২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 4

ছাত্র-জনতার ব্যানারে এরা কারা! নৈপথ্য নায়ক শীর্ষ স-ন্ত্রা-সী শরীফ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগষ্ট দেশ থেকে পালিয়ে যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ২১ দিনের ছাত্র-জনতার এ আন্দোলনকে মদাতে সরকার আইন-শৃংখলা বাহিনী ও তার অনুগত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র-সস্ত্রে লেলিয়ে দেয় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার উপর। সরকারের পেটোয়া বাহিনীর নির্বিচারে গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অনেক শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষ নিহত হয়েছে। তাদের ক্ষমতালোভী মনোভাব ঘরে থাকা মা ও শিশুও রক্ষা পায়নি। ছাত্র-জনতা সেই আন্দোলনের ফসল বাংলার জমিনে উঠে আসে ৫ আগষ্ট।

নতুনভাবে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয় প্রায় ১৫ বছর অস্ত্রতন্তের রাজনীতিতে জড়িত আওয়ামীলীগকে হঠাতে। যার ফলে পরবর্তীতে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয় নোভেল জয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে রেখে। অন্তবর্তীকালীন সরকারে দুইজন সমন্ময়কারীও রয়েছেন।

কিন্তু ৫ আগষ্টের পুরো দেশেই চলে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনা। যেখানে বিএনপির কতিপয় নেতাদের সাথে আওয়ামীলীগের ভাড়াটে ( আতাঁতকারী) যুক্ত হয়ে চালায় অগ্নিকান্ড,ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডবলীলা।

তবে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িতদেরকে অনেকটাই দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু তাদের রয়ে যাওয়া সম্পদগুলো দখলে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে নামধারী কতিপয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আর এ ক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিভিন্নস্থানে ছাত্র নয় এমন কিছু ছেলেদের দিয়ে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল করাচ্ছে একদল সুবিধাবাদী চক্র। যা দীর্ঘ ২১ দিনের আন্দোলনে নিহত শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষের রক্তকে অনেকটাই কলুষিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের শিবু মার্কেট এলাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামীলীগের ব্যানারে রাজনীতি করা শরীফ হোসেন তার ভোল পাল্টে রাতারাতি বিএনপির নেতা সেজে ছাত্র-জনতার ব্যানারে মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যুসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে নিয়ে একটি মানববন্ধন করেন।

সেখানে ছাত্র পরিচয়ে যে ছেলেটিকে দিয়ে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে সে আদৌ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে রাস্তার পাশে থাকা সাধারনগুলোর মাঝে। তবে সেখানে যে নয়ামাটি-লামপাড়া এলাকার একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যু উপস্থিত ছিলেন তা বুঝতে বাকী ছিলনা অনেকের মাঝে।

আবার দুপুর ১২টায় লিংক রোডের সাইন বোর্ড এলাকা থেকে আওয়ামীলীগ নেতা রাজ্জাক বেপারীর সাথে রাজনীতি করার অপরাধে সেখান থেকে আলাউদ্দিন নামে ব্যবসায়ীকে মারধর করে ফতুল্লা থানায় নিয়ে আসেন জেলা শ্রমিক দলের শিপলু ও সঞ্জয় নামে দুই নেতা। তবে এক্ষেত্রে তারা কয়েকজন ছাত্রকে ব্যবহার করেছেন তারা।

প্রচন্ড মারধর করে আলাউদ্দিনকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে আসলেও থানা পুলিশ হাসপাতালে কাগজপত্র ছাড়া আলাউদ্দিনকে থানায় রাখতে অপারগতা প্রকাশ করলে পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তারা।

এ সময় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শ্রমিকদল নেতা শিপলু একটি মুঠোফোনে রাজ্জাক বেপারীর সাথে আলাউদ্দিনের হাতে দেশীয় অস্ত্রের একটি ছবি দেখান। যদি আহত আলাউদ্দিনের দাবী,সাইনবোর্ড এলাকায় তারা একটি সমিতির কাজে থাকাবস্থায় সেখান থেকে শিপলুগংরা তাকে উঠিয়ে এনে মারধর করে থানায় নিয়ে আসেন। সর্বশেষ জানা যায়,প্রায় লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে বিকেলে নাকি ভুইগড় এলাকায় দেনদরবার শেষে আলাউদ্দিনকে মুক্ত করা হয়।

শিবু মার্কেট ও সাইনবোর্ড এলাকার মত প্রায় এলাকাতে বর্তমানে নামধারী বিএনপি নেতারা কথিত ছাত্রদেরকে ব্যবহার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। তবে প্রতিটি এলাকায় বসবাসকারীদের মতে, এসকল বিষয়গুলোর প্রতি ছাত্র নেতাদের দৃষ্টি দেয়া একান্ত প্রয়োজন।

কারন সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীই কোন না কোন নেতৃত্বের মাধ্যমেই তাদের আন্দোলন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রদের নাম ব্যবহার করে কোথাকার কোন ছাত্রদেরকে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় কথিত এ নেতারা অনৈতিকভাবে টাকা কামানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছে তাও তাদেরকে চিহিৃত করা উচিত। নতুবা তাদের এ সফল আন্দোলনকে মুষ্টিমেয় কিছু সুবিধাবাদী অর্থলোভী নামধারী বিএনপি নেতাদের কারনে ভুলুণ্ঠিত হতে পারে।

তবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সুবিধাভোগী যে সকল অছাত্ররা এরুপ অপরাধে জড়িত হচ্ছে তাদের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া অতীব প্রয়োজন।

এ প্রতিটি থানার পুলিশ সদস্যরা যদি একটু সোচ্চার হয়ে তাদের ভুমিকা পালন করে তাহলে নামধারী ঐসকল বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি তাদের সাথে যুক্ত হওয়া সে সকল অছাত্রদেরকেও খুজে বের করার কঠিন কোন কাজ নয়।

অথ্যাৎ কোন সাধারন কিংবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এ ধরনের মানুষগুলোকে যদি তারা ধরে এনে থানায় সোপর্দ করতে চায় তাহলে প্রতিটি থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্র নেতাদের সাথে যোগাযোগ করলেই বেড়িয়ে আসবে ছাত্র এবং অছাত্র বিষয়টি।

কুতুরপুর নয়ামাটি এলাকাবাসী জানান, শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজ, মাদক বিক্রেতা,ভূমিদস্যু সহ নানান অপকর্মের হোতা শরীফ ও তার ভাই যে সকল নেতাদের বিরুদ্ধে ফাঁসি দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করিয়েছে সেই শাহ নিজাম,ফাইজুল ইসলাম,আজমেরী ওসমানের ক্যাডার আমিরের সাথে মিলে গত ১৭ বছর যাবত ব্যবসা বানিজ্য সহ নানান অপকর্ম করে বেড়াতো।

অথচ ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাতারাতি পল্টি মেরে বিএনপির শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের অনুসারী বনে যায় মাদক,চাঁদাবাজি,ভূমিদস্যুতা সহ একাধিক মামলার আসামি শরীফ।

এ ব্যাপারে শরীফ বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী।

ফতুল্লার কুতুবপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ বেপরোয়া! আইন শৃংখলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা কুতুবপুর লামাপাড়ার ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীর নাম শরীফ । তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, অস্ত্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল অস্ত্র ও মাদক সহ তার নিজ বাড়ী থেকে তার ছোট ভাই বাদশাকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ। বতর্মানে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসে পুরোদমে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বাদশা ও শরীফ।সেই সাথে বন্ধ হয়নি তার আধিপত্য বিস্তারের একক নিয়ন্ত্রন। বর্তমানে শরীফ আধিপত্যকে ধরে রাখতে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া চালাচ্ছে। তার সাথে রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী রকমতের সহযোগীরা।শরীফ নিজেও পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত রকমতের একজন সহচর ছিল। শরীফও বহিরাগত ২০/২৫ খলিফাদের নিয়ন্ত্রনেই চলছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যপক অভিযোগ। একাধিক অপরাধের জন্য ফতুল্লা থানায় রয়েছে একাধিক মামলা। ২০০৩ সালে কুতুবপুর মির হোসেনের বাড়ী থেকে পুলিশের লুট করা শটগান অস্ত্র সহ শরীফকে আটক করেছিল ফতুল্লা থানা পুলিশ।
এছাড়াও ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার নাজমা বেগমকে মারপিট করে , জখম, প্রাণ নাশের হুমকী ও চুরির ডাকাতির অভিযোগ এনে শরীফ, বাদশা, সহ আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬৬। ২০১৬ সালের ২রা আগষ্ট র‌্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক ও বিক্রির নগদ অর্থ সহ আটক হয় বাদশা, সহ চার জন মাদক ব্যবসায়ী। ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর র‌্যাব-১১ এর অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ও মাদক সহ আটক হয় শরিফ। এসময় তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়। অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চুরির মামলায় শরীফ সহ আরো একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে এরা একাধিক বার জেলা গোয়েন্দা, পুলিশ, র‌্যাব এর হাতে মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অপরাধে আটক হলেও বেরিয়ে এসে তাদের সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট তৎপর থেকে যায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, শরীফের কারণে নয়ামাটি, লামাপাড়া এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করতে সাহস পায়না। তাকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না দিলে কেউ বাড়ি বা ফ্যাক্টরীতে একটি ইটও লাগাতে পারেনা। নতুন জমি বেচাকেনাতেও শরীফ বাহিনীকে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। আশেপাশের এলাকায় জমির দাম বাড়লেও শরীফ বাহিনীর চাঁদাবাজীর কারণে এলাকায় এখনও জমির দাম প্রয়োজনের তুলনায় কম।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে নানান অপকর্ম করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়।গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাতারাতি ভূল পাল্টে আরেক সন্ত্রাসী কারারুদ্ধ জাকির খানের কর্মী বনে যায়।

শরীফ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় স্বজন হত্যা মামলায় আসামী শামীম, সেলিম, অয়ন ও আজমেরী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত থাকা আবুল হাসান স্বজন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এতে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে আবুল হাসানের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রধান ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলককে নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে এরা পরস্পর পরামর্শ করে ২নম্বর আসামী ওবায়দুল কাদেরকে নির্দেশ প্রদান করে সারা দেশের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য নির্দেশ করে প্রতিটি পাড়া মহল্লায়, ওয়ার্ড ইউনিয়ন, থানা, মহানগর ও জেলায় ছাত্র জনতার যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রতিহত ও নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান করেন।

এছাড়া আসামী করা হয়েছে আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমান, জাতীয় পার্টি দলীয় সাবেক এমপি একেএম সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী আবুল হাসনাত মোঃ শহিদ বাদল, প্রয়াত এমপি নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমান, শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও শামীম ওসমানের চাচাতো শ্যালক এহসানুল হক নিপু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, শামীম ওসমানের শ্যালক নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহাম্মেদ টিটু, নাসিকের ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, নাসিকের ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ আব্দুল করিম বাবু, বান্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল, নাসিকের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি, নাসিকের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, বন্দরের ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদ, তামাকপট্টি এলাকার শীর্ষ মাদক স¤্রাট জাতীয় পার্টির নেতা বিটু, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি নেতা দেলোয়ার প্রধান, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল, নাসিকের ১৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন, শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজিত সাহা, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বক্তাবলী পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা মৃত আফসার আলীর পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আমলপাড়া এলাকার মোঃ রিফাত, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার বাসিন্দা আজমেরী ওসমানের ক্যাডার নাসির, আমলপাড়া বড়বাড়ি এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার পুত্র শ্যামল, বন্দরের ফুলহর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ, বন্দর তিনগাও উত্তরপাড়া এলাকার আমির মিয়ার পুত্র শুভ, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি নেতা এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, কাঁচপুর এলাকার হোসেনের পুত্র ফয়সাল, দক্ষিণ লক্ষণখোলার শ্যামল দাসের পুত্র নির্ঝর দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি টিপু সুলতান, আজমেরী ওসমানের বন্ধু রামু সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন, শামীম ওসমানের বিয়াই ফয়েজ উদ্দিন লাভলুর পুত্র  মিনহাজুল বিকি, নগর খানপুরের সেলিম মিয়ার পুত্র রিয়েল, গোগনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আজমীরের পুত্র বাপ্পিসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রত্যেকের হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, রিভলবার, পিস্তল, কাটা রাইফেল, রামদা, চাকু, চাপাতি, হকিস্টিক সহ অন্যান্য অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সারা নারায়ণগঞ্জে প্রধান প্রধান সড়কপ্রদক্ষিণ করে আকাশে অস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা ককটেল বোমা বিস্ফোরণ করে জনতাকে ভীতি প্রদর্শন করে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করে এবং চেষ্টাপর্যায়ে উক্ত সশস্ত্র মিছিল চাষাড়া গোল চত্বরে উপস্থিত হয়ে পূর্ব দিকে মিশনপাড়া মুখী রাস্তা ছাত্র ও জনতার অবস্থান দেখতে পেয়ে ক্ষীপ্ত ৬ ও ৭নং আসামীর নির্দেশে তাহাদের সঙ্গী আসামীগণ গত ৫ আগস্ট  সোমবার আনুমানিক দুপুর ১টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি গুলি বর্ষণ করে মিশনপাড়া দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসী অয়ন ওসমান তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আমার ভাই আবুল হাসান স্বজনকে লক্ষ্য করে গুলি করিলে তা আমার ভাইয়ের বুকে গুলি বিদ্ধ হলে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সন্ত্রাসী বৃষ্টির মত গুলি করিলে বিক্ষোভ কারী ছাত্র জনতার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় গুলি বিদ্ধ হয় ও উক্ত গুলিবিদ্ধ ছাত্র জনতাকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসাপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করা হয়। আমার গুলি বিদ্ধ ভাই স্বজনের সাঙ্গে থাকা স¤্রাট হোসেন সুজন, শাহিন আহম্মেদ, ফয়েজ উল্লাহ সজল সহ অন্যরা তাকে ধরাধনি করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতারে নিয়ে গেলে তাহার অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার গুলিবিদ্ধ স্বজনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে আমরা দ্রুত এম্বুলেন্স যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাণপণ চেষ্টা করে চিকিৎসা করানোর পরও গুলিবিদ্ধ স্বজনকে গত ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার কারনে মৃত্যুবরণ করেন। ডাক্তার গুলিবিদ্ধ ও চিকিৎসারত স্বজনকে মৃত ঘোষণা করিলে তাহার লাশ আমাদের গ্রামের নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় কুশিয়ারায় এনে দাফন করি। উক্ত হত্যা মানতবতা বিরোধী গণহত্যার শামিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও পুলিশ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত থাকার কারণে ও আমাদের পরিবার শোকে শোকাহত থাকার কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হলো।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, আবুল হাসান স্বজন বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের কুশিয়ারা এলাকায় বেড়ে উঠেছে। পড়াশোনা করেছে হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতেন। স্বজন গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের গুলিতে আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

গণমানুষের নেতা জাকির হোসেন চেয়ারম্যান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : উন্নয়নের রূপকার, জনদরদী,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাকির হোসেন।জাকির হোসেন এলাকাবাসীর স্বার্থে তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। ইউপি নির্বাচনের নৌকা প্রতীক লাভের ব্যাপারে জানা গেছে চ্যাঞ্চল্যকর তথ্য।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিক পান আওয়ামী লীগ থেকে মতিউর রহমান মতি।

কিন্তু সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলে নৌকা প্রতীক ছেড়ে এলাকা থেকে চলে যান মতিউর রহমান মতি।

কারণ হিসেবে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জাকির হোসেন নির্বাচন করলে তার ব্যাপকভাবে ভরাডুবি হবে। পরে এলাকাবাসীর অনুরোধে ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ২০২২ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হন জাকির হোসেন।

একটি সূত্র হতে জানা যায়, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সেলিম ওসমানের নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানো মামলায় আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগ থেকে জাকির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করা হলে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান কিভাবে আওয়ামী লীগের কর্মী হন। জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর আলীরটেক ইউনিয়নের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের ফেরীচালু সহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়।

একটি কুচক্রী,সুযোগসন্ধানী মহল মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে যা আলীরটেক ইউনিয়নের মানুষ সফল হতে দিবেনা।

আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিএনপি’র একনিষ্ঠ কর্মী, দলের নেতা কর্মীদের প্রাণ আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে বিএনপি’র কর্মী বানিয়ে তৎকালীন সরকারের আমলে নানানভাবে হয়রানি করা হয়।

আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় জাকির হোসেন কে বিএনপির সব কাজে সবসময় কাছে পেয়েছি। উনি যখনই সময় পান আমাদেরকে সুপরামর্শ দিয়ে দলের কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। নৌকা প্রতীক নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরও বিএনপি নেতাকর্মীরা শান্তিতে বসবাস করতে পেরেছে। কোন হয়রানি হয়নি। এমনকি বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা বিচার শালিসের মাধ্যমে সমাধান করেছেন। কোর্টে যেতে দেননি। অথচ তাকে গত সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক বানিয়ে নানান ভাবে হয়রানি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জুলহাস বলেন,বিএনপির রাজনীতি ও আলীরটেকের উন্নয়ন করতে গিয়ে আলহাজ্ব মুহাম্মদ জাকির হোসেন চেয়ারম্যানকে জেল খাটিয়েছে মতিউর রহমান মতি। আমাকে, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান,ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ হোসেন,শাহীন সরকার সহ বিভিন্ন

নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেয়া হয়। তারপরও কর্মী ও এলাকাবাসীর স্বার্থে তিনি তা মাথা পেতে সহ্য করে গেছেন গনমানুষের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন।

গণমানুষের নেতা জাকির হোসেন চেয়ারম্যান

 

নারায়ণগঞ্জের বক্তাবলীতে বিএনপির উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে মিলাদ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে বিএনপি’র উদ্যোগে বৈষম্যের বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ছাত্র- জনতার রুহের মাগফেরাত কামনা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ, দোয়ামাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগষ্ট) দুপুর ২ টায় বক্তাবলী কানাইনগর বেকারী মোডে ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি অসংগঠনের উদ্যোগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আলাউদ্দিন বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি মিলন মেহেদী, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আলী আকবর সুমন,সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান,যুগ্ম আহবায়ক মীর আলমগীর হোসেন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী মেম্বার, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ বাদশা মিয়া,বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিম আজাদ, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি ইফতেখার আহম্মেদ রাজু,বিএনপি নেতা সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, দিদার হোসেন, মোঃ রাসেল, মোঃ রহমতউল্লাহ, আব্দুর রহমান, মোঃ বাছেদ, সলিম মেম্বার, কৃষক দল নেতা মোহাম্মদ আলী, জামাল হোসেন, বাউল শিল্পী আফজাল সরকার, জিসাস নেতা দুলাল হোসেন সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ফতুল্লা থানা বিএনপি সহ সভাপতি মিলন মেহেদী বলেন,কেউ ১৫ আগষ্টে খিচুড়ি রান্না করতে আসলে তাদের কে মাটিতে পুঁতে রাখা হবে। বিএনপির কেউ নয় আওয়ামী লীগের লোকজন লুটপাট, ভাংচুর করছে।

বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি সদস সচিব হাসান আলী বলেন,একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া ছাত্রছাত্রী,সকল দল ও মানুষ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। বিএনপির কেউ লুটপাট, ভাংচুর, দোকান, বাসাবাড়িতে তালা দিলে ও চাঁদা চাইলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা নিব।

সভাপতির বক্তব্যে আলাউদ্দিন বারী বলেন,শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গনহত্যার মামলা করি বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

পরে আন্দোলনে শহীদের রুহের মাগফেরাত,খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা,আহতদের আরোগ্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বক্তাবলীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে মোকলেছ, কামাল ও জামালের উদ্যোগে মিলাদ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রামনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতন আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ই আগস্ট) দুপুর ১ টায় মো. মোখলেছ, কামাল হোসেন ও জামাল হোসেনের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মিলাদ ও দোয়া মাহফিল বক্তাবলী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব আল আমিন ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মিলাদ ও মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আকবর আলী সুমন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম প্রধান, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ দিদার হোসেন, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. বাদশা মিয়া, বিএনপি নেতা মীর আলমগীর হোসেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হালিম আজাদ, বিএনপি নেতা মোতালেব মেম্বার, বাচ্চু মিয়া, শরীফ হোসেন পাখি,  যুবদল নেতা সালেহ আহমেদ, সুমন ও খোরশেদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও আওয়ামী লীগ সরকার পতন আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পলায়নের পর ‘মন্ত্রী-এমপিরা কে কোথায়’?

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সরকারের মন্ত্রীরা। অনেকে হতাশ ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে অনেকে দেশের ভেতরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে অথবা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন এবং আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ঘটনার গভীরতা আঁচ করতে পেরে অনেকেই সপরিবারে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় দেশত্যাগ করতে না পারায় অনেক নেতাই প্রাণভয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে আশ্রয় চেয়েছেন।

আত্মগোপনে ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, দলের নেতা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপিদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের খোঁজ পাননি দলের নেতাকর্মীরা। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বেশিরভাগের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করায় দিশেহারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, দলের শীর্ষ নেতা থেকে সর্বস্তরের নেতারা। দিগ্বিদিক হয়ে বেশিরভাগ নেতাই পরিবার ছাড়াই গা ঢাকা দিয়ে পরে আত্মগোপনে চলে যান। কেউ পরিবারকে সঙ্গে নিতে না পারলেও পরে নিরাপদে সরিয়ে নেন বলে জানা গেছে।

গত সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি হেলিকপ্টারে ছোট বোন শেখ রেহানাসহ দেশত্যাগ করেন। এরপরই আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাদের ওপর হামলা শুরু হয়। আক্রান্ত হয় বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এমনকি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিও আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। শুধু রাজধানীতেই নয়; প্রায় প্রতিটি জেলার আওয়ামী লীগের শাখা, সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

জানা যায়, পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে অনেক মন্ত্রী-এমপি দেশ ছাড়েন আগেই। অবশ্য বিদেশে অবস্থান করা কেউ কেউ ফিরেও এসেছিলেন। আবার অনেকে বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন। মন্ত্রী-এমপিরা ব্রিটেন, দুবাই, ভারত, মালয়েশিয়া, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও চীনে পাড়ি জমান। এর মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন।

 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নারী নেত্রীকে শ্লীলতাহানী

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে যুবলীগের অফিসে রবিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় হামলা চালিয়েছে দুর্ধর্ষ কিশোরগ্যাং টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত ও তার সহযোগীরা। এ সময় তারা অফিস ভাংচুর করে যুবলীগ নেতা ইয়াসিন আরাফাত রাসেলকে মারধর করে। এছাড়াও এ সময় সেখানে থাকা মহিলা নেত্রী ফাতেমাকে মারধর করে শ্লীলতাহানী করে। পরে লোকজন এগিয়ে আসলে এ ঘটনায় কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।

আহত রাসেল বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয়দানকারী শফিকুল ইসলাম শফির ছেলে টেনশন গ্রুপের লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত, মিজমিজি এলকারা টুলু ছেলে মইন, কাশেমের ছেলে মুন্না, মজিবুরের ছেলে আলামিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকষ্মিক এ হামলা চালায় অফিস ভাংচুর করে। এ সময় আমাদের মারধর করে টেবিলের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায়।

নারী নেত্রী ফাতেমা জানান তাকে মারধর করে পরনের কাপড় ছিড়ে ফেলে ও শ্লীলতাহানী করে কিশোরগ্যাং টেনশন গ্রুপের লিডার সীমান্ত। এ ঘটনায় তিনি আ্ইনগত ব্যবস্থা নিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছেন।

এলাকাবাসী জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিতে আলোচিত তিনটি কিশোরগ্যাং গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপ তিনটি হলো-টেনশন গ্রুপ, ডেবিল এক্সো গ্রুপ ও মাফিয়া গ্রুপ। এরমধ্যে আলোচিত হচ্ছে টেনশন গ্রুপ। এই গ্রুপের লিডার হচ্ছে উঠতি বয়সী দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী রাইসুল ইসলাম সীমান্ত। এছাড়া ডেভিল এক্সো গ্রুপের লিডার সাকিবুল ইসলাম সারিব ও মাফিয়া গ্রুপের লিডার তাহসিন ইসলাম সিমন। মজার বিষয় হলো এই তিন কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী গ্রুপের লিডাররা মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের তিন ছেলে। শফিকুল ইসলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বতর্মানে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ান। যদিও তার কোন পদ-পদবী নেই স্বেচ্ছাসেবকলীগে। এলাকায় আধিপত্য ও নিজের অবস্থান মজবুত রাখতে তিন ছেলেদেরকে দিয়ে তিনটি কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলেছেন। কখনো কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলে অর্থের যোগান দিয়ে শফিকুল ইসলাম তাদের জামিনে বের করে আনেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে শফিকুল ইসলাম এলাকায় নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু শফিকুল ইসলাম ও তার ছেলেদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বিরক্ত সিদ্ধিরগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা বলেন, কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীদের তৎপরতায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনসহ এমন কোন অপকর্ম নাই যা এই এই কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসীরা করে না। এছাড়া তাদের বখাটেপনার কারণে এলাকার স্কুল-কলেজগামী মেয়েরা নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পায়। কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় হোন্ডা মহড়া দেয় এলাকার পাড়া মহল্লায়।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় ফাতেমা নামে এক নারী নেত্রীর অভিযোগ দায়ের প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে। অভিযোগের পরই বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোনো অপরাধিকে ছাড় দেয়া হবে না।

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাহমুদুল হাছান

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিউজ প্রতিদিন ডট নেট’র সহ-সম্পাদক ও বক্তাবলী পরগণার মধ্যনগর আদর্শ সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মাহমুদুল হাছান।

এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে পবিত্র ঈদুল আযহায় আমাদের মাঝে গড়ে উঠুক পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অনুশীলন। এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হোক পবিত্র ঈদুল আযহা।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহার মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক বিশ্বসমাজ। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানবহৃদয়। আসুন, সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার খুশি ভাগাভাগি করি।

পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি- মানুষের জীবন থেকে দূরীভূত হোক সকল প্রকার দুঃখ-কস্ট।  সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারায় প্রবাহিত হোক বিশ্বলোক। এই প্রত্যাশায় দেশবাসীসহ সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

বক্তাবলীবাসীকে আলমগীর মেম্বারের পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট: মুসলিম জাহানের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে বক্তাবলী বাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলমগীর হোসেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় আলমগীর মেম্বার বলেন, কোরবানি আমাদের মধ্যে আত্মত্যাগ ও আত্মদানের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব জাগ্রত করে এবং সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।

এ ছাড়াও কেউ যাতে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং তাদের পাশে দাঁড়াতে আলমগীর মেম্বার সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।