শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না

126

শীতলক্ষ্য নদীতে ব্রীজ হচ্ছে, হবে এ নিয়ে ভোটের রাজনীতি হয়েছে অনেক। বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে শীতলক্ষ্যা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থানপনও করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। নির্বাচন আসলে এই সেতুকে কেন্দ্র করে ভোটের রাজনীতি করে থাকেন অনেকে। সদর-বন্দরের ভোট পেতেই জনপ্রতিনিধিরা এই সেতু নিয়ে রাজনীতি করে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্রীজ হচ্ছে না বলে আভাস দিয়েছে সরকারের একটি সংস্থা। তবে নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দরের মধ্যে সেতু বন্ধনের জন্য বিকল্প চিন্তা করছে সরকার। নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ওই সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে। তবে তা কবে নাগাদ হচ্ছে তা নিশ্চিত করে কিছু জানাযায়নি। তবে হতাশার কিছু নেই। বর্তমান সরকারের সময়ে সদর-বন্দরের সেতু বন্ধনে কাজ শুরু হবে বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে। শীতলক্ষ্যা সেতু সদর-বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা থাকলেও কোন সরকারের সময়ে এই প্রত্যাশা পূরনে সক্ষম হয়নি। এই নদীতে ব্রীজ কিংবা ক্যানেল নির্মাণ না হওয়ায় পর্যন্ত সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সব সময়ই এ নিয়ে হতাশা থেকেই যাচ্ছে। তবে এই হতাশা কাটাতে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সূত্রমতে, নির্বাচন আসে এবং চলেও যায়। সরকার বদল হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু সদর-বন্দরের মানুষের যাতায়াতের জন্য শীতলক্ষ্য নদীতে দ্বিতীয় সেতু আর হয়নি। এই সেতু নিয়ো ভোরটের রাজনীতি করেছে সরতারের শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় অনেক জনপ্রতিনিধি। নির্বাচন আসলেই শীতলক্ষ্যা নদীর সেতুকে ইস্যু করে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এই সেতু তৈরীর করা হবে এমন প্রতিশ্রæতি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকে রাজনীতিকরা। নির্বাচনের পর কেউ কথা রাখেনা। আর এ ভাবেই সরকার বদলের পাশাপাশি বদলে যায় এই নদীতে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত। প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান এই নদীতে সেতু করার স্বপ্ন দেখেন। সেতু নির্মাণে অনেক চেষ্টাও করেন, কিন্তু তার আগেই তিনি মারাযায়। এছাড়া বিগত চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারায়ণগঞ্জে এসে শীতলক্ষ্যা নদীতে সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং বিএনপির প্রার্থী এড.কালামকে আবারো নির্বাচিত করার আহবান জানান। নির্বাচনে চার দলীয় জোট সরকারের ভরাডুবি ঘটলে শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ কাজ থমকে দাঁড়ায়। সদর-বন্দরের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে বারবার অনুরোধ করে আসছেন। সেতু হচ্ছে হবে বলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। এই সেতু নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীও প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। আর এ ভাবে রাজনৈতি দলের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বন্দরবাসী আশায় বুক বাঁধলেও তা বরাবরই অপূরনীয় থেকে যাচ্ছে। বন্দরবাসী প্রশ্ন আর কতোদিন অপেক্ষায় থাকলে শীতলক্ষ্যা সেতু হবে কবে? তবে সব প্রশ্ন এবং জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেড়িয়ে এসেছে থলের বিড়াল। শেষতক এই ব্রীজ আর হচ্ছে না। নদী বন্দরের কথা মাথায় রেখেই এই নদীর নবীগঞ্জ কিংবা মদনগঞ্জ দিয়ে আর সেতু হচ্ছে না। এই এলাকাগুলোতে বড় ধরনের জাহাজ এবং উদ্ধারকারী জাহাজের ঘাঁটি হওয়ায় এসব এলাকায় সেতু করার সম্ভব হচ্ছ না। তবে বিকল্প চিন্তা করছে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে নদীর তলদেশ দিয়ে ক্যানেলের মাধ্যমে সদর-বন্দরবাসীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের চিন্তা করছে সরকার।