চালকহীন রয়েছে অঙ্গ সংগঠনগুলো \ পদ ব্যবহার করে চলছে ভাগ্য বদলের চেষ্টা \ উঠে আসছে না নতুন নেতৃত্ব নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে উদাসিন জেলার শীর্ষ নেতারা!

56

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সমর্থিত এমপি ও জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নমূখী হলেও দলগুছানোর কাজে কেউ মনোযোগী হচ্ছে না। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি আংশিক গঠনের মধ্যদিয়ে দায়িত্ব শেষ হলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ব্যাপারে কারো যেন কোন মাথা ব্যাথা নেই। মহানগর কমিটি গঠন হলেও জেলা কমিটি নিয়ে চিন্তিত রয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি দলকে সাংগঠনিক ভাবে আরো বেশী শক্তিশালী করতে কাজ করার নিদের্শ দিয়েছে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা দলগুছানের ব্যাপারে চরম উদাসিন এমন অভিযোগ খোদ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইতোপূর্বে এশাধিকবার জানিয়েছেন, জেলঅ আওয়অমী লীগের খড়সা কমিটি জমা দেয়া হয়েছে, যে কোন সময় ঘোষণা আসবে। তবে জেলঅ আওয়ামী লীগ কবে পূর্নাঙ্গ রূপ পাবে এনিয়ে সংশয় রয়েছে এমন দাবি কর্মীদের। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও জেলা আওয়ামী লীগের পাশাপাশি থানা কমিটিগুলোকে পূর্নগঠনের ব্যাপারে উদাসিন রয়েছে বলেও মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ। অনুসন্ধানে জানােেছ, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ছাড়া উপজেলা ও থানা কমিটিগুলো চলছে মেয়াদ উর্ত্তীণ কমিটি দিয়ে। বেশীর ভঅগ কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আর যারা পদে রয়েছে তারাও কমিটি গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে চলছেন এমন অভিযোগ আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরে অভিযোগ,পদধারী নেতাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই জেলা ও থানা কমিটিগুলো পূর্নগঠন কাজ থমকে আছে। পধারী নেতাদের পদে মোহ ছাড়তে পারছেন না। যে কারণে জেলা আওয়ামী লীগ এখন রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান অবস্থান জন্য শীর্ষ নেতাদের বিরোধই দায়ি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জেলা আওয়ামী লীগ পূর্নগঠনে ব্যর্থ হলে এর মাশুল গুনতে হবে দলের শীর্ষ নেতাদের। জেলা আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে আলাপকালে জানাগেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেও বিরোধের কারণেই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এই রুগ্ন অবস্থা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংসদরা দলকে সাংগঠনিক ভাবে গুছানের ক্ষেত্রে তেমন ভূমিকা পালন করছেন না। জেলা কমিটি গঠনের পরও বিরোধ পিছু ছাড়ছে না আওয়ামী লীগের রাাজনীতি থেকে। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে তিনজন থাকলেও তিনজনের মধ্যেও বিরোধ রয়েছে। ইতোমধ্যে আ:হাই ও আইভী এক বলয়ে রয়েছে, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল রয়েছে অন্য বলয়ে। আর এ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে বিভাজন দেখা দিচ্ছে। দিনে দিনে এই বিভাজন মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগের তৃনমূল। এদিকে, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির পাশাপাশি মহানগর কমিটি নিয়েও সমালোচনার অন্ত নেই। দুই জনের কমিটি দিয়ে দেড় বছর পার কওে পূর্নাঙ্গ কমিটি হলেও ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে এখনো সাজাতে পারেনি মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারন সম্পাদক খোকন সাহা এমন অভিযোগ মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। অপরদিকে, মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গ সংগঠনগুলোও কোন রকম চলছে। জেলা যুবলীগ, ছঅত্রলীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কৃষকলীগ এখন ঢিমেতালে চলছে। কোন সংগঠনেরই মেয়াদ ন্ইে। এদের মধ্যে কমিটি থাকলে মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক আগে, আবার কোন কোন সংগঠন চলছে আহবায়ক কমিটি দিয়ে। তবে পদ ব্যবহার কওে লাভবান হলেও দল কিংবা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কেউ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে না কর্মীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোতে ্খনি যদি ঢেলে সাজানো না যায় তা হলে আগামী নির্বাচনে এর প্রভাব পরবে বলে মনে করছেন বোদ্ধা মহল।