আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতার রাজনীতির স্রোতধারায় সুবিধাবাদীরা গড়ে ওঠে। মৌসুমি পাখির মতো আসা এসব অতিথি নেতার দাপটে দলের দুঃসময়ের কর্মীরা হারিয়ে যান। কেউ কেউ কোণঠাসা হয়ে পড়েন। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগে মৌসুমি পাখিদের জায়গা হবে না।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের দৈনিক বাংলার বাণীর সহকারী সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘ সময়। এ পর্যন্ত নয়টি বই লিখেছেন। বসুরহাট সরকারি এএইচসি হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান করে তিনি উত্তীর্ণ হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা একজন আইনজীবী।
১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক ছয় দফা ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি মুজিববাহিনীর কোম্পানীগঞ্জ থানা কমান্ডার ছিলেন। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কারাবন্দী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। টানা দুবার তিনি এ পদে ছিলেন। ওবায়দুল কাদের ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এক-এগারোর সময় ১৭ মাস ২৬ দিন তিনি কারাবরণ করেন। ২০১১ সালের ৫ ডিসেম্বর যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বর্তমানে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ অনেকেরই অর্থসম্পদের দিকে ঝুঁকে পড়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করছি। তবে যারা মূলত আওয়ামী লীগ করেন, দলকে ভালোবাসেন, তাদের কোনো চাহিদা নেই। দল ও দেশ ভালোভাবে চললে, এটাই তাদের বড় পাওয়া।
সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর আপনার কোন কাজটি এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের প্রথম টার্গেট আগামী নির্বাচন। পরবর্তী টার্গেট রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন। অর্থাৎ উন্নত ও মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা।’ তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আমাদের প্রধান বিপদ। প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে তারা ভয়াবহ হামলার প্রস্তুতি যে নিচ্ছে না এ কথা বলার উপায় নেই। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে পরাজিত করাই হবে আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার।’ তিনি বলেন, ‘দলকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসা আমাদের অন্যতম কাজ। উন্নয়ন আর আচরণকে একই ধারায় বহমান করা দরকার। উন্নয়ন যতই হোক না কেন, আচরণ খারাপ করলে উন্নয়ন ম্লান হয়ে যায়। আবার ভোটের রাজনীতিতেও এর প্রভাব আছে। এখন থেকেই এ কাজটি আমাদের করতে হবে। ২০২১ ভিশনের সঙ্গে সংগতি রেখে দলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। দলে একটি টিমওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।’ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দলেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে কোনো সমস্যা হবে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার যে কাজের ধরন, তার সঙ্গে এখন আমার দলীয় কাজ খুব সহজ হলো। আজকে আমি যদি সাধারণ সম্পাদক না হতাম, তাহলে ধরুন প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকতাম। তখন রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকের অভিযোগ শুনতে হতো; যা আগেও শুনেছি। কিন্তু কোনো সমাধান দিতে পারতাম না। কারণ আমি অথরিটি নই। এখন অথরিটি পেয়েছি। এখন সমাধান করতে পারব। যদি কোথাও সমস্যা খুব বেশি হয়, তাহলে প্রয়োজনে দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেব। এখন আমার সুবিধা রাস্তা দেখতে গিয়ে আওয়ামী লীগ দেখব, আর আওয়ামী লীগ দেখতে গিয়ে রাস্তা দেখব।’ আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের কাছে বিএনপি প্রত্যাশা করেছে, তারা গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে এবং নতুন নির্বাচনের উদ্যোগ নেবে; আপনি কী বলবেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতন্ত্র ও নির্বাচন সবই আছে। একটা গণতান্ত্রিক দল দীর্ঘদিন সরকারের বাইরে আছে। সরকারের বাইরে থেকে বিরোধী দলের যে দায়িত্ব, তা যদি যথাযথভাবে পালন করে এবং গত নির্বাচনের মতো নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতি যদি তারা না ঘটায় তাহলে দেশে স্বস্তি আসবে। শান্তি কথাটা বলব না এ কারণে যে, শান্তি জিনিসটা অনেক বড় বিষয়। এখন বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ আমাদের তাড়া করছে। আমেরিকায় যখন নির্বাচন চলছে, তখন সেখানে অনেক ঘটনা ঘটছে। প্যারিসের মতো দেশ নিরাপদ নয়। যে দেশকে সংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়, সেখানেও শান্তি নেই। তাই এসবের মধ্যে আমি তাদের (বিএনপি) বলব, সরকারকে অস্থিতিশীল করে দেশের স্থিতি নষ্ট করে লাভ নেই। এখন দেশের ক্ষতি করে তারা যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে সেই ক্ষতি পূরণ করার জন্য অনেক সময় তাদের অপেক্ষা করতে হবে। যেসব ঘটনা দেশকে পিছিয়ে দেয়, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করে, দেশের স্থিতিকে রক্তাক্ত করে, সেসব ঘটনা না ঘটিয়ে তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করুন। জনমত গড়ে তুলুন। বিরোধী দল বা বিরোধী পক্ষ শক্তিশালী হলে সরকারও আরও শক্তিশালী হয়।’
বিএনপি আপনাদের স্বাগত জানিয়েছে, বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের মতের বিভেদ থাকতে পারে। তবে রাজনীতিতে সৌজন্য হারিয়ে যাবে, এটা ঠিক না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা কাজের পরিবেশ থাকা ভালো। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোরও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। বিএনপি স্বাগত জানিয়েছে, আমিও তাদের শুভেচ্ছা জানাই।’ তিনি বলেন, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে সৌজন্য সাক্ষাতে বেগম খালেদা জিয়া দেশে গণতন্ত্রশূন্যতার কথা বলেছেন। কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট তাদের বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তি চাই’। চীনের প্রেসিডেন্ট যেটা বলেছেন, তার কথার সঙ্গে প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বিএনপিরও সহযোগিতা চাই।’ দলকে ঢেলে সাজাতে বা আরও সংগঠিত করতে আপনার বাড়তি কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কৌশলটা একটা পরিস্থিতিতে উদ্ভব হয়। পরিস্থিতির আলোকে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করা হবে। আমরা দলকে সংগঠিত করতে গতকাল প্রথম সম্পাদকমণ্ডলীর সভা করেছি। দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নের সহায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক ১০০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের কর্মকাণ্ডের সীমা বেঁধে দেওয়া হবে যাতে তারা জেলায় গিয়ে নেতাদের ওপর হামবরাভাব দেখাতে না পারে।’ আপনার কাছে দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা— এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি প্রত্যাশার চাপ তীব্রভাবে অনুভব করছি। সম্মেলনে সর্ববৃহৎ উত্তাল ঢেউয়ের রেশ এখনো যায়নি। দলীয় কার্যালয়ে যুদ্ধ করে ঢুকি, যুদ্ধ করতে করতে বের হই। এগুলো জাগরণের ঢেউ। কাজেই আমার কাছে নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গেছে। আমি এখন যদি প্রতিশ্রুতি দিই, আর সেগুলো বাস্তবায়ন না করতে পারি তাহলে এই জাগরণের কোনো মানে নেই।’
ছাত্রলীগের সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক— আপনার মন্তব্য কী? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রী আমাকে পরিশ্রমের মূল্য দিয়েছেন। আমার রাজনৈতিক জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। দুর্যোগের অমাবস্যা পার করেছি। জেল খেটেছি। নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমার একটা কমিটমেন্ট আছে, সেটা হলো আমাকে কোনো কাজে লাগালে সেখানে লেগে থাকি। বিষয়টি নেত্রী জানেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি দুই দফা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। জেল থেকে আমিই প্রথম ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে আসার পর আমি তাকে স্বাগত জানিয়েছি সভাপতি হিসেবে। নেত্রীর দলের সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় ৩৫ বছর। আমারও ছাত্রলীগ ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা ৩৫ বছর। আমি ’৮১ সাল থেকে নেত্রীর সঙ্গে থাকতাম, নেত্রীর সঙ্গেই কাজ করতাম। নেত্রীর এমন কোনো সফর ছিল না যেখানে আমি ছিলাম না।’ তিনি বলেন, ‘৭৫-এর রাজনীতির পর আমরা ছাত্রলীগের কয়েকজন তরুণ রাজপথে আন্দোলন করেছি, প্রথম লিফলেট বিতরণ করেছি, এমনকি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল নিয়ে বের হয়েছিলাম। নভেম্বরের ৪ তারিখে মিছিল করার সময় খবর পেলাম জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সব মিলে আমি বলব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৃষ্ট কর্মী আমি। তার কাছ থেকে অনেক শিখেছি। তিনি আমাকে ধাপে ধাপে অনেক গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন সেই ধারাবাহিকতায়।’
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে বর্তমান ছাত্রলীগের প্রতি আপনার উপদেশ কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের সহযোগী সংগঠন। আমি নিজেও ছাত্রলীগের সৃষ্টি। ছাত্রলীগ আমার কৈশোরের ভালোবাসা, যৌবনের প্রথম প্রেম। স্বাধীনতার সময় ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অন্যরকম। সে সময় ছাত্রলীগের ত্যাগী মানসিকতা ছিল। এরপর আমরা যখন প্রথম ক্ষমতায় ছিলাম, তখন যে নেতিবাচক বিষয়গুলোর অনুপ্রবেশ করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ’৭৫-পরবর্তী সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের ছাত্র সংগঠনগুলো কিছু সুবিধাবাদী-সুযোগসন্ধানী বা স্বার্থপরতা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এখন আবার আওয়ামী লীগেরও তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা, অথবা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাদের যে মানসিকতা সেখানে ছাত্রলীগকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতাটা সমস্যার কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সেটা এখনো বিরাজ করছে। সে অবস্থার যে স্রোত তা থেকে ছাত্রলীগকে পুরোপুরি বের করে আনতে পারিনি। আমি মনে করি, যদি নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতো তাহলে এ সমস্যার সমাধান হতো। আজ প্রায় ২৪ বছর ডাকসুসহ প্রতিটি ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গণতন্ত্রচর্চা চালু থাকলে প্রতি বছর নতুন নেতৃত্ব বের হয়ে আসত। ডাকসু-জাকসুসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন হলে যাদের আচরণটা বেপরোয়া বা অপকর্ম করে, তারা ভালো হওয়ার চেষ্টা করত। কারণ তারা মনে করত আমাকে তো আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে হবে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভোট নিতে হবে। তাদের মন জয় করতে হবে। এসব করলে ভোট দেবে না। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বার বার বলেছি, ছাত্র রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন।’ আপনি তো সাংবাদিকতা করেছেন, গণমাধ্যমের প্রতি আপনার বার্তা কী— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পেশায় এখন তরুণরা আসছে। তারা বেশ ভালো করছে। যেহেতু আমি সাংবাদিক ছিলাম, তাই একজন রিপোর্টারের মূল্যায়ন আমি বুঝি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাংবাদিকতা এখন বিকাশমান। তবে বড় কষ্ট হচ্ছে আমি যখন সাংবাদিকতা করেছি, তখন প্রেসক্লাবে ওয়াল ছিল না। এখন রাজনীতির মতো প্রেসক্লাবেও ওয়াল তৈরি হয়েছে। যে জেলায় যাচ্ছি তার অধিকাংশতেই দেয়াল তৈরি দেখতে পাচ্ছি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে বলব, একটু নজর দিন। অন্তত একটা মাত্র জায়গা পাব যেখানে পেশাদারিত্বের জায়গায় সবাই এক থাকবেন।’ তিনি বলেন, ‘শুধু সাংবাদিকতায়ই নয়, সব পেশাতেই দেয়াল উঠছে। তারা হয় আওয়ামী না হয় বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাই আহ্বান থাকবে— মোটামুটি একটা পজিটিভ জায়গায় থাকলে, আমাদের মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ বৃদ্ধি পাবে। আদর্শের জায়গাটা আরও উজ্জ্বল হবে।’