৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 261

অধিক বজ্রপাত টাওয়ার দায়ী কিনা তদন্ত করা হবে-তারানা হালিম

মোবাইল ফোন টাওয়ারের কারণে বজ্রপাত বেশি ঘটছে কিনা- তা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

সম্প্রতি বজ্রপাতে ব্যাপক প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার স্থাপন নিয়ে রোববার (১৫ মে) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

কয়েক দিন আগে থেকে সারাদেশে বজ্রপাতে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও বেশকিছু মানুষ।

বিশেষজ্ঞ মত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আসছে মোবাইল ফোনের টাওয়ারগুলো বজ্রপাত বৃদ্ধি করছে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, কারিগরি জ্ঞান থেকে বলছি না, এ বিষয়ে পড়াশুনা থেকে জেনেছি, বজ্রপাত খালি জায়গায় উঁচু স্থাপনায় আঘাত করে। সেই ক্ষেত্রে একটা মাঠের মধ্যে টাওয়ার ও মানুষ থাকলে প্রথমে টাওয়ারে আঘাত করবে, ব্যক্তিকে নয়। তবে, টাওয়ারের কারণে যদি বজ্রপাত হয়, তাহলে টাওয়ারই ভষ্মিভুত হবে, মানুষ না।

তারানা হালিম বলেন, একটি টাওয়ারের কারণে যদি একটি মানুষের জীবনের ক্ষতি হয়, আমি থাকতে সেটা হবে না। সে টাওয়ার সেখানে থাকবে না। যেভাবেই হোক, যে ক্ষতি হোক।

‘আমাকে জানাতে হবে যেখানে যেখানে বজ্রপাত হয়েছে, সেখানে সেখানে টাওয়ার রয়েছে। আমি বিষয়টি অবশ্যই টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেব। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব। আমরা এটা নিয়ে অবশ্যই বসবো। আসলে কী কারণে ঘটেছে এবং আমাদের সেখানে কী করণীয় আছে?’ বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সভায় বিটিআরসি’র এক কর্মকর্তা বলেন, বজ্রপাত হলে টাওয়ারের আর্থিংয়ের মাধ্যমে নিচের দিকে চলে যায়। মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।

বিটিআরসি’র ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাওয়ারের সিস্টেমে আর্থিং করা আছে। মানুষের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে না।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে সব থেকে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে গ্রামে, কিন্তু শহরে টাওয়ারের সংখ্যা বেশি। বজ্রপাতে যে ক্ষতি হচ্ছে এটা মানতে রাজি না। তবে পথ বের করতে হবে। এজন্য সাজেশনেই আসতে হবে।

মোবাইল টাওয়ার কত তলার ওপর করা যায়, সে বিষয়ে সিটি করপোরেশন দেখভাল করে বলে জানান বিটিআরসি কর্মকর্তারা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা  হয়েছে। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার বিকাল সাড়ে ৬টায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আসলামের ভাই আমজাদ হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর)শেখ নাজমুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

এর আগে, ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করার অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চট্টগ্রাম পুলিশ।

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যখনই তাকে পাওয়া যাবে তখনই গ্রেপ্তার করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী নিজের ঘরে ইহুদী রেখে অন্যর ঘরে খোঁজার চেষ্টা করছে-হান্নান শাহ

নিজের ঘরে ইহুদী রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যর ঘরে ইহুদী খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।

রোববার (১৫ মে) দুপরে রাজধানীর পল্টনে ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ স্মরনে ও পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হান্নান শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রবধূ ইহুদী। তাই আমরা কি ঢোল বাজাবো ইসরাইলের সঙ্গে তার কি সর্ম্পক আছে। আমরা এমনটা চাই না। শুধু বলবো কাঁচের ঘরে থেকে ঢিল ছুড়বেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের ওঠা-বসা আছে। এটা শতভাগ সত্য। তাতে কোনো সমস্যা হয় না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি সর্ম্পকে হান্নান শাহ বলেন, বিএনপির তথা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি তো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।

হাইজ্যাক, ক্রসফায়ারের কথা আগে কখনো শুনিনি। এগুলো ভারত থেকে আনা হয়েছে বলেন হান্নান।

হান্নান শাহ বলেন, ভারতের সঙ্গে কোনো প্রতিবেশি দেশের সর্ম্পক ভাল নেই। শুধু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে ভাল সর্ম্পক আছে। কি কারনে সর্ম্পক আছে তা সবাই জানেন। ফারাক্কা বাধের কারনে বাংলাদেশের অনেক নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। বাংলাদেশের কিছু দালালের কারনে আমরা অধিকার বঞ্চিত হচ্ছি। এ সরকার আমাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে না। তারা ক্ষমতায় থাকা আর লুটপাট করতে যা যা দরকার তাই করছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ৬১৬টি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ ও ৩১৪ টি  বন্ধ হওয়ার পথে। এতে কত লোক বেকার হয়ে পড়ছে। আরো কত লোক বেকার হবে। এই যদি হয় উন্নয়নের নমুনা। এ সরকার শুধু মুখে মুখে উন্নয়নের কথা বলে। খোঁজ নিয়ে দেখেন হাজার হাজার মানুষ চাকরিচ্যুত হচ্ছে। বেকারদের চাকরি হচ্ছেনা।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থে কাজ করছেন। তাই ভারতের দালালদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আর যারা দেশের স্বার্থে কাজ করে তাদের গ্রহন করতে হবে।

জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া প্রমুখ।

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেলো ৭৯ পরিক্ষার্থী

যার মধ্যে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ফেল থেকে পাস করেছে ১,১৪১ জন, ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯ জন। এর মাধ্যমে মোট জিপিএ-৫ বেড়েছে ১৫টি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন কুমার গাইন জানান, প্রধান দুই পরীক্ষকের ভুলের কারণে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ‘খ’ ও ‘গ’ সেটের নৈমিত্তিক উত্তরপত্রের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। ফলে বরিশাল বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে। পরে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে তা সংশোধন করে শনিবার বিকেলে পুনরায় নিরীক্ষা শেষে সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

তিনি জানান, পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তনের জন্য মোট আবেদন পড়েছিল ৮,৮০৯টি। যার মধ্যে সংশোধিত ফলাফলে পরিবর্তন ঘটেছে ১,৯৯৪টির।

এদিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক।

উল্লেখ্য, বুধবার প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৯.৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩,১১৩ জন। ২০১৫ সালে বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ছিল ৮৪.৩৭ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে পাশের হার ছিল ৯০.৬৬ শতাংশ।

খালেদা জিয়ার মামলা স্থগিতের আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় স্থগিত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

রবিবার সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এর ফলে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোন আইনি বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আগামী ১৯শে মে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে এ দুর্নীতি মামলায়  বিএনপি  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন রাখা আছে।

হিন্দু মেয়েরা শিবলিঙ্গের পুজা কেন করে?

ওম নমঃ শিবায়ঃ!
যখনই একে শিবপূজার বীজমন্ত্র বলে স্বীকার করে নিচ্ছি আমরা, তার সঙ্গেই দেখা দিচ্ছে একটা মোক্ষম প্রশ্ন।
মন্ত্রে শ্রদ্ধা অর্পণ করছি শিবকে, কিন্তু পূজা অর্পণের মাধ্যম শুধু লিঙ্গ কেন?
প্রশ্নটার উত্তর খোঁজা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কেন না, উত্তরগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ধর্ম, পুরাণ কথা, ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব এবং বহু যুগ ধরে প্রবাহিত হওয়া ভারতীয় দর্শন। আর রয়েছে নানা মুনির নানা মত।
সেই সব যুক্তি ছুঁয়ে যেতে যেতে সবার আগে এগোনো যাক পুরাণ পথে। পুরাণ কী বলছে শিবের লিঙ্গ পূজা নিয়ে?
ভৃগু ঋষির অভিশাপ:
পুরাণে আছে, ঋষিরা একদা এক মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন সরস্বতী নদীর তটে। এখন, যজ্ঞ করলে তার ফল অর্পণ করতে হয় কোনও এক দেবতাকে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু না শিব- কাকে অর্পণ করা হবে এই যজ্ঞের ফল, তাই নিয়েই সমস্যায় পড়েন ঋষিরা। তখন তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন ভৃগু। তিন দেবতাকে পরীক্ষা করার জন্য তিনি হাজির হন কৈলাসে।

কৈলাসে গিয়ে ভৃগু দেখেন, শিবের কোলে বসে রয়েছেন পার্বতী। অন্তরঙ্গ অবস্থায় আদিপিতা আর আদিমাতাকে দেখে তিনি লজ্জা পান। কিন্তু, শিবের কোনও বিকার ছিল না। ভৃগুর সামনেই তিনি আদর করছিলেন পার্বতীকে। তখন ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন ভৃগু। তাঁর যুক্তি ছিল, মহাযোগী হয়েও শিব যখন কামনা সংযত করেননি, তখন পৃথিবীতে তাঁর লিঙ্গেরই পূজা হওয়া উচিত!
ভৃগুর কথা ব্যর্থ হয়নি। তার পর থেকেই পুরাণ মতে পৃথিবীতে শিবের লিঙ্গ পূজা হয়!

গণপিটুনী থেকে বাঁচাতে হিন্দু শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করান-এমপি সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষককে ধর্মীয় কটুক্তির অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এমপির উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। এরপর ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে ছাত্রনির্যাতন ও নির্যাতনের সময় ধর্মীয় কটুক্তির অভিযোগে উত্তেজিত জনগণ মারধর করে।

তাদের হাত থেকে বাঁচাতে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে বাধ্য হয় বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম।

অবশ্য প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত বিবিসি বাংলার কাছে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার ওপর নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে, ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন এমন অপবাদ দিয়ে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়েছিল।

শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, তিনি স্কুলের এক ছাত্রকে সাজা দিতে গিয়ে মারধোর করেছিলেন। সেই ঘটনাটিকেও তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, এই ছাত্রকে মারার সময় তিনি ধর্ম সম্পর্কে কটু কথা বলেছেন।

স্কুলের পরিচালনা নিয়ে বিরোধের জের ধরে যারা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল তারা পুরো ঘটনার পেছনে আছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান এই শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন,গণপিটুনী থেকে এই শিক্ষককে বাঁচাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

রূপগঞ্জে গুলিভর্তি পিস্তলসহ সন্ত্রাসী আটক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গুলিভর্তি বিদেশি পিস্তলসহ রাজু মিয়া (৩৩) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৪ মে) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার মাসাবো কান্দাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আটক রাজু মিয়া উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, রাজু মিয়া এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। এ ঘটনায় মামলা শেষে রিমান্ড চেয়ে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।

যাত্রাবাড়ী ইয়াবাসহ ২ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১১ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণ।

শনিবার (মে ১৪) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশন‍ার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার এ তথ্য জানান।

ডিবি সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকার ধনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ১১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ইয়াবাবহনকারী রাকিব ও নূরুজ্জামান নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে যাত্রাবাড়ী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও ডিবি সূত্রে জানা যায়।

দেশের সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকার দরকার

‘দেশের চলমান সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকার দরকার’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে এ জন্য দরকার নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন ও একটি স্বাধীন নিবার্চন কমিশন।

তিনি এ সময় বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন,দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টি তৈরি হয়েছে।

মির্জা ফখরুল তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান উনি কি ধরনের গণতন্ত্র চান।৭৫ সালের কথা কি উনি ভুলে গেছেন। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। বিএনপি নেত্রীসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে। এর নাম কি গণতন্ত্র।

শনিবার (মে ১৪) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০ দলীয় জোট এর শরীক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপার্সন ও জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়ন আগে গণতন্ত্র পরে-আওয়ামী লীগের নতুন এই স্লোগান জনগণ গ্রহণ করবে না জেনেই সেখান থেকে তারা সরে এসেছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, সরকার কী উন্নয়ন করেছে? সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়ন হয়েছে আপনাদের (ক্ষমতাসীনদের)। আপনারা কোটি কোটি নয়, শত শত কোটি টাকা লুণ্ঠন করে দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে বর্তমানে যে সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে সত্যিকার অর্থে সেটি একটি বড় রকমের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। তারা আসলে গণতন্ত্রের লেবাসে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে তাতে সাংবিধানিক সঙ্কট সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়েছে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের অধিকারসমূহ ফিরে পেতে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান সঙ্কট নিরসনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন প্রয়োজন। সে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও প্রয়োজন, যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন-জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।