রোজার কাজা ও কাফফারা আদায়ের বিধান

154

সাধারণত কাজা বলতে আমরা বুঝি বকেয়া। আর কাফফারা বলতে বুঝি জরিমানা। রমজানের রোজা অতিগুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে তা ভঙ্গ করলে কখনো কাজা কিংবা কখনো কাফফারা এবং কখনো কখনো কাজা + কাফফারা অর্থাৎ বকেয়া + জরিমানা উভয়টি আদায় করতে হয়।

কাজা হলো একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখা। আর কাফফারা হলো একটির পরিবর্তে ৬০টি রোজা রাখা। তবে এ ৬০টি হতে হবে লাগাতার, বিরামহীন। এর মধ্যে কোনো রোজা বাদ দেওয়া যাবে না। অবশ্য রোজার কাফফারার আরেকটি বিকল্প আছে। তা হলো, একটি রোজার পরিবর্তে ৬০ জন গরিব মানুষকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। ৬০ জন গরিব মানুষকে দুবেলা খাবার খাওয়ালে একটি রোজার কাফফারা আদায় হবে।

যেসব কারণে শুধু কাজা আদায় করতে হয়

স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করার কারণে যদি বীর্যপাত হয়।

১.ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে।
২.পাথরের কণা, লোহার টুকরা, ফলের বিচি গিলে ফেললে।
ঘুষ গ্রহণ করলে।
৩.নাকে বা কানে ওষুধ দিলে (যদি তা পেটে পৌঁছে)।
৪.মাথার ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার পর তা যদি মস্তিষ্কে বা পেটে পৌঁছে।
৫.যোনিপথ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে সহবাস করার ফলে বীর্য নির্গত হলে।
৬.স্ত্রী লোকের যোনিপথে ওষুধ দিলে।

উল্লেখ্য, রমজান মাস ছাড়া অন্য সময়ে রোজা ভঙ্গের কোনো কাফফারা নেই, শুধু কাজা আছে।

যেসব কারণে কাজা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হয় (অর্থাৎ একটির পরিবর্তে ১+৬০= ৬১টি রোজা রাখতে হবে)

রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।

২.রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে সহবাস করলে।