২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 87

বিশেষ অভিযানে রাজধানী থেকে ২২ টন পচাঁ খেজুর জব্দ

বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের বেশ কয়েকটি খাদ্য পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (০৭ মে) বেলা ১২টায় শুরু হয় এই অভিযান।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, রোজা কেন্দ্র করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নোংরা পরিবেশে নিম্নমানের বিভিন্ন ধরনের খাদ্য তৈরি করে নামিদামি কোম্পানির নাম ব্যবহার করে। পুরো মাস জুড়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।এদিকে রাজধানীর বাদামতলী এলাকায় বিভিন্ন খেজুরের গুদামে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২২ টন পচা খেজুর জব্দ করা হয়।

চরমোনাই পীরের ভাইয়ের মাদ্রাসায় ছাত্রী ধর্ষিত

সীমা বেগম। বয়স ৩২। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ঢাকার আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরি করছেন। প্রায় সময় তার চোখে জল দেখা যেত। তাকে আদালতে দেখে কথা বলার কৌতূহল জাগে।

আদালতে কেন ঘোরাঘুরি করছেন জানতে চাইলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে মুবারর মুনতাহা ওরফে সানজিদা রশিদ মীম (১৪) রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় নাজরানা শ্রেণিতে পড়তো। দেখতে খুব সুন্দর ছিল। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় সেখানে থাকতো। সে দেখতে সুন্দর হওয়ায় মাদরাসার হুজুরেরা তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত বছরের অক্টোবর মাসে হুজুরেরা তাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচার পাওয়ার আশায় আদালত পাড়ায় ঘোরাঘুরা করছি। আসামিরা খুব প্রভাবশালী। তাদের প্রচুর টাকা রয়েছে। তারা টাকা দিয়ে সবকিছু নিজের মতো করে নিচ্ছে। জানি না মেয়ে হত্যার বিচার পাবো কিনা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন আমার মেয়ের হত্যাকারীদের যেন বিচার হয়।’

তিনি বলেন, গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মাদরাসার আবাসিক হলে আমার মেয়েকে হুজুরেরা ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তা আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার জন্য গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। তার পায়ের নিচে কাটা দাগ ছিল। কোমরের নিচে ছিল আঘাতের চিহ্ন। মাথা ছিল স্বাভাবিক। যদি সে ফাঁস দিয়ে মারা যেতে তাহলে কেন তার পায়ের নিচে কাটা দাগ থাকবে। কোমরের নিচে কেন আঘাতের চিহ্ন থাকবে? আর মাথাইবা কেন স্বাভাবিক থাকবে?।

‘হুজুরেরা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার মেয়ের পায়ের নিচে অন্যের হাতের লেখা একটি চিরকুট ফেলে রাখে। চিরকুটে আবাসিক শিক্ষিকা তাসলিমার নাম লেখা হয়’-যোগ করেন সীমা বেগম। ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার লেনদেন

সীমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তাদের পক্ষে করার জন্য ডাক্তারকে আমার সামনে দুই লাখ টাকা দিয়েছে। আমি তার বাস্তব স্বাক্ষী। এছাড়া পুলিশকেও তারা অনেক টাকা দিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন জায়গায় অনেক টাকা খরচ করেছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা যেন এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি সে জন্য অন্যের মাধ্যমে আমাদের ৫০ লাখ টাকা দিতে প্রস্তাব দিয়েছে। আমি বলেছি, ‘আমার টাকার প্রয়োজন নেই, মেয়ের হত্যার বিচার চাই।’

মাদরাসার পরিচালকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সানজিদা রশিদ মীমকে ধর্ষণ করে হত্যা করার অভিযোগে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম ওরফে মোস্তাক আহম্মেদসহ (৫৫) আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার মা সীমা বেগম।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৭ নভেম্বর এই মামলাটি করা হয়। মামলায় ধারা দেওয়া হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (৩)/৩০। আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন-মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া (৩১), মাদরাসার শিক্ষা সচিব হোসাইন আহম্মেদ (৩২), প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ (৩২), মাদরাসার দারোয়ান আবুল (৪৫) কালাম, মহিলা শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তর নিপা (২৬), বুয়া রওশন আরা (৪০) ও রামপুরা আবু সাঈদ রেস্তোরাঁর মালিক আব্দুল আজিজ আকন্দ (৫৯)।

মামলার অভিযোগে সীমা বলেন, আমার মেয়ে সানজিদা রশিদ মীমকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করাই। মাদরাসায় আবাসিক ব্যবস্থা থাকায় মীম সেখানে থেকে পড়ালেখা করতো। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমার মেয়েকে প্রতিদিনের মতো খাবার দিতে গেলে ৬ জন শিক্ষক আমাকে আমার মেয়ের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলে। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে তারা বলে, ‘সে পড়ালেখা করছে।’ তাদের কথায় সন্দেহ হলে আমার স্বামীকে খবর দেই। বেলা ১১টার দিকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ আসে। পুলিশের সঙ্গে মামলার সাক্ষীরা ছাদে গেলে দেখতে পাই আমার মেয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পা ছাদের ফ্লোরের সঙ্গে লাগানো। সাক্ষীরা পুলিশের নির্দেশে আমার মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ছাদের ফ্লোরে নামান। সাক্ষীরা ঝুলানো অবস্থা থেকে মৃত কন্যাকে নামানোর পর তার দুই হাতের কজ্বিতে কালো দাগ, পায়ের নিচে কাটা, রক্তাক্ত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধস্তাধস্তির কারণে জখমের চিহ্ন দেখেতে পাই।

আমার স্বামী মেয়ের লাশ আনতে হাতিরঝিল থানায় গেলে পুলিশ সারাদিন তাকে থানায় আটকে রাখে। মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেয়। এই বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য হুমকি দেয় পুলিশ। হত্যার বিষয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ বলে, ‘আমার স্বামী ইতোপূর্বে মামলা করেছেন।’ কোর্টে গিয়ে তার খবর নিতে বলে। কোর্টে গিয়ে দেখি মেয়ের মৃত্যুর বিষয়ে শুধুমাত্র তাছলিমা বেগমের নামে মামলা হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৮ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাছলিমা আক্তার নিপার বিরুদ্ধে সানজিদা রশিদ মীমকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়ার বিষয় সাক্ষ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় করা একটি মামলা বিচারাধীন। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর হামিম মিয়া নামে কোনো ব্যক্তিকে বাস্তবে পাওয়া যায়নি।

কোমরের পাশে দাগ ছিল, অন্যসব ছিল স্বাভাবিক

মীমের মৃত্যুর পর সুরতহাল করেন হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, সানজিদা রশিদ মীমের লাশ মাদরাসার পাঁচ তলার টিনশেটের সঙ্গে কমলা রঙয়ের ওড়নার দ্বারা ফাঁস লাগানো অবস্থায় পায়ের পাতা রুমের ফ্লোরে লাগানো অবস্থায় পাই। বুক, পেট ও পীঠ স্বাভাবিক ছিল। কোমরের ডান পাশে দাগ পরিলক্ষিত হয়। হাত ও মলদ্বার স্বাভাবিক ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জিএম মিজানুর রহমান বলেন, মীমের লাশটির পা মেঝেতে লাগানো ছিল! ফ্লোরের সঙ্গে পা লাগানো থাকলে ফাঁস কীভাবে লাগাবে? আত্মহত্যাকারীদের মাথা সাধারণত একদিকে বাঁকা হয়ে হয়ে যায়। তার মাথা ছবিতে দেখা যায়, স্বাভাবিক মানুষের মতোই ছিল। বাদীর সামনে ঢাকা মেডিকেলে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসামির পক্ষে করার জন্য টাকা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সময় মতো না পাওয়ায় এবং তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে ভিকটিম মীমের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। কারণ এতদিনে মৃতের লাশটি পচে গেছে। তাই পুনরায় ময়নাতদন্ত করে আর কিছু পাওয়া যাবে না। এভাবে হত্যাকাণ্ড আত্মহত্যা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পায়। পিবিআইয়ের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমরা নারাজি দেবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয় আমি আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি। আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা ইচ্ছা করলে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে পারবেন।

মীমের বাবা হারুন মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার হুজুরেরা ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে। তাদের অনেক টাকা। তারা টাকা দিয়ে সব নিজের মতো করে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।

তিনি বলেন, আমি থানায় কোনো মামলা করিনি। কন্যার লাশ নেওয়ার জন্য পুলিশ জোর করে আমার কাছে থেকে স্বাক্ষর নেয়। এ বিষয় কোনো বাড়াবাড়ি না করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপস করার জন্য পুলিশ হুমকি দেয়।

সীমা বেগম বলেন, মাদরাসার পরিচালকের ছেলে হামীম মিয়া। ধর্ষণের মূল হোতা সে। ঘটনার পর তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসার পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম বলেন, তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা জড়িত নই বলে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছে। আর হামীম মিয়া নামে আমার কোনো ছেলে নেই।

উল্লেখ্য, রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসাটি ১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়। এখানে বর্তমানে মাদরাসা সিলেবাসে দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এবং অন্যান্য জামাআতে পড়ানো হয়। এতে মক্তব, হিফজ ও কিতাব বিভাগ আছে। মাদরাসায় বর্তমানে ৭৮০ জন আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রী,৪৫ জন শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারী আছে।

বর্তমানে মাদরাসাটি পরিচালনা করছেন চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মুমতাজুল করিম। (সূত্র:জাগো নিউজ)

আলোকিত বক্তাবলীর ৯১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা

বক্তাবলী পরগণার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলীর কমিটি ঘোষনা উপলক্ষে আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় মো.নাজির হোসেনকে সভাপতি, মো.আবুল কালামকে সাধারণ সম্পাদক ও বাদল হোসেন ববিকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষনা করা হয়।

৬ মে (সোমবার) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ বাগান বাড়ীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে নাম প্রকাশ ও অনুমোদন দেওয়া হয়।

নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা হলেন,সভাপতি মো.নাজির হোসেন,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া,সহ-সভাপতি মো.দেলোয়ার হোসেন,এড.কবির হোসেন,মো.দিদার হোসেন,মো.শাহীন রাজু,মো. মহিউদ্দিন মোল্লা,মো.আব্দুল্লাহ আল ইমরান,মো.ইকবাল হোসেন,নূর মোহাম্মদ,মো.রহমত উল্লাহ,শাহ দ্বীন ইসলাম
,মো.সাইফুল ইসলাম,মো.মাঈন উদ্দিন,মো.সানাউল্লাহ, মো.সাইফুল ইসলাম-

সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.রাশেদুল ইসলাম সুমন,মো.অহিদুল ইসলাম টিটু,মো.সুমন পারভেজ-

সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি,মো.সাব্বির আহমেদ হৃদয়,মো.খোরশেদ আলম,মো.ইমদাদুল হক মিলন-

দপ্তর সম্পাদক মো.দুলাল আহমেদ,সহ-দপ্তর সম্পাদক মো.শওকত আলী,প্রচার সম্পাদক মো.আব্দুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ মো.আব্দুস সালাম আবু,সহ-কোষাধাক্ষ্য মো.সাইফুল ইসলাম লিটন,ক্রীড়া সম্পাদক মো.আল আমীন প্রধান,সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াসিন আহমেদ দোলন,সাহিত্য সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম জনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো.রাসেল আহমেদ স্বপন,যুব বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক-মো.রিপন গাজী,মো.মহসিন,ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান জনি,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো.আমির হোসেন,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো.হারুন-অর-রশীদ,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো.সূজন,সহ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো.জুয়েল ভূইয়া,নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মোসা.সাবিনা ইয়াসমিন,পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আল আমীন হৃদয়,সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো.আনিছুর রহমান শুক্কুর,প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো.শহীদুল্লাহ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম রানা,আপ্যায়ন সম্পাদক মো.লিটন,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাঈম তালুকদার বিক্রম,সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ গাজী ও বিশেষ সম্পাদক মো.মনির হোসেন।

কার্যকরী সদস্যরা হলেন,মাশফীকুর রহমান শিশির, মো.রাসেল চৌধুরী,মো.রুস্তম আলী,মো.শাহাদাত হোসেন,মো.মহিউদ্দিন ভূইয়া,মো.মনির হোসেন,মো.শাহ আলম,মো.হান্নান মিয়া,মো.ডালিম আহমেদ অয়ন ইফতেখার আহমেদ রাজু,মো.সোহেল রানা,মো.ইমরান হোসেন,মো.রুহুল আমীন,মো.আলমগীর হোসেন, মো.আফজাল হোসেন,মো.আমির হামজা,মোহা্মাদ আলী মাসুদ,মো.আতাউর রহমান,ইমতিয়াজ আহমেদ,মো.সূজন মোল্লা,মো.হাকিম শেখ,পলাশ হাওলাদার,মো.ফারুক আহমেদ,ডালিম মোড়ল,মো.নজরুল ইসলাম,মো.নোমান প্রধান,মো.আবুল কাসেম,মো.হানিফা,মো.জুবায়ের, মো.আকাশ,মো.সজিব,মো.সোহেল মোল্লা,মো.জাহেদ আলী,মো.সালাউদ্দিন,মো.মোজাম,আব্দুল্লাহ আল শিবলু,মো.জাহাঙ্গীর আলম,মো.জসিম মোল্লা ও জাহাঙ্গীর হোসেন।

সভাপতি মো.নাজির হোসেন বলেন,আলোকিত বক্তাবলী একটি সামাজি সংগঠন। সামাজিক ভাবেই বক্তাবলী পরগনায় সকল প্রকার অসামাজিক কার্যক্রম দূরীভূত করে আলোকিত বক্তাবলী গড়ে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম বলেন, বক্তাবলী এলাকাকে জঙ্গীবাদ ও মাদকমুক্ত করতে আলোকিত বক্তাবলী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি বলেন, এলাকার দরিদ্র অসহায় মানুষের কল্যাণ ও শিক্ষার মান উন্নয়ন আলোকিত বক্তাবলী কাজ করে যাবে।

আলোকিত বক্তাবলীর প্রধান উপদেষ্টা হলেন-আলহাজ্ব মো.শওকত আলী,চেয়ারম্যান বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ, উপদেষ্টা সদস্যরা হলেন-আলহাজ্ব মো.মতিউর রহমান, চেয়ারম্যান আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদ,আলহাজ্ মো.আবু বক্কর সিদ্দিকী,চেয়ারম্যান বালুরচর ইউনিয়ন পরিষদ,আলহাজ্ব মো.আলম সিকদার বাচ্চু,চেয়ারম্যান বেতকা ইউনিয়ন পরিষদ ও এড.আল আমিন সিদ্দিকী,সাবেক সভাপতি আলোকিত বক্তাবলী।

ফতুল্লার মাদক সম্রাট আর্মী সেলিম গণধোলাইয়ের শিকার

ফতুল্লা মাদক সম্রাট আর্মী সেলিম গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। ফতুল্লা বাজারে অবস্থিত মাদকের নিরাপদ জোন হিসেবে পরিচিত অভি ভিলায় স্থানীয়রা মাদক ব্যবসায়ীদের আড্ডাখানায় হানা দিয়ে আর্মী সেলিম ও তার এক সহযোগীকে গণধোলাই দেয়।

এলাকাবাসী এসময় মাদক ব্যবসায়ী এবং সেবীদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত বিদ্যুৎ দাসের রুমে হানা দিয়ে তাকে না পেয়ে রুম তাল দিয়ে চলে যায়। গত সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিনে ধরে ফতুল্লা বাজারে অবস্থিত অভি ভিলার ২য় তলায় বিদ্যুতের ভাড়াকৃত কক্ষে মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন করে আসছে আর্মী সেলিম, বিদ্যুত সহ বেশ কিছু মাদক ব্যাবসায়ী। ইতোমধ্যে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী একাধিক বার অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে মাদকসহ গ্রেফতার করে।

কিন্তু আইনের ফাঁক দিয়ে তারা বের হয়ে পূনরায় মাদক ব্যবসা অব্যাহত রাখে। গণধোলাইয়ের শিকার আর্মীকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আর্মী সেলিমকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। আর্মী সেলিম ফতুল্লা শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

আলোকিত বক্তাবলীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

বক্তাবলী পরগনার সামাজিক সংগঠন আলোকিত বক্তাবলীর পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। ৬ মে (সোমবার) বাদ মাগরিব নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াস্থ বাগান বাড়ীতে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।
আলোকিত বক্তাবলীর সভাপতি মো.নাজির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো.আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন,আলোকিত বক্তাবলীর সাবেক আহবায়ক মাশফীকুর রহমান শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক মো.বাদল হোসেন ববি,সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.সোহরাব ভূইয়া,সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মাদ,মো.রহমত উল্লাহ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সুমন,সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াছিন আহমেদ দোলন,বিশেষ সম্পাদক মে.মনির হোসেন, অনুকূল চন্দ্র রায় ও তৃষ্ণা রায়সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।

সাংবাদিকরা সমাজের ভুল শুধরে দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেন-এম শওকত আলী

স্টাফ রিপোর্টা:ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের ভুল শুধরে দিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিউজ প্রতিদিনের ৩য় প্রতিষ্ঠা বাষির্কীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক ও সমাজের আয়না। তারা বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের মধ্যদিয়ে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। নিউজ প্রতিদিনের প্রধান উপদেষ্টা শওকত আলী বলেন, আমাদের ভূল ত্রুটি তুলে ধরে আমাদের সুধরে দিবেন। আমরা কেউ ভুলে বাইরে নই। তিনি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।
ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক আবদুর রহিমের সঞ্চালনায় নিউজ প্রতিদিনের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ,সহ-সভাপতি এড.সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম লিটন,নিউজ প্রতিদিনের উপদেষ্টা মো: খোরশেদ মাস্টার,সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিয়াজ মো: মাসুম,যুগান্তরের সাংবাদিক আলামিন প্রধাণ,
মানব কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান,বক্তাবলী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মো:মতিউর রহমান ফকির,প্রেস বিডি ডট নেটের সম্পাদক মো: বদিউজ্জামান,দৈনিক এশিয়া বানী জেলা প্রতিনিধি হারুন অর রশিদ সাগর,শব্দ পাতার সম্পাদক শিশির,আলোকিত নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন,নারায়ণগঞ্জ সাহিত্য ফোরামের সভাপতি কবি জাহাঙ্গীর ডালিম,নিউজ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার শেখ মো:সেলিম হোসেন, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর,মো:দেলোয়ার হোসেন,মানবাধিকার কর্মী মো: রফিকুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম ইসলাম,জিএম মোস্তফা ও ইউসুফ আলী প্রধাণ প্রমূখ।

ক্ষমতার প্রভাব ও আদর্শের লড়াই নিয়ে মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছে দুই প্রার্থী

আগামীকাল শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদের কার্য নির্বাহী পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই হলেও মূল লড়াই হবে সভাপতি প্রার্থী নিয়ে। এ সভাপতি প্রার্থীদের নিয়ে চলছে যত আলোচনা ও সমলোচনা।

তবে সভাপতি পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধি¦তা করায় নির্বাচনের মাঠ উত্তাপ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থীর একজনের ক্ষমতার প্রভাব অন্যজনের আদর্শের লড়াই। এ দুটি ইস্যু নিয়ে দুই প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের হিসাব নিকাশ করছে সাধারন ভোটাররা।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ একটি অরাজনৈকি সংগঠন হলেও নির্বাচনে নিজের অবস্থান তৈরি করতে দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে একজন সভাপতি প্রার্থী। এমনকি সেই প্রার্থী বড় একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এমনকি সেই প্রার্থী প্রচারও করছে আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ এর উন্নয়ন করার জন্য পরিবর্তন দরকার। কিš‘ পাঠাগারের কেমন উন্নয়ন করবেন তা ভোটারদের কাছে প্রকাশ করেনি। শুধু মাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নিজের অবস্থান তৈরি করতে ভোটারদের উদ্ভুদ্ধ করতে চাইছেন। এছাড়া এ প্রার্থী ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করতে গিয়ে বিশাল বহর নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া নিয়ে নানা সমলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ নেতার ফাদে সাধারন ভোটাররা পা দিবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

অপরদিকে সভাপতি আরেক প্রার্থী মুসলিমনগর আদর্শ পাঠাগার ও সমাজ কল্যান সংসদ এর দীর্ঘদিন সভাপতি হলেও পাঠাগারের উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন করতে পারেনি। তবে এ প্রার্থী নির্বাচনে রাজনৈতিক ভাবে কোন প্রভাব বিস্তার না করলেও নিজের আদর্শ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন।

প্রতিটি ভোটারের কাছে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরছেন এবং নির্বাচিত হলে পাঠাগারের কি ধরনের উন্নয়ন করবেন তা প্রচার করছেন। এ প্রার্থীর কথা মোতাবেক ভোটাররা কিভাবে গ্রহন করবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। তবে একটি রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নির্বাচনে সভাপতি পদে ভোটের লড়াই হিসাব নিকাশ করছে সাধারন ভোটাররা।

এদিকে এ নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হিসাবে এমএ মান্নান ও আব্দুল বাতেন বাদল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আর সাধারন সম্পাদক পদে এড.মাসুদ পারভেজ সুজন ও ডা.কাজী ইদ্রিস আলী মিন্টু। তারা নিজের অবস্থান তৈরি করে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয় করার কৌশল অবলম্ভন করছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল ৩ মে শুক্রবার সকাল ৯টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট গ্রহন চলবে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য ভোট গ্রহন বিরতি থাকবে। নির্বাচনে পরিচালনার জন্য প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে জামাল উদ্দিন সবুজ,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাজি আবুল কাশেম,পোলিং অফিসার মো: মতিউর রহমান ও সহকারী পোলিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে শরীয়তউল্লাহ।

নেয়ামতুল্লাহ আব্বাসী গ্রেফতারে এসপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

একটি রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজি হাতিয়ারসহ জঙ্গি সাদৃশ্য ছবি তোলা মো. নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে গ্রেপ্তার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। একটি গার্মেন্টস কারখানার দেয়াল ভেঙে বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটের একটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী জৈনপুরী পীর এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী হুজুরের ভাই।

বুধবার (১ মে) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এবিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ এপ্রিল মধ্যরাতে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলী এলাকায় ‘এইচ এন অ্যাপারেলস লি.’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানে ঢুকে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।

পরে প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ মো.মহিউদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা (নং-৭৪) দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীকে।

পুলিশ সুপার বলেন, এঘটনার পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর হাতে একটি রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজি হাতিয়ারসহ জঙ্গি সাদৃশ্য ছবি প্রকাশ পায়। এদুটি ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আব্বাসীর সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা সম্পর্কে তদন্ত অব্যাহত আছে এবং তাকে নিয়ে অভিযান অব্যাহত আছে।

এদিকে গত ২৮ এপ্রিল নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁর হাতে থাকা রিভলভার ও পাশে একটি এসএমজিটি উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিনশাহ পারভেজ অস্ত্র দুটিকে খেলনা বলে সনাক্ত করেন।

তারা জানতে পারেন,ছোটবেলা থেকেই হাতিয়ার নিয়ে জঙ্গী সাদৃশ্য ছবি তোলার সখ আব্বাসীর। তাঁর সাথে জঙ্গী সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা এব্যাপারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

যেই কদিন বেঁচে আছি সকলের জন্য দোয়া করবো-শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, যেই কদিন বেঁচে আছি আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ মনে হয় আমার মতো মানুষের দোয়া কবুল করবেনা!কিন্তু চেষ্টা করবো এই জন্য কারণ আল্লাহতো গাফুরুর রাহিম। আল্লাহ আমাদের শাস্তি দেয়ার জন্য দুনিয়ায় পাঠাননি। আল্লাহ আমাদের পুরস্কার দেয়ার জন্য,পরীক্ষা দেয়ার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমরা কেউ অহংকার করি, কেউ গড়িমা দেখাই কিন্তু জীবনটা খুব সহজ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উত্তর চাষাড়া জামে মসজিদে আয়োজিত দোয়া ও মাহফিলে তিনি এসকল কথা বলে। এ সময় মসজিদের ভিতরে এবং বাহিরে, আওয়ামীলীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টির অসংখ্য নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান বলেন,আমাদের কিছুই করার নেই। আপনাদের জন্য শুধু এইটুকুই বলতে পারি। আমি নামাজ পড়ি,পাঁচ ওয়াক্তই পড়ি, তাহাজ্জুতও পড়ি। আল্লাহর ঘরে যখন যাই নারায়ণগঞ্জবাসী সকলের জন্য দোয়া করি।

তিনি বলেন,খুব ছোট আমরা। অধৈর্য্য হয়ে যাই যে, কোনটা খারাপ আর কোনটা ভাল ? এটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই বলতে পারেন আমরা কেউই বলতে পারিনা। আমরা মনেকরি এটা আমাদের জন্য খারাপ হচ্ছে কিন্তু সেটা আমাদের জন্য ভালই হচ্ছে। তাই আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই আপনারা আমার ভাই নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন।

প্রয়াত নাসিম ওসমানকে স্মরণ করে শামীম ওসমান বলেন, আল্লাহ তাকে অনেক সৌভাগ্য দিয়েছেন, পবিত্র মক্কায় কাবা ঘরে ঢুকে তা দেখার সৌভাগ্য দিয়েছেন। এবং সেটা তাঁর জীবনে অনেক বড় পাওয়া। আজকে আমার ভাইয়ের জন্য বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গাতে দোয়া হয়েছে, মিলাদ হয়েছে। আসলে আমার ভাইয়ের উপর, আমাদের পরিবারের যতটুকু হক রয়েছে আপনাাদেরও ঠিক ততটুকুই রয়েছে।

তিনি বলেন,আমরা আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাই। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ভাই আছেন উনিও এলাকার জন্য কাজ করছেন। আমিও কম বেশি করার চেষ্টা করছি। কয়দিন আছি জানিনা। কয়দিন বাঁচবো জানিনা। তাই আমি আপনাদের কাছে হাতজোর করে ভিক্ষা চাই আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমার আব্বা আম্মার জন্য দোয়া করবেন। এবং বিশেষ করে আজকের দিনটাতে আমার বড় নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর কবরের আজাব মাফ করে দেন। বেহেশতের দরজাটা যেন খুলে দেয়। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

আই এস ইহুদিদের দালাল-ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী

আই এস হচ্ছে সেই ইহুদীদের দালাল,যারা অটমন সাম্রাজ্য তুরস্কের খেলাফতকে সম্মিলিতভাবে একত্রিত হয়ে ১৯২৪ সালে নষ্ট করেছিল এবং তাদের তৈরি করা বংশধর নাস্তিক ফেরাউনের উত্তরসূরি কামাল পাশাকে ১৯২৪ সালে তুরস্কের রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন হিরার জ্যোতি,হিরক্ষনদের জ্যোতি ছাই দিয়ে ঢাকা যায় না। ১৯২৪ সালে খেলাফতের বিপক্ষে কামাল পাশা তুরস্কের ক্ষমতা নিল। ক্ষমতা নিয়ে এসে ঘোষণা দিলঃ তুরস্কের ভূখণ্ডের কোন এক ইঞ্চি জায়গাতে ইসলাম নামে কোনকিছুর অস্তিত্ব থাকবে না। মসজিদ গুলোকে নাইট ক্লাব বানিয়েছে। মসজিদের মিনারকে ভেঙ্গে চুরমার করেছে। আজানকে বন্ধ করেছে। দাড়ি রাখাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। মাথার টুপি কেরে নিয়েছে। মুসলমানের হেজাবকে খুলে দিয়েছে। চরম Secularism (ধর্মনিরপেক্ষতাকে) সে প্রতিষ্ঠা করলো। কিন্তু তুরস্কের মুসলমানের হৃদয় থেকে কুরআন ও সুন্নাহর ভালোবাসার ইসলামের ঐতিহ্যকে তাঁরা মুছে দিতে পারে নাই।৮০ বছর পর আজ চরম ইসলামপন্থী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের ক্ষমতায় বসে আছে। তাঁর পূর্বসূরি সোলেমান ডেভিডেল, নাজমুদ্দীন আরবাকান তাঁরা খুব কষ্ট করে গেছেন। তারা সকলেই বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)-এর অনুসারী। যিনি তুরস্কের আধ্যাত্মিক নেতা। মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর ছিলেন। তাঁর সেই মুজাদ্দেদীয়া তরীকার পীর বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ) চরম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুরস্কের মধ্যে দাওয়াতের কাজ চালালেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষাধিক ছাত্র তাঁর মুরিদ হয়ে গেল। সে সরকার তাঁকে ২৭ বার কারাগারের ভিতরে নিয়েছে। আর আমাদের দেশের পীররা চরম সুবিধাবাদী। যখন যে সরকার তারা সেই সরকারের অনুগত্য হয়ে যায়। এছাড়া পীরালীটাকে এখন তারা পুরোহিত তন্ত্রে পরিণত করেছে। ইসলামের পক্ষে দ্বীনের পক্ষে সত্যের পক্ষে এদের কোন বক্তব্য নাই। কিন্তু সত্যিককারের যারা পীর মাশায়েখ সাড়াজীবন তারা আল্লাহর দ্বীনের পক্ষে, শিরক কুফর এবং বাতিলের বিপক্ষে খেলাফতের পক্ষে, হুকুমতে ইলাহির পক্ষে কাজ করে গেছেন। কেউ প্রকাশ্যে,কেউ অপ্রকাশ্যে,কেউ প্রত্যক্ষভাবে,কেউ পরোক্ষভাবে। তাঁদেরই একজন বদিউজ্জামান নূরছী (রহঃ)। তাঁরই অনুসারী নাজমুদ্দীন আরবাকান,সোলেমান ডেভিডেল। আর তাঁদেরই অনুসারী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সেখানে এখন মসজিদে আজান হয়। মহিলারা স্কার্ফ পরিধান করে সংসদে ঢুকতেছে। পুরুষরা দাড়ি রাখতেছে। ইসলামের পক্ষে সারা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভূমিকাতে চলে আসতেছে তুরস্ক। তাহলে ১৯২৪ সালে সমস্ত কাফের মুশরেক একত্রিত হয়ে,রাশিয়া,ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে তারা তুরস্কের খেলাফতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। সেই ইসলামের মৌলিক একটি বিষয় খেলাফতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ইহুদীরা আইএসকে মাঠে নামিয়েছে।

আইএস ২টি কথা বলতেছেঃ একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। এখন যারা ইসলাম বুঝেনা জানেনা,তাদের মধ্যে জিহাদের ব্যাপারে একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। খেলাফতের ব্যাপারেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে।দেখা যাচ্ছে- আইএস যে এলাকা দখল করছে, মহিলাদেরকে ধর্ষণ করছে। এবং বিচার ছাড়া যাকে তাকে কল্লা কেটে দিচ্ছে। এখন ইহুদীরা সুযোগ পাচ্ছে।

দুনিয়াবাসীকে বুঝাতে-খেলাফত মানেই হল মহিলাদেরকে ধর্ষণ করা। খেলাফত মানেই হল যাকে তাকে পাও কল্লা ফেলে দেওয়া। সে কাজটি তারা পুরোপুরি সফল না হলেও কিছুটা তো সফলতা লাভ করছে। বড়ই দুঃখজনক হলোঃ বাংলাদেশে এই আইএস এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যখন কথা শুরু হলো। এদেশে যারা আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ তাদের দায়িত্ব ছিল,সন্ত্রাসের পূর্ণমাত্রায় বিরোধিতা করে,খেলাফত এবং জিহাদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা।

আইন মানার ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন মানতে হবে। আল্লাহর আইন ইবাদতের অংশ। আর সে আইনকে বাস্তবায়িত করার একমাত্র মূলমন্ত্র হল খেলাফত। তাহলে বুঝা যাচ্ছে,আমরা যারা ভূপৃষ্ঠের হুকুমত থেকে বঞ্চিত তারা ঈমানকেও ঠিক করি নাই, আমলকেও ঠিক করি নাই। ঈমান এবং আমল যদি ঠিক হতো,ভূপৃষ্ঠের হুকুমত আল্লাহ আমাদের দান করতেন।

খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য চারটা:- নূর নবীজী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদীস থেকে এই মাসালা আস্তেমবাত করেছেন,উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক,আমাদের পূর্বসূরি শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীসে দেহলবী (রহঃ) হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা কিতাবের ১৪৯ পৃষ্ঠায় তিনি তুলে ধরেছেনঃ খেলাফতের মূল ৪টা বিষয় বাস্তবায়ন করা।

১. (মজলুম) জুলুমের শিকার মানুষকে জুলুম থেকে বাঁচানো ।
২. আল্লাহর প্রদত্ত আইনকে বাস্তবায়ন করা, আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তিকে বাস্তবায়ন করা ।
৩. বিচার ব্যবস্থা কুরআন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠা করা ।
৪. জিহাদ পরিচালনা করা।

★ আই এস এর গোঁমরা ফাঁসঃ

দুইটা জিনিসের বিরুদ্ধে কাফের মুশরেকদের সবচেয়ে বেশী প্রচার- একটি হল জিহাদ, আরেকটি হল খেলাফত। আইএস-এর সাথে ইসলাম ও মুসলমানের কোন সম্পর্ক নাই। আইএস এর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় কখনোই ইসলাম ও মুসলমান নিবে না। আইএস ইহুদী মোসাদের আবিষ্কার। আর তাদেরকে অস্ত্র দিয়েছে আমেরিকা। আইএস-এর বিরোধিতা করতে যেয়ে কোন অবস্থায়ই জিহাদের বিরোধিতা করার সুযোগ নাই। কারণ জিহাদকে যে অস্বীকার ও জিহাদের বিরোধিতা করবে সে মুসলমান নয়। জিহাদ ইসলামের মূল একটি বিষয়।