আড়াইহাজারে মাদরাসার শিক্ষক গ্রেফতার

59

আড়াইহাজার সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে চোর আখ্যা দিয়ে হাফেজ আবু সহিদ নামে এক মাদারাসার শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে রড দিয়ে পেটানো হয়েছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এ-টুজেড নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে গহরদী এলাকার জসীমউদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় শালমদী ইসলামিয়া হাফিজিয়ায় এঘটনা ঘটে। ৭ মার্চ ঘটনাটি ঘটলেও বিচারের নামে বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। শুক্রবার নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর ছবি ফেইজ বুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হলে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। পরে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শালমদী এলাকার একটি বাড়ি থেকে শিক্ষককে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেছে। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন সনমান্দি এলাকার নুরুজ্জামানের ছেলে।

জানা যায়, স্থানীয় শালমদী ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদারাসার শিক্ষার্থী রিফাতের ব্যাগ থেকে ৭ মার্চ ৭০০টাকা খোয়া যায়। বিষয়টি পরে মাদরাসার সহকারি শিক্ষক রমজান আলীকে অবহিত করা হয়। চোর আখ্যা দিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফেজ আবু সহিদকে একটি কক্ষকে আটক করে। পরে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রাসেল ও রহমানের সহযোগিতায় হাত-পা ও মুখ বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বরতা চালানো হয়। এক পর্যায়ে সে অচেতন হয়ে গেলে তাকে ফেলে তারা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, সহিদকে হাত-পা বেঁধে কক্ষে আটক করে ৩ ঘন্টা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে। এর আগে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রমজান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ছাত্রকে ১৫টি আঘাত করা হয়েছে। এসময় আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমার অপরাধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখ জনক। পাষন্ড শিক্ষকের দৃটান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এদিকে মাহ্মুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আমান উল্যাহ (আমান) বলেন, এ ঘটনায় আমার কাছে বিচার দায়ের করা হলে আমি বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করি। পরে থানায় আলোচিত ওই শিক্ষকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আড়াইহাজার থানার ওসি মো: সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এঘটনায় শিক্ষককে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।