নারায়ণগঞ্জ ১১টি ইউপি চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ

57

নারায়ণগঞ্জের সদর ও রূপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ গ্রহণ করলো । শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিয়া।
সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইসরাত হোসেন খাঁন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত থেকে শপথ গ্রহণ করেন, কুতুবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, কাশীপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম সাইফুল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত ও বিনাপ্রতিদ্ধন্ধিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনি:সহ সভাপতি আসাদুজ্জামান, গোগনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থীত নির্বাচিত চেয়ায়ারম্যান মো. মতিউর রহমান মতি।
অন্যদিকে রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের মধ্যে শপথ গ্রহণ করেন, আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান তোফায়েল আলম, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
শপথ গ্রহণ শেষে নির্বাচিত চেয়ারম্যানবৃন্দরা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো ব্যাক্ত করেন। এসময় সকলের কণ্ঠেই ভেসে ওঠে বর্তমানে ভয়াবয় আকার ধারণ করা মাদকের পরিস্থিতি।
সব শেষে চেয়ারম্যানদের প্রতি দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা। এসময় তিনি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কেউ মাদকের বিষয়ে কারও সাথে আপোষ করবেন না। কারণ মাদককে বন্ধ করা না হলে কোন কাজই সফল হবে না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেখা যায়, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হলে সেখান থেকে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। এর পর আবারও তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পরে। তাই আপনারা এই সকল ব্যাক্তিদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট হস্তান্তর করবেন। কারণ সেখানে জামিনের কোন সুযোগ নেই। আর শাস্তির পরিমানটাও অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। এতে করে সেই মাদক ব্যবসায়ী পূনরায় এসব কাজে জড়াতে দ্বিধার মধ্যে থাকবে। পাশাপাশি মাদকও অনেকাংশে কমেও যাবে।
সব শেষে সকলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে শপথ গ্রহণ সভা শেষ করেন জেলা প্রশাসক মো. আনিছুর রহমান মিঞা।