নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চলচ্ছিত্র জগতের তারকা এবং রাজনীতিতের কিøনইমেজের দুই নেতা ঢাকা-১৩ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. সাদেক খান ও ঢাকা-১৪ আসনে চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। সর্বমহলে এখন তারা আলোচনায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সাদেক খান ও ডিপজল দু’জনই ক্লিন ইমেজের মানুষ। তারা এলাকার প্রতিটি মানুষের মাঝে জনপ্রিয়। এই দুই আসন থেকে মনোনয়ন পেলে তারা অবশ্যই জয়ী হবে।
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেতা চাই না, মানব সেবক চাই। মানুষকে যারা ভালো বাসতে পারে, আমি তাদেরকে মনোনয়ন দিবো। তারাই আমার প্রতিনিধি হয়ে রাজনীতির মাঠে থাকবে। আমার প্রতিনিধি লুটেরা হতে পারে না। রাজনীতি পরিছন্ন হতে হবে। নৌকা নিয়ে তাল বাহানা আর চলবে না। নেতা হতে জনস্বমর্থন চাই। মানুষ না চাইলে নৌকা নাই। সে লক্ষ্যেই প্রতিনিয়ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয় এই দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী।
সাদেক খান সাংবাদিকদের বলেছেন, নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। সবাইকে এ প্রতীকে ভোট দিতে হবে। সরকারের এই উন্নয়ন ধরে রাখার জন্য নৌকার কোনো বিকল্প নেই। এ আসনে আমি মনোনয়ন পেলে আসনটি শেখ হাসিনাকে উপহার দিবো।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল সাংবাদিকদের জানান, আগামী নির্বাচনে আমি ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে জয়লাভ করে এই আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিতে পারবো।
মোহাম্মদপুরের সাধারন মানুষ মনে করেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ (মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর) আসনে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব সাদেক খানকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় ভোটাররা। সাধারন ভোটারদের দাবী সাদেক খানকে আওয়ামলীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ দিনে দলমত নির্বিশেষ সকলে তার জন্য কাজ করবে। এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। কারন তিনি একজন ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় নেতা । এবং আওয়ামীলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারনসম্পাদকের মতো এতো বড় পদ বহন করেও তার মতো একজন সুনমাধ্যন রাজনীতিবিদ পাওয়া এলাকাবাসীর সৌভাগ্য।
সাধারন মানুষ মনে করেন, এ আসনে নৌকার কান্ডারী হওয়ার যোগ্যতা রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. সাদেক খান। দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জনপ্রিয় এনেতাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় মোহাম্মদপুর-আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকার ভোটাররা। দলমত নির্বিশেষে একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসেবে ইতোমধ্যে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে তিনি। । এ আসনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ ভোটার রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
ঢাকা ১৩ আসনের এলাকার প্রতিটি দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে সাদেক খানের প্রচারনা। আবার বিভিন্ন বাসাবাড়ির দেয়ালেও নানান রং- বেরংয়ের ছবিসংবলিত পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
এলাকাবাসী সাথে আলাপ করে জানা গেছে , আলাহাজ্ব সাদেক খানের রাজনৈতিক জীবনের উত্থান মোহাম্মদপুর এলাকা থেকেই। শিক্ষা জীবনে তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সদস্য হয়ে রাজনীতির হাতে খড়ি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) ও ইতিহাসে মাস্টার্স করেন। ১৯৭৭ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন নির্দলীয়ভাবে। ১৯৫২ সাল থেকে আজও খান পরিবারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার চাচা, বড় ভাই, ছোট ভাই এবং তিনি চারবার ওয়ার্ড কমিশনার, দুইবার ভারপ্রাপ্ত মেয়র এবং ঐতিহাসিক জনতার মঞ্চের কারিগরের দায়িত্ব পালন করেন। বিএনপি-জামায়াতের রোষানলে পড়ে একাধিক মামলা-হামলার শিকার হয়েও নেত্রী মুক্তি আন্দোলনে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
১৯৯৬ সাল থেকে চারবার জাতীয় নির্বাচনে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রায়ের বাজার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন তিনি। পৈত্রিক সম্পত্তিতে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবর¯’ানসহ ৯টি সংযোগ সড়ক ও পানির পাম্প স্থাপন এবং খেলার মাঠ, মসজিদ, স্কুল-কলেজ স্থাপন করা হয়। ওয়ার্ড থেকে মোহাম্মদপুর থানা আ.লীগের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মহানগর উত্তর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন এবং শেখ জামালের স্কুল জীবনের সাথী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুও খান পরিবারের বাড়িতে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে আসা-যাওয়া করেছেন।
মো. সাদেক খান বর্তমানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭৭ সালে মো. সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্ব কনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪নং ওয়ার্ড থেকে ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালে ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন। মো. সাদেক খান সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরেরও পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭নং ওয়ার্ড ও ১৯৯৬-১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক মামলার আসামি হন।
সাদেক খান বলেন, আমি ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের প্রত্যাশায় মনোনয়ন আশা করছি। আমাকে যদি এ আসনের জনগণের উন্নয়নের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব দেন তাহলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করার চেষ্টা করব।