নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ১ বছরের জেল হয়েছে সালমা খাতুন নামে এক শিক্ষার্থীর। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস সমাজতত্ব বিষয়ের ৪র্থ সেমিস্টারের ৩য় পর্বের পরীক্ষায় উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতুর পরিবর্তে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল না থাকায় কক্ষ পরিদর্শক তাকে সন্দেহ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদের ভ্রাম্যমাণ আদালত সালমাকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
সালমা খাতুন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সম্মান ৩য় বর্ষের ছাত্রী ও আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ/বিএসএস ৪র্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু পরীক্ষার্থী ছিলেন। ইতিমধ্যে দুটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। শনিবার ছিল তৃতীয় পর্বের সমাজতত্ব পরীক্ষা। গত ২ দিনের মতো এদিনও পরীক্ষা দিতে যাননি কাজী মারজাহান নিতু।
তার পরিবর্তে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন সালমা খাতুন। বিপত্তি বাধে কক্ষ পরিদর্শক কর্তৃক উত্তরপত্র স্বাক্ষরের সময়। কক্ষ পরিদর্শক প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে সালমা খাতুনের কোনো মিল পাননি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদে ফেঁসে যান সালমা খাতুন। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্র সচিবের কক্ষে।
বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সালমা খাতুনকে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ সালের ৩ এর খ ধারায় এই শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন বলেন, ডিগ্রি ৪র্থ সেমিস্টারের সমাজতত্বের তৃতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর চেহারার মিল না থাকার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সে সময় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করে লিখিতভাবে ক্ষমাও চেয়েছেন। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়া বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সালমার ১ বছরের জেল হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তাকে চুয়াডাঙ্গা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।