একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পারে ওসমান পরিবারের সিদ্ধান্ত নিতে

82

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই পারে ওসমান পরিবারের ব্যাপারের সিদ্ধান্ত নিতে। সারা দেশ শ্যামল কান্তি ভক্তের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এভাবেই দাঁড়াতে হবে।’

আজ শুক্রবার সকালে যশোর প্রেসক্লাবে ‘চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসানে সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।

শাহরিয়ার কবির বলেন, যশোরের চৌগাছা, অভয়নগরসহ কয়েকটি স্থানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে সামনে রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক এবং দেশের ভাবমূর্তির বিষয়। এই ঘটনাগুলো সরকারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়গুলোর প্রতিকারের জন্য আলাদা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও পৃথক সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রণালয় করতে হবে। এ ছাড়া জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনও করতে হবে, যা ভারত, এমনকি পাকিস্তানেও আছে। এগুলো করতে পারলে সংখ্যালঘুরা যেভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা সম্ভব হবে।’

মতবিনিময় সভায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সম্পাদকম-লীর সদস্য মমতাজ লতিফ, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণজাগরণ মঞ্চ, যশোরের আহ্বায়ক কাজী আবদুস শহীদ লালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি ডি এম শাহিদুজ্জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদ, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা যশোরের চৌগাছায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে শাহরিয়ার কবির বলেন, মতবিনিময় সভা থেকে পাওয়া তথ্য ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁরা ঢাকায় ফিরে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসবেন।