মোবাইল ফোন টাওয়ারের কারণে বজ্রপাত বেশি ঘটছে কিনা- তা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
সম্প্রতি বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপন নিয়ে রোববার (১৫ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
কয়েক দিন আগে থেকে সারাদেশে বজ্রপাতে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও বেশকিছু মানুষ।
বিশেষজ্ঞ মত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আসছে মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো বজ্রপাত বৃদ্ধি করছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, কারিগরি জ্ঞান থেকে বলছি না, এ বিষয়ে পড়াশুনা থেকে জেনেছি, বজ্রপাত খালি জায়গায় উঁচু স্থাপনায় আঘাত করে। সেই ক্ষেত্রে একটা মাঠের মধ্যে টাওয়ার ও মানুষ থাকলে প্রথমে টাওয়ারে আঘাত করবে, ব্যক্তিকে নয়। তবে, টাওয়ারের কারণে যদি বজ্রপাত হয়, তাহলে টাওয়ারই ভষ্মিভুত হবে, মানুষ না।
তারানা হালিম বলেন, একটি টাওয়ারের কারণে যদি একটি মানুষের জীবনের ক্ষতি হয়, আমি থাকতে সেটা হবে না। সে টাওয়ার সেখানে থাকবে না। যেভাবেই হোক, যে ক্ষতি হোক।
‘আমাকে জানাতে হবে যেখানে যেখানে বজ্রপাত হয়েছে, সেখানে সেখানে টাওয়ার রয়েছে। আমি বিষয়টি অবশ্যই টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আমরা এটা নিয়ে অবশ্যই বসবো। আসলে কী কারণে ঘটেছে এবং আমাদের সেখানে কী করণীয় আছে?’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা বলেন, বজ্রপাত হলে টাওয়ারের আর্থিংয়ের মাধ্যমে নিচের দিকে চলে যায়। মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।
বিটিআরসি’র ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাওয়ারের সিস্টেমে আর্থিং করা আছে। মানুষের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে সব থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে গ্রামে, কিন্তু শহরে টাওয়ারের সংখ্যা বেশি। বজ্রপাতে যে ক্ষতি হচ্ছে এটা মানতে রাজি না। তবে পথ বের করতে হবে। এজন্য সাজেশনেই আসতে হবে।
মোবাইল টাওয়ার কত তলার ওপর করা যায়, সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন দেখভাল করে বলে জানান বিটিআরসি কর্মকর্তারা।