মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র যা ভাবছে

63

নিউজ প্রতিদিন ডটনেট :  মিয়ানমারে সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে অভিযান চালিয়ে দেশটি রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।

ভোর থেকেই রাজধানী নেপিডো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় রাস্তায় টহল দিতে শুরু করে সেনা সদস্যরা। সেনা বাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিষয়ে মিয়ানমারের বন্ধু দেশ চীন বলছে, তারা সব দিক পর্যবেক্ষণ করছে এবং তথ্য সংগ্রহ করছে এবং পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে।

মিয়ানমারের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে চীনের। দেশটির খনি, অবকাঠানো এবং গ্যাস পাইপলাইনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে চীনের।

সেনা বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, মিয়ানমারে কী ঘটেছে, তা আমরা লক্ষ্য করেছি এবং এখন আমরা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও জানছি। চীন মিয়ানমারের প্রতিবেশী বন্ধু। আমরা আশা করি, সংবিধান এবং আইন মেনে সব পক্ষ সঠিকভাবে তাদের বিভেদ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।

এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল করে নেয়ার পর কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের দিক থেকে কঠোর বার্তা দেয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বলেছেন, ৮ নভেম্বরর গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচত সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তি এবং বার্মার জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে বার্মিজ সামরিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে বা মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাধা দেয়ার যেকোনো প্রয়াসের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র এবং এই পদক্ষেপগুলো পরিবর্তন না করলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।