২০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 93

সিদ্দিরগঞ্জে ইয়াবাসহ জিকু গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮৮ পিছ ইয়াবাসহ জিকু (৩২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। ৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জয়নাল পাঠানটুলী ওয়াটার ওয়ার্কস রোড এলাকায় একটি ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জিকু সদর থানার খানপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান,জিকু নিজেকে কখনও সাংবাদিক, কখনও রাজনৈতিক নেতা,কখনও পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার অভিযোগে জিকুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিশ ব্যবসায়ী হিরো আলম কারাগারে

ডিশ ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া বগুড়ার সেই আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার হন হিরো আলম।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সদর থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা হিরো আলম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে শ্বশুরের করা মামলাটি সাজানো ও ভিত্তিহীন। তাঁর দাবি, তিনি পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের শিকার।

হিরো আলম বলেন, আমি সত্য বলতে কখনো ভয় পাই না আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করি না। অনেক আগে থেকেই ডিশের ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজন।

সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে যৌতুকের মিথ্যে অভিযোগ তুলে, স্ত্রীকে নির্যাতনের নাটক সাজিয়ে আমাকে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়েছে।

তা ছাড়া বিগত নির্বাচনে প্রশাসনের অনিয়ম আর ভোট চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। বড় বড় কর্তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম। আমাকে মামলায় ফাঁসানোর নেপথ্যে এসব বিষয়ও কাজ করেছে।

হিরো আলম বলেন, ‘আমি সিনেমা ও মডেলিং করি। অধিকাংশ সময় বাইরে থাকতে হয়। আমার ডিশের ব্যবসার আয়-উপার্জন সবকিছুই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) ছেড়ে দিয়ে রেখেছিলাম। কোনো যৌতুক চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

উল্টো আমার অবর্তমানে অন্যের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় স্ত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। টাকা পয়সা লুট করে। ভাঙচুর করে। আমাকে মারধর করে।

ঘটনার পরপরই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করি। পরদিন পুলিশ সালিসের নামে থানায় ডেকেছে, আমি ন্যায় বিচারের আশায় পুলিশের ডাকে বৃহস্পতিবার রাতে স্বেচ্ছায় থানায় এসেছি।

অথচ আমার কথা পাত্তা না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির চাপে শ্বশুরের সাজানো অভিযোগটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে আমাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ দুই পক্ষের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করতে পারতেন। কিন্তু অদৃশ্য চাপে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’

হিরো আলম বলেন, এভাবে সাজানো মামলায় আমাকে কারাগারে আটকে রেখে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করা যাবে না। কেউ বিশ্বাস করবে না, যে স্ত্রীকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে রেখেছি, তাঁকে মাত্র দুই লাখ টাকার জন্য হিরো আলম নির্যাতন করবেন।

শ্বশুরের অভিযোগ
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ওরফে খোকন বুধবার বিকেলে হিরো আলমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, হিরো আলম অনেক দিন ধরেই স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করছেন। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর সাইফুল ইসলাম জামাইয়ের হাতে এক লাখ টাকা তুলে দেন তিনি।

গত ৫ মার্চ দুপুরে হিরো আলম আরও এক লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীর ওপর রেগে যান হিরো আলম। টাকা না পেয়ে হিরো আলম চেলা কাঠের বাটাম দিয়ে সুমিকে মারধর করেন, কিল-ঘুষি মারেন।

সুমির চিৎকারে এলাকায় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে আহত স্ত্রী সাদিয়াকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হিরো আলমের অভিযোগ
অন্যদিকে হিরো আলম গত মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে বগুড়া সদর থানায় পৃথক অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ মার্চ রাতে আটটার দিকে তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরের সঙ্গে ঝগড়া হয়।

এর জেরে শ্বশুরপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে তাঁর সদর উপজেলার আরজি পলিবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এর প্রতিবাদ করলে কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে শ্বশুরপক্ষের লোকজন তাঁকে মারধর করেন। একই সঙ্গে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে তিনি (হিরো আলম) মাটিতে পড়ে যান। এই সুযোগে শো কেজের ড্রয়ার থেকে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি মুঠোফোন নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় তাঁরা ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্রও ভাঙচুর করেন এবং হত্যারও হুমকি দেন।

তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।
শ্বশুরের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে
আলাদা দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার রাতে দুই পক্ষকে সদর থানায় ডাকা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলমের বিরুদ্ধে শ্বশুরের দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এ কারণে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডি যখন চলছিল না, তখনই মাথায় আসে ক্যাবল সংযোগ ব্যবসার। কেবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন।

ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। ইউটিউবে প্রকাশ করা তাঁর নিজস্ব ভিডিওগুলোও অনেক জনপ্রিয়। ভিডিওগুলোর নির্দেশনাও দেন হিরো আলম। ভিডিওগুলোর মূল চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

ইউটিউবে হিরো আলমের এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তাঁর ভিডিও নিয়ে কৌতুক শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় তাঁর ভিডিও নিয়ে হয় ট্রল।
হিরো আলম ইতিমধ্যেই ‘মার ছক্কা’ নামের একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন তিনি।

২০১৬ সালে ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

মেননের শাস্তি চেয়ে আলেমদের বিক্ষোভের ডাক

সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাংসদ রাশেদ খান মেননের অনতিবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা ও শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ করবে আলেম সমাজ। কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা,ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ও আলেম সমাজকে কটাক্ষ্য করে দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।

বুধবার (৬ মার্চ) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এতে বাংলাদেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন এবং বক্তব্য রাখবেন।

মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানীদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধান ও ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ আখ্যায়িত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লামা আহমদ শফিকে কটাক্ষ করে শুধু আলেম সমাজ নয়, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকারসহ গোটা সংসদকে অপমানিত করেছেন। তিনি আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) অবমাননা করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মেননকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন। 

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী মহাজোটের শরীক নেতা রাশেদ খান মেননের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘রাশেদ খান মেননকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। রাশেদ খান মেনন মূলত তার প্রদত্ত বক্তব্যের মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে ধর্মবিদ্বেষ মনোভাব প্রকাশ করেছেন। অনতিবিলম্বে তিনি যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান তাহলে তৌহিদি জনতা এসব কটূক্তি,অপপ্রচার ও ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের সমুচিত জবাব দেবে।’

উল্লেখ্য,গত মার্চ সংসদে রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ‘পাঠ্যক্রমগুলোকে ধর্মীয়করণের প্রচেষ্টা, তেঁতুল হুজুরের আবদারে সংস্কার করা হয়েছে। কুসুম কুমারী,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,দ্বিজেন্দ্রলালের কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। হয়ত পাকিস্তান আমলের মতো ‘সজীব করিব মহাশ্মশানের স্থলে সজীব করিব গোরস্থান’আবৃত্তি করতে হবে। হেফাজতের মোল্লাতন্ত্র দেশে চরম পশ্চাৎপদ ধারণা সৃষ্টি করছে।’

কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়ে বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে কি না- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে মন্তব্য করে মেনন বলেন, ‘আজকে তেঁতুল হুজুরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমী জননী উপাধি দিয়েছেন। এই ব্যাপারে আমরা সতর্ক না হলে বুঝতে হবে আমরা কোনো বিষবৃক্ষ রোপন করতে যাচ্ছি।’

আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা,তাদের ওপর আক্রমণ- মোল্লাতন্ত্রের এ ধরনের পাকিস্তানি অনুকরণ রাষ্ট্রপতি যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তার ভাষণে উল্লেখ করেছেন- সেটাকে চরম বিপদে ফেলছে বলেও মন্তব্য করে বামপন্থী এই নেতা।

নারায়ণগঞ্জে চরমোনাইয়ের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে সুন্নী জনতার বিক্ষোভ

৫ ই মার্চ মঙ্গলবার ভন্ডপীর চরমোনাই ও তার অনুসারীদের সহিংসতা,দলীয় উগ্রতা ও যখন তখন পেশী শক্তির প্রভাব খাটিয়ে হক্কানী পীর মাশায়েখ ও আহলে সুন্নাত ওয়ান জামাতের ওয়াজ মাহফিল বন্ধের প্রতিবাদে ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম উলামা ও জনতার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৪ মার্চ (সোমবার) ফতুল্লা চতলার মাঠে সুন্নী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল মাহফিল উগ্র ও বাতিল আকিদা পন্থী চরমোনাই গ্রুপের লোকজন বাধা দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিশ্ব বরেণ্য মুফাসসির ও সুন্নী জনতার নয়ন মনি আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী।

আব্বাসী হুজুর প্রায় সময় নেক সুরতের ভেকধারী ভন্ড চরমোনাইদের ওহাবী মতাদর্শের বিরুধীতা করে থাকেন।তাই তারা মাহফিলটিতে বাধা দেয়।

তারই প্রতিবাদে ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) বাদ যোহর ফতুল্লা ঈদগাহে সুন্নী আলেম ওলামার নেতৃত্বে ভন্ড চরমোনাইকে ফতুল্লায় নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তাগন বলেন,ভন্ড চরমোনাই রাজনীতির নামে পেট নীতি চর্চা করে। পিরালীর নামে তারা মূর্খ মুরীদদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর পিরালি ও রাজনীতি টিকাতে তারা উগ্র সন্ত্রাসী পেটোয়া বাহিনী দিয়ে যখন খুশি তখন হক্কানী পীর মাশায়েখ ও সুন্নী উলাময়ে কেরামের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে থাকে এজন্য তাদের অনেক জায়গায় চরম খেসারত ও দিতে হয়েছে।

যেমন গত ২০১৬ সালে পঠুয়াখালীর মোকামিয়া ও ২০১৮ সালে ডেমরা দারুন নাজাতে সুন্নী জনতার হাতে তারা গণ ধোলাইয়ের স্বীকার হয়।

বক্তব্যে বক্তাগন তাদের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে ফতুল্লাতে বন্ধ করার জন্যে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করেন। যথাযথ ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয় এবং চতলার ময়দানে মাহফিলের অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে ভন্ড চরমোনাই পন্থীদের শায়েস্তা করার জন্য সুন্নী জনতা মাঠে নামার হুশিয়ারী দেন।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্তিত হয়ে বক্তব্য রাখেন,এই সময় উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা মুফতি মোশাররফ হোসেন হেলালী,হযরত মাওলানা মুফতি ফয়সাল আমিন আল হানাফি,হযরত মাওলানা মুফতিজোবায়ের আহমদ নাসেরী,হযরত মাওলানা মুফতি ইসমাঈল হুসেন জালালী,হযরত মাওলানা মোকাম্মেল হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আমির হামজা, হযরত মাওলানা মুফতি আরিফ বিল্লাহ,হযরত মাওলানা মুফতি তানভীর হুসাইন ফারুকী,হযরত মাওলানা মুফতি মোজাম্মেল হুসাইন, হযরত মাওলানা মুফতিআবু সুফিয়ান আবেদী,হযরত মাওলানা মুফতি শাখাওয়াত হুসেন পাটুয়ারী, হযরত মাওলানা মুফতি মাহফুজুর রহমান,হযরত মাওলানা মুফতি দেলোয়ার হুসাইন,হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুল আজিজ চিশতী,হযরত মাওলানা মুফতি নূরুল আমিন,হযরত মাওলানা ফযলে রাব্বি,হযরত মাওলানা মুফতি সবির হুসাইন জিহাদী,হযরত মাওলানা মুফতি নোমান কাসমী,হযরত মাওলানা মুফতি ইমাম হুসাইন, হযরত মাওলানা মোবারক হুসাইন,হযরত মাওলানা নাঈমুর রহমান, হযরত মাওলানা আব্দুল আজিজ, হযরত মাওলানা ওসমানগনী,হযরত মাওলানা আলআমিন জিহাদী,হযরত মাওলানা মোকছেদুল,হযরত মাওলানা আব্দুর কাদের,হযরত মাওলানা হামিদুল ও হযরত মাওলানা হাফেজ বাইজিদ হুসাইন প্রমূখ।

বিক্ষোভ মিছিল ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশটি সমাপ্ত হয়।

সিঙ্গাপুরের পথে ওবায়দুল কাদের

সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বিএসএমএমইউ ত্যাগ করে।

এর আগে তার অবস্থা খানিকটা স্থিতিশীল থাকায় এখনই দেশের বাইরে নেওয়ার উপযুক্ত সময় বলে মতামত দেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি।

রোববার ভোরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক বিভাগে ভর্তি করা হয়।

এরপর থেকে তিনি বিএসএমএমইউ’র সিসিইউ’র নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র,আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

শামীম ওসমানের জনসভায় শওকত চেয়ারম্যানের বিশাল শোডাউন

বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে শামীম ওসমানের জনসভায় যোগ দিয়েছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের রাষ্ট্রীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.শওকত আলী।

শনিবার দুপুরে ফতুল্লার বক্তাবলী থেকে সহস্রাধিন নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যানার ফেস্টুর সহকারে শহরের ২নং রেল গেইট সমাবেশে তিনি যোগদান করেন।

আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করি-শামীম ওসমান

নিউজ প্রতিদিন: মাদক,সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুতাসহ সকল প্রকার অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।

তিনি বলেছেন,আমরা সুশাসনের পক্ষে। আমরা সুশাসনের পক্ষে লড়াই করে যাব আমরণ। আমি আওয়ামী লীগের একজন নগন্য কর্মী,আমি আওয়ামী পরিবার থেকে উঠে আসা একজন নেতা,আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করি।

শনিবার দুপুরে শহরের ২ নং রেল গেইট এলাকায় আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন,আমি আল্লাহর কসম করে বলছি,মাদক ব্যবসা,ভূমিদস্যুতা,ইভটিজিং খুব খারাপ কাজ। যারা মানুষের উপর জুলুম-নির্যাতন করে আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।

ফতুল্লায় খাদ্যে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

খাদ্যে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বেলা এগারোটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ফতুল্লা মডেল থানার সামনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মানববন্ধনে ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবসহ একাধিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজার সহ বিভিন্ন খাবারের হোটেল রেস্টুরেন্টে যেভাবে খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করছে তাতে সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে যে পরিমাণ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে তাতে প্রমাণ হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই তারা রোগাক্রান্ত হচ্ছে।

তারা বলেন, কিছু বিষ সন্ত্রাসীদের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকতে পারে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে খাদ্যে ভেজাল ও বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়া যারা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। লোক দেখানো ভেজাল প্রতিরোধ না করে দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্থায়ীভাবে ভেজালের বিরুদ্ধে কাজ করা দরকার বলে তারা মনে করেন। খাদ্যে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বক্তারা এর বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।

নিরাপদ খাদ্য আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আহ্বায়ক ফরিদ আহম্মেদ বাধনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের পিপিএম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামলীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার,ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনিছুজ্জামান অনু, সহ-সভাপতি এনামুল হক সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ও সময় নারায়ণগঞ্জ ডট কমের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম সহিদ, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি রুহুল আমিন, ফতুল্লা রিপোর্টাস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিস, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, সিনিয়র সাংবাদিক কামাল হোসেন, ফতুল্লা মডেল প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সময় নারায়ণগঞ্জ ডট কমের প্রধান সম্পাদক মোঃ মাহবুবুর রহমান খোকা, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর কুতুবে আলম, দপ্তর সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মৃধা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সরকার।

আরো উপস্থিত ছিলেন, জয়নাল আবেদীন, বিশ্বজিৎ বাড়ৈ দেবন, শাহ আলম, সময় নারায়ণগঞ্জ ডট কমের বার্তা সম্পাদক তানজিল আহমেদ তুষার, সাংবাদিক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন, আশিকুর রহমান আশিক, শ্রমিক নেতা আজিজুল হক, প্রমূখ। মানববন্ধন সঞ্চালনায় ছিলেন মোখলেছুর রহমান তোতা।

আওয়ামীলীগ করি কারো উপর ভরসা করে নয়-শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান বলেছেন,আমরা আওয়ামীলীগ করি কারো উপর ভরসা করে নয়। এক আল্লাহ্, এক শেখ হাসিনা আর পায়ের তলায় মাটি আছে জনতা,যারা আমাদের কথায় মাঠে নামে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফতুল্লা থানাধীন বাংলা ভবনে এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২রা মার্চ ডিআইটি মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।

শামীম ওসমান বলেন, আমরা আবারও নারায়ণগঞ্জে মিটিং করতেছি,কেন? স্বাধীনতার শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য। স্বাধীনতার দিবসের জন্য মিটিং করবো, এত ঢল ঢক্কর বাজানো দরকারটা কি? এত ঢল ঢক্কর এ কারনে যে,পিপলস্ কি চায়? এ ম্যাসেজটা সেই দিন আমরা জনগণকে দিতে চাই। কি ম্যাসেজ দিতে চাই? যে জনগণ,আওয়ামীলীগ তোমাদের সাথে আছে, তুমি ভোট দিলেও আছে না দিলেও আছে। কেন আছে? আমরা আওয়ামীলীগের প্রত্যেকটা কর্মী, আমরা মাঠে নামতাছি। উই ডোন্ট ডিপেন্ড অন দ্য পুলিশ। আমরা পুলিশের উপর নির্ভর করবো না। আমরা কারো উপরই নির্ভর করবো না, আমরা আমদের উপর নির্ভর করবো।

তিনি বলেন, কাদের নারায়ণগঞ্জ? এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জকে সুন্দর করার জন্যে আমরা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবকে ডাকবো, পেপার্স ওয়ানার্স এসোসিয়শনকে ডাকবো,সকল সাংবাদিকদের ডাকবো, বারকে ডাকবো,সকল ব্যবসায়ী ইউনিটকে ডাকবো। বাঁচলে সবাইকে নিয়েই বাঁচবো। মরলে,হয় মাসদাইর নয়তো পাইকপাড়া নয়তো যার যার এলাকার কবরস্থানে দাফন হইবো। সো এই জায়গা আমাদের। এটা আামদের নারায়ণগঞ্জ। কেউ আইসা এখানে সেভেন মার্ডার কইরা যাইবো,তার দায়দায়িত্ব আমরা নেবো না। আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চাই কিন্তু ইয়াবা পকেটে ঢুকাইয়া কইবেন তোরে লইয়া যামুগা, তা হইতে দেবো না। ও হবে না। আমরা বুঝি সব কিছুই। ও হবে না।

তিনি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করবো, সংগঠন গড়ব। মাঠ লেভেল থেকে প্রকৃত নেতাকর্মীদের উঠাইয়া নিয়া আসব এইবার। সবাইকে একসাথে নেতা বানানো যাবে না কিন্তু কর্মী সবাই একসাথে হতে পারব। আমরা সবাই একটা পরিবার,সবাই এক বংশ। সবাই ডাল-ভাত খেয়ে মিলেমিশে থাকব। যদি আমাদের এই পরিবারের ছোট একটা কর্মীর উপর আচর পরে তাহলে বুঝতে হবে সবার উপরে আচর পরেছে। সবাইকে একসাথে সেই আচরের জবাব দিতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। আমরা পথ দেখাবো নারায়ণগঞ্জ চলবে। নারায়ণগঞ্জ পথ দেখাবো পুরো বাংলাদেশ চলবে।

তিনি আরও বলেন,জনগণকে আমাদের শান্তি দিতে হবে,জণগণের পাশে দাড়াতে হবে,জনগণকে ম্যাসেজ দিতে হবে যে,জনগণ আমরা আপনাদের একটি অংশ। জনগণ ভয় পাবেন না,আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। জনগণ ভয় পাবেন না,আমরা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ,আমরা ২ তারিখ ঘুষখোর, চাদাবাজ, ভূমিদস্যু,মাদকসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে নামার ঘোষণা দেব।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ্ বাদলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শওকত আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ্ নিজাম,সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী,মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু ভূইয়া প্রমূখ।

পুলিশ সুপারের নির্দেশ উপেক্ষিত:প্রকাশ্যে চলছে সাংবাদিকের জমি দখল

ফতুল্লার সাংবাদিক সেলিম পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করে এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দ্বারস্ত হয়েও শেষ পর্যন্ত তার পৈত্রিক জমি আর রক্ষা করতে পারলেন না । জেলা পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভাড়াটে ক্যাডারদের সহযোগীতায় প্রকাশ্যে জমি দখল করে নিয়েছে জালকুড়ি,তক্কার মাঠ এলাকার একদল ভূমিদস্যু। গত ক’দিন ধরে একদল ভূমিদস্যু জাল দলিলের মাধ্যমে সাংবাদিক সেলিমের পৈত্রিক জমি দখলের চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হলে গত সোমবার রাতে কথিত জমির মালিকদের ডেকে কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ প্রদান করেন এবং জমি নিয়ে কাউকে বিরোধে না জড়াতে নিদের্শ প্রদান করেন। কিন্তু পুলিশের সিদ্ধান্তকে উপক্ষো করে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাড়াটে ক্যাডারদের সহযোগীতায় পূর্বের স্থাপনা ভেঙ্গে নতুন স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে জমির কথিত মালিকরা।

এর আগে ১৯ শতাংশ জমি রক্ষা করতে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে জমির মালিক সাংবাদিক সেলিম হোসেন। সাংবাদিক সেলিমের অভিযোগ, ১৯৮৪ সালে পিয়ার আলী,লতিফুনের কাছ থেকে জমি কিনেন তার বাবা আব্দুল মালেক। এরপর থেকে জমি ভোগ দখল করে আসছে। এইক জমি ৮৮ সালে আলমগীর- দেলোয়ার গং জালকুড়ির চিহ্নিত ভূমিদস্যু আবদুল কাদিরের মাধ্যমে আহমদ আলীর কাছ থেকে কিনে নিয়েছে দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। উল্লেখ্য, আহম্মদ আলী ৮৭ সালে মারা যান।

এদিকে সেলিমের বাবা আবদুল মালেক ২০০৫ সালে মেরিনা বেগমের স্বামীর নিকট ৫শতাংশ জমি বিক্রি করে। মেরিনা বেগম তার জমি বুঝে নিয়ে উন্নয়ন কাজ করতে গেলে ভূমিদ্যুরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত থানা পুলিশকে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আদেশ দেন। এদিকে ৮৪ সালের দলিলকে তোয়াক্কা না করেই ৮৮ সালের দলিল নিয়ে পুরো ১৯ শতাংশ জমি জোর করে দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক সেলিম হোসেন।