১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 113

কাদেরের নমিনেশন দেয়ার ক্ষমতা নাই!

জয়নাল হাজারী:
নির্বাচনের আর বেশি দিন বাকি নাই। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড আলাপ-আলোচনা দৌঁড়ঝাপও পরিকল্পনা চলছে। সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আ.লীগ থেকে কে কোথায় নমিনেশন পাচ্ছে এবং মনোনয়ন প্রত্যাশিরা নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত নেতারা আ.লীগের সংসদীয় কমিটিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম সকলের উপরে রয়েছে। সচিবালয়ে, কাদেরের বাসভবনে এবং আ.লীগ অফিসে কাদেরের সাক্ষাৎ প্রার্থী শত শত লোক এ সব সাক্ষাৎ প্রার্থীদের অর্ধেকও তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে না। আমু ভাই তোফায়েল ভাইয়ের ঘরেও সাক্ষাৎ প্রার্থীর সংখ্যা কম নয়। যদিও ইনারা অনবরত বলে যাচ্ছেন আমাদের হাতে কিছু নাই। এ বারের ব্যাপারটি একেবারেই নেত্রীর হাতে। বাজারে গুঞ্জব আছে একশো কোটি টাকা দিয়েও আ.লীগের নমিনেশন কেনার লোক আছে। গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম ভাই বলেছে সকল নমিনেশনই এবার এককভাবে নেত্রী নিজেই ঠিক করবেন। এ কথার কারণে পরিষ্কার ধারণা করা যায় ওবায়দুল কাদেরও নমিনেশন এ দিক ও দিক করতে পারবে না।

অবশ্য ওবায়দুল কাদের নিজেও কারো নমিনেশন নিশ্চিত করতে পারবে এমন কথা বলেনি মনে হয় বলবেও না। শোনা যায় গতবারের নমিনেশনে ও কাদের কিছু কিছু প্রভাবখাটিয়ে কাজ করেছিল। দুয়েকজনের নিশ্চিত নমিনেশন আপত্তি দিয়ে বাতিল করেছিল। ওবায়দুল কাদেরকে নিজের আসনেই জয়ী হয়ে আসতে ঘাম ঝরাতে হবে। বিএনপি যেভাবেই হোক যদি ভোটে আসে তবে কাদেরকে ভোট করতে হবে ব্যারিষ্ট্রার মওদুদ আহমেদের সঙ্গে। সেখানে মওদুদ আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তবে মন্ত্রী থেকেই যখন ওবায়দুল কাদের ভোট করবে তখন বাড়তি কিছু সুবিধা তো পাবেই। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে আ.লীগও ক্ষমতায় আসবে কাদেরেরাও এমপি মন্ত্রী হবে। আ.লীগের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের কারো কারো ধারণা ইচ্ছা করলে ওবায়দুল কাদেরও কিছু কিছু মনোনয়ন নির্ধারণ করবে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এতে কোন সন্দেহ নাই। এখন শুধু সব চাইতে ভারি প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপিকে ভোট করতে দেয়া হবে কি হবে না। সূত্র(হাজারিকা প্রতিদিন)

অবশেষে ব্যারিস্টার মইনুল কারাগারে

ডেস্ক নিউজঃ রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতের হাজত খানার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোতালেব হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে তার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল রাতে গ্রেফতার মইনুলকে আজ দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা মহানগর আদালতে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, রংপুরে দায়ের করা মানহানির এক মামলায় সোমবার রাতে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’ মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

ফতুল্লায় পুলিশকে গুলি করে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফতুল্লায় একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশির সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ চালক-হেলপারসহ বোরাক পরিবনের একটি বাস আটক করেছে।

এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-পাগলা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পাগলা মুন্সীখোলা চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোরাক পরিবহনের চালক সুমন(৩০) ও হেলপার চন্দনকে(২৮) বাসসহ আটক করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল সোহেল মিয়া বলেন, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এএসআই মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পাগলা চেকপোস্টে তল্লাশি করছিল। এ সময় রাজধানী থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত চলাচল করা বোরাক পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১৪-২০৮৫) থামানো হয়।
পরে বাসে উঠে তল্লাশির সময় তিন যুবক আমার ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ওই সন্ত্রাসীরা। এতে আমার বাঁ পায়ে গুলি লাগে। পরে সন্ত্রাসীরা আরও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। ওই সময়ে পুলিশ সদস্যরাও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, বাসের আগে আরো ৩টি মটর সাইকেল ছিলো। সন্ত্রাসীরা পুলিশকে গুলি করার পর পরই কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মটর সাইকেলে চড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই শাফিউল আলম বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে অভিযান চলছে। গুলিবিদ্ধ কনস্টেবল সোহেলকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফতুল্লায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষিত, শিক্ষক আটক

স্টাফ রিপোর্টারঃ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেসে গেলেন ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার কোচিং মাস্টার তাপস চন্দ্র(৪২)। গত রোববার সন্ধ্যায় ষ্টেশন নিজ বাড়ির দোতলায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৬২। এর আগেও তাপসের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানরি অভিযোগ রয়েছে। প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে এক ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে লম্পট তাপস ষ্টেশন এলাকায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল।

ধর্ষিতার মা মনোয়ারা জানায়, তার মেয়ে এবার এসএসপি পরীক্ষার্থী, প্রতিদিনের ন্যায় তার মেয়ে তাপসের বাসায় প্রাইভেট পড়তে গেলে সন্ধ্যার পর তার মেয়েকে বাড়ির ২য় তলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে একটি মহল নানা মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ।

যেভাবে গ্রেফতার হলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন!

চরিত্রহীনকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা-মামলার মধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রংপুরে দায়ের একটি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ব্যারিস্টার মইনুলকে উত্তরা থেকে রংপুরের একটি মামলার ওয়ারেন্ট থাকায় গ্রেফতার করেছে ডিবি। তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হবে। আদালত অনুমতি দিলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি পুলিশ।’

যেভাবে গ্রেফতার হলেন মইনুল
কামাল হোসেনের উদ্যোগে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় আছেন ব্যরিস্টার মইনুল। রবসহ ফ্রন্টের বিভিন্ন নেতার বাড়িতে বৈঠকে তার নিয়মিত যাতায়াত।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর আ স ম রবের সাথে সাক্ষাত করতে তার উত্তরার বাসায় যান মইনুল৷ কিন্তু রব তখন বাসায় ছিলেন না। মইনুল সেখানে কিছুক্ষণ রবের জন্য অপেক্ষা করেন। রব বাসায় ফেরার কিছুক্ষন পরই ডিবি পুলিশের সদস্যরা তার বাসা ঘিরে ফেলে।

উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মইনুলের বিরুদ্ধে রংপুরের একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার কথা জানান। এরপরই মইনুলকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

আ স ম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রব পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমরা বাসায় ছিলাম না। রাতে এসে দেখি অনেক লোক, একটু আবাকই হলাম। আজ কোনো মিটিং ছিল না। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এমনিতেই এসেছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে।’।

রংপুরের মামলায় জামিন ছিল না মইনুলের
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি এবং বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্ত।

উপস্থাপক মিথিলা ফারজানা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে যুক্ত করার পর মাসুদা ভাট্টি তার কাছে একটি প্রশ্ন করতে চান এবং জানতে চান— সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আপনাকে শিবিরের একটি জনসভায় অংশ নিতে দেখা গেছে এবং সে কারণেই অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, আপনি কী জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে উপস্থিত থাকছেন?

প্রশ্নটি শেষ করার আগেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং বলেন— আপনার। সাহসের প্রশংসা করতে হয়। তবে আমি আপনাকে একজন চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।

এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার পর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ফোনে ভাট্টির কাছে ক্ষমা চান। তবে এটি যথেষ্ট নয় বলে প্রকাশ্যে তাকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন মাসুদা ভাট্টিসহ দেশের বিশিষ্টজনরা।

ওই ঘটনার পর মইনুল টেলিফোন করে ক্ষমা চাইলেও মাসুদা ভাট্টি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। তা না করায় মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানেও মানহানির অভিযোগে কয়েকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।

এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর মইনুল কয়েকটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও রংপুরের মামলাটিতে জামিন ছিল না বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

হলুদ সাংবাদিকতা কি?

আবুল কালাম আজাদ: “হলুদ সাংবাদিকতা” শব্দটা আমাদের সমাজে খুব প্রচলিত একটা শব্দ।যেটা বলতে আমরা সাধারণত মিথ্যা অপপ্রচার,কা-পুরুষোচিত সংবাদকেই বুঝে থাকি।

হলুদ সাংবাদিকতার জন্ম হয়েছিল সাংবাদিকতা জগতের অন্যতম দুই ব্যক্তিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জোসেফ পুলিৎজার আর উইলিয়াম রুডলফ হার্স্টের মধ্যে পেশাগত প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে। এই দুই সম্পাদক তাদের নিজ নিজ পত্রিকার ব্যবসায়িক স্বার্থে একে অপরের অপেক্ষাকৃত যোগ্য সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত কর্মচারীদের অধিক বেতনে নিজেদের প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত কেলেংকারির চাঞ্চল্যকর খবর ছেপে তারা পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। পুলিৎজারের নিউ ইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ও হার্স্টের নিউ ইয়র্ক জার্নালের মধ্যে পরস্পর প্রতিযোগিতা এমন এক অরুচিকর পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে,সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতার পরিবর্তে পত্রিকার বাহ্যিক চাকচিক্য আর পাঠকদের উত্তেজনা দানই তাদের নিকট মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। হলুদ সাংবাদিকতা বলতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন রোমাঞ্চকর সংবাদ পরিবেশন বা উপস্থাপনকে বোঝায়।

এ ধরনের সাংবাতিকতায় ভালমত গবেষণা বা খোঁজ-খবর না করেই দৃষ্টিগ্রাহী ও নজরকাড়া শিরোনাম দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। হলুদ সাংবাদিকতার মূল উদ্দেশ্য হল সাংবাদিকতার রীতিনীতি না মেনে যেভাবেই হোক পত্রিকার কাটতি বাড়ানো বা টেলিভিশন চ্যানেলের দর্শকসংখ্যা বাড়ানো। অর্থাৎ হলুদ সাংবাদিকতা মানেই ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন,দৃষ্টি আকৰ্ষণকারী শিরোনাম ব্যবহার করা, সাধারণ ঘটনাকে একটি সাংঘাতিক ঘটনা বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা, কেলেংকারির খবর গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা,অহেতুক চমক সৃষ্টি ইত্যাদি। ফ্র্যাঙ্ক লুথার মট হলুদ সাংবাদিকতার পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন:সাধারণ ঘটনাকে কয়েকটি কলাম জুড়ে বড় আকারের ভয়ানক একটি শিরোনাম করা। ছবি আর কাল্পনিক নক্সার অপরিমিত ব্যবহার।

ভুয়া সাক্ষাৎকার,ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে এমন শিরোনাম, ভুয়া বিজ্ঞানমূলক রচনা আর তথাকথিত বিশেষজ্ঞ কর্তৃক ভুল শিক্ষামূলক রচনার ব্যবহার। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরানো পরাজিত নায়কদের প্রতি নাটকীয় সহানুভূতি। বস্তুনিষ্ঠতা,যা সত্য তাই সুন্দর। সৎ সাংবাদিকতা এ সত্যেরই আরাধনা করে। নৈতিকতা বলে সাংবাদিকতায় একটি বিষয় আছে যা না থাকলে সাংবাদিকতা আর সাংবাদিকতা থাকে না। সেই নৈতিকতা এ পেশায় এখন বিরল।

ইতিহাসঃ
সংবাদপত্র জগতে ইয়েলো জার্নালিজম শব্দটি এসেছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে। সেই সময়ের দুই বিশ্ববিখ্যাত সাংবাদিকের নাম জড়িয়ে আছে এ ইতিহাসের সঙ্গে। জোসেফ পুলিৎজার এবং উইলিয়াম র‌্যানডল্ফ হার্স্ট লিপ্ত হন এক অশুভ প্রতিযোগিতায়। পুলিৎজার নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড ক্রয় করেই ঝুঁকে পড়লেন কিছু কেলেঙ্কারির খবর, চাঞ্চল্যকর খবর, চটকদারি খবর ইত্যাদির দিকে। তিনি একজন কার্টুনিস্টকে চাকরি দিলেন তার কাগজে। তার নাম রিচার্ড ফেন্টো আউটকল্ট। ওই কার্টুনিস্ট ‘ইয়েলো কিড’বা‘হলুদ বালক’নামে প্রতিদিন নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের প্রথম পাতায় একটি কার্টুন আঁকতেন এবং তার মাধ্যমে সামাজিক অসংগতি থেকে শুরু করে এমন অনেক কিছু বলিয়ে নিতেন,যা একদিকে যেমন চাঞ্চল্যকর হতো,অন্যদিকে তেমনি প্রতিপক্ষকে তির্যকভাবে ঘায়েল করত। জার্নাল এবং নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের বিরোধ সে সময়কার সংবাদপত্র পাঠক মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। এক সময় হার্স্ট পুলিৎজারের কার্টুনিস্ট রিচার্ড ফেন্টো আউটকল্টকে ভাগিয়ে নিলেন তার ‘জার্নাল’ পত্রিকায়। শুধু তাই নয়, মোটা অঙ্কের টাকা-পয়সা দিয়ে পুলিৎজারের নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ডের ভালো সব সাংবাদিককেও টেনে নিলেন নিজের পত্রিকায়।

ওদিকে পুলিৎজার তার পত্রিকায়‘ইয়েলো কিড’চালাতে শুরু করলেন জর্জ চি লুকস নামে আরেক কার্টুনিস্টকে দিয়ে। লুকসও চালালেন‘ইয়েলো কিডস’। দু’জনই পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য স্ক্যান্ডাল কেলেংকারি চমকপ্রদ ভিত্তিহীন খবর ছাপা শুরু করলেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে।

এতে মানগত দিক থেকে দুটি পত্রিকাই ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকল। এর ফলে একটা নষ্ট পাঠক গোষ্ঠী গড়ে উঠল, যারা সব সময় স্ক্যান্ডাল বা কেলেঙ্কারি, চটকদারি, ভিত্তিহীন চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী সংবাদ প্রত্যাশা করত। এভাবেই জোসেফ পুলিৎজার এবং উইলিয়াম হার্স্ট দু’জনেই হলুদ সাংবাদিকতার দায়ে অভিযুক্ত এবং ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রইলেন।

নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংর্ঘষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক।

নিউজ প্রতিদিন:নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী ইপিজেডে বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে রপ্তানিমুখি একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা  সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশত শ্রমিক।

সোমবার সকাল ৭টার দিকে প্রথমে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় সোয়াদ ফ্যাশন নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। সেখান থেকে শ্রমিকদের হটিয়ে দেয়া হলে আবার ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। সেখান থেকে তাদেরকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সাথে আবারও সংঘর্ষ হয়।

এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অর্ধশত শ্রমিক।

সেখান থেকে সাত শ্রমিককে আটকের অভিযোগ করেছেন শ্রমিকরা। আহত শ্রমিকদের বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসপি জাহিদুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে আছে, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো শ্রমিককে আটক করা হয়নি। তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতন, ছুটি ও ফান্ডের টাকা পরিশোধ না করায় এবং শ্রমিকদের না জানিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয়া হয়। এতে তারা সড়কে বিক্ষোভ করে।

বিক্ষোভকারী পোশাক শ্রমিকরা জানান, সোয়াদ ফ্যাশনে সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। ৫-৬ মাস ধরে ঠিকমতো বেতন পরিশোধ করছে না কারাখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বোনাস, ছুটি ও রিজার্ভ ফান্ডের টাকাও দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় এসব পোশাক শ্রমিকরা বাসা সংসার চালাতে পারছেন না।

সোয়াদ ফ্যাশনে কর্মরত আরিফ হোসেন ও শ্রমিক সবুজ বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। শুনতে পেরেছি মালিক অন্যত্র কারাখানা বিক্রি করে দিয়েছেন। একই সাথে বিগত চার বছরের ছুটি, ফান্ড ও রিজার্ভের টাকাও আমাদেরকে পরিশোধ করা হয়নি। আমরা বেপজার কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। তারা বলছে, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানে না।

সোয়াদ ফ্যাশনের অপর শ্রমিক নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের বেতন-বোনাস পরিশোধ না করে কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ কারাখানা বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। আমরা ঘর ভাড়া দেব কোথায় থেকে আর খাবার জোগাড় করব কোথায় থেকে? আমরা এই মুহূর্তে কোথায় চাকরি পাব? আমাদের পরিবার নিয়ে হতাশায় আছি। আমরা আমাদের সব পাওনা চাই। আমাদের ৫ মাসের বেতনের দাবিতে বাধ্য হয়ে আজ রাস্তায় নেমেছি।

পোশাক শ্রমিকরা বলেন, অথচ এর আগে মালিক পক্ষ বেতন নিয়ে গড়িমসি করলে আমরা বেপজার কাছে গেলে এই সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আজ তারা বলছেন তারা কিছুই জানেন না।

এদিকে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা সকাল থেকে ইপিজেড গেট সংলগ্ন আদমজী-ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখায় সকাল থেকেই সড়কের দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে সড়কটিতে একেবারেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের মায়ের মৃত্যুতে সাংবাদিক শাহাদাতের শোক প্রকাশ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদা হক (৭০) এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দৈনিক যায়যায়দিন ও জাগো নিউজ২৪.কমের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো: শাহাদাত হোসেন। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে বেহশত নসিব করেন।(আমিন)।

তিনি শোক বার্তায় জানান, ছাত্রলীগ নেতা আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মাহমুদা হক একজন ধার্মিক ব্যক্তি ছিলেন। মানুষের সাথে ভাল আচরন করতেন। অসহায় দরিদ্র মানুষকে সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করতেন। কখনো তিনি মানুষের মনে আঘাত দিয়ে কথা বলতেন না।

ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব আবু মোহাম্মদ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদা হক রোববার সন্ধা ৬.৪৫ মিনিট তার নিজ বাড়ি ফতুল্লায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার ছেলে মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগাহি রেখে যান।

নারায়ণগঞ্জে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের পরিচয় সনাক্ত, দুটি মামলা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় চার যুবকের গুলি করে হত্যার ঘটনায় হত্যাসহ পুলিশ দুটি মামলা দায়ের করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া চারজনের পরিচয় সনাক্ত হলেও পুলিশ মামলায় চার যুবকের অজ্ঞাত পরিচয় দেখানো হয়েছে। নিহতরা লুৎফর মোল্লা, সবুজ সরদার, ফারুক প্রমানিক ও জহিরুল হক।

সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছে।

এদিকে গুলিবিদ্ধ চার যুবকের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে লাশের পোশাক দেখে চারজনের পরিচয় সনাক্ত করেছে নিহতের স্বজনরা। আর নিহত সবুজ সরদার, জহিরুল ও ফারুক প্রমানিক তিনজনই পাবনার আতাইকুলা থানাধীন ধর্মগ্রাম পুষ্পপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আর লুৎফর মোল্লা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার উত্তর আকনবাড়িয়ার কালিবাড়ীর মনসুর মেল্লার ছেলে। সে ঢাকার রামপুরার বাগিচারটেকের এলাকায় বসবাস করে গাড়ি চালাতো।

নিহত লুৎফর মোল্লার স্ত্রী রেশমা আক্তার বলেন, তার স্বামী বাস চালক। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামেন। রাত ১টায় স্বামীর সাথে তার শেষ বারের মতো কথা হয়। এরপর থেকে স্বামীর মোবাইল ফোন বন্ধ পান। রোববার সকালে টেলিভিশনে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ৪ জনের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে ছুটে আসেন তিনি। পরে লাশ দেখে স্বামীকে সনাক্ত করে।

নিহত ফারুকের বাবা জামাল প্রমানিক বলেন, ১৫ বছর যাবত রূপগঞ্জের গাউছিয়ায় বাস চালাতো। গত সোমবার ১৫ অক্টোবর ডিবি পরিচয়ে গাউছিয়া থেকে একই গ্রামের ৪ জনকে ধরে নিয়ে যায়। যার মধ্যে ২জনের লাশ আড়াইহাজারের অজ্ঞাতদের মধ্যে পাওয়া গেছে। সবুজ সরদার ও ফারুক প্রমানিক।

সবুজ সরদারের স্বজনরা জানান, খাইরুল সর্দার পেশায় অটোরিকশা চালক। সবুজ ঢাকায় বেকারিতে চাকরি নেয়ার কথা বলে ২ সপ্তাহ আগে গ্রাম ছাড়ে। তার সাথে আরও দুইজন নিখোঁজ আছে কিন্তু মর্গে রাখা দুইজন তারা না বলে খাইরুল সর্দারের ভায়রা জানান।

জহিরুলের শ্বশুর নজরুল বলেন, জহিরুল বেকারীতে কাজ করতো। জহিরুলকে বেকারিতে কাজ করার জন্য গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিল ফারুক। ফারুক ছিনতাইতারী চক্রের সাথে জড়িত বলে শুনেছি। ফারুকই গ্রাম থেকে তিনজনকে শহরে নিয়ে এসেছে কাজ করানোর জন্য।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ৪ যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ৪টি লাশের মধ্যে তিনজনের মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে চারজনেই মাথার পেছন থেকে আঘাত করা হয়েছে এবং ভারী কোন বস্তু দিয়ে মাথা ও মুখমন্ডল থেতলে দেয়া হয়েছে। শনিবার রাতের কোন এক সময়ে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে চারজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আড়াইহাজার থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিউদ্দৌলা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আর পুলিশের এক অফিসার বাদী হয়ে অস্ত্র মামলা দায়ের করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক দুটি মামলা দায়েরের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রোববার ভোরে এলাকাবাসী মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে চার যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি লাশের মাথায় ও কপালে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের তথ্য সূত্রে জানা গেছে চারজনের তিনজনের মাথায় গুলি করা হয়েছে। নিহত যুবকদের এখনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। লোক মুখে শুনেছি চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে লাশ দেখে সনাক্ত করেছে। নিহতের স্বজনরা এখনো আমাদের কাছে কেউ আসেনি।

ওসি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে অন্য কোথায় থেকে মেরে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের নিকট থেকে ২ টি দেশীয় পিস্তল, ১রাউন্ড তাজা গুলি ও ১টি প্রাইভেট কার (যার নম্বর ঢাকা মেট্রো চ ১৩-০৫০১) উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়েকের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ৪ যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এইসময় লাশের পাশ থেকে দুটি পিস্তল ও একটি মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ লাশ গুলো নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হকের মায়ের মৃত্যুতে রাশেদুলের শোক প্রকাশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মোঃ শরীফুল হকের মা চৌধুরী মাহমুদ হক (৭০) ইন্তেকাল করেছে(ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন)।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ি এলাকায় নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহি রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা যুবলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সুুুমন। রাশেদুল ইসলাম ইসলাম সুমন মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। মরহুমা চৌধুরী মাহমুদা হক মরহুম ফজলুল হকের স্ত্রী।