গোলক ধাঁধাঁয় আটকে আছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি

68

নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি গোলক ধাঁধাঁয় বন্দি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে একই অবস্থা বিরাজ করছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে এই দুই দলের মধ্যে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আর এ অবস্থার কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও বিপাকে পরেছে। নাসিক নির্বাচনের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াত আইভীর বিপুল ভোটের বিজয়েরও পর নেতারা নানা ঝটিলতার মধ্যে রয়েছে। বিএনপির একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের নানামুখী চাপে রয়েছে। মূলত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে নতুন কওে ঝটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি নড়েচড়ে বসেছে। আওয়ামী লীগে ঐক্য ফিেে আসলেও বিএনপিতে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা। নাসিক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মধ্যে মেয়র প্রার্থীতা নিয়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিলেও দলীয়সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুই গ্রæপের নেতাদেও নিয়ে বঙ্গভবনে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীও পক্ষে এক মঞ্চে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু বিএনপিতে থেকে যায় নানা বিরোধ। বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গোপনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদেও সাথে আতাঁতের অভিযোগও ওঠে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পরে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করারও। আর এ নিয়ে বিএনপিতে নতুন করে হিসেব নিকেশ শুরু হয়। এদিকে, নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর কাছে বিএনপির প্রার্থীও এতো বড় ভরাডুবিকে মেনে নিতে পারছে না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। স্থানীয় নেতাদেও মধ্যে প্রকাশ্যে ঐক্য থাকলেও গোপনে বিরোধ থাকায় বিএনপির প্রার্থীও চরম ভরা ডুবির ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা। এ নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের পর স্থানীয় নেতাদেও সাথে বৈঠকও করেছে। এছাড়া দলীয় প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের সাথেও একান্ত বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। নির্বাচনের পরাজয়ের কারণ জানতে খালেদ জিয়া গোপনে গোয়েন্দা টিম মাঠে নামিয়েছেন বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া নাসিক নির্বাচনের পর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ভীত নড়ে উঠেছে। বর্তমান নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বিএনপি থেকে। জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের পরিবর্তনের চিন্তু করছে বিএনপির হাই কমান্ডে। জেলা ও মহানগরে নতুনদের আনার চিন্তা করছে তারা। অপরদিকে, আওয়ামী লীগে চলছে পাওয়া না পাওয়ার নানা হিসেব। নাসিক নির্বাচনকে ঘিরে দলের প্রভাবশালী নেতা সাংসদ শামীম ওসমানকে রাজনীতিতে কোনঠাসা করতে কাজ শুরু করেছে দলের একটি মহল। চলছে উত্তর-দক্ষিনের পাল্লা ভারী-হাল্কার হিসেব। এছাড়া মেয়র আইভী মেয়র হওয়ার পর সাংসদ শামীম ওসমানকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে নানা ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শামীম পন্থি নেতাকর্মীদেও অভিযোগ। তবে আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সাংসদ শামীম ওসমান একজন দক্ষ সংগঠন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে শামীম ওসমানকে প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাংসদ শামীম ওসমানকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে জোর করে সারিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ জন্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে নানা উভয় খুঁজছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানাগেছে, নাসিক নির্বাচনের পর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্নঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপাওে তৎপরতা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে জেলার পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয়া হবে। কিন্তু এখানে কার পাল্লা ভারী আর কার পাল্লা হাল্কা এ নিয়ে সমিকরণ শুরু হয়েছে। আর এ অবস্থার কারণে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগে আবারো বিরোধের আশঙ্কা করছে রাজনৈকিব বিশ্লেষক মহল।