নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসীস্থ সিটি গ্রুপ রপ্তানীমুখী কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডের দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সিকউিরিটি গার্ডদের মধ্যে শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবারো সংষর্ষের ঘটনা ঘটেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কারখানা সিকিউরিটি গার্ড কমান্ডার মকবুল, মান্নান, ফারুক, হানিফ, নাজিম জানায়, রূপসীস্থ এলাকার সিটি গ্রুপ কারখানার নিরাপত্তার পহরি দায়িত্বে রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ শতাধীক সিকিউরিটি গার্ড। কারখানায় সিকিউরিটি গার্ডদের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মাজিদুর রহমান। মাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
তারা আরো জানান, প্রধান মাজিদুর রহমান তার নিজ এলাকা রাজশাহী থেকে নিজস্ব প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ জনকে নগদ নারায়নে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকুরি দিয়েছেন। মাজিদুর রহমানের নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ডদের ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিলেও অন্যদের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে।
এ বিষয় নিয়ে শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ড রানা ও রাকিবুল সিকিউরিটি প্রধান মাজিদুর রহমানের কাছে ওভারটাইমসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মাজিদুর রহমানসহ তার নিয়োজিত লোকজন রানা ও রাকিবুলকে পিটিয়ে আহত করে। এক পর্যায়ে সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে সিকিউরিটি প্রধানের নিয়োজিত লোকজন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কাজ ছেড়ে ছুটাছুটি করতে শুরু করেন শ্রমিক, কর্মচারীরা। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ।
উভয় পক্ষের সিকিউরিটি গার্ড প্রধান মাজিদুর রহমান, কমান্ডার আল-আমিন, সাহিন মিয়া, মেহেদী হাসান, সবুজ মিয়া, রানা, রাকিবুলসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় ও রাজধানীর বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে কারখানার ডিজিএম জাকির হোসেন ও ফ্যক্টরীর দায়ীত্বরত সাত্তার মাহাজন সুবিধা বঞ্চিতদের সুযোগ-সুবিধা দিবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে উত্তেজিত সিকিউরিটি গার্ড সবাই কাজে যোগ দেন।
রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।