নিউজ প্রতিদিন ডটনেট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের মুক্তারকান্দি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোঃ আক্তারুজ্জামান এর দূর্নীতি ও অনিয়ম প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তারকান্দি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তি ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি।
বুধবার (৮ মার্চ) বিকাল ৪ টায় স্কুল মাঠে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য মোঃ দিদার হোসেন।
দিদার হোসেন জানান,আক্তারুজ্জামান একটানা ১২/১৩ বছর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন।তিনি কিসের লোভে স্কুলের ক্ষমতা নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রাখতে ৩ টি মামলা দায়ের করেছেন।মামলা নম্বর ৫০/২২, রিভিশন মামলা নং -৮৬/২২,মিস আপিল নং -৬১/২২।হাইকোর্টে ও একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি ২ লাখ ১৩ হাজার ৮শত ৯০ টাকা দিয়ে দাতা সদস্য হন ২০০৯ সালে।তারপর সভাপতি হওয়ার পর স্কুলের উন্নয়নের নামে মাটি ভরাট বাবদ ১৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকা স্কুল ফান্ড হতে হাতিয়ে নেন।এছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, চা নাস্তা আপ্যায়ন বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান এমপির স্কুলে আগমন বাবদ খরচ দেখানো হয় ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।সব খরচ স্কুল ফান্ড হতে নেয়া হলেও তিনি প্রচার করতেন নিজের ফান্ড হতে ব্যয় করতেন।
দিদার হোসেন সাংবাদিকদের স্কুলের ভবন দেখিয়ে বলেন, নিচতলার একাংশ ওয়ার্ল্ড ভিশন,বাকী অংশ ও দোতলার একাংশ জেলা পরিষদ নির্মান করে।দোতলার ৩ টি কক্ষ স্কুল ফান্ড হতে ব্যয় করা হলেও দোতলা ভবন আক্তারুজ্জামান নির্মাণ করেছেন বলে প্রচারণা চালিয়ে নিজের নামে নামকরণ করেন।
ভবন নির্মাণে আক্তারুজ্জামান এর কোন অবদান না থাকায় তার নামকরণ মুছে মুক্তারকান্দি আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে রাখা হয়।এরপর হতে তিনি গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
বর্তমান কমিটির সভাপতি আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন এর নিজস্ব অর্থায়নে স্কুল ব্যাগ প্রদান, বাৎসরিক মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে , ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করা হবে অতিদ্রুত। বর্তমানে পুরো সরকারি খরচে ৪র্থ তলার ভবন নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। সরকারি ভাবে মাটির সয়েল পরীক্ষা করতে এলে আক্তারুজ্জামানকে না জানানোর কারনে সাবেক প্রধান শিক্ষক সদ্য প্রয়াত আব্দুল বারেকের ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বেতন আটকে দেন। দুঃখ নিয়ে তিনি মৃত্যু বরন করেন।
আক্তারুজ্জামান স্কুলে কি পেলেন যে তাকে আজীবন সভাপতি থাকতে হবে।নিজ পকেট থেকে দাতা সদস্য পদের টাকা ছাড়া কোন অর্থ খরচ করেননি। বরং স্কুল ফান্ড থেকে বিভিন্ন ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন যা আমরা অডিট করার পর জানতে পারি। তার যদি কিছু বলার থাকে আমাদের বলতে পারে। জনগনের স্কুল ধ্বংস করার একের পর এক মামলা করে হয়রানি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান হাজ্বী জয়নাল আবেদীন বেপারী, সাবেক মেম্বার আমানউল্লাহ, সাবেক মেম্বার,আব্দুল কাদির মৃর্ধা, সাবেক মেম্বার মোঃ বাচ্চু মিয়া, বর্তমান মেম্বার শাহীন রাজু, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুজাউদ্দৌলা, আলীরটেক ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল কাদির বেপারী, সাধারণ সম্পাদক খবিরউদ্দিন খবু, অভিবাবক সদস্য মোঃ সালাউদ্দিন, হাজ্বী নজরুল ইসলাম, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, অভিবাবক সদস্য ওসমান গনি মেম্বার, সহকারী শিক্ষক সেলিম মিয়া প্রমুখ।


সেই অনুসারে বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে আমি আকবর আলী সুমন ঢাকায় আমার ব্যবসায়ী কাজ থাকা সত্বেও আমি বিএনপির দলের স্বার্থে বক্তাবলী চলে আসি।এসে মিলন মেহেদীকে ফোন করি যে আমরা ৪ জন বসে একটা লিষ্ট করবো।আমার ডাকে মিলন মেহেদী সাড়া দিয়ে চলে আসে।লোকমানকে ফোন করলে জবাবে লোকমান বলে আপনাদের সাথে বসে লিষ্ট করা লাগবেনা।জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাহেবের নিকট আমাদের লিষ্ট দেয়া আছে।হাসান আলীকে ফোন করলে সেও লোকমান হোসেনের সুরে একই কথা বলে।গিয়াসউদ্দিন সাহেবের কাছে আমাদের লিষ্ট দেয়া আছে।গিয়াসউদ্দিন এমপি যেখানে রাখবে আমরা সেখানে থাকবো।




১১ ফেব্রয়ারী (শনিবার) বিকাল ৪টায় বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যাগে কেন্দ্র ঘোষিত এই পদযাত্রা কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বারীর নেতৃত্বে পদযাত্রাটি কানাই নগর থেকে শুরু করে প্রতিটি ওয়ার্ড প্রদক্ষিন করে বক্তাবলীর বিএনপির কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহমুদ মেম্বার,বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. আবুল কালাম, বক্তাবলী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাসেম খাঁন, ফতুল্লা থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. রাসেল প্রধাণ, সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক নাঈম, বক্তাবলী ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোতালেব সরদার, বিএনপি নেতা এড. মো. নুরুল আমীন মাসুম, মো.বাদশা, মো. দুলাল হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, সেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. পিন্টু, মো. মাহমুদউল্লাহ, বক্তাবলী ইউনিয়ন যুবদল নেতা মহিউদ্দিন, ছাত্র দল নেতা ইউনুস গাজী, বক্তাবলী ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হোসেন, বিএনপি নেতা মো. ছলিম মেম্বার, মো. মহসিন, বক্তাবলী ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ, বক্তাবলী ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন ও বিএনপি নেতা আবদুল বাছেদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

