ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের ট্রেনের ছাদে টোকাইদের ছোড়া ঢিলে আহত হচ্ছে হচ্ছে সড়কের পাশে বসবাসকারী বাসিন্দা ও যানবাহন। ট্রেনের ছানে ভ্রমনকারী এসক টোকাইরা ট্রেনের টিটিদের সাথে আতাঁত করেই সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে থাকে বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। এসব টনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও তদারকিকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের এ ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও ভুক্তভোগীরা এর কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। যে কারনে ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে একের পর এক দূঘর্টনা অব্যাহত রয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যান ও মালের। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল। এদিকে, ট্রেনের ছাদা থেকে ঢিল ছুড়ে মানুষকে হতাহত ও যানবাহনের ক্ষতি করায় ফতুল্লার ষ্টেশন এলাকার বাসিন্দা সাবের হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সধারন ডায়েরী দায়ের করেছে। যারা নং ৭৫৭। সূত্রমতে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল সড়কের পাশে প্রায় সময়ই হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে। এ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের ছাদে সব সময়ই কিছু টোকাই অবস্থান নিয়ে থাকে। এসব টোকাইরা ইটের টুকরো, পাথরের টুকরো নিয়ে ট্রেনে ছাদে অবস্থান নিয়ে রেললাইনের পাশে অবস্থিত দোকান, বসত বাড়ি কিংবা যান বাহন লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ে মারে। এর ফলে প্রায় সময়ই রেল লাইনের পাশে অবস্থিত বাসিন্দা, পথচারী গুরুতর আহত হয়। সম্প্রতি, কদমতলীর চাকদা এলাকায় ট্রেনের ছাদ থেকে ছোড়া ঢিলে (ঢাকা মেট্রো-ম-১১-০৫৯৭) ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় সময়ই টোকাইদের ছোড়া ইট, পাথরের আঘাতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের চরম উদাসিনতার কারনেই টোকাইরা সব সময় ট্রেনের ছাদে অবস্থান নিয়ে এসব অঘটনের জন্ম দিচ্ছে। এর জন্য ট্রেনে টিটিদেরও দায়ি করেছে অনেকে। একাধিক যাত্রীর সাথে আলাপকালে জানাগেছে, এসব টোকাইরা শুধু ট্রেনের ছাদেই অবস্থান নিয়ে ক্ষ্যন্ত হয় না। এরা ট্রেনের প্রবেশ পথগুলোতেও অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগ, মোবাইল রেখে দিচ্ছে। টিটিরা এসব টোকাইদের ব্যাপারে সব সময়ই উদাসিন। তাদের মতে, টিটিরা যদি একটু সতর্ক এবং কঠোর হতো তা হলে এসব ঘটনার সূত্রপাত হতো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ভুক্তভোগী মহল।