২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Home Blog Page 10

চুয়াডাঙ্গার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা, ১ বছরের কারাদণ্ড শিক্ষার্থীর

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১ বছরের জেল হয়েছে সালমা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস সমাজতত্ব বিষয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের ৩য় পর্বের পরীক্ষায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পরিবর্তে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকায় কক্ষ পরিদর্শক তাকে সন্দেহ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সালমাকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

সালমা খাতুন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সম্মান ৩য় বর্ষের ছাত্রী ও আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস ৪র্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু পরীক্ষার্থী ছিলেন। ইতিমধ্যে দুটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। শনিবার ছিল তৃতীয় পর্বের সমাজতত্ব পরীক্ষা। গত ২ দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা দিতে যাননি কাজী মারজাহান নিতু।

তার পরিবর্তে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন সালমা খাতুন। বিপত্তি বাধে কক্ষ পরিদর্শক কর্তৃক উত্তরপত্র স্বাক্ষরের সময়। কক্ষ পরিদর্শক প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে সালমা খাতুনের কোনো মিল পাননি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে ফেঁসে যান সালমা খাতুন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্র সচিবের কক্ষে।

বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সালমা খাতুনকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ সালের ৩ এর খ ধারায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন বলেন, ডিগ্রি ৪র্থ সেমিস্টারের সমাজতত্বের তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালমার ১ বছরের জেল হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় আটক-১

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলামিন ওরফে দানিয়াল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসময় শুভ নামে আরো একজন আহত হন।

শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে চাষাড়া বালুর মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আল আমিন ওরফে দানিয়াল (২৮) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় দেলোয়ার মিয়ার ছেলে। আর আহত শুভ (২২) একই এলাকার শাহজালালের ছেলে। তাদের মধ্য দানিয়াল অটোরিকশা গ্যারেজের ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত ছিল আর শুভ একটি কারখানার মেশিন অপারেটর।

হাসপাতালে নিহতের লাশ নিয়ে আহাজারি করছিলেন তার মা মুক্তা বেগম। এসময় তিনি জানান, বাড়ির পাশে দানিয়ালকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে ছোট ছেলে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে দানিয়ালকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি দানিয়াল মারা গেছে।

তিনি বলেন, দানিয়ালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার সাথে স্থানীয় অনিকদের বিরোধ চলছিল। যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের শাস্তি চাই।

নিহতের স্ত্রী রাত্রি আক্তার জানান, গত দুই বছর আগে তার সাথে দানিয়ালের বিয়ে হয়। এরই মধ্যে কয়েকমাস ধরে তারা আলাদা বাসা নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। রাত ১০টার দিকে দানিয়াল তার বন্ধু শুভকে নিয়ে চাষাঢ়া ঘুরতে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে আসে লাশ হয়ে।

ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তাসলিম আহমেদ জানান, বেশ কিছুদিন আগে ওই এলাকার রমুর নাতি হিসেবে পরিচিত অনিকও তার লোকজনের সাথে নিহতের মারামারি ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রমু ওই এলাকায় শীর্ষ মাদক কারবারি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তার সাথে বিরোধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে দানিয়ালের ওপর হামলা হয়।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আহত অপর যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

এছাড়া নিহত যুবকের বিরুদ্ধেও থানায় মামলা রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রমুকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১১টার দিকে নগরীর চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় প্রকাশ্যে ওই দুই যুবককে কুপিয়ে আহত করে কয়েকজন যুবক। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এরপর ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আহতদের বাড়ির সামনে নিয়ে তাদের আবার আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দানিয়ালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় শুভকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

 

আজ পবিত্র শবে মেরাজ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : পবিত্র শবে মেরাজ আজ। রজব মাসের ২৬ তারিখের রাতটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ। র্ধমপ্রাণ মুসলমানরা মহিমান্বিত রাতটি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজনে এই রাতে তারা পবত্রি কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায়, জকিরি ও দোয়া-দরুদ করেন।

বৃহস্পতবিার (৮ ফেব্রুয়ারি) জোহরর নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎর্পয নিয় আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে ইসলামকি ফাউন্ডশেন।

মেরাজের রাতে মহানবী (সা.) সাত আসমান পেরিয়ে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করনে । পবিত্র মেরাজ শরিফের ঘটনা ঘটার আগে রাসূল (সা.)-এর ওপর একের পর এক দুর্যোগ নেমে এসেছিল। স্নেহময় চাচা আবু তালেবের ইন্তেকাল, প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল এবং তায়েফবাসীদের অভাবনীয় অত্যাচার, প্রিয় রাসূল (সা.)-এর নবুয়তের মহাগুণাবলির অন্যতম উজ্জ্বল নিদর্শন হলো মেরাজের ঘটনা।

নবুয়ত ঘোষণার প্রকাদশ বছরে কারও মতে দশম বছরে রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাসে গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবিদের জামাতে ইমামতি করেন। অতঃপর বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে সপ্তম আকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মাহনবি (সা.)।

এর আগে আকাশের সাত স্তরে মহানবিকে স্বাগত জানান হজরত আদম (আ.), হজরত ঈসা (আ.), হজরত ইয়াহইয়া (আ.), হজরত ইদ্রিস (আ.), হজরত হারুন (আ.), হজরত মুসা (আ.) এবং হজরত ইবরাহিম (আ.)। সপ্তম আকাশে পৌঁছে জিবরাইল (আ.) জানালেন, এরপর তার যাওয়ার অনুমতি নেই। অতঃপর রফরফ নামে একটি যানে করে রাসূল (সা.) ৭০ হাজার নুরের পর্দা ভেদ করে আরশে আজিমে পৌঁছান।
সেখানে এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে তার কথোপকথন হয়।

রাসূল (সা.) প্রেমাস্পদকে সম্ভাষণ জানালেন ‘আত্তাহিয়্যাতু ল্লিল্লহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত তাইয়্যিবাত’ বলে। অর্থাৎ আমার বাচনিক সব উপাসনা, দৈহিক সব সাধনা এবং আর্থিক সব সেবা খোদার জন্য নিয়োজিত। উত্তরে আল্লাহপাক জানালেন : ‘আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। অর্থাৎ হে নবি, আপনার প্রতি সালাম, খোদার অপার করুণা আপনার ওপর বর্ষিত হোক এবং আপনি বরকতযুক্ত হোন। রাসূল (সা.) তাঁর উম্মতদের ভুলে থাকলেন না, তিনি একা কেন এত বরাতযুক্ত হবেন? তাই তিনিও বলে উঠলেন : ‘আসসালামু আলাইনা ওয়াআলা ইবা-দিল্লাহিস সলিহিন’।

অর্থাৎ হে দয়াময়, শুধু আমার প্রতি নয় বরং আমাদের প্রতি (অর্থাৎ আমার ও আমার উম্মতের প্রতি) ও আপনার নেক বান্দাদের প্রতি করুণা বর্ষিত হোক। রাসূল (সা.)-এর এহেন কথায় আরশের ফেরেশতারা প্রত্যেকে আনন্দে বলে উঠল : ‘আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মাহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।’
অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। তাজেদারে মদিনা (সা.) তার উম্মতদের কতটা ভালোবাসেন তার উজ্জ্বল নিদর্শন এ কথোপকথনের মধ্যেই ফুটে উঠেছে, এটি সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়। প্রেমময় প্রভুর সন্নিকটে থেকে তিনি তার উম্মতদের কথা ভুলে থাকেননি।
মেরাজের রাতে তিনি আল্লাহপাকের কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এলেন। নামাজকে আরবিতে সালাত বলে।

এ সালাত শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। সালাতের এক অর্থ হচ্ছে দুইকে এক করা, নামাজ-আবদ ও মাবুদের এক হয়ে যাওয়া জিনিস। বান্দা যখন নামাজে দাঁড়ায় তখন তাকে ভাবতে হয়, প্রেমময় প্রভু তাকে দেখছেন অথবা তিনিই তাকে দেখছেন। একেই মেরাজুল মুমেনিন বলে। এভাবে মুমিন বান্দারা প্রত্যহ পাঁচবার মেরাজের স্বাদ গ্রহণ করে থাকেন।
সব মুমিন মুসলমান, কিন্তু সব মুসলমান মুমিন নয়।

সূরা হুজরাতের ১৪ নং আয়াতে আছে- ‘মরুবাসীগণ বলে ঈমান এনেছি হে রাসূল আপনি বলুন-তোমরা শান্তির পথে এসেছ মাত্র, ইমান তোমাদের হৃদয়ে প্রবেশ করেনি। সুতরাং কালেমা মুখে উচ্চারণ করলে কিংবা ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেই মানুষ মুমিন হয় না, মুসলমান হতে পারে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ তার মনের প্রবৃত্তি আমার আনীত দ্বীন ও শরিয়তের অধীনে না হবে। (মেশকাত)।

পূর্ণ মুমিনের চিহ্ন হচ্ছে : আল্লাহর রুবুবিয়াতে পরিপূর্ণ বিশ্বাস করা আল্লাহর উপস্থিতি প্রতিক্ষণে অনুভব করা, আল্লাহর ইচ্ছার মধ্যে নিজেকে বিলীন করা এবং তাঁর রাসূল (সা.)কে সর্বান্তঃকরণে অনুসরণ করা [সৈয়দ রশীদ আহমেদ জৌনুপরী]। নামাজের ভেতর অনেক রকম ইবাদত একত্রে হয়ে থাকে। যেমন আরশে মোয়াল্লায় ফেরেশতার দল কেউ কিয়ামে, কেউ রুকু আবার কেউ সেজদায় থাকেন। আরশের ফেরেশতাদের অনুকরণ রয়েছে এ নামাজে। তাশাহহুদে রয়েছে মেরাজের রাতের আল্লাহ ও তার হাবিবের কথোপকথন। এ ছাড়া দরুদ, কুরআন তেলাওয়াত, সালাম, জিকির, তাসবিহ-তাহলিল ইত্যাদি। এ যেন একের মধ্যে বহুল সমাবেশ। নামাজ পড়তে বলার পরিবর্তে বলা হয়েছে নামাজকে সযত্নে রক্ষা করতে। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ‘পবিত্র কুরআন পাকে নামাজের কথা যতবার বলা হয়েছে ততবারই জাকাতের কথা বলা হয়েছে, ত্যাগ যেখানে নেই সেখানে প্রেম নেই। আর প্রেম যেখানে নেই সেখানে ধর্ম নেই। যারা ধর্মের মর্মমূলে প্রেমকে উপলব্ধি করেন না তাদের কাছে রুকু রুকুই, সেজদা সেজদাই।

এক ধরনের শারীরিক কসরত তাদের কাছে ধর্ম [সত্যের প্রকাশ]।
সূরা তওবার ১৩৬ নং আয়াতে আরবি ১২টি মাসের মধ্যে জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব মাসকে অত্যন্ত পবিত্র বলা হয়েছে, এ মাসগুলোর সম্মানার্থে অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সঙ্গে এবাদত বন্দেগির পরিমাণ বাড়াতে হবে। আবু দাউদ থেকে বর্ণিত হাদিসে ৫টি রাতে আল্লাহপাক দোয়া কবুল করে থাকেন। ২৬ রজবের দিবাগত রাত, অর্থাৎ সবে মেরাজ, ১৪ সাবানের দিবাগত রাত, দুই ঈদের আগের রাত এবং লাইলাতুল কদরের রাত, তবে এ রাতে অবাধ্য সন্তান, অবাধ্য স্ত্রী এবং সুদখোরের দোয়া কবুল হবে না।

বক্তাবলীতে শিশু ধর্ষনের চেষ্টার ঘটনায় ৮ দিন অতিবাহিত হলেও মামলা নেয়নি পুলিশ!

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলীর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে লম্পট আমির হোসেন গাজী কর্তৃক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় ৮ দিন অতিবাহিত হলেও ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ম্যানেজ করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। এটাকে পুঁজি করে হাশেম এর নেতৃত্বে একটি চক্র ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াসউদ্দিন ও এএসআই সিরাজ মাতাব্বর ঘটনাস্থলে গেলেও ধর্ষকের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নেওয়ায় এখনো পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ এমনটাই অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গিয়াসউদ্দিন এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে এখন বৃষ্টি হচ্ছে পরে ফোন দেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাজমা আক্তার (ছদ্মনাম) স্বামী মোঃ নুরুল হক (ছদ্মনাম) সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানাঃ ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ। থানায় হাজির হইয়া বিবাদী- মেঃ আমির হোসেন গাজী (৪৫), পিতাঃ আঃ বারেক গাজী, সাং- রাধানগর, পোঃ বক্তাবলী, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদী আমার প্রতিবেশী হয়। বক্তাবলী প্রসন্ননগর খাজা মার্কেটে বিবাদীর গ্যাসের দোকান আছে। আমি বিবাদীর নিকট হইতে প্রায় সময় সিলিন্ডার এলপি গ্যাস ক্রয় করিতাম। গ্যাস ক্রয় করার সময় আমার শিশু মেয়ে- নুরুননাহার (ছদ্মনাম) (৮) আমার সাথে বিবাদীর দোকানে যাইতো এবং পুনরায় আমার সাথে চলিয়া আসতো। সে সুবাদে বিবাদী আমার মেয়েকে চিনতো এবং প্রায় সময় রাস্তা ঘাটে দেখা হইলে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মজা দিবে বলিয়া তাহার সহিত যাইতে বলে।

বিষয়টি আমার মেয়েকে আমাকে জানাইলে, বিবাদী আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় আমি বিষয়টি আমলে নেই নাই। এরই মধ্যে অদ্য ইং ৩১/০১/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ০১:৪৫ ঘটিকার সময় আমার মেয়ে- নুরুননাহার (৮) রাধানগরস্থ তাহার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহিলা মাদ্রাসা হইতে আমার বাসায় ফেরার পথিমধ্যে রাধানগর দক্ষিণ পাড়া পাকা রাস্তার ওপরে পৌছাইলে উল্লেখিত বিবাদী আমার মেয়েকে রাস্তার মধ্যে পাইয়া মজা দিবে বলিয়া প্রলোভন দেখাইয়া ও ফুসলাইয়া রাধানগর দক্ষিণ পাড়া সাকিনস্থ রাস্তার পাশে জনৈক রফিকের ভিটাও উপর নির্মিত পরিত্যাক্ত একটি ত্রিপলের ঘরের ভিতরে নিয়া বিবাদী তাহার অবৈধভাবে তাহার কু-কামনা চরিতারর্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় এবং আমার মেয়ের পরিহিত পায়জামা খুলিয়া আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করতঃ আমার মেয়ের সহিত ধস্তাধস্তি শুরু করে।

ঘটনার সময় আমার মেয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ডাক-চিৎকার শুরু করিলে, আশেপাশের লোকজন ও সাক্ষীরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে বিবাদী ঘটনাস্থল হইতে দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা আমার মেয়েকে আমার বাসায় নিয়া আসে এবং ঘটনার বিষয়টি আমি আমার মেয়ের নিকট হইতে ও সাক্ষীদের নিকট হইতে বিস্তারিত অবহিত হইয়া থানায় আসিয়া অত্র অভিযোগ দায়ের করিলাম।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই সিরাজ মাতাব্বর বলেন, ঐ ঘটনার তদন্তকারী হচ্ছেন গিয়াস স্যার। আমি স্যারের সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। তবে ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দিহান। তবুও তাদেরকে বলা হয়েছিলো থানায় এসে ওসি স্যারের সাথে কথা বলার জন্য কিন্তু তারা আসেননি।

ফতুল্লায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্বজনদের দাবি, ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও তারা জেসমিনকে বাঁচাতে পারলেন না। তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার সকালে নগরীর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম জেসমিন বেগম। ফতুল্লার লাকী বাজার এলাকার আলী হোসেনের স্ত্রী।

জানা গেছে, নিহতের চারভাই প্রবাসী হওয়ার নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন নিহতের স্বামী আলী হোসেন। এর আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানায়। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে নিহতের পরিবারকে জেসমিনের স্বামী ফোন করে জানায়- তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সেখানে মারা গেছে।

পরে পরিবারে লোকজন এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের বোন ও বড়ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তারা জানান, তার বোন জেসমিন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থাও তার ওপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী, শাশুড়ি ও তাদের স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার ওপর নির্যাতনের খড়গ বন্ধ করতে পারেন নি। এছাড়াও কিছুদিন আগে আলী হোসেনের নামে যে টাকা রাখা হয়েছে তা জেসমিনের বাপের বাড়ির থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম জানান, রাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে নগরীর খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে তিনি তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জন চাঁদাবাজ গ্রেফতার  

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কালে ২৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন চাঁদাবাজকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ ও ১২ জন চাঁদাবাজকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

এই সময় তাদের হেফাজত হতে বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। রবিবার ( ৪ ফেব্রæয়ারী ) সড়কে সবজি ও অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকারী নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্রবেশমুখে পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদা আদায়কালে হাতেনাতে ২৫ জন চাঁদাবাজকে আটক করে র‌্যাব-১১।

র‌্যাবের এএসপি সনদ বড়–য়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সম্প্রতি পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। সড়ক-মহাসড়কে এসব বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। যার ফলে সবজির মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম। পণ্য পরিবহণে চাঁদাবাজির ঘটনা মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হওয়ায় এই সমস্যা সমাধানে চাঁদাবাজদের গ্রেফতারে নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব-১১।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রæপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা চাঁদা আদায়ের রশিদও দেয়।

ড্রাইভাররা তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের গাড়ি ভাঙচুর, ড্রাইভার-হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এদের কাছে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভাররা ও ব্যবসায়ীরা জিম্মি। এই বাড়তি খরচের ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আটককৃত চাদাঁবাজদের মধ্যে ১৩জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয় এবং ১২জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

বিভিন্ন মেয়াদী কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলো, মো.জুয়েল আহমেদ, মো. শফিকুল ইসলাম,আব্দুর রহমান, আশরাফ উদ্দিন, খলিল, মো. ওমর ফারুক, মোাঃ ওমর ফারুক, হাসান মাসুম, মোঃ বিপ্লব খান,মোঃ ফরহাদ, মো. আসিফ, মো. আতিকুর রহমান, মারুফ হোসেন এবং অর্থদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, মো. কবির হোসেন, রানা, মো. রাজিব, দিপু, মো. সাদ্দাম হোসেন, মোঃ সুমন খান লাল, আব্দুর রহমান মুন্না, মো. সোহেল, আল আমিন, মো. ইশবাল, মো. রকিবুল হাসান এবং মো. রাসেল।

নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে কলেজ ছাত্রীর প্রকাশ্যে ধূমপান!

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : ধুমপানসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকের পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে তা মিলিয়ে। ছেলে কিংবা পুরুষ বন্ধুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে মেয়েদেরকে সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকাশ নেশাজাতীয় দ্রব্যের প্রতি আগ্রহটা বাড়ছে অনেকাংশে। তবে স্কুল-কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া শিক্ষার্থীরা ইদানিং সিগারেটসহ নানা প্রকার মাদকের আসক্তের পরিমানটা অনেকটাই বেশী।

(mahamudul islam shaurov) নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে চাষাড়া শহীদ মিনারের বেদীতে বসেই নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা করেজের এক শিক্ষার্থীকে দেখা যাচ্ছে প্রকাশ্যেই সিগারেট ফুঁকছেন। দুই আঙ্গুলের ফাঁকে সিগারেটটি রেখে হাস্যেজ্জলভাবে অন্যত্র তাকিয়ে রয়েছে। বিষয়টি দেখে শহীদ মিনারের অভ্যন্তরে হতবাক হলেও হতবাক হয়নি সেই কলেজ ছাত্রীটি। হাসিমাখা মুখেই সে প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতই যেন সিগারেটটি ফুঁকছেন। শুধু শহীদ মিনার নয় শহর ও শহরতলীর প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে এবং চায়ের দোকানগুলো এমন দৃশ্য যেন অহরহ ব্যাপারে দাড়িয়েছে। কারোর দৃষ্টিতে পড়লে মাঝে-মধ্যে এসকল মেয়েদেরকে বাধা প্রদান করলে উল্টো বিপদে পড়ছেন বাধা প্রদানকারী। কারন হিসেকে উক্ত মেয়েদের দাবী, তারা তাদের বাবা-মায়ের টাকাতেই নাকি সিগারেট ক্রয় করে ফুঁকছেন। তাতে আপনাদের কি ? অপরাধীর মুখে এ ধরনের কথা শোনামাত্র সেখানেই চুপসে যান প্রতিবাদী।

চাষাড়া শহীদ মিনারটি যেন তিন কলেজের ( সরকারী তোলারাম কলেজ,নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ ) ক্যাম্পাসে পরিনত হয়েছে।

পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা তো রয়েছেনই। প্রতিদিনই বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি সিগারেটসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। আর অভিভাবকরা যেন তাদের সন্তানকে স্কুল কিংবা কলেজের পাঠিয়েই তাদেও দ্বায়িত্বটুকু সমাপ্ত করে দেন। কিন্তু শিক্ষার্জন করতে গিয়ে সেখানে তারা কতটুকু শিক্ষা গ্রহন করছেন তা যেন দেখভালের কথাটুকু মন থেকে মুছে ফেলেছেন।

আর অভিভাবকদের এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুশিক্ষার পরিবর্তে দিনের পর দিন তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে আর বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন।

শহীদ মিনারে আগত অনেক সাধারন মানুষ বলেন, অনেক সময় দেখা যায় যে,সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এখানে স্কুল কলেজের ছেলে-মেয়েরাই অবস্থান নেয়। তাহলে ওরা ক্লাস করে কখন ? আর এর ভেতরে বসে ওরা যা করে তা বলার ভাষা জানা নেই। সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বাবা-মা যে পরিশ্রম করছে তা প্রতিটি সন্তানই জানে। তারপরও ওরা কিভাবে দিনের পর দিন ওদেরকে ধ্বংস করতে সবকিছু জেনে। তাছাড়া স্কুল-কলেজের শিক্ষকরাই কি করছে? তারা কেনইবা শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনের উপস্থিতিকে প্রাধান্য দিচ্ছেননা। আর অনেকের ভাষ্য যে,শহীদ মিনারের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের এরুপ বেলাল্লাপনা বন্ধে শহীদ মিনারে মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত বসানো উচিত।

এদিকে প্রকাশ্যে কিংবা অন্তরালে মেয়েরা যেভাবে সিগারেটসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত হচ্ছে সে বিষয়ে যদি অভিভাবক কিংবা রাষ্ট্র এখন থেকে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এর দায় ভবিষ্যতে রাষ্ট্র কিংবা অভিভাবককেই বহন করতে হবে বলে অভিমত বিশিষ্টজনদের। মেয়েদের ধুমপানের বিষয়ে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন রিসার্স সংস্থা থেকে যা ফুটে উঠেছে তাহলে মেয়েদেরকে ভয়ংকর রোগের মুখোমুখি হওয়া পাশাপাশি রাষ্ট্রেও জনসংখ্যা কমতে পারে বলে অভিমত।
মেয়েদের ধুমপানের ফলে যে ক্ষতিকর দিকগুলো তা উল্লেখ করা হলো:

যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের জীবনের আগে আরও গুরুতর ঈঙচউ হতে পারে । যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদেরও মৌখিক গহ্বর, গলবিল, স্বরযন্ত্র (ভয়েস বক্স), খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয়, কিডনি, মূত্রাশয় এবং জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তারা করোনারি হৃদরোগের জন্য তাদের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে।

ধূমপান উর্বরতা হ্রাস করতে পারে, ১ গর্ভধারণ করা কঠিন করে তোলে । ধূমপান নেতিবাচকভাবে হরমোন উত্পাদন প্রভাবিত করতে পারে। ধূমপান এবং তামাকের ধোয়ার এক্সপোজার প্রজনন সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। ধূমপান শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতি করতে পারে।

যে মহিলারা ধূমপান করেন তাদের গর্ভবতী হতে বেশি অসুবিধা হয় এবং কখনও গর্ভবতী না হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

গর্ভাবস্থায় ধূমপান অনাগত শিশুর টিস্যুর ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে, এবং কিছু গবেষণা মাতৃ ধূমপান এবং ফাটল ঠোঁটের মধ্যে সংযোগের পরামর্শ দেয়।

অধ্যয়নগুলি তামাক এবং গর্ভপাতের মধ্যে সম্পর্কের পরামর্শ দেয়। তামাকের ধোঁয়ায় থাকা কার্বন মনোক্সাইড বিকাশমান শিশুকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেতে বাধা দিতে পারে। তামাকের ধোঁয়ায় অন্যান্য রাসায়নিকও থাকে যা অনাগত শিশুদের ক্ষতি করতে পারে।

যে মায়েরা ধূমপান করেন তাদের বাচ্চা প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে। প্রিটার্ম ডেলিভারি নবজাতকদের মধ্যে মৃত্যু, অক্ষমতা এবং রোগের একটি প্রধান কারণ।

গর্ভাবস্থায় ধূমপানকারী মায়েদের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম ওজন কম। যে মায়েরা গর্ভাবস্থায় সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের কম ওজনের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। খুব ছোট বা খুব তাড়াতাড়ি জন্ম নেওয়া শিশুরা ততটা সুস্থ নয়।

যে সকল শিশুর মায়েরা গর্ভবতী অবস্থায় ধূমপান করেন এবং যে সকল শিশু জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসে তারাই সিগারেটের ধোয়ার সংস্পর্শে না আসা শিশুদের তুলনায় সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশু যাদের মায়েরা ধূমপান করেন তাদের (ঝওউঝ) থেকে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় তিনগুণ বেশি।

যেসব শিশুর মায়েরা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেন বা যারা জন্মের পর সেকেন্ডহ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে আসেন তাদের ফুসফুস অন্যান্য শিশুদের তুলনায় দুর্বল থাকে, যা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়।

নরসিংদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ডা.ফারহানা যোগদানের পর স্বাস্থ্য সেবা বৃদ্ধি

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নরসিংদীর শিবপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিশ্বস্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। উপজেলাবাসীর স্বাস্থ‍্য সেবা নিশ্চিত করতে ১৯৮২ সালে ৩১ শয‍্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ‍্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।শিবপুর উপজেলার প্রায় পাঁচলাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৩১ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।

২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৫০ শয্যার এই নতুন ভবনটি উদ্বোধন করেন তৎকালিন নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন । ৫০ শয্যার প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুরনো ভবনের পাশেই ৫০ শয্যার নতুন ভবন। আধুনিকভাবে গড়ে তোলা ভবনে ” বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীনে সময়ে “নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ড স্থাপন করে শত শত করোনা রোগীদের ভর্তি রেখে করোনা যোদ্ধা ডাক্তাররা স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে সুস্থ করে তুলেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা সময় যোগদান “করোনা যোদ্ধা ” ডা. ফারহানা আহমেদ ছোট দুইজন ছেলে, অসুস্থ স্বামী কে বাসায় রেখে করোনাকালীন সময়ে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নতুন দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন,করোনাকালীন বিভিন্ন ভেকসিন, বোষ্টার ডোজ,স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য সহকারী নিয়ে টিম গঠন করে সেবা প্রদান করেন। কভিড 19 সেবা শতভাগ প্রদান করায়
শিবপুর উপজেলা সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডা. ফারহানা আহমেদ করোনা যোদ্ধা হিসিবে পরিচিতি পেয়েছেন।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা আ. মোতালেব বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী, হাসপাতালে আসলে ডাক্তাররা আমার প্রথমে প্রেসার মেপে, সুগার টেস্ট, অন্যান্য পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস বই করে দিয়েছেন, দেখুন গ্লিপিজাইড (Glipizide),মেটফরমিন ৫০০মি.গ্রা, ওমেজাল এই ঔষধ গুলো বাইরে কিনতে গেলে অনেক টাকা লেগে যেত, আগে শিবপুর থেকে নরসিংদী বানিয়াছল ডায়াবেটিস হাসপাতালে যেতাম অনেক সময় লাগতো, এখন আমাদের শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডায়াবেটিস রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য উক্ত হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ফারহানা আহমেদ শিবপুরবাসীর পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানাই ও ধন্যবাদ জানাই।কথা হয়, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাছে আসা রুমা আক্তারের সাথে তিনি জানান, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরকারি হাসপাতালে সেবা পাওয়ায় আমরা উপকার পাচ্ছি, ক্লিনিকে গেলে ভিজিট ৬০০ টাকা তারপর হরেক রকম টেস্ট ও অনেকগুলো ঔষধ লেখে দেয় যা আমাদের কিনতে কষ্ট হয়।

কয়েকজন রোগির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় খরচ বহন করার সামর্থ নাই। জয়নব বেগম বলেন, মানুষের কাছে শুনেছি সরকারি হাসপাতালে ভাল ভালডাক্তার আইছে সকল ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়, সরকারি কম খরচে রোগের পরীক্ষা করা হয়। তাই আমি ১ সপ্তাহ আগে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পর আজকা আমার ননদ কে নিয়া আইছি।

হাসপাতালের প্রধান সহকারী রাশেদুল কমল বলেন,
প্রতিদিন মেডিসিন, গাইনী,অর্থোপেডিক,শিশু
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কাছ থেকে ৭০০ শত বেশি রোগী সেবা গ্রহণ করছেন। হাসপাতালের পাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রমটি চালু হওয়ায় আমরা একটু ভালো চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই ওয়ার্ডগুলোতে নির্ধারিত শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকছেন।

আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিল পুলিশ

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাদ্দাম নামে মাদক ব্যবসায়ীকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিলেও কয়েক ঘন্টা পর ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে  মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বমহলে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে পুলিশের কাজ হচ্ছে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, সেখানে এলাকাবাসী আটক করে দেয়ার পরও পুলিশ কিভাবে অপরাধীকে ছেড়ে দিলো?

এদিকে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হলেও উল্টো পুলিশ বলছে, সাদ্দাম অপরাধী না, পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। চাকু অন্যরা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের এ রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের কারনেই মানুষ তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। গত দুই মাসে চারটি গণপিটুনির ঘটনায় চার জনের মৃত্যুই এর যার প্রমান স্বরূপ। এছাড়াও ঘটেছে একাধিক হামলা ও মারধরের ঘটনা।

২৯ জানুয়ারি (সোমবার) সকালে কাশিপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ফরাজিকান্দা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার ফজর নামাজের সময় গোপনে এক মহিলার ঘরে প্রবেশ করে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স হিসেবে চিহ্নিত সাদ্দাম হোসেন। ওই মহিলা ঘরের বাইরে থেকে তা দেখে ফেলে এবং চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে সাদ্দামকে আটক করে।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল পেপার, ২টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে। পাশের মসজিদে নামাজরত মুসল্লীরা চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে যান।

পরে স্থানীয়রা সাদ্দামকে ওই মাদক, চাকু, জব্দকৃত মোবাইল ও টাকাসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে এসে এলাকাবাসীকে হুমকি দেয় এবং আমি তো পুলিশের কাজই করি, পুলিশ আমাকে আটক রাখবে না। বরং তোরা যারা আমাকে ধরিয়ে দিয়েছিস, তোদেরকে পুলিশ দিয়ে আটক করাবো।

এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বী ও সাবেক ব্যাংকার লাল মিয়া বলেন, আমি সাবেক ব্যাংকার। প্রতিদিনের মতো সকালে ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। মসজিদে থাকা অবস্থায় হৈ-চৈ শুনতে পাই। নামাজ শেষে দেখি সাদ্দামকে আটক করে মারধর করছে জনতা। তার কাছে বেশ কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি চাকু, ৩ টি মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা পাওয়া যায়।

জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে তাকে আমাদের হেফাজতে রাখি এবং পুলিশে খবর দেই। ফতুল্লা থানার এস আই আনোয়ার আসলে মাদক, চাকু, টাকা ও ফুয়েলসহ সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এসময় পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস, আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন সহ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পর আটককৃত সাদ্দামকে এলাকায় দেখা যায়। এলাকায় এসেই সে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে জানতে পারি।

পঞ্চায়েত প্রধান আলী আক্কাস বলেন, ফজরের নামাজের পরে শুনতে পেলাম এক নারীর ঘরে গোপনে প্রবেশ করে সাদ্দাম। কিন্তু ঐ নারী তখন ঘরের বাইরে থাকায় তাকে, ঘরে প্রবেশ করতে দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হলে সাদ্দামকে আটক করা হয়।

এসময় তার কাছে বেশ কিছু ইয়াবা ট্যাবলেট, ইয়াবা সেবনের ফুয়েল, ২ টি চাকু, ৩টি মোবাইল ও নগদ ৭ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

ফতুল্লা থানার এস আই (উপ-পরিদর্শক) আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে আসলে ধৃত সাদ্দামকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার ৩/৪ ঘন্টা পরই সাদ্দাম হোসেন এলাকায় ফিরে আসে।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও বহু অপরাধে  এলাকাবাসী তাকে মারধর করেছে। কিছুদিন আগে গোসলের সময় এক নারীর নগ্ন ভিডিও ধারনের চেষ্টা করলে জনগন তাকে আটক করে পিটিয়েছে। এছাড়া, পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে সারা রাত এলাকায় মাদক বিক্রি করে বেড়ায় সে।

আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আমিন বলেন, ঘটনার সময় শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলো। আমিও ছিলাম তাকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন মাদক বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে বলেন, সাদ্দাম তো অপরাধী না। ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে। কয়েকটা আসামীকে ধরিয়ে দিতে পুলিশকে সহযোগীতা করেছে সে, তাই ষড়যন্ত্র করে ওকে আটক করেছিলো।

মোবাইলগুলো ওর নিজের, চাকু অন্যরা ওর পকেটে ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং ইয়াবা বা কোনো মাদক পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, সাদ্দামের প্রতি সহানুভুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ছেলেটাকে অনেক মারধর করা হয়েছে। স্থানীয়রা কেউ স্বাক্ষী না হওয়ায় আটককৃত সাদ্দামকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তবে, নারায়ণগঞ্জ আইনজীবীর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেম, কেউ স্বাক্ষী না হলেও এলাকাবাসী কর্তৃক মাদক ও চাকুসহ আটককৃত এ ধরনের আসামিকে পুলিশ ছেড়ে দিতে পারে না। এটা আইনের পরিপন্থী।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি নুরে আযম মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানতলীতে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে মা ছেলেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে সন্ত্রাসী সবুজ বাহিনী।আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে গত শুক্রবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আমি মোঃ আব্দুল আজিজ পিতা মৃত ফজলুল রহমান সাং পাঠানতলী জেলা নারায়নগঞ্জ লিখিতভাবে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে, সবুজ (২৮) পিতা বাছেদ, মোঃ বাছেদ, মো. পিয়ার আলী উভয় পিতা শুক্কুর আলী, শোভন পিতা মোঃ বাছেদ,জেলা নারায়নগঞ্জ সহিত দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসিতেছে।

গত ২৬/১/২৪ সকাল ১১ টায় বিবাদীগন আমার বসতবাড়ির জায়গায় ইটবালু রাখলে ইটবালু সরিয়ে নিতে বলে। উক্ত ইটবালু সরিয়ে না নেওয়াতে বিবাদীগণ আমাকে ও আমার মাকে মারপিট করিতে থাকে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। আমাকে রক্ষা করিতে গেলে আমার মাকেও মারপিট করে জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকার আশেপাশের লোকজন আসিয়া আমাদেরকে উক্ত বিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করে।

উক্ত বিবাদীগণ আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে। এতে আমরা চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে জীবন যাপন করছি।