২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 58

‘মানুষ মারার কারখানা’ বক্তাবলীতে অবৈধ রাজিয়া নার্সিং হোমটি এখনও বন্ধ হয়নি!

নিউজ প্রতিদিন: ‘মানুষ মারার কারখানা’ খ্যাত সদর উপজেলার বক্তাবলীতে অবৈধ রাজিয়া নার্সিং হোমটি এখনও বন্ধ হয়নি। তিন দফা সীলগালা করে দিলেও বারবার রহস্যজনক কারণে তা আবার খুলে যায়। ভুক্তভোগী স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েকদফা সীলগালা করা হলেও এ প্রতিষ্ঠানটি কী করে আবার ব্যবসা পেতে বসে! তাদের দাবি, বক্তাবলীর গোপালনগর বাজারে হাজী চাঁন প্লাজায় অবস্থিত ওই ক্লিনিকটি ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর যোগসাজসেই বারবার চালু হয়। অভিযানের পর তিনিই বারবার তদবীর করে তা খুলে দেবার ব্যবস্থা করেন। সবশেষ গত বছরের ২১ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিযান চালানোর সময় তিনিই কয়েকদিনের দায়িত্ব নিয়ে ওই টিমকে বিদেয় করেন।

২১ নভেম্বর ওই টিমের অভিযানে খবরে সেদিন রোগী রেখেই পালিয়ে যায় রাজিয়া সহ ক্লিনিকের সকলেই। তারপর কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় ক্লিনিকটি।

অনিয়মের অভিযোগে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডাঃ জাহিদের নেতৃত্বে একটি টিম পরিদর্শনে এসে অভিযোগের সত্যতা পান। অভিযানের খবরে পালিয়ে যায় রাজিয়া। পরে ভবন মালিক এসে টিমের কাছে কয়েকদিনে সময় চান। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসে রাজিয়াকে যেতে নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ রাজিয়া ক্লিনিক খুলে এমআর, ডিএনসি, ডেলিভারীর কাজ করে আসছে। ডেলিভারী করতে গিয়ে অনেক প্রসূতি মৃত্যুবরণ করেছে। নারায়ণগঞ্জে কর্মরত থাকা অবস্থায় আলোচিত কর্মকর্তা গাউছুল আজম দুইবার প্রতিষ্ঠানটিকে সীলগালা করে দেন।

রাজিয়া নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলে গাউছুল আজমের অভিযানে সময় পঞ্চম শ্রেণী পাস সনদপত্র ও মেডিস্টার ক্লিনিকে আয়ার কাজের সার্টিফিকেট ছাড়া কিছু দেখাতে পারে নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জাহিদ বলেন, অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার কারণে তার কাগজপত্র দেখতে পারি নাই। তখন তাকে তিনদিন সময় দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু ক্লিনিকটি আবারও চালু হয়েছে কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লিনিক চালানোর কোন কাগজপত্র ও অনুমোদন তার নেই। উনি আইনত ক্লিনিক চালাতে পারেন না। তাকে ওই ক্লিনিকে বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। কারণ ক্লিনিক চালানোর মতো সরকারী বিধি অনুযায়ী তার কোন সরঞ্জাম বা জনবল নেই।

ডা: জাহিদ আরো বলেন, তবে রাজিয়া একজন প্রশিক্ষিত দাই। নরমাল ডেলিভারি তিনি করতে পারেন। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে সিজার বা ক্লিনিকালি অন্যান্য কার্যক্রম অবৈধ। যদি এমন কোন তথ্য আপনার কাছে থাকে, আমাকে জানান ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজিয়া আক্তারকে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে ভবন মালিক ইদ্রিস আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

(সূত্রঃ প্রেস বাংলা)

বক্তাবলীর পূর্বচর গড়কূল স্কুলে ভিলেজ পরিটিক্সের কারনে ফলাফল খুব খারাপ-এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর  পূর্বচর গড়কুল স্কুল ম্যানেজিং কমিটির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম শওকত আলী। শুধু ম্যানেজিং কমিটিই নয়, অভিভাবক ও শিক্ষকদের উপর ক্ষোভ ঝাঁড়েন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পূর্ব চরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।

তিনি বলেন, আপনারা আমার কাছ থেকে আদায় করতে পারেননি। আপনারা স্কুলের ভিতরে ভিলেজ পরিটিক্স করেন। স্কুলের ভেতরে কীসের আওয়ামী লীগ-বিএনপি? এখানে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করবে, আমরা সবাই তাদের সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, আপনাদের রাজনীতির কারণে এই স্কুলে যোগ্য ম্যানেজিং কমিটি দিতে পারি নাই, যোগ্য শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় নাই।

শওকত আলী আরও বলেন, এখন স্কুলের বাচ্চাদের হাতেও মোবাইল ফোন তুলে দেয়া হয়, তা-ও স্মার্টফোন। সারাদিন ওরা তাই নিয়ে বসে থাকে। এটা-সেটা দেখে। যার কারণেই তাদের ফলাফল খারাপ হয়।

স্কুল ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ সদস্য যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি আলমগীর হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সুলতান আহমেদ ভুইয়া, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাজিয়া আহসান, ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুর রহমান নান্নু, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন, পূর্বচরগড়কুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার, আব্দুল কুদ্দুস, ইউপি সদস্য মনির হোসেন, ইউপি সদস্য আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মাষ্টার,স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, আলোর দিশারী যুব উন্নয়ন সংসদের সভাপতি সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাঃ এম এ কাদির, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মোশারফ হোসেন, মোঃ মফিজ উদ্দিন মেম্বার, মোঃ গাজিউর রহমান মাদবর, মোঃ মনির হোসেন শেখ, মোঃ জহির উদ্দিন মাদবর, মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হাছান আলী, মতিউর রহমান, জজমিয়া মাষ্টার, নুরুল হক মোল্লা, শাহাবুদ্দিন মাদবর, মোঃ আফসার উদ্দিন গাজী, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ শামসুল হুদা, আব্দুর রব কন্ট্রাক্টর, মোঃ নুরউদ্দিন, রশিদ শেখ, আহাম্মদ আলী বেপারী, হাসেম ঢালী ও আনোয়ার আলী প্রমুখ।

শওকত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে রাজনীতি করতে চাই-বাছির সরদার

নিউজ প্রতিদিনপরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক মো.বাছির সরদার।যার নামের সাথে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা,শামীম ওসমান ও আলহাজ্ব মো.শওকত চেয়ারম্যানের আর্দশ। রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথের সৈনিক হিসেবে পরিচিত বক্তাবলীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো.বাছির সরদার।

২০০৩ সালে ফতুল্লা তথা বক্তাবলীর প্রানপুরুষ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর হাত ধরে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে তার ছায়াতলে এসে রাজনীতি করেন। সেই থেকে আছেন শওকত আলীর সাথে।

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন নানান কথা। যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

মো.বাছির সরদার শুধু রাজনীতির সাথে জড়িত নন। সমাজসেবায় সমান পারদর্শী। তার কাছে অসহায় পুরুষ সহযোগিতার জন্য গিয়ে খালী হাতে ফিরে আসেনি কেউ। সাধ্যমত চেষ্টা করেন সহযোগিতার। এ নীতি গ্রহন করেছেন তার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু মাটিও মানুষের নেতা বক্তাবলীর উন্নয়নের রূপকার সচ্ছ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মো.শওকত আলীর কাছ থেকে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি  হিসেবে জনগনের সেবা করে আসছেন। পূনরায়  সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। তার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে পরিচিত।

মো.বাছির সরদার বলেন,এখন পযর্ন্ত আমার নামে কোন মামলা,জিডি ও অভিযোগ নাই। বক্তাবলীর পলিটিক্যাল বিউটি আলহাজ্ব মো. শওকত চেয়াম্যানের ভালবাসা পেয়েছি এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া।

তিনি এবং কাউন্সিলরা যদি মনে করেন আমি বক্তাবলী ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি পদে যোগ্য এবং আমাকে দায়িত্ব দেন আমি সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছি। আমি নির্বাচিত হই বা না হই আমাদের প্রিয় অভিভাবক আলহাজ্ব এম শওকত চেয়াম্যানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাবো ইনশাল্লাহ।

২০২০ সালের মধ্যে বক্তাবলীতে সেতু হবে: এম শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: মাদক সহ সকল ধরনের কু-সংস্কার থেকে দুরে রাখার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই। খেলাধুলার মাধ্যমে সমাজের যুবকরা অপরাধ থেকে দুরে থাকে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ সকল কাজের উর্ধ্বে খেলাধুলাকে প্রাধান্য দেওয়া।

রবিবার (২৬ জানুয়ারী ) বিকেলে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ-সম্পাদক এম শওকত আলী বক্তাবলীর রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এল.ই.ডি টিভি রামনগর ফুটবল সুপার লীগ’র ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, আজকের খেলা দেখে আমার মনে হলো বক্তাবলীর ছেলেরা গ্রামের সন্তান হলেও তারা কিন্তু খেলাধুলায় পিছিয়ে নেই। আমাদের ছেলেরা ভাল খেলাধুলা করে এখান থেকে জেলা ভিত্তিক, বিভাগীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলতে পারে সেই প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন জননেতা একে এম শামীম ২০২০ সালের মধ্যে বক্তাবলী ফেরী ঘাটে সেতু নির্মাণ করবেন। এম পি সাহের মাধ্যমে হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারী করণের লক্ষে কাজ করছি এবং ইউনিয়ন পরিষদ ও আমার ব্যাক্তগত তহবিল হইতে যতো ধরনের সহযোগিতা লাগে আমি করবো, আপনারা খেয়াল রাখবেন কোমলমতি শিশুদের যেনো কেউ ইভটিজিং করতে না পারে।এর আগে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন বক্তাবলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী।

অনুষ্ঠানে রামনগর পঞ্চায়ে প্রধান মোঃ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আল আমিন ইকবাল, প্রকৌশলী আবু সাইদ রিংকু।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আঃ কাদির মাতবর, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফি মাহমুদ, সাবেক মেম্বার মোতালিব, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ আলীম, বাছির সরদার, ইউ পি সদস্য আতাউর রহমান, ইউ পি সদস্য ওমর ফারুক, ইউ পি সদস্য রাসেল চৌধুরী, ইউ পি সদস্য আকিল উদ্দিন, ইউ পি সদস্য জলিল গাজী, ইউ পি সদস্য মনির হোসেন, ইউ পি সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন , মহিলা ইউ পি সদস্য হাজেরা, মরিয়ম, কুলছুম, নাজির মাহমুদ, রামনগর হাজী গোলাম হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম দাতা সদস্য মোঃ ফখর উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, ইউসুফ মাদবর, তুহিন চৌধুরীর, আনোয়ার আলী ও আঃ মান্নান প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি সার্বিক ভাবে দায়িত্ব পালন করেছে, ওসমান, নাজমুল, মেহেদী, হাছান, মেহেদী মারুফ, জুয়েল, শফিকুল ইসলাম, শান্ত ও নাহিদ।

এদিকে রামনগর ফুটবল সুপার লীগ (আর,এফ,এস,এল) এর ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় এফ সি গ্লাডিয়েটরস্ বনাম ভিক্টোরিয়ান্স। এ দুটি দল খেলায় অংশগ্রহণ করে ভিক্টোরিয়ান্স কে ২-১ গোলে পরাজিত করে এফ সি গ্লাডিয়েটরস চ্যাম্পিয়ন হয়।

আর খেলায় ম্যান অব সিরিজ হন মোঃ সিয়াম ও ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন শফিকুল ইসলাম।

বক্তাবলীর আকবর নগর আবারো অশান্ত হয়ে উঠছে!

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর আকবরনগরে দুই হাজ্বীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর মধ্যে হাতাহাতি,ভাংচুর ও  লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭ টায় আকবরনগরে রহিম হাজ্বীর ও সামেদ আলীর লোকজনের সাথে ইব্রাহীম মন্ডল বাহিনীর লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ইব্রাহিম মন্ডলের ইয়ানুস ও আনোয়ার নামে ২জন আহত হয়।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, জয়নাল মন্ডল হত্যাকে কেন্দ্র করে সামেদ আলী ও রহিম হাজ্বীর লোকজনের পাল্টাপাল্টি মামলা হওয়ায় দুইপক্ষের লোকজন এলাকা ছাড়া ছিল।এই সুযোগে রহিম হাজ্বীর ভাই সুরুজ হাজ্বীর ইটভাটা দখল করে নেয় ইব্রাহীম মন্ডল। ইটভাটাটি ফেরত দিতে বারবার বলা হলেও ইব্রাহীম মন্ডল টালবাহানা শুরু করে।সকালে সামেদ আলী,রহিম ও সুরুজ হাজ্বীর লোকজন তাদের ইটভাটায় গেলে ইব্রাহীম মন্ডলের লোকজনের মধ্যে কথাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।এতে ইব্রাহিম মন্ডলের পুত্র ইয়ানুস,আলাউদ্দিনের পুত্র আনোয়ার আহত হয়।

এ ব্যাপারে ইব্রাহীম মন্ডল বলেন,সন্ত্রাসী মোতালিব,রহিম, সুরুজ ও সামেদ হাজ্বীর লোক ইটভাটা ও বাসায় এসে হামলা সহ জিনিস পত্র লুটকরে নিয়ে যায়।পুলিশকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা। ইটভাটা আমাকে দেয়া হলেও এখন তারা দিবেনা বলে টালবাহানা শুরু করে।

সামেদ ও রহিম হাজ্বীর লোকজন জানান,ইটভাটা ফেরত চাওয়ায় পরও ভূমিদস্যু ইব্রাহিম মোল্লা ফেরত দেবার নামে টালবাহানা শুরু করে। এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী আসাদুজ্জামান দায়িত্ব নেন।তাকেও মানছেনা ইব্রাহিম মন্ডল। আমরা তাদের উপর হামলা করিনি বরং তারা হামলা চালায়। বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান হাজ্বী এম শওকত আলী বলেন, আসলে ইটভাটাটির মালিক সুরুজ হাজ্বী। ইব্রাহিম মন্ডল ফেরত দিবে বলে দিচ্ছেনা। আসাদ চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন। আজকে হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আমজাদ হোসেন জানান ইব্রাহিম মন্ডলের বাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখল এলাকাবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সময় মত স্কুলে না আসায় প্রধান শিক্ষককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার একটি ছবি প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবাংলার পুরুলিয়ার ঝালদার পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে।

কলকাতার গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পুঞ্চা থানার বদড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে তিনবার শাস্তিস্বরূপ বদলিও হয়। কিন্তু তবুও তাঁর আচরণে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পুস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলে সময় মতো না আসা ও মিড-ডে মিলে সমস্যাসহ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানানো হলেও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষা দিতে সেই সময় গ্রামবাসীরা ওই স্কুলের শিক্ষকদের তালাবন্দি করেছিলেন। পরে শিক্ষকদের উদ্ধার করা হলেও ওই স্কুল প্রায় সপ্তাহখানেক তালাবন্ধ ছিল। ফলে ক্লাস করা হত দুর্গামন্দিরে। তারপরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেলে ওই প্রধান শিক্ষক মুচলেকা দেন। এরপরই গ্রামবাসীরা স্কুলের তালা খোলে।

কিন্তু এত কিছুর পরও সমস্যা মেটেনি। চলতি মাসে আগস্ট মাসে ফের অশান্তি বাঁধে। ওই প্রধান শিক্ষক মিড-ডে মিলে মুড়ি, চানাচুর দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ফের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানানো হয়। এবারও ‌উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গিয়ে সমস্যা মেটান। স্কুল সঠিকভাবে চালানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেন কর্তৃপক্ষ।

এরপর সোমবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রধান শিক্ষক বিপ্লব স্কুলে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগে তাঁকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ফেলা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কানে আসতেই তিনি ওই কমিটির সদস্যদের নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে মুক্ত করার। না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। তারপরই ওই শিক্ষককে মুক্ত করা হয়। এরপর প্রধান শিক্ষক ঝালদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। দুই অভিযুক্তকে সোমবার রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম পুস্তি গ্রামের চন্দ্র কুমার ও গুরুদাস প্রামাণিক। আদালতে তোলা হলে জেলা মুখ্য বিচারক রিম্পা রায় ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই এলাকার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্টের পর ওই প্রধান শিক্ষককেও তলব করা হবে।

ফতুল্লা থানা আ’লীগের সভাপতি বাদলকে শান্তনা দিলেন এমপি শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফ উল্লাহ বাদলের বাড়িতে তাকে স্বান্তনা দিতে ছুটে এসেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে ফতুল্লার কাশীপুরস্থ গোয়ালবন্দস্থ বাড়িতে আসেন শামীম ওসমান।

এসময় তিনি সাইফ উল্লাহ বাদলকে স্বান্তনা দিয়ে বলেন, পুত্র হারানোর শোক সইবার মত নয়। বাচ্চা বয়সের একটি ছেলের চলে যাওয়া মেনে নেয়া যায় না।

সাংসদ শামীম ওসমান প্রয়াত মোছাব্বির আলম নয়নের স্মৃতিচারণ করে বলেন, নয়ন খুব সরল একটা ছেলে ছিল। ওর মৃত্যুর খবর শুনে আমি খুব ব্যথিত হয়েছি। আল্লাহ ওকে বেহেস্ত নসিব করুন।

তিনি সাইফ উল্লাহ বাদলকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে আরও বলেন, আমাদের সবাইকে নয়নের জন্য দোয়া করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন – নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি সালেহ আহমেদ খোকন, গোগনগর ইউপি সদস্য নুর হোসেন সওদাগর, কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আতাউর রহমান আতা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত গত ৬ জানুয়ারি মাত্র ৪৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন মোছাব্বির আলম নয়ন।

কাশীপুর যুবলীগের সভাপতি শ্যামল বহিস্কার

নিউজ প্রতিদিন: ফতুল্লা এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মিমাংসা করার নামে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অপরাধে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলকে বহিস্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন স্বাক্ষরিত এক পত্রে শ্যামলের বহিস্কারের আদেশের কথা জানানো হয়।

ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বহিস্কারের আদেশের একটি কপি আমাকে দেয়া হয়েছে।

ধর্ষক পালিয়ে যেতে সহায়তা ও ধর্ষণের আলামত নষ্টের অভিযোগে মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বহিস্কার আদেশে বলা হয়, ফতুল্লার কাশীপুরে এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে বাঁচাতে মিমাংসা করার কথা বলে কিশোরীসহ তার মাকে শ্যামলের অফিসে ঢেকে নিয়ে যায়। আর সেখানে মিমাংসার নামে ধর্ষককে বাঁচাতে কিশোরীর মাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। আর এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলায় আনিছুর রহমান শ্যামলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মর্মে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। আর সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আনিছুর রহমান শ্যামলকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সাথে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে না মর্মে সংগঠনের চেয়ারম্যান/সাধারণ সম্পাদক এর বরাবর তার লিখিত জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বক্তাবলীতে কালভার্ট নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন শওকত আলী

নিউজ প্রতিদিন: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর আনন্দবাজারে একটি কালভার্ট নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের প্রকল্পের এ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম শওকত আলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজলু ইসলাম, বক্তাবলীর ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আতাউর রহমান, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য জলিল গাজী, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য আমজাদ হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা ছিদ্দিকুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আফসারউদ্দিন, নুরুল ইসলাম মোল্লা, মান্নান ছিদ্দিকি, আমান উল্লাহ মোল্লা, শাহাদাত হোসেন, সিরাজ মিয়া, হাজী দেলোয়ার, মাহমুদ মাদবর, চুন্নু চৌধুরী, মোশারফ চৌধুরী, মোকলেছ মোড়ল প্রমুখ।

৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয়ে আনন্দবাজারের মীরগঞ্জ খালের উপর ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ কালভার্টটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাঁধন এন্টারপ্রাইজ।

ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শ্যামল গ্রেফতার

নিউজ প্রতিদিন : ফতুল্লার কাশীপুরে ধর্ষিতার বিরুদ্ধে প্রহসন মূলক বিচার করে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ায় ধর্ষিতার মা ইয়াছমিন মামলা দায়ের করলে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শ্যামলকে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) ভোরে কাশীপুর গোয়ালবন্ধস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে এস আই মোবারক আসামী শ্যামলকে গ্রেফতার করেন ।

পুলিশ জানায়, মামলার বাদি ইয়াছমিন খানমের মেয়েকে ধর্ষণ করার পর এ নিয়ে কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি শ্যামল বিচার করার নাম করে ঘটনা ধামাপাচা দিয়ে ধর্ষককে ছেড়ে দেন। এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয়ে ধর্ষিতার মা শ্যামলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষককে সহোযোগিতা করার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শ্যামল স্থানীয়ভাবে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অন্যায়ভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন । তার বিরুদ্ধে অসখ্য অভিযোগ থাকা সত্বেও স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ছত্রছায়ায় থাকায় তাকে কেউ কিছু বলতে পারেনা।