নারায়ণগঞ্জের মিতু ক্লিনিকে ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু

122

সিজারিয়ান অপারেশন না করায় এক রোগীর বাচ্চা প্রসবের সময় সামনে যাননি ডাক্তার বা নার্স। ফলে রোগীর বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে ভূমিষ্ঠ হলেও সে বিছানা থেকে পরে মারা যায়। রোববার সকাল ছয়টায় নগরীর প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় অবস্থিত মিতু ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। রোববার সকালে মিতু ক্লিনিকে কথা হয় এখানে চিকিৎসা নেয়া রোগী রিনা বেগম ও তার স্বামী মোহাম্মদ রফিক এর সাথে। তারা জানান, নগরীর বাবুরাইল বৌবাজার এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। রিনা বেগম গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে বাড়ির অদূরের সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলো। এ ক্লিনিকের ডাক্তার তন্নি তার চিকিৎসা করছিলো। রোববার সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে তার স্বামী তাকে এখানে নিয়ে আসে। ক্লিনিকের ৩০২ নাম্বার কক্ষে ভর্তী করা হয়। ডাক্তার তন্নী ও ক্লিনিকের ম্যানেজার তাদেও সিজারিয়ান করতে চাপ দেয়। কিন্তু তারা রাজি হননি। এ কারনে তারা চিকিৎসা না করে দো’তলায় অফিস কক্ষে গিয়ে বসে থাকে। রিনা বেগমের স্বামী বারবার বলার পরেও ডাক্তার, নার্স শেফালিসহ কেউ সেখানে যাচ্ছিলেন না। এদিকে রিনা বেগমের স্বাভাবিক প্রসব হয়ে যায়। কিন্তু বাচচাকে দেখার জন্য সেখানে কেউ না থাকায় নবজাতক খাট থেকে পড়ে মারা যায়। এ প্রতিবেদক যখন তাদের সাথে কথা বলছিলেন তখন তাদের বারবার বাধা দিচ্ছিলেন স্থানীয় মাস্তান ও ক্লিনিকের ম্যানেজার। এ ব্যাপারে কথা বলতে তারা ক্লিনিকের মালিক ও ডাঃ তন্নির ফোন নাম্বার দেননি। ডাঃ মনিরুজ্জামান এ ক্লিনিকের মালিক বলে এলাকাবাসি জানান। ক্লিনিকের অন্যতম পরিচালক সিরাজুল ইসলামকে পরে ফোন করা হলে তিনি জানান, এটি তুচ্ছ বিষয়। তাদের সাথে আমাদের মিটমাট হয়ে গেছে। তাদের বলা হয়েছিলো সিজারিয়ান করতে। সিজার করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। তিনি দাবী করেন, সিজার না করায় বাচ্চাটি পেটে মারা গেছে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এস আই বাশারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পায়। কিন্তু যাদের বাচ্চা তারা এ ব্যাপারে কোন মামলা করতে রাজি হননি।