২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 269

নারায়ণগঞ্জে ৫ খুন: ভাগ্নে মাহফুজই একমাত্র আসামি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত পাঁচ খুনের ঘটনায় স্ত্রী ও দুই সন্তান হারানো শফিকুল ইসলামের ভাগ্নে মাহফুজকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম শহীদুল ইসলামের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ভাগ্নে মাহফুজ বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দণ্ড বিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে এ তথ্য জানান। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছেও মনে হয়েছিল একজনের পক্ষে পাঁচ জনকে খুন করা কি সম্ভব?  কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তে ও সাক্ষ্য প্রমাণে আমরা দেখলাম, অপরাধী বুদ্ধি প্রয়োগ করে একে একে পাঁচ জনকে হত্যা করেছে। এমনকি চাবিও তার দেখানো জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি শহরের দুই নম্বর বাবুরাইল এলাকায় শফিকুলের বাড়িতে দুই শিশুসহ পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। পরদিনই মাহফুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাইলে…

দীর্ঘ জীবনের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে বেশ কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এ ধরনের কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো এ লেখায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট।

 

১. শতকরা ৯৫ ভাগ খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে গ্রহণ করুন। দানাদার খাবার, সীম ও সবুজ শাক সবজিতে গুরুত্ব দিন।

২. সপ্তাহে দুই দিনের বেশি মাংস খাবেন না।

৩. দৈনিক তিন আউন্স পরিমাণ মাছ খান। মাছে পুষ্টিকর বহু উপাদান রয়েছে আর এটি দেহের জন্যও প্রয়োজনীয়।

৪. দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী কমান। দুধে প্রচুর ফ্যাট ও চিনি রয়েছে।

৫. সপ্তাহে তিনটি ডিম খান।

৬. প্রতিদিন আধকাপ রান্না করা সীম খান। সীমে প্রচুর কার্বহাইড্রেট ও অতি সামান্য ফ্যাট রয়েছে। এটি ফাইবারেরও উৎস।

৭. লাল আটা খান। লাল আটা পাকস্থলীর জন্য ভালো।

৮. চিনি খাওয়া কমান। কোমল পানীয় বাদ দেওয়া কিংবা চায়ের মতো পানীয় থেকে চিনি বাদ দিলেই অনেকখানি চিনি গ্রহণ কমবে।

৯. প্রতিদিন দুই মুষ্টি বাদাম খান। শুধু চীনাবাদাম নয়, অন্যান্য বাদামও রাখুন খাদ্য তালিকায়।

১০. খাবারের গুণাগুণ বুঝে খাবার খান। জাংক ফুড কিংবা যেসব খাবার ক্ষতিকর সেগুলো বাদ দিন।

১১. বেশি করে পানি পান করুন। এক্ষেত্রে কোমল পানীয় কিংবা অনুরূপ কোনো পানীয় নয় পরিষ্কার পানিই সবচেয়ে ভালো।

১২. অ্যালকোহল বাদ দিন।

১৩. সাধারণ চা বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করুন। এটি হৃদরোগ কমাতে এবং ক্যান্সারের মতো নানা রোগ দূর করতে সহায়ক।

১৪. চা-কফির মাধ্যমে ক্যাফেইন গ্রহণ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় রাখুন।

১৫. মাংস খাওয়ার বদলে যদি শাক-সবজি খেতে থাকেন তাহলে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হতে পারে। এ চাহিদা মেটাতে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন গ্রহণ

আইপিএলের সেরা ৫ বিদেশির মধ্যে মুস্তাফিজ

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) জমজমাট নবম আসর শুরু হতে আর মাত্র বাকি তিন দিন। বিশ্বকাপের ঢামাডোল শেষ হয়ে গেছে আরও তিনদিন আগে। সুতরাং, ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন মজেছে আইপিএলেই। শুরু হয়ে গেছে বিশ্লেষণ, কে জিতবে, কার দল কেমন হবে তা নিয়ে।

আইপিএলের নবম আসরের আগেই কিন্তু চমক দিয়েছিল নিলাম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যেখানে যুবরাজ সিং সর্বোচ্চ দাম পাওয়া ক্রিকেটারের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন। শেন ওয়াটসন হলেন সেরা দামি খেলোয়াড়দের একজন। তবে সবাইকে চাপিয়ে এমন ৫জন ক্রিকেটার এবারের নিলামের মাধ্যমে আইপিএলে উঠে এসেছে যারা সত্যিই চমকে দিতে পারেন খেলার মাঠে। সেই ৫ চমকসৃষ্টিকারী ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নিউ পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানও।

নিজ নামে বার্ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী নিজ নামে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি (বার্ন) ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর চাঁনখারপুলে এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

জানা গেছে, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫৩৪ কোটি টাকা। মোট ১.৭৬ একর জমিতে বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালটি সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।

আন্ডারগ্রাউন্ডে ২ তলা বেইজমেন্টসহ মোট ১২ তলা বিশিষ্ট বহুতল একাধিক ভবনের নির্মাণ কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে।
পৃথক ৩টি ব্লকের একটিতে বার্ন, একটিতে প্লাস্টিক ও অপরটিতে একাডেমিক ভবন থাকবে।

পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আবু আহম্মদ আল মামুন

পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন আবু আহম্মদ আল মামুন। তিনি ঢাকা পুলিশ হেড কোয়ার্টার,ফেনী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনিসহ ৭০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। ০৫/০৪/২০ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদোন্নতির খবর প্রকাশিত হয়। তিনি পুলিশের পোশাকে একজন সমাজকর্মী। ছাত্রজীবন থেকেই আবু আহাম্মদ আল মামুন মেধাবী ও সৎ। পুলিশ বিভাগে চাকরিতে আসার পরেই পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনে জনগণের সেবার বিষয়টি নিজের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এ পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, অপরাধমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মের নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশের ওপর জোর দেওয়া দরকার। অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে আইনের প্রয়োগের মধ্যেই শুধু নিজেদের সীমাবদ্ধ না রেখে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও জন সাধারণের সচেতনতা বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দেশপ্রেমে আকৃষ্ট হয়ে কোনরকম বিনিময় ছাড়া জনসেবামূলক ও জনসচেতনতায় কাজ করছেন। এ বিষয়টি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে ছড়িয়ে দিতেও ফেসবুকেও ‘স্টুডেন্টস গার্ডিয়ানস অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম’ নামে একটি ফ্যান পেজ খোলেন আবু আহাম্মদ আল মামুন। স্কুলের পাঠ্যসূচির বাইরে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ পেজটিও উপ-আনুষ্ঠানিক বলে মনে করেন অনেকেই। এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় অপরাধ প্রতিরোধে ময়মনসিংহ ও এর আশেপাশের বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে উন্মুক্ত মতবিনিময় করছেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী ও সমাজের সর্বস্তরের লোকজন সবাই থাকছেন সচেতনতামূলক এ মতবিনিময় সভায়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সব বয়সী শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয় সর্ম্পকে প্রচার করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে অন্যায়ের বিপক্ষে, ন্যায় ও সুন্দরের পক্ষে।সমাজ সচেতনতায় কাজ করে যাওয়া এ পুলিশ অফিসারের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। বুয়েট থেকে স্নাতকধারী এই পুলিশ কর্মকর্তা ব্যক্তিজীবনে এক কন্যা সন্তানের জনক। ২২ তম বিসিএস’র মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন তিনি। বিভিন্ন উপজেলা ও শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে কর্মশালার আগে চাকরিসূত্রে বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি ও ফেনীর, ময়মনসিংহের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি, মাদক, কিশোর অপরাধ, যৌতুক প্রথা, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা করেছেন তিনি। ময়মনসিংহে যোগদানের পর এখানেও সমাজ সচেতনতামূলক সভা শুরু করেন। আবু আহাম্মদ আল মামুন পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণেও বেস্ট ইন একাডেমিক ও বেস্টম্যান কাপ অর্জন করেন। সামাজিক আন্দোলনের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সপ্তাহ-২০১৬ এ আইজি’স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ পাওয়ারও কৃতিত্ব রয়েছে তার।

মৃত ব্যক্তি এমন কী বলে, যা শুনলে মানুষ বেঁহুশ হয়ে যেত?

 

 

জন্ম মানেই মৃত্যুর গ্যারান্টি। পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ মরণশীল। বিশ্বে মুসলিম ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মানুসারে তার জানাযার নামাজ আদায় করে দাফন করা হয়। জানাযা শেষে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় খাটিয়া থেকে মৃত ব্যক্তি মানুষদের আহ্বান করে জানতে চায়Ñ তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির ওই সব কথা মানুষ শুনতে পায় না, কিন্তু অন্যান্য জীব-জন্তু শুনতে পায়। এ ব্যাপারে হাদিসে এসেছেÑ

আরবি হাদিস وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رضي الله عنه، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ ﷺ، يَقُولُ: ্র إِذَا وُضِعَت الجَنَازَةُ، فَاحْتَمَلَهَا الرِّجَالُ عَلَى أَعنَاقِهِمْ، فَإِنْ كَانَتْ صَالِحَةً، قَالَتْ: قَدِّمُونِي، وَإنْ كَانَتْ غَيْرَ صَالِحَةٍ، قَالَتْ ِلأَهْلِهَا: يَا وَيْلَهَا أَيْنَ تَذْهَبُونَ بِهَا ؟ يَسْمَعُ صَوْتَهَا كُلُّ شَيْءٍ إِلاَّ الإنْسَانَ، وَلَوْ سَمِعَ الإنسَانُ لَصَعِقَগ্ধ. رواه البخاري

বাংলা অর্থ : আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘‘যখন জানাজা (খাটে) রাখা হয় এবং লোকেরা তা নিজেদের ঘাড়ে উঠিয়ে নেয়, তখন সে সৎ হলে বলে, ‘আমাকে আগে নিয়ে চল।’ আর অসৎ হলে তার পরিবার-পরিজনদের উদ্দেশ্যে বলে, ‘হায় আমার দুর্ভোগ! তোমরা (আমাকে) কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ মানুষ ছাড়া তার এই আওয়াজ সব জিনিসই শুনতে পায়। যদি মানুষ তা শুনতো, তবে নিশ্চয় বেঁহুশ হয়ে যেত।’’ [বুখারি ১৩১৪, ১৩১৬, ১৩৮০, নাসায়ি ১৯০৯, আহমদ ১০৯৭৯, ১১১৫৮]

৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসী ফেরত পাঠাবে ইইউ

 

 

ইউরোপ থেকে ৮০হাজার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের পুনর্বাসনে সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ ও তুরস্কের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গ্রীস থেকে যেসব অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে তাদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশিও রয়েছেন।অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং অবৈধভাবে অবস্থানরত অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনা চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, একসঙ্গে যদি এত মানুষকে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তবে তাদের পরিবার এবং দেশের অর্থনীতির ওপরে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এদের পুনর্বাসন নিয়ে সংশয় তো থাকছেই!ইরাক বা লিবিয়া-ফেরত অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠান ‘ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ফর দা রাইটস অফ ইমিগ্রান্টস’। সংগঠনটির কর্মকর্তা সাইফুল হক বলেন, ‘বেকার অবস্থায় এক সাথে এত মানুষ দেশে ফেরত পাঠানো হলে অর্থনীতিতে অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়বে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাদের পরিবার’।
তিনি আরও বলেন, এভাবে হঠাৎ করে যাদের পাঠানো হয়, তারা পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে অত্যন্ত হতাশ অবস্থার মধ্যে পড়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে মি. হক বলেন, ‘ইউরোপে বেশিরভাগ বাংলাদেশই বৈধভাবে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে অনেকেই দশ-পনেরো বছর ধরে সেখানে আছে। তারা নিয়মিত হওয়ার জন্য চেষ্টাও করছে। এখানে সরকারের অনেক দায়িত্ব আছে।’

রিটার্নিদের ইস্যু প্রবাসী নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। ইউরোপের দেশগুলো এতদিন যাবৎ তাদের শ্রম স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে ঠিকই ব্যবহার করেছে। সেহেতু এখন তাদেরও দায়িত্ব আছে। তিনি বলেন, ‘যারা অনেকদিন ধরে ইউরোপে আছেন এবং শ্রম দিয়ে অবদান রাখছেন তাদের ক্ষেত্রে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আমরা মনে করি’।
যেসব লোক অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন, এমন নয় যে তারা কাগজ ছাড়াই সেখানে অবস্থান করছে। ইউরোপে এখনকার যে পরিস্থিতি, যে শরণার্থী সমস্যা আছে তার ফলশ্রুতিতে যারা অনিয়মিত আছে তাদের ওপর এই চাপ এসে নামছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাদের পুনর্বাসনে কিংবা কাজের সুযোগ তৈরিতে সরকারের দায়িত্ব নিতে হবে। রিটার্নিদের বিষয়ে সরকারের একধরণের নীতিমালা আছে কিন্তু এখনো সরকার এ বিষয়ে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। মি. হকের মতে, তাদের ফেরত পাঠানোর আগে সরকারসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগে চাইবো তাদের নিয়মিত করা হোক। যদি না করা হয়, তাহলে একসাথে সবাইকে যাতে না পাঠানো হয়, পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা রেখে যেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়’।

সূত্র : বিবিসি বাংলা।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী, ৩০ টি দেশের সৈন্যরা দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল(টিআই) এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি সৈন্য পাঠায় তাদের মধ্যে ৩০টি দেশের সামরিক বাহিনী দুর্নীতির উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।সোমবার সংস্থাটি তাদের এই সমীক্ষা প্রকাশ করে। সমীক্ষায় আরো জানা যায়, সৈন্য এবং অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে সংস্থাটির ‘এ’ থেকে ‘এফ’ গ্রেডিং পদ্ধতির মধ্যে শুধুমাত্র ইতালিই ‘ডি’ এর বেশি পেয়েছে।সংস্থাটি আরো জানায়, বুরকিনা ফাসো, ক্যামেরুন, চাদ, মিশর, মরক্কো এবং টোগো এই ছয়টি দেশ ‘এফ’ পেয়েছে। অর্থাৎ সংস্থাটির গ্রেডিং পদ্ধতিতে অকৃতকার্য হয়েছে দেশগুলো।জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মোট সৈন্যের এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ২৫ হাজার) সরবরাহকারী তিনটি দেশ বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া এবং ভারতের অবস্থান র‌্যাংকিংয়ে খুবই দুর্বল। বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশই ‘ডি’ এবং ইথিওপিয়া ‘ই’ গ্রেড পেয়েছে। টিআই তাদের সমীক্ষায় স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে দুর্বল দুর্নীতি বিরোধী চর্চা এবং অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে নিয়ামক হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে সংস্থাটি শান্তিরক্ষী বাহিনীর দুর্নীতির কোন রকম উদাহরণ দেয়নি।টিআই-এর এই অভিযোগ এমন সময় প্রকাশিত হলো যখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে এর আগে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা হলো মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রে নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো। এসব নারীদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

তবে জাতিসংঘের কমকর্তারা এই সমীক্ষার ব্যাপারে কোনরকম অভিযোগ করেননি। কর্মকর্তারা শুধু জানিয়েছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী দুর্নীতি প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো এই সমীক্ষায় প্রতিফলিত হয়নি।

মনে রাখার চেয়ে ভুলে যাওয়া কঠিন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই দেখা যায়, কোনো কিছু হাজার চেষ্টা করেও মনে করা যাচ্ছে না। পেটে আসছে কিন্তু মনে আসছে না, এমন পরিস্থিতিরও উদ্ভব হয়। খুব সহজে ভুলে যাওয়ায় মাঝে মধ্যে নিজের ওপরই চরম বিরক্ত হন কেউ কেউ।

কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনো কিছু ভুলে যাওয়া যতটা সহজ, তার চেয়ে বেশি সহজ মনে রাখা। একটু ঘুরিয়ে বললে, মনে রাখার চেয়ে ভুলে যাওয়া কঠিন। অবিশ্বাস্য হলেও বিষয়টা সত্যি। এটি অবশ্য সবক্ষেত্রেই সঠিক নয়, স্বীকার করেছেন বিজ্ঞানীরা।

গত ২ এপ্রিল কগনিটিভ নিউরোসায়েন্স সোসাইটিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের ট্র্যাসি ওয়াং বলেছেন, ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা বেশিরভাগ সময়ই পরোক্ষ। মানুষের অজান্তে তার মস্তিষ্ক ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করে। কিন্তু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ভুলে যাওয়াটা ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। আর এক্ষেত্রে তা অত্যন্ত কঠিন।

তিনি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ধরা যাক, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটা কিছু ভুলে যেতে চাইছেন কেউ। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, সেই একই দৃশ্য মনে রাখার চেয়ে ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি কাজ করছে মস্তিষ্ক।

পরীক্ষার সময় বিশজন প্রাপ্তবয়স্ককে কয়েকটি চেহারার ছবি, দৃশ্য ও বস্তু দেখতে দিয়ে মনে রাখতে বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর সে সময় তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্রম একটি ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (এফএমআরআই) স্ক্যানার দিয়ে রেকর্ড করা হয়। তারপর দেখানো দৃশ্য ও বস্তুগুলো ভুলে যেতে বলা হয়। এক্ষেত্রেও তাদের মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করা হয়।

এরপর প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখলেন, কানের ওপরে মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেম্পোরাল কর্টেক্স অংশ মনে রাখার চেয়ে ভুলে যেতে বলার পর বেশি কাজ করছে।

কোনো চেষ্টা ছাড়াই কোনো ঘটনা বা বিষয় ভুলে যাওয়াটা যে কত সহজ, তা সবাই জানেন। কিন্তু এই গবেষনা প্রমাণ করেছে, ইচ্ছে করে কেউ যদি কোনো কিছু ভুলে যেতে চান, তা কতটা কঠিন হতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টাকে মুছে ফেলতে মস্তিষ্ককে বিশেষ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যা ধীর ও সময়সাপেক্ষ।

এ পরীক্ষায় আরো একটি বিষয় সামনে এসেছে। আর তা হলো, কোনো কিছু মনে রাখতে হলে তা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

দুদেশের সম্পর্কে আরেকটি মাইলফলক॥প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং ব্যান্ডউইথ বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের আরেকটি মাইলফলক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছিল তা অটুট রয়েছে এবং তা আরও সুদূর প্রসারী হচ্ছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের সময় ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। দিল্লি থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ত্রিপুরা থেকে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার অংশ নেন।
ভিডিও কনফারেন্সে বাংলা ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ভারতবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সবাইকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনগণ যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন, সে কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেই থেকে আমাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তা অটুট রয়েছে। বর্তমানে আরও সুদূর প্রসারী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ এবং ব্যান্ডউইথ বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি করলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ আমদানি আমাদের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করবে। বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ পাওয়ার ফলে ত্রিপুরাসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ডিজিটাল সংযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সেখানকার জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও যথেষ্ট অবদান রাখবে। আমাদের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মধ্য দিয়ে আমাদের আরেকটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আমি যখন ত্রিপুরা সফরে যাই, সে সময় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এটা বাস্তবায়ন করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে জ্বালানি খাত নিয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যেটা এই অঞ্চলে প্রথম এবং আমরা ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছি। আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব বলে আশা করছি। ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপালে নির্মাণ করা হচ্ছে। যা আমি মনে করি, দুই দেশের সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। অবশ্য আমাদের মধ্যে আমাদের ভার্চুয়াল সংযোগ, মানুষে মানুষে যোগাযোগ, চিন্তা-চেতনার সংযোগসহ সব ধরনের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। ব্যান্ডউইথ ভাগাভাগি, উপকূলীয় এলাকায় জাহাজ চলাচল, পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহের মতো নতুন যোগাযোগ আমাদের সামগ্রিক ক্ষেত্রে সংযোগ হওয়ার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা দিয়েছে। আঞ্চলিক আন্তসংযোগ—আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই এই অঞ্চলে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে। এই দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ আমরা একা করতে পারি না। আমাদের যৌথ উদ্যোগ দরকার। এ ক্ষেত্রে তা আমরা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে করতে সক্ষম হয়েছি। বরং এখন মনে করি, দুই দেশের মানুষ যারা এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে—তাদের জীবনমান যৌথভাবে উন্নত করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমরা চাই, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং সেই সঙ্গে দুই দেশেরই উন্নয়ন। এই অঞ্চলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশ এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, আমাদের জনগণের বৃহৎ কল্যাণ সাধনের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আনন্দঘন আরও মুহূর্তের দেখা পাব।
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।