নাসিকে প্রার্থীতা বাছাইয়ে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ এগিয়ে

64

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। উভয় দলের নেতারাই দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী কে হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-পর্যালোচনা। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সার্কিট হাউজে বর্ধিত সভা করে তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছে। যেখানে বর্তমান মেয়র আইভীর নাম নেই। অন্যদিকে,বিএনপি নিজ দলের কাকে প্রার্থী করবেন এ নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কে হবেন তা পুরোপুরি নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার উপর। তিনি যাকে মনোনিত করবে দল তার পক্ষেই কাজ করবে বলে বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। তবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছে তা জানতে আরো ক’দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের। তবে এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগে চমক থাতবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি এড. তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপিতে সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে। বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানাগেছে, বিগত নির্বাচনে তৈমুর আলম দলীয় সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়ায় এবং বিনা বাধায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বিএনপি চাচ্ছে তৈমুর আলমই এবার প্রার্থী হোক। সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন ডাউন শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে নারায়ণগঞ্জে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারন মানুষের মধ্যেও এবারের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। শহরের বিভিন্ন এলঅকায় চলছে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। এদিকে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ সাকির্ট হাউজে বর্ধিত সভা ডেকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে। এই নামের মধ্যে রয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ। মেয়র আইভী নাম না থাকায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তবে আওয়ামী লীগে মেয়র প্রার্থীতা নিয়ে চমক থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও উভয় দলের শীর্ষ নেতারাই দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। খালেদা জিয়া দেশে থাকলেও তিনি এখনো দলীয় প্রার্থীও ব্যাপাওে কোন কথা বলবেন না। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেখেই সিদ্ধান্ত নিবেন কে হবে বিএনপির প্রার্থী। আর জন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকছে হবে বিএনপিকে । অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ দেশে আসলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরামের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। তবে তার জন্যও আওয়ামী লীগকে আরো দু’দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এর আগেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচনী মাঠে তৎপরতা শুরু করেছে। নির্বাচনী তৎপরতায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি সাধারন মানুষের মধ্যেও নির্বাচনী আমেজ চড়িয়ে পরেছে। পাড়া মহল্লাগুলোও এই নির্বাচনী আজেম ছড়িয়ে পরেছে। শুধু নাসিকেই নয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বরাবরই আলোচনায় থাকে। প্রাচ্যেরডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ রাজনীতির সুতিকাঘার হিসেবে পরিচিতি লাভ করায় নারায়ণগঞ্জ নিয়ে রাজনীতিক, ব্যবসায়ীদের মধ্যে মধ্যে আগ্রহ বেশী। আর এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটবে না বলে মনে করছেন তারা।