্র জানায়,বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের জয় নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও গণসচেতনামূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল,সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী,জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস,মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী,শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু,জেলা তাঁতীলীগের সদস্য সচিব ভিপি আলমগীর,এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান,ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন,জেলা পরিষদের সদস্য মো.জাহাঙ্গীর হোসপন,মোস্তফা হোসেন চৌধুরীসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।  

লতিফ সিদ্দিকীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ে
(বিএসএমএমইউ)উন্নত চিকিৎসার জন্য রওনা হয়েছেন অনশনরত আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী)আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বুধবার দুপুরে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

লতিফ সিদ্দিকীর ভাতিজা মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ’তে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চাচা রওনা হয়েছেন।

এর আগে, গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কালিহাতী থানার ওসির অপসারণসহ তিন দফা দাবিতে অনশনরত লতিফ সিদ্দিকীর ৮২তম জন্মদিন ছিল গতকাল মঙ্গলবার। এদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ সেবন ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এসে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীও তাকে ওষুধ সেবনের অনুরোধ জানান। তবে লতিফ সিদ্দিকী জানান তার মৃত্যু হলেও তিনি দাবি পূরণ না হলে অনশন ভাঙ্গবেন না।

কিন্তু আজ বুধবার লতিফ সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে নির্বাচনী প্রচারণার সময় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈলে লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় বহরে থাকা চারটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন।
বিকালে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় হামলার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কালিহাতী থানার ওসিকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান লতিফ সিদ্দিকী।

জানা গেছে, রবিবার বেলা সোয়া ২টা থেকে সেখানে অবস্থান নেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে বেড, কাঁথা, বালিশ বিছিয়ে বসে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও একটুও নড়েননি তিনি। বরং তাঁবু গেঁড়ে, লেপ নিয়ে রাত্রিযাপনের সব প্রস্তুতি সেরে শুয়ে পড়েন। এরপর সোম ও মঙ্গলবার শীত ও বৃষ্টির মধ্যেও তিনি অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যান।
(বিডি-প্রতিদিন)

আওয়ামীলীগের ইশতেহারে ২১টি অঙ্গীকার

আবুল কালাম আজাদ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ ইশতেহার প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’- শীর্ষক এই ইশতেহারে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আবারও ক্ষমতায় যেতে পারলে ২১ দফা অঙ্গীকার তুলে ধরে সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারের মূল বিষয় তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করেছে, এর প্রথমেই আছে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা দেওয়া। এরপরই আছে যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।

ঘোষিত ইশতেহারে বিভিন্ন মেয়াদে সরকারে থাকার সময়কার অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়কার নানা নেতিবাচক দিকও তুলে ধরা হয়।

আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সোনারগাঁয়ের মেয়র সাদেকুর

এম এম হাসান: রাস্তায় প্রকাশ্যে এক নসিমন চালককে পিটিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার গোয়ালী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক হয়।
পরে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা পুলিশের “ইন্সপেক্টর মিডিয়া”সাজ্জাদ রোমন পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে বলেন,কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। যত প্রভাবশালী হোক না কেনো অপরাধ করে কেউ ছাড় পাবে না।

তিনি আরো জানান, কিশোর চালককে নির্যাতনের ঘটনায় সোনারগাঁয়ের মেয়রকে আটক করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত সংবাদ ও ভিডিও পুলিশ সুপার মহাদয়ের নজরে এলে তিনি তৎক্ষণাৎ যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর (শনিবার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ শেষ করে নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান সাদেক। এ সময় সোনারগাঁ জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশবোঝাই নসিমনের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়রের গাড়ির এক পাশের রঙ উঠে দাগ পড়ে যায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে নসিমন চালক যুবককে মারতে শুরু করেন। ওই যুবক অপরাধ শিকার করে বার বার মেয়রের পা ধরে ক্ষমা চেয়েও রক্ষা পাননি। পরবর্তীতে মেয়রের সমর্থকরাও ওই যুবককে মারধর করে গাড়িসহ আটকে রাখে।

এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় নিন্দার ঝড়। সবখানে মেয়রের শাস্তির দাবি ওঠে। পরবর্তীতে সোমবার দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করলো ডিবি।

দেশ স্বাধীন হলেও সাধারন মানুষের স্বাধীনতা নেই:ওমর আলী

দেশে স্বাধীনতা এলেও এখনও সাধারন মানুষের মুক্তি আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওমর আলী বলেন,মানুষের মুক্তির জন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

১৬ ডিসেম্বর(সোমবার)সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালী শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।

আলহাজ্ব মোহাম্মদ ওমর আলী বলেন,স্বাধীনতা যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছেন। শহীদদের লক্ষ্য গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ পূরণ হয়নি। সেই লক্ষ্য পূরণে আমাদের কাজ করতে হবে। এজন্য আমদের সাধারন মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি আরো বলেন,স্বাধীনতায় কি পেয়েছি তা আজকে আমাদের স্মরণ করতে হবে। শহীদদের চাওয়া আইনের শাসন,গণতন্ত্র,মানুষের অধিকার মূল্যায়ন করতে হবে। এ সময় কৃশক শ্রমিক জনতালীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক দেলোয়ার হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মইনুল হোসেন রতন,কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারন কবির হোসেন প্রধান,কাশিপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার ডালিম সিকদার,
৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার সরদার লুনা,কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের ভারপ্রপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ লাভলু,কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল প্রধান,কাশিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল আরমান,সহ কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সুন্নাহ’র বাহিরে কোন তরিকা নেই-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী(সা:)উপলক্ষে বক্তাবলী এলাকাবাসীর উদ্যােগে ১৮তম তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর(সোমবার)বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি ড.সাঈয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী।
সাড়া পৃথিবীর মুসলমান আজ নির্যাতিত অপমানিত লাঞ্চিত তার একটাই কারণ মুসলমানগন আজ কুরআন,সুন্নাহর পথ রীতি নীতি অনুসরণ করা থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে চলে গেছে। আর এই কারণের কাফের মুশরেকরা মুসলমানদেরকে নির্যাতনের সুযোগ পাচ্ছে সুতরাং এই নির্যাতন থেকে পরিত্রাণের একটাই উপায় দাঁত দিয়ে কুরআন,সুন্নাহকে আকড়িয়ে ধরা। আর আমাদেরকে সদাসর্বদা সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার দীপ্ত সপথ নিতে হবে। সুন্নাহ’র বাহিরে কোন তরিকা নেই। প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ বক্তাবলী শাখার ব্যাবস্থাপনায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পূর্ণ ক্বারী, সাইয়্যেদ ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তাবলীতে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী(সা:)উপলক্ষে বক্তাবলী এলাকাবাসীর উদ্যােগে ১৮তম তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ ডিসেম্বর(সোমবার)বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন মাঠে তাফসিরুল কুরআন মাহফিল প্রধাণ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি ড.সাঈয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার

এম এম হাসান: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুল প্রত্যাশিত ইশতেহার ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ইশতেহারে ১৪টি প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি কিছু চমকও রাখা হয়েছে। শিক্ষিত ও তরুণ প্রজন্মের ভাবনা এবং তাদের চাহিদার বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে ইশতেহারে।

দেয়া হয়েছে চাকরি ও কর্মসংস্থান নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে বলা হয়েছে-পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ছাড়া চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোনো বয়সসীমা থাকবে না।

এ ছাড়া কোটাব্যবস্থা নিয়ে বলা হয়েছে-সরকারি চাকরিতে শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটাব্যবস্থা থাকবে। আর কোনো কোটা থাকবে না।

খসড়া ইশতেহারে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর ও কোটাব্যবস্থার পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি থাকার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।

সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনালে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ইশতেহার ঘোষণার আগে বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।

শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম ও তাদের কর্মসংস্থান, জনগণের চাহিদা এবং একটি ইনক্লুসিভ সমাজ গঠনের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা ও ভাবনাগুলো স্থান পায় ইশতেহারে।

এর আগে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ইশতেহার ঘোষণার মঞ্চে উঠেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এর পর শুরু হয় ইশতেহার ঘোষণা। ড. কামালের পক্ষে লিখিত ইশতেহার পাঠ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

এর আগে জোটের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এবং ডিসেম্বরের ৮ তারিখে ইশতেহার ঘোষণার কথা বললেও পরে তা স্থগিত করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. রেজা কিবরিয়া প্রমুখ।

ইশতেহার তৈরির জন্য ঐক্যফ্রন্ট ৬ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়। কমিটিতে বিএনপি থেকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, গণফোরাম থেকে আ ও ম শফিকউল্লাহ, নাগরিক ঐক্য থেকে ডা. জাহেদ উর রহমান, জেএসডি থেকে শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকী এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে রাখা হয়।

বিজয় দিব‌সে চেয়ারম্যান শওকতের নেতৃত্বে বক্তাবলী‌র স্মৃ‌তিস্ত‌ম্ভে শ্রদ্ধা নি‌বেদন

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা জানাতে কানাইনগর স্মৃ‌তিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন।

রোববার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর নেতৃত্বে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এবং যুবলী‌গের পক্ষ থে‌কে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সম‌য়ে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলী‌গের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল হো‌সেন প্রধান,বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলী‌গের সভাপ‌তি আফাজ উদ্দীন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক শ‌ফিক মাহমুদ পিন্টু,প্যানেল চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রধাণ,আলো‌কিত বক্তাবলীর সভাপ‌তি ও ফতুল্লা থানা ছাত্রলী‌গের যুগ্মসম্পাদক না‌জির হো‌সেন,আলোকিত বক্তাবলীর সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন ববি,আ‌কিল উদ্দীন,আমজাদ হো‌সেন,২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলী‌গের সাধারণ সম্পাদক হা‌ফেজ ত‌মিজ উদ্দীন, ৭নং ওয়া‌র্ডের ক‌মিউনি‌টিং পু‌লি‌শের সভাপ‌তি দে‌লোয়ার হো‌সেন,বীর মু‌ক্তিযোদ্ধা ম‌তিউর রহমান,মাশফীকুর রহমান শি‌শির,জামাল হো‌সেন,খো‌র্শেদ মাস্টার,রাশেদুল ইসলাম সুমন,আ‌নোয়ার হো‌সেন,আল ইমরান,মোতা‌লিব,সিরাজ উদ্দীন,মো.রা‌ছেল,আওলাদ হো‌সেন,নজরুল ইসলাম, আক্তার হো‌সেন,ফয়সাল চৌধুরী,মাসুম গাজী,মহ‌সিন খান,মিলন শেখ,অহিদুল ইসলাম টিটুসহ প্রমুখ।

বাবা মানসিকভাবে চরম আঘাত পেয়েছেন-মেয়ে সারা হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক গঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল ভোটের মাঠে জোটের অজনপ্রিয়তা এবং এর পেছনের প্রধান অন্তরায় জামায়াত ইসলামীর জন্য চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সরকারের বিরুদ্ধে যে পরিকল্পনা তিনি সাজিয়েছিলেন বিএনপির হতবুদ্ধিতার জন্য তা ভেস্তে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন এই প্রবীণ নেতা। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে তিনি গোপনে জামায়াত–শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি ব্যবহার করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। তবে নির্বাচনের গণ্ডিতে বিএনপি-জামায়াত–শিবিরের কোন নিজস্ব অবস্থান নেই তা নিশ্চিত হবার পর তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, হঠাৎ করেই ১৩ ডিসেম্বর সকাল থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে তিনি খারাপ ব্যবহার করছেন। আর ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে এক সাংবাদিকের সঙ্গে ড. কামাল যে ব্যবহার করেছেন তাতে তার মানসিক অবস্থা বেগতিক বলেই মনে করছেন ঐক্যফ্রন্টের একাধিক নেতা। সাংবাদিকদের সাথে ভারসাম্যহীন আচরণ করে তিনি ঐক্যফ্রন্টের ক্ষতি করেছেন বলেও মনে করেন তারা।

ঐক্যফ্রন্ট সূত্র বলছে, ড. কামাল ১৪ ডিসেম্বর রাত থেকেই তার দল গণফোরামের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না। এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ড. কামালের জ্যেষ্ঠ মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান থেকে ফেরার পথে বিএনপি কর্মীরা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে। এসময় বাবার গাড়িতেও হামলা চালায় বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা। এতে বাবা মানসিকভাবে চরম আঘাত পেয়েছেন বলেই মনে হচ্ছে। রাত থেকেই ঐক্যফ্রন্টের কোন নেতার সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাচ্ছেন না।

এবিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ড. কামাল তিনদিন ধরে বারবার বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করার বিষয়ে কথা বলছিলেন। তার মতে, নির্বাচনের মাঠে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তিকে তিনি কাজে লাগাতে চান। কিন্তু বাস্তবতা হলো- বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীরা দলগতভাবে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে আছেন। আমরা ড. কামালকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি, জনগণ স্বাভাবিকভাবেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর আমরাই এই নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে ড. কামালকে রাষ্ট্রপতি করবো। কিন্তু তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি-জামায়াতের সাংগঠনিক শক্তি দেখে সন্তুষ্ট নন বলেই মনে হচ্ছে। মিরপুরের ঘটনার পর থেকে ড. কামাল বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও আর যোগাযোগ করতে চাইছেন না। একাধিকবার তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে নেতাদের।

এদিকে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার কোন শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই। যদি সেই সক্ষমতা থাকত তাহলে জনবিচ্ছিন্ন ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের মতো লোকজনের সঙ্গে যুক্ত হতো না। তবে ড. কামাল হোসেন ভোটের হিসেব পর্যালোচনা করে হয়তো বাস্তবতা বুঝতে পেরেছেন। তাই নির্ঘাত ঐক্যফ্রন্টের পরাজয় দেখতে পেয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে পারছেন না।

অপরদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে ঐক্যফ্রন্ট বুঝতে পেরেছে বিএনপি-জামায়াতের শক্তি কতটুকু। বাস্তবতা হলো- বিএনপির সঙ্গে জোট করা একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো এমনটি মনে করছেন ড. কামাল হোসেন। আসলে বিএনপি যতই আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন, তাদের সে শক্তি নেই। তাদের ব্যর্থতার জন্য এখন ঐক্যফ্রন্টকে তার খেসারত দিতে হবে। বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। এখন দেশে অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করছে দলটি। যার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের আদর্শের কোন মিল নেই। বিএনপির নির্বুদ্ধিতার জন্য ড. কামাল হোসেন মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন- এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়।