না’গঞ্জে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিতে রাজনৈতিক নেতা ও বিত্তবানরাই দায়ি ! 

46

মাসুদুর রহমান দিপু: গ্রামের ভাষায় একটি কথা আছে পান থেকে চুন খসলেই দোষ অর্থাৎ ভুল করলে ভাল মানুষেরও রক্ষা নেই, ঠিক তেমনি নারায়নগঞ্জে সরকারী দলের এমপি যদি শ্লিপ অব র্টান কিছু বলে, এই কথার পরিপেক্ষিতে সাংবাদের শিরোনাম এমনকি পেপার কাটতিও বেশি থাকে বক্তব্যের পরের দিন। পরবর্তিতে ঐ নেতা যখন আবার ভাল ভাল কথা বলে তখন দেখা যায় এই সকল ব্যাক্তিরাই চাটুকারের রুপ ন্যায় আর নেতাও পূর্বের ইতিহাস ভুলে যায়। এমনটি বিত্তবানদের ক্ষেত্রেও একই ঘটে আর এই ঘটার কারনেই নাংগঞ্জে বিনা বেতনে কাজ করা সাংবাদকিদের বেহাল অবস্থা। অথচ নারায়ণগঞ্জে তথা বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা ও সদর এলাকায় বিভিন্ন পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত কমপক্ষে শতাধিক পেশাদার সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। শুধু তাই নয় এই সকল সংবাদকর্মীরা সকাল হতে রাত অবদি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজনকে রেখে সংবাদ সংগ্রহে ছুটে চলছেন। এই সকল সাংবাদিকদের পাঠানো তথ্য কপি টু পেষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকায়।

তাদের লিখনির ছোয়ায় সংবাদের একদিকে যেমন কাটতি হচ্ছে অন্যদিকে পত্রিকার মানও বাড়ছে তাহলে কেন এই সকল সাংবাদিকরা সুবিধাবঞ্চি হচ্ছে এই মহামারীতে ? রাজনৈতিক নেতা কিংবা বিত্তশালীরা যদি এই পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করে রাখে তাহলে আজীবন সুবিধা বঞ্চিত হতে থাকবে এই সকল পেশাদার সাংবাদিকরা। নাঃগঞ্জে সংবাদকর্মীদের মুল ক্লাবের বাহিরে যে সকল সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত ফিল্ডে কাজ করে আসছে মুলত তারাই পত্রিকার সংবাদ তৈরী করে। কথাটি রাজনৈতিক ব্যাক্তি ও সমাজের বিত্তবানরা অবগত থাকার পরেও বিভেদ সৃষ্টি করে রেখেছে শুধু মাত্র তারা ভাল একটি ক্লাবের সদস্য নয় একারনে, কিন্তু একথা সত্য যে, অনেক সাংবাদিক আছে যারা ক্লাবের সাথে জড়িত নয় আবার জাতিয় পত্রিকায় কাজ করছে তাহলে সে কি সাংবাদিক নয় ? অনেক সম্পাদক আছে দক্ষতার সাথে পত্রিকা প্রকাশনা করছে কিন্তু তারা ভাল কোন ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত নয়? তারা কি সাংবাদিক নয়?

এক জনজরিপে দেখা যায় নাংঃগঞ্জে সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্যের অভাব এর মুল কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যাবসায়ীরা, কারণ বিত্তবানরা- বিত্তবান সাংবাদিকই পছন্দ করেন অন্যান্যদেরও যে কলম আছে সেটা বুঝে না বুঝার ভান করে। তিনি জানেন তার ভাল একটা নিউজ জুনিয়র একজন সংবাদকর্মী করেছেন তার পরেও জেনে শুনেই জুনিয়রদের হাইড করে রেখেছেন এর মুল রহস্য কোথায় ? কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শুরু থেকেই বন্দর,সিদ্ধিগঞ্জ, ফতুল্লা ও সদর উপজেলাধীন পেশাদার সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে কাজ করে আসছে কিন্তু সমাজের কোন বিত্তশালী আজও তাদের খোঁজ খবর নেয়নি অথচ এই সকল সংবাদকর্মীরাই তাদের প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রমের সংবাদ সংগ্রহ করে পত্রিকায় পাতায় তুলে ধরেছেন বদলে তিনি সমাজের কাছে প্রশংসীত হয়েছেন। এই মহামারী ক্রান্তিকালে ঐ সকল বিত্তশালী ব্যবসায়ী কিংবা রাজনৈতিক নেতারা এখন কোথায় ? জানাগেছে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমান তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি অবগত হয়ে একটু দেরিতে হলেও সকল সাংবাদিককে ৪ হাজার টাকা প্রনোদনা দিয়েছেন এর মধ্যে বেশ কিছু সাংবাদিক প্রনোদনা হতে ছিটকে পরেছেন কারণবশত। নারায়ণগঞ্জে মন্ত্রী বীর বিক্রম গোলাম দস্তগীর গাজী তিনি ৭ লক্ষ টাকা প্রনোদনা দিয়েছেন সেই টাকা এই শতাধিক পেশাদার কোন সংবাদ কর্মী পাননি বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। মন্ত্রী গাজীর প্রনোদনা যারা পেয়েছে তাদের সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে আর অন্যদের সুরক্ষার প্রয়োজন নেয় এমনটি মন্ত্রী গাজির একটি বিশ্বস্থসুত্র জানিয়েছেন। এ কে শামীম ওসমান তিনি সকলকে দিয়েছেন কিন্তু যারা বাদ পরেছেন তার জন্য সাংসদ শামীম ওসমানকে দায়ি করলে ভুল হবে কারণ তিনি নিজেই হয়তো জানেন না এই প্রনোদনা হতে কয়েকজন বাদ পরেছে। করোনা পরিস্থিতিতে সর্বশেষ প্রেসব্রিফিংকালে তিনি বলেছিলেন আমার আর্থিক সহযোগিতা থেকে আমার শক্ররাও যেন বাদ না পরে সেখানে অভিযোগ উঠাটাও স্বাভাবিক। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান সিআইপি মাসুদুর রহমান মাসুদ তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন সাংবাদিকদের ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা তথা প্রনোদনা হিসেবে দিবেন কিন্তু সেই টাকার কোন হদিছ এখনও পাওয়া যায়নি। কেউ বলছেন জেলা প্রশাসন অফিসে আবার কেউ বলছেন সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছে অর্থাৎ কানামাছি খেলা শুরু হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে।

মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নারায়ণগঞ্জে সংবাদকর্মীরা আয়ের উৎ হারিয়ে নিরবে কেঁদে যাচ্ছে কিন্তু তাদের পাশে এখন পর্যন্ত কেউ দাড়ায়নি। সাংসদ শামীম ওসমানের কাছ থেকে যে ৪ হাজার টাকা প্রনোদনা পেয়েছেন সংবাদকর্মীরা এতে দেখা গেছে একটি পরিবাওে সবোর্চ্চ ১০ থেকে ১২ দিনের খোরাক সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এর পরবর্তিতে তারা কিভাবে জীবন যাপন করছে তা কষনও জানার চেষ্টা করেননি সমাজের অন্যান্য বিত্তবান ব্যাবসায়ীরা। মুলত বিভেদ সৃষ্টিকারী এই সকল বিত্তবানরা মহামারীতেও সাংবাদিকদের সাথে তামাশা আর কাঁনামাছি খেলতে পছন্দ করেন। সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পন বা আয়না তাই বিভেদ সৃষ্টি নয় একে অপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করাটাই উত্তম। মনে রাখতে হবে “প্রত্যেকে আমরা পরের তরে” এই কথাটি মনে রেখে আমরা সকলে এগিয়ে গেলে অবশ্যই এই দূর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারবো ইনশাআল্লাহ ।