৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 257

কে এই ওমর মতিন?

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে যে বন্দুকধারীর গুলিতে একটি সমকামী নাইট ক্লাবে ৫০ জন নিহত হয়েছে, তার নাম ওমর মতিন। ২০১৩ সাল থেকেই গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই মার্কিন নাগরিক ওমর মতিন সম্পর্কে জানতো। খবর- বিবিসি বাংলা।

রবিবার রাতে পালস নাইট ক্লাবে তার চালানো হামলাটি আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী গুলিবর্ষণের ঘটনা।

এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশের গুলিতে নিহত ২৯ বছর বয়স্ক ওমর মতিনের উগ্র ইসলামপন্থী ভাবধারার দিকে ‘ঝোঁক ছিল’। তবে তার এই হামলা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়।

হামলা চালানোর সময় মতিন জরুরী নম্বর ৯১১-এ কল দিয়ে কথিত ইসলামিক স্টেটের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করে। পরবর্তীতে আইএস এক বার্তায় বলে যে তাদের এক ‘যোদ্ধা’ এই হামলাটি চালিয়েছে, তবে তারা সরাসরি জড়িত ছিল নাকি তাকে উৎসাহ যোগানোর জন্য তারা কৃতিত্ব দাবি করছে সেটি তারা সুনির্দিষ্টভাবে বলেনি।

মতিনের বাবা, সাদিক মতিন মার্কিন একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘হামলার সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তার ছেলে কিছুদিন আগে মায়ামিতে দুজন পুরুষ পরস্পরকে চুম্বন করছে দেখে ‘খুবই ক্রুদ্ধ’ হয়ে ওঠে। সে যে একটি হামলার পরিকল্পনা করছে সে বিষয়ে পরিবারের কোনো ধারণাই ছিল না।

বন্দুকধারীর ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রন হপার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইএসের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে সহকর্মীদের প্রতি বিরূপ মন্তব্য করায় তাকে ২০১৩ সালে এফবিআই কর্মকর্তারা দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করে।

কর্মকর্তারা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তদন্ত শেষ করা হয়। তবে ২০১৪ সালে আবারো সিরিয়ায় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সাথে যোগাযোগের অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেবারও এ ধরণের যোগাযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তদন্তটি সেখানেই শেষ করা হয়।’

এফবিআইয়ের নজরে থাকলেও মতিনকে কখনো সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে নজরদারির আনুষ্ঠানিক তালিকায় রাখা হয়নি এবং আইনগতভাবেই তার একটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।

এটিও জানা যাচ্ছে যে ওমর মতিন ২০০৭ সাল থেকে নিরাপত্তা সংস্থা জিফোরএস-এর একজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করে আসছে।

পুলিশ বলছে, পালস নাইট ক্লাবের হামলায় মতিন একটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তার কাছে হয়তো কিছু বিস্ফোরকও ছিল, তবে সেটি নিশ্চিত করা হয়নি।

মতিনের জন্ম নিউইয়র্কে এবং তার মা-বাবা দুজনই আফগান। পরবর্তীতে সে ফোর্ট পিয়ার্সে বসবাস শুরু করে, অরল্যান্ডো থেকে শহরটি গাড়িতে দুই ঘণ্টার রাস্তা।

তার সাবেক স্ত্রী, সিতোরা ইউসুফি বলেছেন, মতিন ছিলেন সহিংস, মানসিকভাবে অস্থিতিশীল এবং তাকে নিয়মিত পেটাতো।

অনলাইনে পরিচয়ের পর ফোর্ট পিয়ার্সে ২০০৯ সালে দুজনের বিয়ে হয়, তবে তার ওপর নির্যাতনের কথা জানার পর ইউসুফিকে তার বাবা-মা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

২০১১ সালে স্ত্রীর সাথে ওমর মতিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

 

মাহফুজ আনামের সব মামলার কার্যক্রম স্থগিত

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১০ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে মাহফুজ আনামের পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুনানি করেন।

এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭২ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সোমবারের আদেশের ফলে মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮২টি মামলার সবকটির কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেল।

মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা থেকে তাকে জামিনও দেন হাইকোর্ট।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের শীর্ষ রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অসংখ্য মামলা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ বহু রাজনীতিককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সে সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির খবর’ সরবরাহ করেছিল জানিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি এক টেলিভিশন আলোচনায় মাহফুজ আনাম বলেন, যাচাই না করে তা প্রকাশ করা ছিল ‘বিরাট ভুল।’

ওই স্বীকারোক্তির পর ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সারাদেশে মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়।

চলে গেলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মনিরুজ্জামান মিঞা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই শিক্ষাবীদ মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

দেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ মনিরুজ্জামান মিঞা ১৯৩৫ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বাবা মোদ্দাছের হোসেন ছিলেন স্কুল শিক্ষক, মা আনোয়ারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। পরে তার পরিবার পাইনবাবগঞ্জ জেলায় স্থায়ী হয়। মনিরুজ্জামান মিঞা ব্যক্তিজীবনে চিরকুমার ছিলেন।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান কৃঞ্চ গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে এসএসসি, রাজশাহী কলেজ থেকে বিএসসি পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি করেন। জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৬১ সালে উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য প্যারিসে যান। ১৯৬৬ সালে প্যারিস থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৯২ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

জাতীয় শিক্ষানীতি ২০০১ প্রণয়ন কমিটিতে মনিরুজ্জামান মিঞা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এটিকে মনিরুজ্জামান মিঞা শিক্ষানীতি বলা হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ও সেনেগালের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের সিটি করপোরেশেনের বরখাস্তকৃত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নানের বিরুদ্ধে ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেছে দুদক।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এতে করপোরেশনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়াকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে করপোরেশনের ত্রাণ ও দরিদ্র তহবিলে মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার ১৩২ টাকা আয় দেখানো হয়। এর মধ্যে ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৪৬ টাকা খরচ দেখানো হয়। এই খরচের টাকার মধ্যে থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা কোটি টাকা ভুয়া গ্রহীতা দেখিয়ে ৯৯৯টি সৃজিত ভাওচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করার প্রমাণ পায় দুদক। এর প্রেক্ষিতে অভিযোগে দুদকের অনুমোদন নিয়ে ফোজদারি কার্যবিধি ও ১৯৪৭ সালের দুদক আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

গাজীপুর পুলিশ সুপার  মো. হারুন অর রশিদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রায় ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত দিক দেখা হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি হতে পারবেন না এমপিরা : হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: সংসদ সদস্যরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হতে পারবেন না বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রবিবার সকালে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে গত বুধবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জিন্নাত আরা ও একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ উক্ত আদেশ দেন।

আদেশে বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে সভাপতি করে রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুলের গঠিত ম্যানেজিং কমিটি বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।ওইদিন রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, এখন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পরিষদ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত গভর্নিং বডি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ধারা ৫ (সংসদ সদস্যদের সভাপতি থাকার বিধান), ধারা ৫০ (বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা) ও ভিকারুননিসা নুন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনটি করা হয়।

এই ধারা বাতিলের আগে প্রো-বিধানের ৫ ধারায় ক্ষমতা বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য চারটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি অধিষ্ঠিত হতে পারতেন।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার উল্লেখযোগ সাফল্য দেখাতে না পারা এবং আসামি গ্রেপ্তার ও আদালতে সোপর্দ করা নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজি রকিব উদ্দিনকে পরিবর্তন করা হয়েছে। তার পরিবর্তে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। শনিবার রাতে এই পরিবর্তন করেন নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

 

জানা গেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় স্ত্রী হত্যায় মামলা দায়ের করেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। মামলা দায়েরের একদিন পরেই এই মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিনকে। তদন্ত কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু নসর গুন্নু নামে এক ব্যক্তিকে হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেন। গুন্নুকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করার পর রিমান্ডের আবেদন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজি রকিব উদ্দিন। এ ছাড়া এই গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে বলে গুন্নুর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এমন সমালোচনার মুখে আলোচিত এ মামলাটি নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা বিভাগের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামানকে।

 

তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিতে

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার বেলা ১১টার দিকে বার্তা বাহক ফারুক হোসেনের মাধ্যমে সিলগালা খামে তা কুমিল্লা সিআইডি কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। খামটি গ্রহণ করেন সিআইডি কুমিল্লার এএসআই মোশারফ হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরেনসিক বিভাগ ও ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা।

তবে তনুর বহুল আলোচিত সেই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কি রয়েছে তিা নিয়ে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে রোববার দুপুর ১টার দিকে গণমাধ্যমের সঙ্গে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পর দিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে তার প্রথম ময়নাতদন্ত করেন ডা. শারমিন সুলতানা। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ জেলার মুরাদনগরের মির্জাপুর গ্রামের কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গত ৪ এপ্রিল ২ সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হয় প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে তনুকে হত্যা ও ধর্ষণের আলামত না থাকায় দেশব্যাপী তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফরেনসিক বিভাগ। গত ১৬ মে তনুর কাপড়ে ৩ পুরুষের শুক্রানু পাওয়া যাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর আবারো আলোচনায় উঠে আসে প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং ডিএনএ প্রতিবেদনের এমন গরমিল তথ্যে ঝুলে যায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের সহায়ক হিসেবে ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে ফরেনসিক বিভাগের দফায় দফায় চিঠি চালাচালির পর বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ৫ জুন কুমিল্লার অতিরিক্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম তনুর দাঁত, চুল, কাপড়সহ ৭টি বিষয়ের পুরো ডিএনএ প্রতিবেদনই ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তরের নির্দেশ দিলে গত মঙ্গলবার পুরো ডিএনএ প্রতিবেদন সিআইডি থেকে ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। এতে গত বৃহস্পতিবার ৩ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সভায় ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে নেয় ফরেনসিক বিভাগ।

 

চমৎকার বাজেট: আওয়ামী লীগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থমন্ত্রীর উত্থাপিত বাজেটকে গণমুখী আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, এটি বাস্তবায়নযোগ্য, বাজারে এ বাজেটের নেতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলবে না। এই বাজেটে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে। এবারের বাজেট চমৎকার বাজেট।

বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাজেট উত্থাপন শেষে সংসদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদত মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী চমৎকার বাজেট দিয়েছেন, তার এবারের বাজেট বক্তব্য ছিল ঐতিহাসিক। বাজেট পেশ করার আগে সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের মাধ্যমে সেটি দূর হয়েছে।

বাজেট বাস্তবায়নের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এতে বাজারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন তোফায়েল।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উত্থাপিত বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যে অগ্রসর হচ্ছি তা সহায়ক হবে। এ বাজেট বাস্তবায়ন যোগ্য। আর এবার রাজস্ব আয় বাড়বে।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এই বাজেট সময় উপযোগী ও গণমুখী। আমাদের সরকার জনগণের জন্য কল্যাণমুখী উন্নয়ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই বাজেটেও সাধারণ মানুষের উন্নয়নকে মাথায় রেখে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জঙ্গি আটক

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু হত্যাকা-ের পর সারাদেশে শুরু হওয়া পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জঙ্গি আটক হয়েছে।

শুক্রবার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ ৩৭ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল আহছান। তবে গতকালই সারাদেশে ৯ শতাধিক আটক হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। অভিযান আজো চলছে। সব মিলিয়ে আটক সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।

কামরুল আহছান জানিয়েছেন, আটক ৩৭ জনের ২৭ জেএমবি সদস্য, সাতজন জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশের (জেএমজেবি) সদস্য। বাকি তিনজন অন্য সংগঠনের।

রোজাদারদের খাবার সামনে নিয়ে বসে থাকার ফযিলত

পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা। গলায় তৃষ্ণা। সামনে শীতল শরবত। দস্তরখানে বাহারি খাবারও হাজির। কিন্তু আপনি খাচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন। অপেক্ষা করছেন সময়ের, নির্দেশের। আযান পড়লেই মুখে তুলে নেবেন সুন্নতি খাবার খেজুর। ভাঙ্গনে রোজা। আযানের এক মিনিটের আগেও স্পর্শ করেননি আপনি এ খাবার। কেন? কারণ মনে তাঁর (আল্লাহর) প্রতি ভালবাসা। তাঁর নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা। তাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই আপনার এ ত্যাগ। তবে তিনি কি প্রতিদান দেবেন এ ত্যাগের?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, আমার নিকট সবচেয়ে প্রিয় সেই বান্দা যে ইফতার সঠিক সময়ে করে। (তিরমিযী, মেশকাত)।  তিনি ঘোষণা দিয়েছেন প্রিয়তম বান্দার। কাকে? যে সঠিক সময়ে ইফতার করে। যে খাবার সামনে নিয়ে বসে থেকেও খায় না। সে অপেক্ষা করে সময়ের। ওলামায়ে কেরাম বলেন, ইফতার রোজাদারদের জন্য একটি আনন্দময় সময়। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা সুন্নত এবং সূর্যাস্তের আগে ইফতারি সামনে নিয়ে বসে থাকা মোস্তাহাব।

হাদিসে ইফতার সম্পর্কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ কল্যাণের সঙ্গে থাকবে ততকাল, যতকাল তারা শিগগির ইফতার করবে’ (বোখারি শরীফ)। এ হাদিসে সময় হয়ে যাওয়ার পর ইফতারে বিলম্ব না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যথাসময়ে ইফতার করার জন্য।  ইফতার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, আমার বান্দাদের মধ্যে আমার কাছে অধিকতর প্রিয় তারাই, যারা আগেভাগে ইফতার করে’ (তিরমিজি)।

নবীদেরও স্বভাব ছিল ইফতারে দেরি না করা। (তাবারানী কাবীর, মাজমাউজ যাওয়ায়িদ ২য় খন্ড; ১০৫ পৃ) এ হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, ইফতারের নির্দিষ্ট সময় থেকে দেরি করা মোটেই উচিত নয়। যদি কেউ ইচ্ছা করে ইফতারে দেরি করে তাহলে সে রাসুলুল্লাহর (স.) নির্দেশ অনুযায়ী কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আল্লাহর নিকট অপ্রিয় হবে।

হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক নেক আমলের প্রতিদান ১০-৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন। তবে রমযান মাসের রোযার প্রতিদান এর ব্যতিক্রম। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দিয়েছেন, যেহেতু আমার বান্দাবান্দীরা আমাকে না দেখেও আমার ভয়ে আমার হুকুম পালনার্থে এবং আমার সন্তুষ্টি অর্জনার্থে দিনের বেলা পানাহার (বৈধ কামাচার) ত্যাগ করেছে, তাদের প্রবৃত্তি দমন করেছে, সুতরাং আমি নিজ হাতে তাদের এই ত্যাগের বিনিময় দান করবো। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে, আমিই এসব রোযাদারের প্রতিদান। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)